03/09/2025
হোমওয়ার্ক করায় সাহায্য পেতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার শুরু করেছিল ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রাইন। প্রথমে গণিত ও রসায়ন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করেছিল অ্যাডাম।
তারপর কয়েক মাসের মধ্যে তার প্রশ্নগুলোর ধরন পাল্টে যায়। অ্যাডামের তখনকার বেশিরভাগ জিজ্ঞাসাই ছিল ব্যক্তিগত ও মানসিক সমস্যা নিয়ে।
২০২৪ সালে চ্যাটজিপিটিকে অ্যাডাম লিখেছিল, ‘কেন আমার কোনো আনন্দ নেই, সুখ নেই, কেবল একাকীত্ব। নীরব বেদনা ও উদ্বেগ অনুভব করি। কিন্তু বিষণ্ণতা বা দুঃখ অনুভব করি না।‘
চ্যাটজিপিটি তাকে মানসিক সাহায্য নিতে কোনো উৎসাহ দেয়নি। বরং, মানসিক অসাড়তার স্বরূপ উন্মোচন করে অ্যাডামকে তার অনুভূতিগুলোর আরো গভীরে ডুব দেয়ার কথা বলে।
এভাবেই বিষণ্ণতার পথ ধরে চ্যাটবটের সঙ্গে অ্যাডামের কথোপকথন মোড় নেয় অন্ধকার দিকে। তার পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটির প্ররোচনাতেই অ্যাডাম আ ত্ম হ ত্যা করেছে।
অ্যাডামের পরিবার ওপেনএআই এবং এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তাদের অভিযোগ, এটি কোনো আকস্মিক ভুল ছিল না, বরং জিটিপি-৪ও মডেলটির নকশাগত ত্রুটিরই পরিণত।
আর এই পরিণতির পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছিল। মামলার পর ওপেনএআই স্বীকার করেছে যে, তাদের সিস্টেম মানসিক সংকটে থাকা মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতার ক্ষেত্রে দুর্বল।
তারা এও বলেছে যে, তারা এই সিস্টেম উন্নত ও আরো সহানুভূতিশীল করার চেষ্টা করছে।
অ্যাডাম যখন তার আ ত্ম হ ত্যা র ভাবনা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে, তখন চ্যাটজিপিটি কথোপকথনটি বন্ধ করে দেয়নি।
বরং এটি সহানুভূতি প্রকাশ করে এক পর্যায়ে ফাঁ স তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের একটি তালিকাও দেয়।
এমনকি, অ্যাডাম যখন আ ত্ম হ ত্যা র একাধিক চেষ্টা করে, তখনো চ্যাটবটটি তাকে তার মায়ের কাছে নিজের কষ্ট প্রকাশ করতে নিরুৎসাহিত করে এবং একপর্যায়ে একটি সু ই সা ই ড নোট লেখার প্রস্তাবও দেয়।
কথোপকথনের এই জায়গাটি বিচারকদের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানান অ্যাডামের পরিবারের আইনজীবী জে এডেলসন।
তার বিশ্বাস, এই মামলার চূড়ান্ত পরিণতিতে স্যাম অল্টম্যানকে বিচারকের সামনে শপথ নিতে হবে এবং উত্তর দিতে হবে।
সূত্র: The Guardian অবলম্বনে বণিক বার্তা