
10/07/2025
আমার মনে হয় বাংলাদেশের যতগুলো সেকশন আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত সেকশন হলো ময়মনসিংহ সেকশন।
এই সেকশনে আগে লোকাল ট্রেনের রাজ্য ছিলো।
কিন্তু এখন শুধু জিএম লোকাল (353+354) এবং জারিয়া লোকাল (371-378)।
জারিয়া লোকালও মাঝে মধ্যে বন্ধ করে দেয় ইঞ্জিন সংকট এর কারনে।
ভৈরব বাজার - ময়মনসিংহ ( 341-344) ভৈরব লোকাল বন্ধ সেই করোনার পর থেকে
ঢাকা - ময়মনসিংহ ঈসাখাঁ এক্সপ্রেস (39-40) এটাকে শুধু টাইম টেবিলেই রাখে বাস্তবে চালানো হয় না।
ময়মনসিংহ - দেওয়ানগঞ্জ বাজার (351-356) দেওয়ানগঞ্জ লোকাল।ময়মনসিংহ - মোহনগঞ্জ (361-364) মোহনগঞ্জ লোকাল লোকো সংকট এর অজুহাতে বন্ধ করে রাখছে।
কিন্তু অন্য দিকে অমুক ট্রেনের জন্য শাটল সার্ভিস চালু করছে,নতুন ট্রেন দিচ্ছে।
কিন্তু এই অবহেলিত মা বাপ ছাড়া সেকশনের কোনো উন্নতি নাই।
কিছুদিন আগে রেলপথ উপদেষ্টা আসছিলো।উনি আবে সেজন্য সব কিছু ঠিকঠাক করে রাখছে।রেললাইন এর কাজ করছে।উনি যেই ট্রেনে গেছে সবট্রেনকে রেখে উনার ট্রেনকে গুরুত্ব দিছে।
উনি তো মনে করছে এই সেকশন ভালোই এর আর কি উন্নয়ন করতে হবে।চলুক আরো ১০ বছর এভাবেই।
এইযে দুর্নীতি জালিয়াতি করে সবচেয়ে বাজে 30** হাজার সিরিজের যে লোকোমটিভ আমদানি করা হলো তার বেশিরভাগই এখন গাছ তলায় পড়ে আছে।
আর যেগুলো চলছে সেগুলোও কিছুদিন পরে পরে ফেইল মারছে।
আর রেলের গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে লাগেজ ভ্যানগুলো।বর্তমান এ খুব একটা কাজে আসছে না এই লাগেজ ভ্যান গুলো।
যদি এই লাগেজ ভ্যান গুলো মডিফাই করে শোভন চেয়ার এ পরিবর্তন করা যায় তাহলে যাত্রীবাহী অনেক ট্রেনের লোড বাড়ানো যাবে,এতে করে আয় বৃদ্ধি হবে।
আগামী ৫ বছরের মধ্যে যদি ভালো মানের মিটারগেজ লোকোমটিভ আমদানি না করে তাহলে মিটারগেজ ট্রেনের আত্মার মাগফিরাত করতে হবে।