29/07/2025
খুবই দু:খজনক
ফিরে এলেন না মা, ফিরলো লাশ...😭😭
প্রায় ৩৭ ঘণ্টা পর, ৩ কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেলো তাঁর নিথর দেহটা।এই দেশে বেঁচে থাকাটাই যেন চরম এক চ্যালেঞ্জ!
চুয়াডাঙ্গার তাসনিম আপু – শেষমেশ পাওয়া গেল তাঁর মরদেহ, অফিস থেকে ফেরার পথে ম্যানহোলে পড়ে গিয়েছিলেন। প্রায় ৩৭ ঘণ্টা পর, ৩ কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেলো তাঁর নিথর দেহটা।
দুই হাতে দুই যমজ সন্তানের জন্য রাতের খাবার তৈরি করার তাড়া ছিল তার, বাচ্চারা হয়তো ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছিল,
"মা, তুমি কখন আসবে?"
তবে ফিরলেন না মা। ফিরলো তার লাশ...
টঙ্গীর সেই সড়কে হাঁটু সমান পানি জমেছিল, রাস্তা আর ম্যানহোলের ফারাক বোঝা যাচ্ছিল না। তাসনিম ভাবতেই পারেননি, প্রতিদিনকার সেই রাস্তা তার জীবনের শেষ রাস্তা হবে!
মানুষটা ম্যানহোলে পড়ে গেল, চেষ্টা করেও এক লোক বাঁচাতে পারলেন না।
ফায়ার সার্ভিস বলল – দায় সিটি কর্পোরেশনের।
সিটি কর্পোরেশন বলল – দায় ফায়ার সার্ভিসের।
কিন্তু একটা প্রাণ গেল, সেটা কার দায়?
যে দেশের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলেও মরতে হয়, সে দেশের নাগরিক হওয়ার চেয়ে অভিশাপ আর কিছুই না।
এই দেশে মানুষের প্রাণ সবচেয়ে সস্তা।
এখন যদি কোনো মন্ত্রীর আত্মীয় পড়ে যেত ওই ড্রেনে, তবে রাতেই রাস্তা সংস্কার হতো, স্যাটেলাইট দিয়ে খোঁজ চালানো হতো, ২৪ ঘণ্টায় লাশ উদ্ধার হতো।
কিন্তু তাসনিমের মতো একজন সাধারণ কর্মজীবী নারীর মৃত্যুতে শুধু ঘটনার বিবরণ লেখা হলো, আর "তদন্ত কমিটি" গঠনের নাটক শুরু হলো।
তাসনিম ফারিয়া, যিনি মিরপুরের এক কসমেটিক কোম্পানিতে কাজ করতেন, সেই মহিলা প্রতিদিনের মতোই কাজ শেষে টঙ্গী থেকে ফিরছিলেন—আর ফিরলেন না।
এই শহরের কত শত ম্যানহোলের ঢাকনা নেই, কতগুলো মানুষের মৃত্যু দরজায় অপেক্ষা করছে, কে তার খবর রাখে?
তাসনিমের ৮ বছরের দুই যমজ সন্তান এখন কাকে মা বলে ডেকে ঘুমাবে?
আমরা কাঁদি, রাগ করি, একটা পোস্ট দেই, তারপর ভুলে যাই।
আর রাষ্ট্র প্রতিবারের মতোই চুপচাপ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
যার হারায় সে জানে, কী হারায়।
এই কি আমাদের মানবিক রাষ্ট্র? এই কি আমাদের উন্নয়ন?
,😭😭😭😭😭😭😭