NH Academy BD

NH Academy BD Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from NH Academy BD, Digital creator, Mymensingh.

বাংলাদেশে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা ও একাডেমিক বিষয়ের প্রস্তুতি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে জানা ও চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি জন্য এ পেইজ আপনার সহায়ক হবে।

(জ্ঞান জীবনকে আলোকিত করে।)


29/06/2025

ব্যতিক্রমী জারণ মানগুলোর তালিকা
কিছু মৌল বা যৌগে প্রচলিত নিয়মের বাইরে জারণ মান দেখা যায়। এগুলো ভালোভাবে মনে রাখা জরুরি।

১. হাইড্রোজেন (H):
* সাধারণত: +1
* ব্যতিক্রম: ধাতব হাইড্রাইড যৌগগুলোতে -1।

* উদাহরণ:
* NaH (সোডিয়াম হাইড্রাইড): এখানে Na (+1), তাই H এর জারণ মান -1। (Na + H = 0; +1 + H = 0; H = -1)

* CaH2 (ক্যালসিয়াম হাইড্রাইড): এখানে Ca (+2), তাই H এর জারণ মান -1। (Ca + 2H = 0; +2 + 2H = 0; 2H = -2; H = -1)

২. অক্সিজেন (O):
* সাধারণত: -2
* ব্যতিক্রম: পারঅক্সাইড, সুপারঅক্সাইড এবং ফ্লুরিনের সাথে।

* উদাহরণ:
* পারঅক্সাইড যৌগ (যেমন H2O2 - হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড): এখানে O এর জারণ মান -1। (2H + 2O = 0; 2(+1) + 2O = 0; 2 + 2O = 0; 2O = -2; O = -1)

* সুপারঅক্সাইড যৌগ (যেমন KO2 - পটাশিয়াম সুপারঅক্সাইড): এখানে O এর জারণ মান -1/2 বা -0.5। (K + 2O = 0; +1 + 2O = 0; 2O = -1; O = -1/2)

* ফ্লুরিনের সাথে যৌগ (যেমন OF2 - অক্সিজেন ডাইফ্লুরাইড): ফ্লুরিন (F) অক্সিজেনের চেয়ে বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক হওয়ায়, এখানে O এর জারণ মান +2। (O + 2F = 0; O + 2(-1) = 0; O - 2 = 0; O = +2)

৩. হ্যালোজেনসমূহ (Group 17 - Cl, Br, I):
* সাধারণত: -1 (যখন এরা একমাত্র অধাতব মৌল বা অন্য কোনো হ্যালোজেনের সাথে যুক্ত থাকে, যা কম তড়িৎ ঋণাত্মক)

* ব্যতিক্রম: যখন এরা অক্সিজেন বা বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের সাথে যুক্ত থাকে, তখন এদের ধনাত্মক জারণ মান হয়।

* উদাহরণ:
* HClO (হাইপোক্লোরাস এসিড): এখানে H (+1), O (-2), তাই Cl এর জারণ মান +1। (H + Cl + O = 0; +1 + Cl - 2 = 0; Cl - 1 = 0; Cl = +1)

* HClO3 (ক্লোরিক এসিড): এখানে H (+1), O (-2), তাই Cl এর জারণ মান +5। (H + Cl + 3O = 0; +1 + Cl + 3(-2) = 0; 1 + Cl - 6 = 0; Cl - 5 = 0; Cl = +5)

* KClO4 (পটাশিয়াম পারক্লোরেট): এখানে K (+1), O (-2), তাই Cl এর জারণ মান +7। (K + Cl + 4O = 0; +1 + Cl + 4(-2) = 0; 1 + Cl - 8 = 0; Cl - 7 = 0; Cl = +7)

follow NH Academy BD NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা

৪. কার্বন (C) ও নাইট্রোজেন (N):
* এই মৌলগুলো বিভিন্ন যৌগে একাধিক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক জারণ মান প্রদর্শন করে।

* উদাহরণ (কার্বন):
* CH4 (মিথেন): H (+1), তাই C এর জারণ মান -4। (C + 4H = 0; C + 4(+1) = 0; C = -4)

* CO (কার্বন মনোক্সাইড): O (-2), তাই C এর জারণ মান +2। (C + O = 0; C - 2 = 0; C = +2)

* CO2 (কার্বন ডাইঅক্সাইড): O (-2), তাই C এর জারণ মান +4। (C + 2O = 0; C + 2(-2) = 0; C - 4 = 0; C = +4)

* উদাহরণ (নাইট্রোজেন):
* NH3 (অ্যামোনিয়া): H (+1), তাই N এর জারণ মান -3। (N + 3H = 0; N + 3(+1) = 0; N = -3)

* NO (নাইট্রিক অক্সাইড): O (-2), তাই N এর জারণ মান +2। (N + O = 0; N - 2 = 0; N = +2)

* HNO3 (নাইট্রিক এসিড): H (+1), O (-2), তাই N এর জারণ মান +5। (H + N + 3O = 0; +1 + N + 3(-2) = 0; 1 + N - 6 = 0; N - 5 = 0; N = +5)

এই ব্যতিক্রমী জারণ মানগুলো মনে রাখলে আশা করি এসএসসি/প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় জারণ-বিজারণ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া সহজ হবে।

29/06/2025

এসএসসি পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু যৌগের জারণ মান নির্ণয় করা হলো যা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতেও আসেঃ

১. KMnO4 - এ Mn এর জারণ মান নির্ণয়
এখানে আমরা ম্যাঙ্গানিজ (Mn) এর জারণ মান বের করব।

আমরা জানি:
* K (পটাশিয়াম) একটি ক্ষার ধাতু, এর জারণ মান = +1
* O (অক্সিজেন) এর জারণ মান = -2 (পারঅক্সাইড বাদে)
* সম্পূর্ণ যৌগের মোট জারণ মান = 0
ধরি, Mn এর জারণ মান = x
তাহলে, সব জারণ মানের যোগফল শূন্য হবে:
(1 x K এর জারণ মান) + (1 x Mn এর জারণ মান) + (4 x O এর জারণ মান) = 0
(1 x +1) + (1 x x) + (4 x -2) = 0
1 + x - 8 = 0
x - 7 = 0
x = +7

সুতরাং, KMnO4 - এ Mn এর জারণ মান হলো +7।

২. H2SO4 - এ S এর জারণ মান নির্ণয়
এখানে আমরা সালফার (S) এর জারণ মান বের করব।

আমরা জানি:
* H (হাইড্রোজেন) এর জারণ মান = +1
* O (অক্সিজেন) এর জারণ মান = -2
* সম্পূর্ণ যৌগের মোট জারণ মান = 0
ধরি, S এর জারণ মান = x
তাহলে, সব জারণ মানের যোগফল শূন্য হবে:
(2 x H এর জারণ মান) + (1 x S এর জারণ মান) + (4 x O এর জারণ মান) = 0
(2 x +1) + (1 x x) + (4 x -2) = 0
2 + x - 8 = 0
x - 6 = 0
x = +6

সুতরাং, H2SO4 - এ S এর জারণ মান হলো +6।

Follow NH Academy BD NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা

৩. K2Cr2O7 - এ Cr এর জারণ মান নির্ণয়
এখানে আমরা ক্রোমিয়াম (Cr) এর জারণ মান বের করব।

আমরা জানি:
* K (পটাশিয়াম) এর জারণ মান = +1
* O (অক্সিজেন) এর জারণ মান = -2
* সম্পূর্ণ যৌগের মোট জারণ মান = 0
ধরি, Cr এর জারণ মান = x
তাহলে, সব জারণ মানের যোগফল শূন্য হবে:
(2 x K এর জারণ মান) + (2 x Cr এর জারণ মান) + (7 x O এর জারণ মান) = 0
(2 x +1) + (2 x x) + (7 x -2) = 0
2 + 2x - 14 = 0
2x - 12 = 0
2x = 12
x = +6
সুতরাং, K2Cr2O7 - এ Cr এর জারণ মান হলো +6।

৪. SO4(2-) (সালফেট আয়ন) - এ S এর জারণ মান নির্ণয়
এখানে আমরা সালফার (S) এর জারণ মান বের করব। এটি একটি যৌগমূলক, তাই এর মোট জারণ মান যৌগমূলকের চার্জের সমান হবে।

আমরা জানি:
* O (অক্সিজেন) এর জারণ মান = -2
* যৌগমূলকের মোট চার্জ = -2
ধরি, S এর জারণ মান = x
তাহলে, সব জারণ মানের যোগফল যৌগমূলকের চার্জের সমান হবে:
(1 x S এর জারণ মান) + (4 x O এর জারণ মান) = -2
(1 x x) + (4 x -2) = -2
x - 8 = -2
x = -2 + 8
x = +6

সুতরাং, SO4(2-) - এ S এর জারণ মান হলো +6।

৫. NH4(+) (অ্যামোনিয়াম আয়ন) - এ N এর জারণ মান নির্ণয়
এখানে আমরা নাইট্রোজেন (N) এর জারণ মান বের করব। এটি একটি যৌগমূলক।

আমরা জানি:
* H (হাইড্রোজেন) এর জারণ মান = +1
* যৌগমূলকের মোট চার্জ = +1
ধরি, N এর জারণ মান = x
তাহলে, সব জারণ মানের যোগফল যৌগমূলকের চার্জের সমান হবে:
(1 x N এর জারণ মান) + (4 x H এর জারণ মান) = +1
(1 x x) + (4 x +1) = +1
x + 4 = +1
x = +1 - 4
x = -3

সুতরাং, NH4(+) - এ N এর জারণ মান হলো -3।

৬. NO3(-) (নাইট্রেট আয়ন) - এ N এর জারণ মান নির্ণয়

এখানে আমরা নাইট্রোজেন (N) এর জারণ মান বের করব। এটি একটি যৌগমূলক।

আমরা জানি:
* O (অক্সিজেন) এর জারণ মান = -2
* যৌগমূলকের মোট চার্জ = -1
ধরি, N এর জারণ মান = x
তাহলে, সব জারণ মানের যোগফল যৌগমূলকের চার্জের সমান হবে:
(1 x N এর জারণ মান) + (3 x O এর জারণ মান) = -1
(1 x x) + (3 x -2) = -1
x - 6 = -1
x = -1 + 6
x = +5

সুতরাং, NO3(-) - এ N এর জারণ মান হলো +5।

এই উদাহরণগুলো এসএসসি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Follow & Share plz

29/06/2025

জারণ সংখ্যা রসায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা কোনো যৌগ গঠনের সময় একটি মৌলের পরমাণু যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন বা গ্রহণ করে, সেই সংখ্যাকে নির্দেশ করে। এটি মৌলের জারিত বা বিজারিত অবস্থা প্রকাশ করে।

জারণ সংখ্যা (Oxidation Number) কী?
সহজভাবে বলতে গেলে, জারণ সংখ্যা হলো একটি সংখ্যা যা একটি যৌগের মধ্যে থাকা কোনো পরমাণুর আপেক্ষিক "ইলেকট্রন লাভ" বা "ইলেকট্রন ক্ষতি" নির্দেশ করে। এটি ধনাত্মক, ঋণাত্মক বা শূন্য হতে পারে।

* ধনাত্মক জারণ সংখ্যা: যখন একটি পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়, তখন তার জারণ সংখ্যা ধনাত্মক হয়। যেমন: Na^+ এ সোডিয়ামের জারণ সংখ্যা +1।

* ঋণাত্মক জারণ সংখ্যা: যখন একটি পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে পরিণত হয়, তখন তার জারণ সংখ্যা ঋণাত্মক হয়।
যেমন: Cl^- এ ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা -1।

* শূন্য জারণ সংখ্যা: মুক্ত বা নিরপেক্ষ অবস্থায় থাকা মৌলের পরমাণুর জারণ সংখ্যা শূন্য ধরা হয়।
যেমন: Fe, H_2, O_2 ইত্যাদি।

জারণ মান নির্ণয়ের কিছু সাধারণ নিয়ম:
কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে জারণ সংখ্যা নির্ণয় করা হয়:

* মুক্ত মৌলের জারণ সংখ্যা: যেকোনো মুক্ত বা মৌলিক পদার্থের জারণ সংখ্যা শূন্য। যেমন: Na, Fe, Cl_2, O_2 এর জারণ সংখ্যা 0।

* আয়নিক যৌগে: একক পারমাণবিক আয়নের জারণ সংখ্যা তার চার্জের সমান। যেমন: K^+ এর +1, Mg^{2+} এর +2, Cl^- এর -1।

* যৌগের মোট জারণ সংখ্যা: একটি নিরপেক্ষ যৌগের মধ্যে থাকা সব পরমাণুর জারণ সংখ্যার বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য হয়।

* যৌগমূলকের জারণ সংখ্যা: একটি যৌগমূলকের মধ্যে থাকা সব পরমাণুর জারণ সংখ্যার যোগফল সেই যৌগমূলকের মোট চার্জের সমান হয়। যেমন: SO_4^{2-} এ সালফার ও অক্সিজেনের জারণ সংখ্যার যোগফল -2।

* ক্ষার ধাতু ও মৃৎক্ষার ধাতু:
* গ্রুপ 1 (ক্ষার ধাতু) এর মৌলগুলো (Li, Na, K, Rb, Cs) সাধারণত +1 জারণ সংখ্যা প্রদর্শন করে।
* গ্রুপ 2 (মৃৎক্ষার ধাতু) এর মৌলগুলো (Be, Mg, Ca, Sr, Ba) সাধারণত +2 জারণ সংখ্যা প্রদর্শন করে।
* হাইড্রোজেন (H): বেশিরভাগ যৌগে হাইড্রোজেনের জারণ সংখ্যা +1 হয়। তবে ধাতব হাইড্রাইডগুলোতে (যেমন NaH) এটি -1 হয়।

* অক্সিজেন (O): বেশিরভাগ যৌগে অক্সিজেনের জারণ সংখ্যা -2 হয়। ব্যতিক্রম:
* পারক্সাইড (যেমন H_2O_2): -1
* সুপারঅক্সাইড (যেমন KO_2): -0.5
* ফ্লুরিনের সাথে (যেমন OF_2): +2 (কারণ ফ্লুরিন অক্সিজেনের চেয়ে বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক)

* হ্যালোজেনসমূহ (Group 17):
* ফ্লুরিন (F) সবসময় -1 জারণ সংখ্যা প্রদর্শন করে, কারণ এটি সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল।
* ক্লোরিন (Cl), ব্রোমিন (Br), আয়োডিন (I) সাধারণত -1 জারণ সংখ্যা প্রদর্শন করে, কিন্তু অক্সিজেন বা অধিক তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের সাথে যুক্ত হলে ধনাত্মক জারণ সংখ্যাও প্রদর্শন করতে পারে (যেমন KClO_3 এ Cl এর জারণ সংখ্যা +5)।

কিছু মৌলের জারণ মানের তালিকা
বিভিন্ন মৌল তাদের রাসায়নিক পরিবেশে একাধিক জারণ সংখ্যা প্রদর্শন করতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ মৌলের জারণ সংখ্যার একটি তালিকা দেওয়া হলো:
| মৌল | প্রতীক | সাধারণ জারণ সংখ্যা (কিছু উদাহরণ সহ) |

★★★( Follow NH Academy BD NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা )

| হাইড্রোজেন | H | +1 (বেশিরভাগ যৌগে), -1 (ধাতব হাইড্রাইড) |

| লিথিয়াম | Li | +1 |

| সোডিয়াম | Na | +1 |

| পটাসিয়াম | K | +1 |

| ম্যাগনেসিয়াম | Mg | +2 |

| ক্যালসিয়াম | Ca | +2 |

| অ্যালুমিনিয়াম | Al | +3 |

| কার্বন | C | -4 থেকে +4 (বিভিন্ন জৈব ও অজৈব যৌগে) |

| নাইট্রোজেন | N | -3 থেকে +5 (বিভিন্ন যৌগে) |

| অক্সিজেন | O | -2 (বেশিরভাগ অক্সাইডে), -1 (পারক্সাইডে), +2 (OF_2 এ) |

| ফ্লুরিন | F | -1 |
| ক্লোরিন | Cl | -1, +1, +3, +5, +7 |
| সালফার | S | -2, +2, +4, +6 |
| ফসফরাস | P | -3, +3, +5 |
| আয়রন | Fe | +2, +3 |
| কপার | Cu | +1, +2 |
| জিঙ্ক | Zn | +2 |

এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়, কারণ অনেক মৌল তাদের বিভিন্ন যৌগে একাধিক জারণ অবস্থা দেখাতে পারে। জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের নিয়মগুলো ব্যবহার করে যেকোনো যৌগে একটি নির্দিষ্ট মৌলের জারণ সংখ্যা বের করা সম্ভব।

29/06/2025

১০টি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা বানানের নিয়ম দেওয়া হলো:

১. ই-কার ও ঈ-কারের ব্যবহার
তৎসম (সংস্কৃত) শব্দে ই-কার: অতৎসম বা তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দে কেবল ই-কার (ি) ব্যবহৃত হবে। যেমন: সরকারি, তরকারি, আসামি, ফরাসি, জাপানি, ইংরেজি, ঈদগাহ, নানি, দাদি, শাড়ি, বাড়ি, গাড়ি, চুনুরি, কুমির, হাজির, দিঘি, ইত্যাদি।
তৎসম (সংস্কৃত) শব্দে ঈ-কার: শুধুমাত্র কিছু তৎসম শব্দে ঈ-কার (ী) ব্যবহার করা হয়। যেমন: নারী, স্ত্রী, পৃথিবী, দীর্ঘ, নীর, সসীম, অসীম, ইত্যাদি।
২. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব না হওয়া
রেফ (র্) এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হয় না। অর্থাৎ রেফের পরে একই ব্যঞ্জনবর্ণ পরপর দুবার বসে না। যেমন: কর্ম (কর্ন্ম নয়), ধর্ম (ধরম্ম নয়), কর্দম (কদ্দম নয়), সূর্য (সূর্য্য নয়)।
৩. ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান
ণ-ত্ব বিধান:
* ট-বর্গীয় বর্ণের পূর্বে 'ণ' হয়: ট, ঠ, ড, ঢ এই বর্ণগুলোর আগে সবসময় 'ণ' হবে। যেমন: ঘণ্টা, কুণ্ঠা, প্রচণ্ড, কাণ্ড।
* ঋ, র, ষ-এর পর 'ণ' হয়: ঋ, র (রেফ সহ), এবং ষ-এর পর 'ন' থাকলে তা 'ণ' হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, কারণ, মরণ, ভাষণ, ভূষণ।
* প্রমিত শব্দে 'ন' হবে: অনেক তৎসম শব্দ ব্যতীত বাকি সব শব্দে 'ন' হবে। যেমন: কান, কোরআন, জার্মান, গভর্নর।
ষ-ত্ব বিধান:
* অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণের পর 'ষ' হয়: ই, ঈ, উ, ঊ ইত্যাদি স্বরবর্ণের পর যদি 'স' থাকে তবে তা 'ষ' হয়। যেমন: অভিষেক, বিষম, ভবিষ্যৎ।
* ক ও খ-এর পূর্বে 'ষ' হয় না: সাধারণত ক, খ, প, ফ ইত্যাদি বর্ণের পূর্বে 'স' ব্যবহৃত হয়। যেমন: পুরস্কার, তিরস্কার।
৪. বিসর্গের ব্যবহার
বাংলা বানানে বিসর্গ (ঃ) যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত। বিশেষ করে ক্রিয়াপদে বিসর্গ বসবে না।
* বিশেষণ ও অব্যয়ে: মূল শব্দে বিসর্গ থাকলে তা বহাল থাকবে। যেমন: দুঃস্থ, দুঃখ, অতঃপর, সাধারণত, বস্তুত।
* কিছু ক্ষেত্রে বিলোপ: অতৎসম শব্দ এবং যেখানে বিসর্গ ছাড়া অর্থ বোঝানো যায় সেখানে বিসর্গ ব্যবহার না করা। যেমন: ক্রমশ, প্রায়শ।
৫. ও-কার এর ব্যবহার
* অ-কারের উচ্চারণ ও-কারের মতো হলে: অনেক সময় অ-কারের উচ্চারণ ও-কারের মতো হয়, সেক্ষেত্রে ও-কার (ো) ব্যবহার করা হয়। যেমন: ভালো, আলো, কালো, করো (ক্রিয়াপদ)।
* বিভ্রান্তি এড়াতে: কিছু শব্দে অর্থের পার্থক্য বোঝাতে ও-কার ব্যবহার হয়। যেমন: ছিল (ছিলো নয়)।
৬. যুক্তাক্ষরের ব্যবহার
যুক্তাক্ষরের ক্ষেত্রে যুক্তবর্ণকে বিশ্লিষ্ট করে লেখা যেতে পারে যদি তাতে অর্থের কোনো পরিবর্তন না হয় বা পাঠে অসুবিধা না হয়। তবে প্রচলিত ও সুপরিচিত যুক্তাক্ষর ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: বিজ্ঞান (বিগ্গ্যান না লিখে), ব্রাহ্মণ (ব্রাম্হণ না লিখে), ক্ষ (ক্ + ষ)।
৭. বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে 'শ', 'স', 'ষ' এর ব্যবহার
বিদেশি শব্দে (ইংরেজি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি) সাধারণত 'স' ব্যবহার করা হয়। 'শ' বা 'ষ' ব্যবহার পরিহার করা হয়। যেমন: স্টেশন, মাস্টার, পোশাক, হিসাব, সব। তবে কিছু শব্দে অর্থের পার্থক্যের জন্য 'শ' ব্যবহার হতে পারে। যেমন: শোকেস।
৮. অনুস্বর (ং) ও ঙ-এর ব্যবহার
* ং (অনুস্বর): শব্দের শেষে বা ক-বর্গীয় বর্ণের পূর্বে ং ব্যবহৃত হয়। যেমন: রং, বাংলা, সঙ্গ, অঙ্গ।
* ঙ: ক-বর্গীয় বর্ণের সাথে যুক্ত হলে ঙ ব্যবহৃত হয়। যেমন: ভাঙা, ঠোঙা।
৯. হস্ চিহ্ন (্) এর ব্যবহার
হস্ চিহ্ন (্) যথাসম্ভব বর্জন করা উচিত। সাধারণত, শব্দের শেষে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরধ্বনি না থাকলে হস্ চিহ্ন দেওয়া হয়। তবে বাংলা বানানে এখন এটি অপ্রচলিত। যেমন: সৎ (সত্ না লিখে), জজ (জজ্ না লিখে)। তবে কিছু ক্ষেত্রে যুক্তাক্ষর স্পষ্ট করতে এটি ব্যবহার করা হয়। যেমন: ক্বচিৎ (ক্কচিৎ না লিখে)।
১০. সমাসবদ্ধ পদের বানানের নিয়ম
সমাসবদ্ধ পদগুলো একসঙ্গে লেখা হয়। মাঝে কোনো ফাঁক থাকে না। যেমন: সংবাদপত্র, পিতামাতা, প্রবেশাধিকার। যদি এতে অর্থের বিভ্রান্তি হয় তবে হাইফেন (‍-) ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: মা-বাবা।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে বাংলা বানান অনেকটাই নির্ভুল হবে।

📌★★★  গণিতের সকল সূত্র একত্রে - গণিতের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নাও ★★★ ✨NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা
26/06/2025

📌

★★★ গণিতের সকল সূত্র একত্রে - গণিতের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নাও ★★★



NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা


20/06/2025

বান্দরবান জেলার ৪৬টি দর্শনীয় স্থানের নামসহ তালিকা নিচে দেওয়া হলো :-

১। নীলগিরি
২। কেওক্রাডং
৩। বগালেক
৪। নাফাখুম
৫। কুমারি ঝর্ণা
৬। নীল দিগন্ত
৭। নীলাচল
৮। প্রান্তিক লেক
৯। মিরিঞ্জা ভ্যালি
১০। লামা
১১। দেবতাখুম
১২। জাদিপাই ঝর্ণা
১৩। সাতভাইখুম
১৪। মাথাভরাখুম
১৫। ঋজুক ঝর্ণা
১৬। আমিয়াখুম জলপ্রপাত
১৭। ভেলাখুম
১৮। মিলনছড়ি
১৯। পিক ৬৯
২০। ডিম পাহাড়
২১। মারায়ন তং
২২। চিম্বুক
২৩। আশারতলী চা বাগান
২৪। উপবন পর্যটন কেন্দ্র
২৫। চাকঢালা সীমান্ত ঝর্ণা
২৬। তাইরাং ঝর্ণা
২৭। প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র
২৮। বরইতলী ফাত্রাঝিরি ঝর্ণা
২৯। সোনাইছড়ি সানসেট পয়েন্ট
৩০। তিন্দু
৩১। রেমাক্রি
৩২। আলীর গুহা বা আলীর সুড়ঙ্গ
৩৩। দামতুয়া ঝর্ণা
৩৪। রামজাদী মন্দির
৩৫। রনিন পাড়া
৩৬। তিনাপ সাইতার
৩৭। সিপ্পি পাহাড়
৩৮। কচ্ছপতলী শিলবান্ধা ঝর্ণা
৩৯। চিংড়ি ঝর্ণা
৪০। দার্জিলিং পাড়া
৪১। টেবিল পাহাড়
৪২। ডাবল ফলস
৪৩। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র
৪৪। শৈলপ্রপাত ঝর্ণা
৪৫। স্বর্ণ মন্দির
৪৬। সাইরু হিল রিসোর্ট
NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা
collected

゚ #বান্দরবান

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি-২০২৫ শূন্য পদঃ ১,০০,৮২২ টিতালিকাঃল...
16/06/2025

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি-২০২৫
শূন্য পদঃ ১,০০,৮২২ টি

তালিকাঃলিংক কমেন্টে।

NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা

16/06/2025

পরিবৃত্ত (Circumcircle) হলো এমন একটি বৃত্ত যা একটি বহুভুজের (বিশেষ করে ত্রিভুজের) প্রতিটি শীর্ষবিন্দুকে স্পর্শ করে। সহজ কথায়, একটি ত্রিভুজের তিনটি শীর্ষবিন্দু দিয়ে যে বৃত্ত আঁকা যায়, তাকেই ঐ ত্রিভুজের পরিবৃত্ত বলে।
পরিবৃত্তের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো:
* কেন্দ্র: পরিবৃত্তের কেন্দ্রকে পরিকেন্দ্র (Circumcenter) বলা হয়। এটি ত্রিভুজের বাহুগুলোর লম্ব সমদ্বিখণ্ডকগুলোর ছেদবিন্দু।
* ব্যাসার্ধ: পরিবৃত্তের ব্যাসার্ধকে পরিব্যাসার্ধ (Circumradius) বলা হয়।
* অবস্থান: সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজের পরিকেন্দ্র ত্রিভুজের ভেতরে থাকে, সমকোণী ত্রিভুজের পরিকেন্দ্র অতিভুজের মধ্যবিন্দুতে থাকে এবং স্থূলকোণী ত্রিভুজের পরিকেন্দ্র ত্রিভুজের বাইরে থাকে।

14/06/2025

➤➤➤ গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক:

১) বর্তমান মাথাপিছু আয়- ২৮২০ মার্কিন ডলার।

২) ৫৪তম বাজেটের আকার- ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা।

৩) বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে- ৫.২৫%

৪) মূল্যস্ফীতিঃ ৬.৫%।

৫) সাম্প্রতিক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ডক্টরেট ডিগ্রি পান- জাপানের সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

৬) সাম্প্রতিক "কিং চার্লস হারমনি পুরষ্কার"২০২৫ পান- ড.মুহাম্মদ ইউনুস।।

৭) দেশের প্রথম মনোরেল নির্মিত হচ্ছে- চট্টগ্রামে।

৮) মনোরেলের দৈর্ঘ্য- ৫৪ কি.মি.

৯) বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্র- ৩০টি

১০) সর্বশেষ ৩০-তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে- মাদারগঞ্জ, জামালপুরে।

১১) মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্হান- ১৩০তম।

১২) মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্হান- ১৪৯তম।

১৩) ৫১ তম জি-৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে- আলবার্টা, কানাড়ায়।

১৪) কপ-৩০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে- ব্রাজিলে।

১৫) সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন- ইকরামুল হাসান বিজয়।

১৬) হিমালয় পর্বতের "অন্নপূর্ণা চূড়ায়" আহরণকারী ১ম বাংলাদেশি- বাবর আলী।

১৭) সি টু সামিট একটি- পর্বত অভিযানের নাম।

১৮) ইলন মাস্কের ঘোষিত নতুন রাজনৈতিক দলের নাম - দ্য আমেরিকা পার্টি।

১৯) দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে- সোনাগাজী, ফেনী।

২০) থ্রি-জিরো তত্ত্বের উদ্ভাবক- ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

সংগৃহীত

01/06/2025

দেশের ৩০ তম গ্যাসক্ষেত্র হতে চলেছে
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ

NaCl এর কেলাস গঠন NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা NH Academy BD রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান - tricks & tips  #রসায়ন    #দশম    #নব...
28/05/2025

NaCl এর কেলাস গঠন

NTRCA নিবন্ধিত শিক্ষক আড্ডা NH Academy BD রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান - tricks & tips #রসায়ন #দশম #নবম

27/05/2025

মোলারিটি হলো একটি দ্রবণের ঘনত্বের একটি পরিমাপ। এটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে বোঝায়।
সহজভাবে বললে, মোলারিটি বলে দেয় যে একটি নির্দিষ্ট আয়তনের দ্রবণে (যেমন ১ লিটার) কতটুকু দ্রবণীয় পদার্থ (দ্রব) রয়েছে।
মোলারিটি (M) এর সূত্র হলো:
M = n/V
যেখানে:
* n = দ্রবের মোল সংখ্যা
* V = দ্রবণের আয়তন (লিটারে)
মোলারিটির একক হলো mol/L (মোল প্রতি লিটার)।
উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দ্রবণের মোলারিটি ১ M হয়, তার মানে হলো ওই দ্রবণের প্রতি ১ লিটারে ১ মোল দ্রব দ্রবীভূত আছে।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মোলারিটি তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল, কারণ তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে সাথে দ্রবণের আয়তন পরিবর্তিত হতে পারে।

Address

Mymensingh
2416

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when NH Academy BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to NH Academy BD:

Share