Rajib's Vlogs

Rajib's Vlogs You dream it, I catch it.

পরপর দ্বিতীয় বার সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন।
31/10/2024

পরপর দ্বিতীয় বার সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন।

25/08/2024
বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, ...
27/05/2024

বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো, এই ৪০ কোটি শুক্রাণু মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু। আর বাকিরা? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে, তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি অথবা আমরা সবাই।

কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন ছিলোনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলোনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।

#এরপর

❒ বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু আপনি মারা যাননি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন।

❒ বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন।

❒ বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায় কিন্তু আপনি এখনো বেঁচে আছেন।

❒ অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায় কিন্তু আপনার কিছুই হয়নি।

❒ বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু আপনি এখনো আছেন।

-

আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।

তাহলে হতাশা কেনো?
নিজেকে প্রকাশ করুন, উম্মুক্ত আকাশে নিজেকে মেলে ধরুন। বলুন কি করার বাকী আছে আপনার জীবনে?

(সংগৃহীত পোষ্ট)

কফিহাউজ গানের জন্মকাহিনীকফিহাউজ গানটি নিয়ে মান্না দে সবসময় নিজের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব দেন গীতিকার সুরকারকে। তিনি শুধু গানট...
15/05/2024

কফিহাউজ গানের জন্মকাহিনী
কফিহাউজ গানটি নিয়ে মান্না দে সবসময় নিজের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব দেন গীতিকার সুরকারকে। তিনি শুধু গানটা গেয়েছিলেন মাত্র।
তার মতে, হেমন্ত গাইলে গানটা সুপারহিট হতো আর শ্যামল মিত্র গাইলে তো হিট। তবে মান্নার কণ্ঠে যে গানটি চিরকালীন পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন গানটির সুরকার সুপর্ণকান্তি।
তবে মান্না দে এ গানটির দ্বিতীয় অংশ হিসেবে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ শীর্ষক একটি গান প্রথম গানটির ঠিক কুড়ি বছর বাদে গেয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যময় কারণে সেটি শোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বাঙালি।
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা গানটির গীতকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের কথায় সুর দিয়েছিলেন নচিকেতার পুত্র সুপর্ণকান্তি ঘোষ। মান্না দের মতে, গৌরীবাবু লিখেছিলেন দুর্দান্ত।
সুরকার সুপর্ণকান্তি অসাধারণ কাজ করেছিলেন। এই গানটির জন্ম কাহিনীটি বেশ গল্পের মতো।
সময়টা ১৯৮৩ সাল। গীতিকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদার তখন আশা ভোঁসলেকে নিয়ে প্রচুর হিট প্রেমের গান লিখে চলেছেন। কিন্তু পূজার গান মান্না দের জন্য তিনি লিখতে পারছেন না। সবই লিখছেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল গৌরী প্রসন্নের মনে। এ সময় একদিন নচিকেতা ঘোষের নিউ আলিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন গৌরী প্রসন্ন। উদ্দেশ্য ছিল শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে একটি গান তোলা।
সেই সময় সেরা জুটি ছিলেন নচিকেতা ও গৌরী প্রসন্ন। সেই সূত্রে নচিকেতার ছেলে সুপর্ণকান্তির সঙ্গেও বেশ ভাল সম্পর্ক। তবে বাড়িতে আসার অনেকক্ষণ পরে সুপর্ণকান্তিকে দেখতে পেয়ে গৌরী প্রসন্ন মজা করেই বলেন, `কী বাইরে আড্ডা মেরে সময় কাটাচ্ছ? এর উত্তরে সুপর্ণকান্তি তার গৌরী কাকাকে বলেন, `কী সব গদগদে প্রেমের গান লিখছো। একটা অন্যরকম গান লিখে দেখাও না। এই আড্ডা নিয়েও তো গান লিখতে পারো। `
এবার গৌরী প্রসন্ন বলেন, তুমি তো অক্সফোর্ডের এমএ হয়ে গিয়েছো। আড্ডা নিয়ে বাংলা গান গাইবে? সুপর্ণ এবার বলে, কেন নয়। কফি হাউসের আড্ডা নিয়েও তো একটা গান লিখতে পারো। গৌরী প্রসন্ন এবার বলেন, তোমার বাবা (নচিকেতা ঘোষ) কি আর সে গান গাইবেন? তর্ক চলছে বটে কিন্তু গৌরী প্রসন্ন এরই মধ্যে মনে মনে তৈরি করে ফেলেন দুটি লাইন।
এরপরেই সুপর্ণকান্তিকে বললেন, লিখে নাও- ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই/ কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই। ’ সুপর্ণও সঙ্গে সঙ্গে দুটো লাইনেই সুর দিয়ে শুনিয়ে দেন। উপস্থিত শক্তি ঠাকুর সেবার পূজায় গানটা গাওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও সুপর্ণ রাজি হননি। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে নিয়েছিলেন মান্না দের কথা।
কিন্তু গানের বাকি লাইনগুলো? পরের দিন সকালেই গৌরী প্রসন্নের স্ত্রী সুপর্ণকান্তিকে ফোন দিলেন । সারা রাত জেগে বহুদিন পরে গান লিখেছেন অসুস্থ গৌরী প্রসন্ন। তখনই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। দু’দিন পরে গানটা নিয়ে হাজির। কিন্তু শেষ স্তবক যোগ করার পক্ষপাতী ছিলেন না গৌরী প্রসন্ন। সুপর্ণকান্তি চান যোগ করুন একটি স্তবক।
শেষ পর্যন্ত রাজি হন। লেখেন দুর্দান্ত সেই লাইন- ‘সেই সাতজন নেই, তবুও টেবিলটা আজও আছে। ’ কিন্তু শেষ তিনটি লাইন তিনি লিখেছিলেন চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে বসে একটি সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো পিঠে। এক চেনা লোকের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেন সুপর্ণকান্তির কাছে।
তারপর সুপর্ণকান্তির সুরে মুম্বইয়ে গানটি রেকর্ড করেন মান্না দে। তৈরি হয়ে যায় একটা ইতিহাস। তবে কফি হাউসের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে পরবর্তী সময়ে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ নামে একটি গান রেকর্ড করেছিলেন মান্না দে। একটি নতুন রেকর্ড কোম্পানিই রেকর্ড করিয়েছিল গানটি। কিন্তু সুপর্ণকান্তি জানিয়েছেন, সেই গানের অরিজিনাল স্পুলটি পাওয়া যায়নি। ফলে অন্য স্পুল দিয়ে কাজ করতে হয়েছিল। নিখিলেশ, মইদুলদের নিয়ে দ্বিতীয় গানটি লিখেছিলেন শমীন্দ্র রায় চৌধুরী। প্রথম গানের স্কেলেই গানটা করেছিলেন মান্না দে। দ্বিতীয় গানটি প্রথমটির থেকেও সুরের বৈচিত্রের বিচারে অনেক ভাল হয়েছিল। কিন্তু কোথায় গেল সেই স্বপ্নের কফি হাউস কেউ জানে না। মান্না দেও হতাশ। তিনি শুধু বলেছেন, বাঙালি তো জানতেই পারল না সেই গানের কথা।
কফি হাউজ নিয়ে মান্না দের দুটি গান আছে। দুটি গান এখানে তুলে ধরা হল বাংলানিউজ পাঠকদের জন্য...
শিল্পী- মান্না দে
কথা- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
সুর- সুপর্ণ কান্তি ঘোষ
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই
আজ আর নেই...........................। ।
নিখিলেশ প্যারিসে মইদুল ঢাকাতে নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যান্ড এর গীটারিষ্ট গোয়ানিস ডি সুজা ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে রমা রায়
অমলটা ধুক্ছে দুরন্ত ক্যান্সারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়। ।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে শুনেছি তো লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে গাড়ী বাড়ি সব কিছু দামি তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে ডি সুজাটা বসে শুধু থাকতো। ।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘণ্টা চারমিনার ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণুদে কখনো যামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুট্তাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম। ।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার কোথাও হলোনা ছাপা পেলো না সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোসালে এমেচার নাটকে রমা রায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মইদুল এসে রোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো। ।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি শুধু সেই সেদিনের মালী নেই
কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেলো কতজনই আসবে, কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়। ।
কফি হাউজ-২
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে
কী এক জরুরি কাজে ঢাকার অফিস থেকে
মইদুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতা
আসবেনা অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে
ওদের কখনো কি ভোলা যায়?
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা
শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে তবু
কিসের অভাব যেন সুজাতার
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা
অভিমান ছিল খুব অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেই সব কবিতাই
মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরস্কার
নিখিলেশ হ্যাপি থেকে গিয়েছে
একটা মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার
দুহাত উজার করে দিয়েছে
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতে
নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্ক স্ট্রীটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়
ইচ্ছে বা তার কোন শখে নয়
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
কার দোষে ভাঙলো যে মইদুল বলেনি
জানি ওরা একসাথে থাকেনা
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে
কেউ আর কারো খোঁজ রাখেনা
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়
রমা রয় পারেনি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন
হারালো সে চেনা মুখ খুঁজতে
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা পোস্টার
বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই,
যে আসে বন্ধু সেই
আড্ডা তর্ক চলে সমানে
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো
হয়ত আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে
ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গীটার
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই।।
(তথ্যসূত্রঃ গুগল, ছবিঃ গুগল)

26/12/2023

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন-এর মধ্যকার সমস্যাটার শুরু কবে থেকে, কিভাবে ও কেন- আমি ঘেঁটে ঘেঁটে যা জানলাম, জানাচ্ছি। বিশাল ইতিহাস। এমন একশো একটা দিক থেকে একশো একটা চোখ দিয়ে একই ঘটনা দেখা, দেখে নিরপেক্ষ জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প বলা প্রায় অসম্ভব। ভুলচুক হতে পারে। শুরুটা করছি যিশু দিয়ে।
ইসলাম ধর্মে যিশুকে ডাকা হয় ঈসা নামে। মুসলিম বিশ্বাস করে, ঈসা আল্লাহর প্রেরিত একজন নবী ও রাসুল, যার উপর আসমানি কিতাব নাযিল হয়েছে, ওই কিতাবের নাম ইনজিল। এবং তার এখনও মৃত্যু হয়নি, তাকে আল্লাহ চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। কেয়ামতের আগে তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন। আর খ্রিস্টান বিশ্বাস করে, যিশু হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র, তিনি মসীহ। তাদের ধর্মগ্রন্থের নাম বাইবেল। যেটা দুইভাগে বিভক্ত। একটা ওল্ড টেস্টামেন্ট আরেকটা নিউ টেস্টামেন্ট। অন্যদিকে ইহুদিরা বিশ্বাস করে, যিশু নয়, ঈশ্বরের সর্বশেষ বাণীবাহক হলেন মোযেশ। ইহুদি ও খ্রিস্টান দুই ধর্মের অনুসারীরাই ঈশ্বরকে ডাকে জেহোবা। ওদের ধর্মগ্রন্থ-এর নাম তোরাহ, যেটা খ্রিস্টানদের ওল্ড টেস্টামেন্টের অংশ। ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রথম পাঁচটা বইয়ের নাম যথাক্রমে- জেনেসিস, এক্সোডাস, লেভিটিকাস, নামারস এবং ডিউটেরোনোমি। এই পাঁচটি বইকে একসাথে ডাকা হয় তোরাহ।
ইসলাম, ক্রিশ্চান আর ইহুদি- তিন ধর্মই লতায় পাতায় একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তিনটাই একেশ্বরবাদী আব্রাহামিক ধর্ম। ইহুদিদের মোযেশই হলেন মুসা, যিনি ইসলাম ধর্মে আল্লাহর প্রেরিত চারজন নবী ও রাসুলের মধ্যে একজন।
ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম- তিন ধর্মেরই পবিত্র ও আবেগের জায়গা হলো জেরুজালেম। মুসলিমদের প্রথম কেবলা আল-আকসা, যেটা জেরুজালেম-এ অবস্থিত। ইহুদিদের পবিত্র ওয়েস্টার্ন ওয়াল, যেটাকে তারা পৃথিবীর ভিত্তিপ্রস্তর বলে- ওটাও জেরুজালেম। আর খ্রিস্টান বিশ্বাস করে, জেরুজালেমই ওই জায়গা, যেখানে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। একই জায়গায় তিন ধর্মের মানুষ মাথা ঠুকতে গেলে মাথা ঠোকাঠুকি হবে। ওটাই হলো। ইতিহাস অনুযায়ী ওই ঠোকাঠুকির নাম ক্রুসেড। শত শত বৎসর ধরে চলা ধর্মযুদ্ধ। প্রথম ক্রুসেডের ঘটনাটি বলি।
বাইবেল অনুযায়ী, ইহুদিদের রাজা ডেভিড যাকে মুসলিমরা চেনে দাউদ নামে, উনি জেরুজালেম দখল করেন, ওখানে গোড়াপত্তন করেন আর ইসরায়েল-এর রাজধানী স্থাপন করেন। তার পুত্র সলোমন যাকে মুসলিমরা চেনে সুলায়মান নামে, উনি ওখানে টেম্পল মাউন্টে ইহুদিদের প্রথম প্রার্থনালয় বানান। ওরা ওখানে বসবাস শুরু করে। পাঁচশ আশি খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। কেননা তারপর ব্যাবিলনীয়রা এসে জেরুজালেম দখল করে নেয়। ওরা ইহুদিদের প্রার্থনালয় গুড়িয়ে দেয়। ওদের নির্বাসনে পাঠায়। তার প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পর পারস্যের রাজা সাইরাস ইহুদিদের ওই প্রার্থনালয় পুনঃনির্মাণ করে দেন, ইহুদিদের বন্দীদশা থেকে ফেরত আসতে দেন নিজেদের জায়গায়। তিনশ বত্রিশ খিস্টাব্দে এসে জেরুজালেম দখল করে নেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। এবং পরবর্তী কয়েকশ বৎসর আরও কয়েকবার দখল-বেদখল হয় এই জায়গা। তখনও ক্রুসেড আরম্ভ হয়নি। এটি আরম্ভ হলো, যখন আরবরা দখল নিলো জেরুজালেম। সাল ছয়শ আটত্রিশ।
মুসলিম শাসন চলছিল যখন, তখনও খ্রিস্টানরা জেরুজালেম আসতে পারতো, তাদের প্রার্থনালয় দর্শন করতে পারত, কিন্তু এক হাজার সাতাত্তর সাল, যখন শাসন চলছিল সেলযুকদের, ওরা খ্রিস্টানদের জেরুজালেম আসার উপর কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করল। তখন পার্শ্ববর্তী কনস্টান্টিনোপোলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটা সাম্রাজ্য, যা রোমান দ্বারা পরিচালিত, সম্রাট কনস্ট্যান্টাইন এর মৃত্যুর পর দু্ই ভাগ হয়ে যাওয়া রোমান সাম্রাজ্যের এক ভাগ, নাম- বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য; এই সাম্রাজ্যের ওই সময়কালীন সম্রাট অ্যালেক্সিক কমনেনুস আশংকা করেন, সেলযুক সাম্রাজ্যের এই কড়াকড়ি তার সাম্রাজ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ। তিনি তখন পোপের সহায়তা চান। পোপ ঘোষণা দেন, খ্রিস্টান ধর্ম বিপদে রয়েছে, যিশুর সৈনিক হিসেবে ইউরোপকে জেগে উঠার এখনই সময়। এই আহ্বানে ইউরোপের সাধারণ মানুষও সাড়া দেন কেননা তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ওরা যদি জেরুজালেম উদ্ধার করতে পারে, তবে তাদের জীবনের সকল অপরাধ ক্ষমা পেয়ে যাবে।
এক হাজার ছিয়ানব্বই সালে ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি থেকে পবিত্র ভূমি উদ্ধারের জন্য প্রায় ষাট হাজার যোদ্ধা কনস্টান্টিনোপোলে উপস্থিত হয়। এদেরকে ডাকা হয় পিওপলস ক্রুসেড। ওরা ওদের যাত্রা আরম্ভ করে এবং সেলযুকদের হাতে পরাজিত হয়। তারপর প্রায় পঁচাত্তর হাজার যোদ্ধা নিয়ে দ্বিতীয় যাত্রা আরম্ভ হয় জেরুজালেম উদ্দেশ্যে তাদের। পিওপোলস ক্রুসেড ছিল সাধারণ মানুষদের নিয়ে গঠিত, অনভিজ্ঞ যোদ্ধা, কিন্তু এরা ছিল অভিজ্ঞ ও পারদর্শী। ফলাফল সেলযুকদের রাজধানী দখল করে নেয় এরা আর জেরুজালেম অবরোধ করে রাখে। দীর্ঘ অবরোধ শেষে জেরুজালেম দখলে আসে ক্রুসেডারদের। পরাজিত হয় সেলযুক। জেরুজালেমে প্রবেশ করে ক্রুসেডাররা বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায়। খোদ খ্রিস্টান থেকে ইহুদি ধর্মাবলম্বী, কেউ বাদ পড়েনি এই হত্যাযজ্ঞ থেকে। ধারণা করা হয়, প্রায় সত্তর হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যাযজ্ঞ আর বিজয়ের পর ক্রুসেডারদের হাতে আসে বর্তমান ফিলিস্তিনের বড়ো একটা অংশ।
দ্বিতীয় ক্রুসেড সংঘটিত হয় এগারশো চুয়াল্লিশ সালে। ওই ক্রুসেডে মুসলমান বিজয় লাভ করে। ফিলিস্তিন আসে মুসলিমদের দখলে। তারপর তৃতীয়, চতুর্থ সহ বেশ কিছু ক্রুসেড সংঘটিত হয়। তবে ফিলিস্তিন থেকে যায় মুসলিমদের হাতে। আর খ্রিস্টান ও মুসলিমদের ধর্মযুদ্ধের মাঝখানে পড়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইহুদি। যিশুর হত্যার সঙ্গে ইহুদি জড়িত বিশ্বাস করে খ্রিস্টানদের একাংশ ইহুদি ঘৃণা করে। আর মুসলিমদের সঙ্গে তাদের কোনোদিন যাবে না। যদিও ইতিহাসের অনেক জায়গায় এই সময়কালে ইহুদিদের প্রতি মুসলিমদের আন্তরিকতার উল্লেখ রয়েছে। এগারশ সাল থেকে ষোলশ সাল অবধি ইহুদিরা এদিক-ওদিক থেকে বন্দী, হত্যা ও বিতাড়িত হয়ে অনুধাবন করতে শুরু করে, তাদের একটা প্রকৃত জায়গা দরকার, প্রকৃত দেশ। আর এই ভাবনার বাস্তবিক একটা রুপ দান করেন থিওডর হার্জল। আঠারশ ছিয়ানব্বই সালে তিনি একটি পলিটিক্যাল মুভমেন্ট-এর সূচনা করেন। যাকে ডাকা হয়, জায়োনিজম। বাংলায়, ইহুদিবাদ। ইহুদি ধর্ম ও ইহুদিবাদ এক নয়। এই মতবাদ অনুযায়ী, ইহুদিদের জন্য একটা আলাদা দেশ গঠন করা জরুরি। দেশটা কোথায় হবে? অবশ্যই জেরুজালেম। ওটা পবিত্র ভূমি, প্রমিসড ল্যান্ড, ওখানে ওদের ধর্মের প্রথম প্রার্থনালয় অবস্থিত।
ঠিক একই সময় শুধু জেরুজালেম নয়, ওটা কেন্দ্র করে বৃহৎ একটা এলাকা পুরোটাই পরিচিত ছিল একটা নামে, প্যালেস্টাইন। যেটাকে আমরা বলি ফিলিস্তিন। এটি শাসন করছিল অটোমান সাম্রাজ্য। সুলতান সুলেমান সিরিজের কল্যাণে এই সাম্রাজ্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা সবার আছে বলে মনে হয়। অটোমান সাম্রাজ্যের শাসনামলে ফিলিস্তিনে ইহুদি, খ্রিস্টান আর মুসলিম মিলেমিশেই ছিল মোটামুটি। হানাহানি রক্তপাত খুব একটা হয়নি। সুলতান সুলেমান সিরিজে খুব সম্ভবত এই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছিল একটা বাগানের তুলনা দিয়ে। রাজ্যে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর বাস করা নিয়ে কিছু একটা অসন্তোষজনক কথা বলায় একজনকে সুলতান বলেছিলেন, একটা বাগান তখনই সুন্দর, যখন ওখানে নানান প্রজাতির ফুল থাকে।
দেশ গঠন করার তাগিদে এদিক-ওদিক থেকে ইহুদিরা এসে ফিলিস্তিনের জমি কিনতে শুরু করে, বসবাস করতে শুরু করে অটোমান সময় থেকেই। তারপর আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। উনিশশো চৌদ্দ সাল। একপক্ষে আছে অটোমান, জার্মানি, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি। অন্যপক্ষে আছে, সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্র। এই যুদ্ধে পতন হয় জার্মানির, অটোমান সাম্রাজ্যেরও পতন হয়, আর ওই পুরো এলাকা দখলে আসে ব্রিটেনের। জার্মানির এই পতনের পেছনেও ইহুদিরা আছে বলে অনুমান করা হয়। প্রথমত, জার্মান বিশ্বাস করে, জার্মানির পরাজয় স্বীকার করার পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে খোদ জার্মানেরই উচ্চপদস্থ জায়গায় থাকা কমিউটিস্ট ইহুদিরা। দ্বিতীয়ত, আমেরিকাকে যুদ্ধে ব্রিটেনের পক্ষে নিয়ে আসা এবং আসার পেছনে লবিং করাটাও ইহুদিদের কাজ। জার্মানের ভেতর যে চরম ইহুদি-বিদ্বেষ, তার সূত্রপাত খুব সম্ভবত এটা। আপাতত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিদের বুদ্ধি ও সাহায্য পাওয়ায় এবং জয়লাভ করার বিনিময়ে ওদের জন্য একটা দেশ গঠন করার প্রতিশ্রুতি দেয় ব্রিটেন। ওই দেশটার নাম হবে, ইসরায়েল। জায়গাটা হবে ফিলিস্তিনের ভেতর। এই সমর্থন, ঘোষণা কিংবা প্রতিশ্রুতিকে বেলফোর ডিক্লারেশন বলা হয়। তখন সাল, উনিশশো সতের।
তারপর, তার পনের বৎসর পর জার্মানির ক্ষমতায় আসে এডলফ হিটলার। শুরু হয় ইহুদি নিধন। সংঘটিত হয় বর্বর হত্যাকাণ্ড। মারা হয় প্রায় ষাট লক্ষ ইহুদি। যেটা হলোকাস্ট নামে পরিচিত। এটি ইহুদিদের উপর চলা দ্বিতীয় বর্বর গণহত্যা। প্রথম বর্বর গণহত্যাটা ছিল সেলযুক শাসনামল পতনের পর। ওটা সংঘটিত হয়েছিল খ্রিস্টান দ্বারা। যাই হোক, শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। হিটলারের বর্বরতায় টিকতে না পেরে জার্মান থেকে ইহুদিরা এদিক-ওদিক চলে যায়, আর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইহুদি চলে আসে ফিলিস্তিন। ওখানে তখন ব্রিটিশ শাসন চলছে। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়।
সাল উনিশশো সাতচল্লিশ। জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন হয়। ওটি হলো, ইসরায়েল নামে স্বাধীন একটা রাষ্ট্র হবে, ফিলিস্তিন নামে স্বাধীন একটা রাষ্ট্র হবে, আর জেরুজালেমটা দুই দেশের কারোরই ব্যক্তিগত এখতিয়ারে থাকবে না। ওটা থাকবে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির নিয়ন্ত্রণে। এই প্রস্তাবটা ইহুদিদের জন্য সন্তোষজনক হলেও ফিলিস্তিনীদের জন্য সন্তোষজনক ছিল না। তাদের মধ্যে একটা জাগরণ সৃষ্টি হয়। জাতিসংঘের এই প্রস্তাবটিতে নারাজ হন বাকি আরব দেশগুলোও। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের ভেতর ইহুদিদের শক্ত একটা কমিউনিটি গড়ে ওঠে, পাশাপাশি জেগে ওঠে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনীও। আর এইরকম অস্থির রাজনৈতিক অবস্থায় সাল উনিশশো আটচল্লিশ-এ ব্রিটেন নিজেদের সাম্রাজ্য গুটিয়ে নিয়ে ভেগে যায় ফিলিস্তিন হতে। আর দেশের কতটুকু অংশ ফিলিস্তিন পাবে আর কতটুকু অংশ ইহুদিরা পাবে- সেটা ভাগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইউনাইটেড ন্যাশনকে।
ইউনাইটেড ন্যাশন সাতচল্লিশ সালের ওই প্রস্তাব মোতাবেক পুরো ফিলিস্তিনের প্রায় পঞ্চান্ন পার-সেন্ট ইহুদিকে আর প্রায় পঁয়তাল্লিশ পার-সেন্ট ফিলিস্তিনকে ভাগ করে দেয়। জেরুজালেম অংশটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। ইহুদিরা তাদের ওই অংশটাকেই তাদের রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। এবং জন্ম হয় ইহুদিদের একমাত্র রাষ্ট্র, ইসরায়েল। যেটাকে তার আশপাশের আরবদেশগুলো সমর্থন করে না। ফলাফল, আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। যেখানে একপক্ষ লড়ছিল একটা দেশের ভাগ হয়ে যাওয়া রোধ করতে, আরেকপক্ষ লড়ছিল সদ্য সদ্য পাওয়া ছোট্ট একটা রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে। যারা ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছে পুরো বিশ্ব তাদের কেমন ঘৃণ্য নজরে দেখে। যারা ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছে, এই যুদ্ধে হেরে গেলে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে পৃথিবী থেকে প্রায়। ফলে অস্তিত্ব রক্ষার প্রাণপণ এক যুদ্ধে নামে তারা। তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইরাক, সিরিয়া, মিশর ও জর্ডান। এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ইসরায়েল এই যুদ্ধে জয়লাভ করে।
আরব-ইসরায়েল প্রথম যুদ্ধের পর- ইহুদিরা, জাতিসংঘের হিসাবমতে পাওয়া তাদের পঞ্চান্ন পার-সেন্ট জমিন নিজেদের দখলে রাখার পাশাপাশি ফিলিস্তিনেরও অনেকটুকুন অংশ জমিন দখল করে নেয়। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের মানচিত্রে ছোট্ট ছোট্ট কামড় বসায় আরবদেশগুলোও। ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাংক নামক একটা জায়গা, যেটা জাতিসংঘের করে দেওয়া পার্টিশনে ফিলিস্তিনের ভাগে পড়েছিল, ওটা পুরোপুরি জর্ডান দখলে নেয়। আর আরেকদিকে কোণায় আরেকটা অংশ নিয়ে নেয় মিশর। ওই ছোট্ট অংশটার নাম গাজা। সবাই যে যার মতো জমিন নিয়ে নেয়, মাঝখানে পড়ে যায় ফিলিস্তিনিরা। এরা নিজেদের জায়গা হারায়, নিজেরাই নিজেদের দেশের মাটিতে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে, অনেকেই আশ্রয় নেয় আরবদেশগুলোর ভেতর।
আরব-ইসরায়েল দ্বিতীয় যুদ্ধ হয় উনিশশো সাতষট্টি সালে। ওই যুদ্ধেও ইসরায়েল জয়ী হয়। আর এইবার ইসরায়েল গাজা, ওয়েস্ট ব্যাংক সহ মিসরের অনেক বড়ো একটা অংশ দখল নিয়ে নেয় পুনরায়। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনী স্বাধীনতাকামীরা গঠন করেছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও। যেটার উদ্দেশ্য নিজেদের দেশ ফিলিস্তিন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
উনিশশো ঊনআশি সালে মিশর ও ইসরায়েল আলোচনায় বসে। মিশর স্বীকৃতি প্রদান করে ইসরায়েলকে। মিশরের যে বড়ো অংশ ইসরায়েল দখলে নিয়েছিল, সেটা তারা ফেরত দেয়। মাঝখানের সময়টায় ইহুদিরা জাতিসংঘের ভাগ করে দেওয়া নিয়ম টপকে নিজেদের দখলকৃত ওই ওয়েস্ট ব্যাংক এলাকায় বসতি স্থাপন শুরু করে। তারা জেরুজালেম কেন্দ্র করে চারপাশ বিস্তৃত ওয়েস্ট ব্যাংক পুরোটাটা নিজেদের বলে দাবী করে, যেটা জাতিসংঘ দিয়েছিল ফিলিস্তিনকে। আর ওই সময়েই তৈরী হয় একটা গ্রুপ, যেটা এক্সট্রিম, যারা পিএলও’র নমঃ নমঃ কাজকর্ম পছন্দ করে না, তারা বিশ্বাস করে, পুরো ফিলিস্তিনই তাদের, তারা জাতিসংঘের ভাগাভাগি মানে না, তাদের প্রধান লক্ষ্যই হলো ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া, ফিলিস্তিনে এই রাষ্ট্রের কোনো অস্তিত্বই তারা স্বীকার করে না। এই গ্রুপটার নাম হলো হা/ মাস।
উনিশশো নব্বই-এর পর ফিলিস্তিন এলাকায় প্রথমবার শান্তির হাওয়া ছড়িয়ে যেতে শুরু করে। কারণ, অসলো চুক্তি। চুক্তির পেছনে কাজ করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এই চুক্তি অনুসারে উনিশশো তিরানব্বই সালে ইসরায়েল পিএলও’কে অফিশিয়াল স্বীকৃতি দেয়, আর পিএলও ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্রথমবার। আর ওয়েস্ট ব্যাংক-এ প্রথমবার ফিলিস্তিনের সরকার গঠন হয়। নাম, প্যালেস্টেনিয়ান ন্যাশনাল অথরিটি বা পিএনএ। কিন্তু এই সরকার কাজ করবে কোথায়? ওয়েস্ট ব্যাংকের অনেক জায়গা ইতোমধ্যে ইহুদিদের দখলে। তখন ইসরায়েল ওই ওয়েস্ট ব্যাংককেই তিন টুকরো করে আবার।
লক্ষ করুন, পুরো ফিলিস্তিন একটা ছিল। ‘প্রমিসড ল্যান্ড’ বলে ওখানে আসলো ইসরায়েল। দুই ভাগ হলো ফিলিস্তিন। জাতিসংঘ আসলো, তিন ভাগ হলো। ফিলিস্তিনিরা পেল ছোট্ট একটা অংশ, ওয়েস্ট ব্যাংক। এখন ওই ওয়েস্ট ব্যাংককেই তিন ভাগ করা হবে- এরিয়া এ, এরিয়া বি এবং এরিয়া সি। এরিয়া এ ভাগে থাকবে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের নতুন সরকারের নিয়ন্ত্রণে, এরিয়া বি থাকবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের সরকারের নিয়ন্ত্রণে এবং এরিয়া সি থাকবে শুধুমাত্র ইসরায়েল সরকারের নিয়ন্ত্রণে। যদিও ওটা শান্তি চুক্তি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই শান্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের ত্যাগ করতে হয় নিজেদের ভুমির অনেক বড়ো অংশ। তারা মূলত ওয়েস্ট ব্যাংকের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোটো ছোটো টুকরো।
স্বাভাবিকতই পিএলও’র করা অসলো চুক্তি হা/ মাসের পছন্দ হয়নি। চুক্তি পছন্দ হয়নি খোদ কট্টরপন্থী ইহুদিদেরও। এই জায়গায় তিনটি পক্ষ। কট্টর ইহুদিপন্থী, হা/ মাস ও পিএনএ। এরমধ্যে হা/ মাস ও কট্টর ইহুদিপন্থী দুইপক্ষের কোনোপক্ষই একে অপরকে মেনে নিতে রাজি নয়। আর পিএনএ চায় সমঝোতা। প্রতিবাদের উদ্দেশ্য ফিলিস্তিন হলেও হা/ মাস ও পিএনএ এক নয়। দুই পক্ষই ফিলিস্তিন চায়, তবে পিএনএ চায় সমঝোতার মাধ্যমে, অর্ধেক। আর হা/ মাস চায় যুদ্ধের মাধ্যমে, পুরোটা।
অসলো চুক্তি সফলতার মুখ দেখেনি তাই। ইসরায়েলের যে প্রধানমন্ত্রী ওই চুক্তি করেছিলেন, তাকে মেরে ফেলা হয় চুক্তির পর। ফিলিস্তিনের ভেতর হা/ মাস আত্মঘাতী হামলা করে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খণ্ডযুদ্ধে লিপ্ত হয়, একই অঞ্চলে থাকা ইহুদি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার সম্পর্ক চূড়ান্ত খারাপ হয়। এরমধ্যে নির্বাচন আসে। হা/ মাস ওই নির্বাচনে পিএনএ-কে হারিয়ে জিতে যায়। আর এই হা/ মাস ও পিএনএ- তাদের নিজেদের মধ্যে একটা গৃহযুদ্ধ আরম্ভ হয়ে যায় নির্বাচনের পরের বৎসর। দুই হাজার সাত সাল। ওই গৃহযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন হয়ে যায় দুই ভাগ। এক ভাগ, যেটা ওয়েস্ট ব্যাংক, ওটা পিএনএ নিয়ন্ত্রণ করে, দ্বিতীয় ভাগ গাজা, যেটা নিয়ন্ত্রণ করে হা/ মাস।
এই হলো যুদ্ধ ও উৎস। একপক্ষ, ইসরায়েল- যারা বহু বৎসর ধরে অত্যাচার সহ্য করতে করতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে নিজেদের এমন এক ক্ষমতাধর জায়গায় নিয়ে গেছে, যাদের বিরুদ্ধে টু শব্দ করতেও অন্যান্য রাষ্ট্র ভয় পায়। আরেকপক্ষ, হা/ মাস- যাদের প্রধান লক্ষ্য ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি হতে ধুলিস্মাৎ করা। আর তার জন্য যদি হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা যায়, আফসোস নেই। তৃতীয়পক্ষ, পিএনএ- যারা চায় একটা সমঝোতা।
তিনপক্ষের বাইরে আরেকটা পক্ষ আছে। যাদের ইতিহাস চিনবে সংখ্যা দিয়ে। কোল্যাটেরল ড্যামেজ। এই পক্ষ কোনোদিন যুদ্ধ চায়নি, ভাগ-বাটোয়ারা চায়নি, রক্ত চায়নি, পূন্য চায়নি, স্বর্গ চায়নি। ওদের মৃত্যু হয়েছে হঠাৎ, বোমার আঘাতে, রাইফেলের গর্জনে কিংবা আশ্চর্য ঘুমের ভেতর।
নয় মাসে প্রায় ত্রিশ লক্ষ শহীদের লাশের স্তুপে দাঁড়িয়ে, একগলা রক্তের সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া একটা জাতি কীভাবে হা/ মাসের ছোঁড়া বিষ্ফোরক আর ইসরায়েলের ছোঁড়া বিষ্ফোরকে মরে যাওয়া মৃতদের হিসাব কষে আনন্দ-উল্লাস করতে পারে- মাথায় ধরে না আমার। হিরোশিমা আর নাগাসাকি জাপানকে দিয়েছিল এমন ক্ষত, আজ অবধি ওটা সারাতে পারেনি ওরা। কোথাও যুদ্ধ হলে এখনও আঁতকে ওঠে। আর আমাদের এত বড়ো একটা ক্ষত কিভাবে সেরে গেল কে জানে। কোন আজগুবি ঔষধে সারালাম ওই ক্ষত? আমাদের তো প্রার্থনা করা উচিত ছিল, এমন হাল যেন আমাদের শত্রুরও না হয়। প্রার্থনা করা উচিত ছিল, মেঘদলের ওই গানটার মতোন। সুখী হোক সব ফুল, সব পায়ের নুপুর। সুখী হোক সব।

© Shakhawat Hossen ভাইয়ের পোস্ট থেকে অনুমতি ছাড়া কপি পেস্ট।

সময়কে ধারন করেইচলতে হয়হোক তা যতই অমসৃণ ।বাধাহীন জীবন দেখিনি কখনো।তাই বাঁধার বিপর্যয়কে শক্তি হিসেবে নিয়েছি।সত্য এটাই,সাহস...
03/10/2023

সময়কে ধারন করেই
চলতে হয়
হোক তা যতই অমসৃণ ।
বাধাহীন জীবন দেখিনি কখনো।
তাই বাঁধার বিপর্যয়কে
শক্তি হিসেবে নিয়েছি।
সত্য এটাই,সাহস এটাই।
অভিযোগের কোন জায়গা
পথে ধারে নাই ,থাকেনা।
সময়কে ধারন করেই
আগাতে হয় হোক তা দুখের
কিম্বা সংগ্রামের!
সাহস এটাই , উপলদ্ধী এটাই।
যা হয় তা মঙ্গলের জন্য হয়।
এটাই সত্য ,এটাই শক্তি…

©Fahmida Nabi ❤️

★ প্রকৃত অর্থনীতিবিদ ★সেদিন মাছওয়ালার সঙ্গে কথা বলে অর্থনীতি শিখলাম। প্রতিদিন সকালে মাছ কিনতে কিনতে বেশ কয়েকজন মাছ বিক্র...
09/09/2023

★ প্রকৃত অর্থনীতিবিদ ★

সেদিন মাছওয়ালার সঙ্গে কথা বলে অর্থনীতি শিখলাম। প্রতিদিন সকালে মাছ কিনতে কিনতে বেশ কয়েকজন মাছ বিক্রেতার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। এইরকম এক মাছ বিক্রেতা সেদিন যা বললেন তা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। তিনি যা বললেন, তা যতটা সম্ভব অবিকৃতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ~

"বুঝলে দাদা, আমাদের এখানে সরকারী চাকরী-বাকরী একেবারে কমে গেছে, বাজারের অবস্থা খুব খারাপ। সামনে আমাদের খুব খারাপ দিন আসছে। বেশ কিছু কাস্টমার চাকরী থেকে অবসর নেওয়ার পর আর আগের মত মাছ নেয় না। কিন্তু সে জায়গায় নতুন চাকরী পেয়ে যে কাস্টমার তৈরী হবে, তা একেবারেই হয় নি। সামনে আরও কয়েকজন চাকরীম্যান রিটায়্যার করবেন। তাই সামনে আরও কঠিন দিন আসছে।

দাদা ভাবছো মাছ তো কেনেন সবাই। তাহলে সরকারী চাকরীর সঙ্গে এর সম্পর্কটা কি? তাহলে শোনো দাদা, সত্যি কথাই বলি। তোমাদের মত খরিদ্দার আমাদের বাজারের আসল সম্পদ। শুধু মাছ নয়, সারা বাজার, এমনকি সব ধরনের বিক্রেতাই নির্ভর করে তোমাদের উপরই।

তোমরা আছো বলেই সকাল সকাল মাছ বেচে এগারোটা-সাড়ে এগারোটার মধ্যে বাড়ি চলে যেতে পারি। নইলে বেলা একটা-দেড়টা পর্যন্ত বসে থাকতে হত। তোমরা বড়লোক (ধনী) নও, তবে তোমাদের পকেটে মাসকাবারী পয়সা থাকে। তোমাদের মত চাকরীম্যানরা সকাল সাতটা-সাড়ে সাতটার আগে বাজারে আসে, অফিস যাওয়ার তাগিদে দরদাম বা যাচাই করে ঘুরে-ফিরে বাজার করার মত সময় সকাল বেলা তাদের হাতে খুব-একটা থাকেনা। পাইকারী 250-300 টাকা কেজির মাছ কিনে 350 থেকে 400 টাকা কেজিও তাদের বিক্রি করি সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত, ফলে প্রথমে ঘরের দান উঠে যায় সহজে। সব খরচ বাদ দিয়ে 400-500 টাকা লাভ হয়ে গেলেই আমি সন্তুষ্ট।

এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকী মাছ 200 টাকা, 180 টাকা এমনকি শেষে কেনা দামে 150 টাকায় বিক্রি করতে পারি। শেষ বেলায় খালি করে বাড়ি যাওয়া নিয়ে কথা। তখন লাভ যা হওয়ার হয়ে গেছে চাকরীম্যানদের থেকে। যেসব লোক একটু পরে বাজারে আসেন, তাদের কম দামে মাছ বিক্রি করতে পারি শুধু তোমাদের মত কাকভোরের চাকরীম্যান কাস্টমার থাকার জন্যই।

তোমাদের চাকরীর পয়সা কিন্তু শুধু আমরা খাই না। যারা আমাদের কাছে পরে 150 টাকায় মাছ কেনে, তারাও তোমাদের পয়সা খায়। কারণ তোমাদের কাছে প্রথমে বেশি দাম পেয়ে যাই বলেই তো শেষ বেলায় কেনা দামেরও কম দামে মাছ বেচতে পারি। "

দেখো না, আমাদের এখানে নতুন চাকরী-বাকরী পাওয়া তো বন্ধই হয়ে গেছে, সাধারণ মানুষ সবার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে এবং আরও যাবে। তোমাদের মতো চাকরীম্যানদের হাতে টাকা না থাকলে সামান্য মিস্ত্রীরাও কাজ পাবেনা।

এবার আমি বললাম একজনকে চাকরী দিয়ে মাসে ত্রিশহাজার টাকা মাইনে না দিয়ে ঐ টাকায় তোমাদের মত ব্যবসায়ী বা মিস্ত্রীদের 30 জনকে মাসিক একহাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হলে ক্ষতি কি?

উত্তরে তিনি বললেন, "ঐ দান করা পয়সা চাই না। ওতে জল গরমও হবে না। সমাজের শিক্ষিত মানুষের হাতে সরকার পয়সা তুলে দিলে সেই পয়সা ঘুরে-ফিরে আমাদের হাতেই চলে আসে। আমরা নিজেদের সামর্থ মত সেই পয়সাই অধিকার করে নিই। আমাদের কাছে সেটাই ভালো পথ। চাকরী বন্ধ হলে আমার ছেলেটাকে যে কষ্ট করে লেখাপড়া শেখাচ্ছি, সেও তো চাকরী পাবে না। আমার মতই তাকেও টেনশন-এ দিন কাটাতে হবে প্রতিদিন।

শোনো দাদা, একটা ইঁটের বাড়ি তুমি তিন ইঞ্চি গাঁথনী দিয়েও করতে পারো। কিন্তু তাতে দশ ইঞ্চি পিলার দিতেই হবে। তুমি যদি ভাবো দশ ইঞ্চি পিলারে সিমেন্ট-স্টোন চিপস্ খরচ না করে পুরোটাই তিনইঞ্চি গেঁথে ঘরের সংখ্যা একটা বাড়াবো তাহলে পুরো বাড়িটাই ভেঙে পড়বে। তাই বাজার (হয়তো বলতে চাইছে সমাজ) ঠিক রাখতে গেলে শিক্ষিত মানুষকে তাদের প্রাপ্য দিতেই হবে। তারা পেলে আমরাও পাবো। তাদের হাত থেকে আমরা পেলে সেটা হবে আমাদের 'অর্জন' করা পয়সা, কিন্তু সেই পয়সা সরকারের হাত থেকে ভাতা হিসাবে পেলে সেটা হবে ভিক্ষা।"

ওর কথা শুনে আমার চোখ খুলে গেছে। যে অর্থনীতি সমাজের দায়িত্ববান লোকেরা বোঝে না, তা ঐ মাছ ব্যবসায়ী বোঝেন।

24/08/2023
“বৃক্ষ গুণে  ফল  হয়,আর মাতৃ গুনে   সন্তান”।আপনার  সন্তানকে যাই শিখাবেন তাই শিখবে, হোক সেটা খা'রা'প  দিক, হোক সেটা ভালো  ...
04/07/2023

“বৃক্ষ গুণে ফল হয়,আর মাতৃ গুনে সন্তান”।আপনার সন্তানকে যাই শিখাবেন তাই শিখবে, হোক সেটা খা'রা'প দিক, হোক সেটা ভালো দিক। আপনি যেমন আপনার সন্তানও তেমন হবে । আপনার সন্তানকে ভালো কিছু শিখাতে চাইলে , নিজে আগে ভালো কিছু করুন ।

সন্তানকে অ'মা'নু'ষ না করে মানুষ করুন। সম্মান শিখান, ভদ্রতা শিখান, সহানুভূতিশীলতা শিখান। আপনার সন্তানকে ভালো কাজে উৎসাহিত করুন। মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখুন।

ভালো ফল চাইলে আপনি আগে ভালো গাছ হোন।নিজেকে বদলান আপনার সন্তানও বদলে যাবে। আপনার সন্তানকে মানুষ করার আগে নিজেকে নিজে মানুষ করুন। আপনি মানুষ হলে আপনার সন্তানও মানুষ হবে।

সংগৃহীত

দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এত কাজ, এত দৃষ্টিনন্দন এবং উন্নত বিশ্বের মতো এতো এতো মেগা প্রজেক্ট যা বিগত ৫০ বছরেও বাংলা...
27/06/2023

দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এত কাজ, এত দৃষ্টিনন্দন এবং উন্নত বিশ্বের মতো এতো এতো মেগা প্রজেক্ট যা বিগত ৫০ বছরেও বাংলাদেশে হয়নি। বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের জন্য রোল মডেল বলতে বাধ্য হয়েছে। করোনা মহামারি ও যুদ্ধের ধকল সইতে না পেরে যেখানে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হল, তা সত্বেও বাংলাদেশের জিডিপি বা অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখে বিশ্বব্যাংক, আই এম এফ এবং উন্নত বিশ্বের নেতারা রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন !! তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "বাংলাদেশের এই অগ্রগতি কোন মিরাকল নয় বরং কষ্টার্জিত অর্জন!
অথচ বাংলাদেশের এতটা অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সারা বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হওয়ার পরেও রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির অপপ্রচার এবং করোনা মহামারী ও যুদ্ধের ফলে ডলার ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায়, মানুষকে ভীষণ কষ্টে ফেলে দিয়েছে, এবং সরকার পাবলিকের রোষানলে পড়েছে, তাই জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশের জন্য এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন মানুষের কাছে ভাল লাগা উচিৎ হলেও ভাল লাগছে না। এটা সত্যিই দূর্ভাগ্যজনক। সরকার বিরোধীরা এই সুযোগে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ইস্যুগুলোকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে সরকার উৎখাত করতে চাচ্ছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, এই মহামারী ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনায় অযোগ্য, অদক্ষ ও ব্যার্থ (২০০১-২০০৬) বিএনপি বা তার জোট ক্ষমতায় থাকলে শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের আগেই বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যেত। দুর্ভিক্ষ হত দেশে।

একটা মুরগিতে ৫০+ টাকা ডাকাতি! আজকের বাস্তব অভিজ্ঞতা। আজ নতুন বাজারে মুরগি কিনতে গিয়ে  ওজন (২.৬৮০ কেজি)  দেওয়ার পর ড্রেস...
04/06/2023

একটা মুরগিতে ৫০+ টাকা ডাকাতি! আজকের বাস্তব অভিজ্ঞতা।

আজ নতুন বাজারে মুরগি কিনতে গিয়ে ওজন (২.৬৮০ কেজি) দেওয়ার পর ড্রেসিংয়ের আগে বললাম পলিতে তুলে দেন অন্য দোকানে মাপটা যাচাই করবো। সবজির দোকানে গিয়ে মাপ দিয়ে দেখলাম মুরগির ওজন ২.৩৭০ কেজি। ৩১০ গ্রাম নেই! আবার ওদের দোকানে মাপ দিলাম, ওজন ২.৬৮০ কেজি। আগেরটাই আছে। চোর ধরা!!! একেবারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মুরগির আরেকটা দোকানে গিয়ে মাপ দিলাম। সবজির দোকানের মতো এখানেও ২.৩৭০ কেজি। এরপর দোকানে কারণ জানতে চাইলে বলল মেশিনে সমস্যা হয়েছে হয়তো, চার্জ দিতে পারেনি ঠিকমতো। দোকানের তিনজনের চেহারায় অপরাধের চিহ্ন স্পষ্ট। কিন্তু এই ওয়েট মেশিনে আজ সারাদিন মুরগি বিক্রি করেছে। প্রতিদিন এই ওয়েট মেশিনে মেপেই মুরগি বিক্রি করে। এখন মুরগির কেজি ২০০ টাকা। ৩১০ গ্রামে আমার কাছে ডাকাতে করতে চেয়েছিল ৬২ টাকা। অথচ শুরুতেই আমি সঠিক ওজনের ব্যাপারে কথা বলেছি। ওরে মা! তারা মুসলিম, হালাল পথে চলে, নীতি মেনে ব্যবসা করে এসব বাণী শুনিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমি তো বিশ্বাসী না। এসব বললে আরও বেশি অবিশ্বাস করি।

ধমক বা রাগারাগি করার পরে তারা সবাই মিলে ক্ষমা চাইলো। আশেপাশের সব দোকানদার ও ক্রেতাদের বিষয়টা জানালাম এবং চলে আসলাম। এর থেকে বেশি কিছু করা উচিত ছিলো, প্রয়োজন ছিলো ভোক্তা অধিকারে বা পুলিশে কল দেওয়া। তবে আমি শুধু সচেতনতা নিয়ে ফিরে এসেছি। এটাও কম কিসে।

নিজের টাকায় পণ্য দ্রব্য কেনার সময় বিশ্বাস নয় যাচাই করে নিন মাপ ও গুণাগুণ ঠিক আছে কিনা। কারণ আপনার অসচেতনতা ও গুরুত্বহীনতার জন্য অন্যায় ও দূর্নীতি লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে। ভাই, প্রশাসন আর সরকারের পদক্ষেপের আশায় না থেকে নিজের জন্য নিজে পদক্ষেপ নিন।

#সচেতন_ও_সতর্ক_হোন।

Address

Mymensingh
2200

Telephone

+8801881010101

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rajib's Vlogs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rajib's Vlogs:

Share