ফিরে এসো রবের দিকে-Come Back To The Allah

ফিরে এসো রবের দিকে-Come Back To The Allah পেজটিতে ইচ্ছে হলে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন ,ইনশাআল্লাহ্?

🫣
23/09/2024

🫣

23/09/2024

Dr Shafiqul Islam Masud | ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ | Jamat IslamiTafsir TV, TafsirTV, তাফসীর টিভি, তাফসির টিভি , #তাফসীর_টিভি, #তাফসির_টিভি ...

22/09/2024

পাহাড়ে থাকেন কয় বছর ধরে ভাইজান ? আমি বান্দরবানে থাকি আজ ১৬ বছর হলো ! আমার বাবা আছেন ৩৩ বছর (শিক্ষক)। আমার আত্মীয় কয়েক প্রজন্ম ধরে পাহাড়ে থাকে (খাগড়াছড়িতে, রাঙ্গামাটিতে)। আমার দাদা (ফরেস্ট অফিসার), বড় চাচার কাজ (গাছ ও বাঁশ ব্যবসা) পাহাড়েই ছিল সবসময়ই।

বাংলাদেশ আর্মি সশস্ত্র পাহাড়িদের সাথে না পারার (বরং বলা উচিত, এখনো নির্মূল করতে না পারার) মূল কারণ পাহাড়িদের ফিজিক্যাল এবিলিটি, ট্রেইনিং স্কিল বা অন্যকিছু না। কারণ হলো অভিযান শুরু হলে দেশীয় সুশীলরা ওদের হয়ে কান্না শুরু করে দেয়, অভিযান বন্ধ করতে দেশের ওপর বৈশ্বিক চাপ আনার ব্যবস্থা করে–যাতে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান চাপে পড়ে অভিযান উইথড্র করে, আর সবচেয়ে বড় কারণ–তারা সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে নির্দ্বিধায়, সেজন্য ! এই কথাটা আমাকে খোদ পার্বত্য অঞ্চলে কর্মরত ছিলেন এমন আর্মির অফিসার বলেছেন।

আর আর্মি সদস্যের পেটে চর্বি জমার কথা যারা বলছেন কমেন্টে, পাহাড়ে আর্মি ট্রেইনিং কতটা কঠিন হয় তা হয়ত আপনি কখনো দেখেননি ! ভূড়ি সামান্য বেড়ে গেলে তা কমানো পর্যন্ত তাদের অভিযানে নেওয়া হয় না। সশস্ত্র পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় এডভান্টেজ হলো ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র নয় তাই ভারত তাদের সবধরণের সশস্ত্র কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ মদদ দেয় ; এছাড়া বাকি সব এডভান্টেজের আলাপ ফালতু। আমি উভয়কে সরাসরি দেখেছি, মুখোমুখি হয়েছি তাই জানি।

- Dilshad Mahmud Mahdi

স্বাধীন বাংলায় দালালের স্থান নাই।
21/09/2024

স্বাধীন বাংলায় দালালের স্থান নাই।

লোভ দেখিয়ে মুসলিম থেকে খৃষ্টান বানানোর চেষ্টা | News24 up-to-date with the latest news and current events with NEWS24. As o...

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল বিষয়ের উত্তর দিয়েছেন জামায়াতে আমীর।
20/09/2024

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল বিষয়ের উত্তর দিয়েছেন জামায়াতে আমীর।

আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসন হটিয়ে দিয়ে তার সব প্রতিপক্ষ সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, নির্.....

17/09/2024

সব মনে রাখা হবে।

শুনতে উইয়ার্ড লাগলেও বাস্তবতা এটাই যে, একটি মেয়ের ভার্জিনিটি সেই মেয়ের স্বামীর হক্ব। খোলাসা করে বলি, স্ত্রীর সতীত্ব স্বা...
17/09/2024

শুনতে উইয়ার্ড লাগলেও বাস্তবতা এটাই যে, একটি মেয়ের ভার্জিনিটি সেই মেয়ের স্বামীর হক্ব।
খোলাসা করে বলি, স্ত্রীর সতীত্ব স্বামীর হক্ব। একটি মেয়ে যদি বিয়ের আগে তার সতিত্ব কোথায় বিলিয়ে দেয় তাহলে বিয়ের পর তার স্বামীর হক্ব'ই শুধু নষ্ট করলো না বরং প্রতারণাও করলো।
এ কথা সত্য যে, হাজার বার যিনা ব্যাভিচার করলেও আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হয়তো মাফ করে দিবেন এবং বিয়ের আগে অনেকেই সত্যিকার অর্থে হাত মোজা, পা মোজা ও পরিপূর্ণ পর্দাসহ দ্বীনে ফিরেন।
কিন্তু এটা মনে রাখা চাই, পাপকর্ম মাফ হলেও সতিত্ব কখনোই ফিরে আসবে না। এই জিনিস একবার হারালে আর কখনো ফিরে আসেনা। তাই যে সমস্ত মেয়ে দ্বীনে ফেরার আগে এই সমস্ত কুকর্মে লিপ্ত হয়ে নিজের সতিত্ব নষ্ট করেছে, তাদের উচিৎ তার মতোই একজন ছেলেকে বিয়ে করা। যে ছেলেও দ্বীনে ফেরার আগে তার টাইপ ছিলো৷ অন্তত বিয়ের সময় নিজের অতীত না লুকানো।
অন্যথায় যে ছেলেটা নিজের যৌবন হেফাজত করেছে তার সাথে এমন একজন মেয়ের বিয়ে এটা কখনোই নায্য নয়। এটা প্রতারণা এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। ছেলেদের জন্যও তাই।
- সুমন আহমাদ
HC - Halal Canvas

17/09/2024

আমরা এমন দল চাই। যে দলে ইসলাম আছে,ভালো মানের আলেম আছে,নিয়ম তান্ত্রিক সংঘঠন আছে,বুদ্ধিজিবী আছে, উচ্চ শিক্ষা আছে,সেমিনার সিম্পোজিয়াম আছে,পত্রিকা আছে আন্তর্জাতিক, মাসিক,সাপ্তাহিক, দৈনিক।
ব্যারিষ্টার,উকিল,আইনজিবি আছে,ভালো মানের হাসপাতাল আছে,আন্তর্জাতিক কুটনিতি এবং বিভিন্ন দেশের সাপোর্ট আছে,
পরিশেষে মানবতা আছে।
আমরা তাদেরকে এই দেশে ক্ষমতায় দেখতে চাই।
ইনশা আল্লাহ্ এই সব কিছু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে দেখতে পাই।

ঈদে মিলাদুন্নবি : একটি যৌক্তিক বিশ্লেষণহাসানুল কাদির | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমআপডেট: ১৬:২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১২ঈদে...
17/09/2024

ঈদে মিলাদুন্নবি : একটি যৌক্তিক বিশ্লেষণ
হাসানুল কাদির | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১২

ঈদে মিলাদুন্নবি : একটি যৌক্তিক বিশ্লেষণ
কয়েক বছর পূর্বে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার এক মসজিদে উপস্থিত হলাম প্রতিদিনের মত এশার নামাজ আদায় করতে। দেখলাম আজ মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ।

অন্য দিনের চেয়ে কম হলেও মুসল্লিদের সংখ্যা দশগুণ বেশি। সাধারণত এ দৃশ্য চোখে পড়ে রমজান ও শবেকদরে। মনে করলাম হয়তো আজ কারো বিবাহ অনুষ্ঠান কিংবা জানাযা। এত লোক সমাগমের কারণ জিজ্ঞেস করলাম ইমাম সাহেবকে। তিনি বললেন, আজ ১২ রবিউল আউয়ালের রাত। মিলাদুন্নবির উৎসবের রাত।

সম্মানিত পাঠক! এ রাত ও পরবর্তী দিন ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে এক সময় পালিত হত বৃহত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও সিলেটের কিছু অঞ্চলে। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও পালিত হত তবে তুলনামুলক কম গুরুত্বে । এ রাতে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ-উৎসবেমুখর হয়ে উঠে অনেক পাড়া-মহল্লা। যারা এটা পালন করে তাদের উৎসবমুখরতা দেখলে মনে হবে নিশ্চয়ই এটা হবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। আর এটা তাদের অনেকে বিশ্বাসও করে। তাই শ্লোগান দেয়, দেয়ালে লিখে, ‘সকল ঈদের সেরা ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবির ঈদ। ’

কিন্তু বাস্তবে কি তাই? ইসলাম ধর্মে ঈদে মিলাদ বলতে কি কিছু আছে? ইসলামে ঈদ কয়টি? নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম দিবস কি ১২ রবিউল আউয়াল? নিশ্চিত ও সর্ব সম্মতভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত বা মৃত্যু দিবস কি ১২ রবিউল আউয়াল নয়? যে দিনে রাসুলে করিম (সা) ইন্তেকাল করলেন সে দিনে আনন্দ উৎসব করা কি নবিপ্রেমিক কোন মুসলমানের কাজ হতে পারে? শরিয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদ পালন করা কি জায়েজ? এটা কি বিধর্মীদের অনুকরণ নয়?
এ সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যেয়ে এ সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা।

রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্ম দিবস কবে?
কোন তারিখে রাসুলে আকরাম (সা) জন্ম গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে। অনেকের মতে তাঁর জন্ম দিন হল ১২ রবিউল আউয়াল। আবার অনেকের মতে ৯ রবিউল আউয়াল। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে গবেষণা করে প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্মদিন আসলে ছিল ৯ রবিউল আউয়াল সোমবার। বর্তমান বিশ্বে সকলের নিকট সমাদৃত, সহিহ হাদিস নির্ভর শুদ্ধতম সিরাতগ্রন্থ হল ‘আর-রাহীক আল-মাখতুম’। নবি করিম (সা) এর জন্ম দিবস সম্পর্কে এ গ্রন্থে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) ৫৭১ খৃস্টাব্দে ২০ এপ্রিল মোতাবেক ৯ রবিউল আউয়াল সোমবার প্রত্যুষে জন্ম গ্রহণ করেন। এটা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যুগের প্রখ্যাত আলেম মুহাম্মাদ সুলাইমান আল-মানসূর ও মিশরের প্রখ্যাত জোতির্বিজ্ঞানী মাহমুদ পাশা।

আল্লামা শিবলী নোমানী ও সাইয়েদ সুলাইমান নদভী (রহ) প্রণীত সাড়া-জাগানো সিরাত-গ্রন্থ হল ‘সিরাতুন্নবি’। এ গ্রন্থে বলা হয়েছে, নবি করিম (সা) এর জন্ম দিবস সম্পর্কে মিশরের প্রখ্যাত জোতির্বিজ্ঞানী মাহমূদ পাশা এক পুস্তিকা রচনা করেছেন। এতে তিনি প্রমাণ করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর পবিত্র জন্ম ৯ রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার, মোতাবেক ২০ এপ্রিল ৫৭১ খৃস্টাব্দ। মাহমুদ পাশা যে প্রমাণ-পত্র দিয়েছেন তা কয়েক পৃষ্ঠাব্যাপী বিস্তৃত। ”

তাদের গবেষণা বিষয়ের একটি দিক হল যে আল্লাহর রাসুল (সা) সহিহ হাদিসে নিজেই বলেছেন তার জন্ম সোমবার দিন হয়েছে। মাহমুদ পাশা গবেষণা ও হিসাব করে দেখিয়েছেন, সে বছর ১২ রবিউল আউয়াল তারিখের দিনটা সোমবার ছিল না ছিল বৃহস্পতিবার। সোমবার ছিল ৯ রবিউল আউয়াল।

তাই বলা যায়, জন্ম তারিখ নিয়ে অতীতে যে অস্পষ্টতা ছিল বর্তমানে তা নেই। মাহমুদ পাশার গবেষণার এ ফল প্রকাশিত হওয়ার পর সকল জ্ঞানী ব্যক্তিই তা গ্রহণ করেছেন এবং কেউ তার প্রমাণ খণ্ডন করতে পারেননি। অতএব নবি করিম (সা) এর জন্ম দিবস হল ৯ রবিউল আউয়াল; ১২ রবিউল আউয়াল নয়। তবে সর্বসম্মতভাবে তাঁর ইন্তেকাল দিবস হল ১২ রবিউল আউয়াল। যে দিনটিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মোৎসব পালন করা হয় সে দিনটি মূলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইটি ওয়াসাল্লামের জন্ম দিবস নয়, বরং তা ছিল তাঁর মৃত্যু দিবস। তাই দিনটি ঈদ হিসেবে পালন করার আদৌ কোন যৌক্তিকতা নেই।

রাসুলে করিম (সা) এর জন্মদিন পালন সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
কোন ব্যক্তির জন্মদিবস পালন করা ইসলামসম্মত নয়। এটা হল খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ অমুসলিমদের রীতি। ইসলাম কারো জন্মদিবস পালন অনুমোদন করে না।
এর প্রমাণসমূহ নিচে তুলে ধরা হল।

এক. ইসলাম আজ পর্যন্ত অবিকৃত আছে এবং ইনশাআল্লাহ থাকবে। ইসলামে সকল হুকুম আহকাম, আচার-অনুষ্ঠান সুনির্ধারিত ও কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু নবি করিম (সা) এর জন্ম দিবস বা মিলাদ পালনের কথা কোথাও নেই। এমনকি নবিপ্রেমের নজিরবিহীর দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সাহাবায়ে কেরাম রাজিয়াল্লাহু আনহুমদের কেউ এ ধরনের কাজ করেছেন বলে কোন প্রমাণ নেই। তাই ঈদে-মিলাদ পালন করা নিশ্চয়ই একটি বেদআতি কর্ম। বেদআত জঘন্য গুনাহের কাজ।
দুই. ইসলামে কম হলেও একলাখ চব্বিশ হাজার নবি, তারপরে খুলাফায়ে রাশেদিন ও অসংখ্য সাহাবা, মনীষী, আওলিয়ায়ে কেরাম জন্ম গ্রহণ করেছেন ও ইন্তেকাল করেছেন। যদি তাদের জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালন ইসলাম-সমর্থিত হত বা সওয়াবের কাজ হত তাহলে বছরব্যাপী জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনের ঘূর্ণাবর্তে আবদ্ধ হয়ে যেতে হত আমাদের সকল মুলমানদের।

তিন. নবি করিম (সা) এর জন্মদিন পালনের প্রস্তাব সাহাবায়ে কেরাম রাজিয়াল্লাহু আনহুম কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যেমন হিজরি ক্যালেন্ডার প্রবর্তিত হওয়ার সময় হযরত উমর রাজিয়াল্লাহু আনহু সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন। কোন এক স্মরণীয় ঘটনার দিন থেকে একটি নতুন বর্ষগণনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেউ কেউ প্রস্তাব করলেন রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্ম তারিখ থেকে সন গণনা শুরু করা যেতে পারে। উমর (রা) এ প্রস্তাব বাতিল করে দিয়ে বললেন, এ পদ্ধতি খৃস্টানদের। উমর (রা) এর এ সিদ্ধান্তের সাথে সকল সাহাবায়ে কেরাম একমত পোষণ করলেন। এবং রাসুলে করিম (সা) এর হিজরত থেকে ইসলামি সন গণনা আরম্ভ করলেন।

চার. রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহাবাগণ ছিলেন সত্যিকারার্থে নবিপ্রেমিক ও সর্বোত্তম অনুসারী। নবিপ্রেমের বেনজির দৃষ্টান্ত তারাই স্থাপন করেছেন। তারা কখনো নবি করিম (সা) এর জন্মদিনে ঈদ বা অনুষ্ঠান পালন করেননি। যদি এটা করা ভাল হত ও মহব্বতের পরিচায়ক হত তবে তারা তা অবশ্যই করতেন। জন্মোৎসব পালন করার কালচার সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ছিল না তা বলা যায় না। কেননা তাদের সামনেই তো খৃস্টানরা ঈসা আলাইহিস সালাম-এর জন্মদিন ( বড়দিন) উদযাপন করত।

পাঁচ. জন্ম দিবস কেন্দ্রিক উৎসব-অনুষ্ঠান খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য অমুসলিমদের ধর্মীয় রীতি। যেমন বড় দিন, জন্মাষ্ঠমী, বৌদ্ধ পূর্ণিমা ইত্যাদি। তাই এটা মুসলিমদের জন্য পরিত্যাজ্য। বিধর্মীদের ধর্মীয় রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান যতই ভাল দেখা যাক না কখনো তা মুসলিমদের জন্য গ্রহণ করা জায়েজ নয়। এ কথার সমর্থনে কয়েকটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলাম।

(ক) রাসুলে করিম (সা) বলেছেন –‘যে ব্যক্তি কোন জাতির সাদৃশ্যতা গ্রহণ করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। ’

(খ) আজানের প্রচলনের সময় কেউ কেউ রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে প্রস্তাব করলেন, সালাতের সময় হলে আগুন জ্বালানো যেতে পারে। কেউ প্রস্তাব করলেন ঘণ্টাধ্বনি করা যেতে পারে। কেউ বললেন বাঁশী বাজানো যেতে পারে। কিন্তু রাসুলে করিম (সা) সকল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। বললেন আগুন জ্বালানো হল অগ্নিপুজারী পারসিকদের রীতি। ঘণ্টা বাজানো খৃস্টানদের ও বাঁশী বাজানো ইহুদীদের রীতি।

(গ) মদিনার ইহুদীরা আশুরার দিনে একটি রোযা পালন করত। রাসুলে করিম (সা) দুটি রোযা রাখতে নির্দেশ দিলেন, যাতে তাদের সাথে সাদৃশ্যতা না হয়।

(ঘ) হিজরি সনের প্রবর্তনের সময় অনেকে রাসুলে করিম (সা) এর জন্মদিন থেকে সন গণনার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যাত হয়, খৃস্টানদের অনুকরণ হওয়ার কারণে।

ইসলামে ঈদ দুটি, ঈদুল ফিতর ও আজহা
সাহাবি আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলে কারিম (সা) যখন মদিনায় আসলেন তখন দেখলেন বছরের দুটি দিনে মদিনাবাসী আনন্দ-ফুর্তি করছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এ দিন দুটো কি? উত্তরে তারা বলল, আমরা ইসলামপূর্ব মূর্খতার যুগে এ দুদিন আনন্দ-ফুর্তি করতাম। রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন- আল্লাহ তায়ালা এ দুদিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটো দিন তোমাদের দিয়েছেন। তা হল ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (আবু দাউদ) ইসলামে ঈদ শুধু দুটি। এ বিষয়টি শুধু সহিহ হাদিস দ্বারাই প্রমাণিত নয়, তা রবং ইজমায়ে উম্মত দ্বারাও প্রতিষ্ঠিত। যদি কেউ ইসলামে তৃতীয় আরেকটি ঈদের প্রচলন করে তবে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং তা দীনের মধ্যে একটা বেদআত ও বিকৃতি বলেই গণ্য হবে। যখন কেউ বলে সকল ঈদের সেরা ঈদ- ঈদে মিলাদ’ তখন স্বাভাবিক ভাবেই এর অর্থ হয় ইসলামে যতগুলো ঈদ আছে তার মধ্যে ঈদে মিলাদ হল শ্রেষ্ঠ ঈদ। কিভাবে এটা সম্ভব? যে ঈদকে আল্লাহ ও তার রাসুল স্বীকৃতি দেননি। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন ও ইমামগণ যে ঈদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা ইসলামে শ্রেষ্ঠ ঈদ বলে বিবেচিত হতে পারে কিভাবে? কোনভাবেই নয়। যে ঈদ আল্লাহর রাসুল (সা) প্রচলন করে গেলেন তা শ্রেষ্ঠ হবে না। এটা কিভাবে মেনে নেয়া যায়? কোনভাবেই নয়।
তা সত্ত্বেও যদি ঈদ পালন করতেই হয় তবে তা ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে না করে ৯ রবিউল আউয়ালে করা যেতে পারে। তাহলে অন্তত সাইয়েদুল মুরসালিন (সা) এর ইন্তেকাল দিবসে ঈদ পালন করার মত ধৃষ্ঠতা ও বেয়াদবির পরিচয় দেয়া হবে না। অবশ্য এটাও কিন্তু বেদআত বলে গণ্য হবে।

সারকথা, ১২ রবিউল আউয়ালে ঈদে মিলাদ উদযাপন করা শরিয়তবিরোধী কাজ। এ ধরনের কাজ হতে যেমন নিজেদের বাঁচাতে হবে তেমনি অন্যকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

যে কারণে ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা যাবে না
প্রথমত ইসলাম পরিপূর্ণ ধর্ম। কোরআন ও হাদিসের কোথাও ঈদে মিলাদ পালন করতে বলা হয়নি। রাসূলে কারিম (সা) এর সাহাবায়ে কেরাম বা তাবেয়িনগণ কখনো এটা পালন করেননি। তাই এটা বেদআত ও গোমরাহি।

রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, “আমাদের এ ধর্মে যে নতুন কোন বিষয় প্রচলন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হবে। ” (বুখারি ও মুসলিম) তিনি আরো ইরশাদ করেন, “সাবধান ! ধর্মে প্রবর্র্র্তির্ত নতুন বিষয় থেকে সর্বদা দূরে থাকবে। কেননা নব-প্রবর্তির্ত প্রতিটি বিষয় হল বেদআত ও প্রতিটি বেদআত হল পথভ্রষ্ঠতা। ” (আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনে মাজা, মুসনাদে আহমাদ) দ্বিতীয়ত ঈদে মিলাদুন্নবি হল খৃস্টানদের বড় দিন, হিন্দুদের জন্মাষ্ঠমী ও বৌদ্ধদের বৌদ্ধ-পূর্ণিমার অনুকরণ। ধর্মীয় বিষয়ে তাদের আচার-অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করা ঈমানের দাবি। অথচ ঈদে মিলাদ পালনের মাধ্যমে তাদের বিরোধিতা না করে অনুসরণ করা হয়।

তৃতীয়ত সর্বসম্মতভাবে ১২ রবিউল আউয়াল নবি আকরাম (সা) এর ইন্তেকাল দিবস। এতে কারো দ্বিমত নেই ও কোন সন্দেহ নেই। এ দিনে মুসলিম উম্মাহ ও সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর রাসুল (সা) এর ইন্তেকালের শোকে পাথর হয়ে হয়ে গিয়েছিলেন। এসব জেনে-শুনে ঠিক এ দিনটিতে ঈদ তথা আনন্দ-উৎসব পালন করা চরম বেঈমানি ও নবির শানে বেয়াদবি ভিন্ন অন্য কিছু হতে পারে না।

চতুর্থত মিলাদুন্নবি পালন করে অনেকে মনে করে নবি কারিম (সা) এর প্রতি তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য আদায় হয়ে গেছে। তাই তারা রাসুলে কারিম (সা) এর সিরাত ও আদর্শের প্রতি কোন খেয়াল রাখেন না। বরং তারা সিরাতুন্নবি নামের শব্দটাও বরদাশত করতে রাজি নয়।

পঞ্চমত আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) কর্তৃক নির্ধারিত ইসলামের দু’ ঈদের সাথে তৃতীয় আরেকটি ঈদ সংযোজন করা ইসলাম-ধর্ম বিকৃত করার একটা অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।

বাংলাদেশ সময় ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১২

বিদ'আত থেকে সাবধান 🚫⚠️রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক খুতবায় বলেছেন, ❝নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব এ...
17/09/2024

বিদ'আত থেকে সাবধান 🚫⚠️
রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক খুতবায় বলেছেন, ❝নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।❞
— (সহীহ্ বুখারী : ৭২৭৭; সহীহ্ মুসলিম : ১৫৩৫ ; সুনান আন-নাসায়ী : ১৫৬০; হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে)
#সীরাহ

15/09/2024

আমরা মুসলিমরাই হচ্ছি সংখ্যালঘু।
আমাদের মুসলিমরাই ছিলো আয়না ঘরে,
আমাদের মুসলিমরাই ছিলো জেলখানায়,
আমাদের মুসলিমরাই টুপি পরতে পারতো না,
আমাদের মুসলিমরাই দাঁড়ি রাখতে পারতো না,
আমাদের মুসলিমরাই ইচ্ছে মতো নামাজ পড়তে পারতো না,
আমাদের মুসলিমরাই ইফতার পোগ্রাম করতে পারতো না,
আমাদের মুসলিমরাই ইসলামি সম্মেলন করতে পারতো না,
আমাদের মুসলিমরাই ঘর ছাড়া হয়েছে,
আমাদের মুসলিমরাই বাবা হারা হয়েছে,
আমাদের মুসলিমরাই সন্তান হারা হয়েছে,
আমাদের মুসলিমরাই স্বামী হারা হয়েছে,
আমাদের মুসলিম নারীদের সম্মান হানি করা হয়েছে,
আমাদের মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে,
আমাদের মুসলিম নারী পুরুষকে বে-হিসাব গুম খুন করা হয়েছে,
আরো কতো শত যে অত্যাচার আমাদের মুসলিমদের উপর করা হয়েছে,তা বলতে বলতে আমরা হাঁপিয়ে যাবো তবুও শেষ নেই এই ১৭ বছরের হাসিনার আমলে।

অথচো মুসলিম বাদে অন্যদের তার উল্টোটা করা হয়েছে,
অন্য ধর্মাবলম্বীদের লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে,
তাদের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ে সরকারি চাকরি দিয়েছে,

অর্থাৎ এই বাংলাদেশে মুসলিমরাই হলো সংখ্যালঘু জাতি।

Address

Mymensing

Telephone

+8801951574496

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ফিরে এসো রবের দিকে-Come Back To The Allah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ফিরে এসো রবের দিকে-Come Back To The Allah:

Share

Category