17/04/2025
জিলাপি কান্ড
কিশোরগঞ্জের ইটনায় হাওড়ের বাধ রক্ষায় বরাদ্ধের টাকায় অধিক মুনাফা অর্জন করেছে কথিত বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা।
কথিত বলার কারণ হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ তাকে ছাত্র সম্বয়ক মানতে নারাজ। সেই নেতা শান্তকে স্থানীয় বিএনপির লোকজন আওয়ামীলীগ হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে।
সে যাই হোক কথিত বৈষম্যবিরোধী নেতার কাছে ইটনা থানার ওসি জিলাপী খেতে চেয়েছে। বিষয়টা আসলে শুধুু ফানি হিসাবে হয়েছে আমি যতটুকু মনে করি। কারণ আমরা অনেক সময় মজার ছলে বলে থাকি অনেক কিছু।
আর অসির যদি অসৎ কোন উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে তিনি সরাসরি ঘোষ চাইতে পারতেন।
অনেক সময় যখন ক্ষমতাশীল কেউ চোখের সামনে দিয়ে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তখন চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়, দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। ঠিক তেমনি বর্তমানে ছাত্র নেতার প্রচুর ক্ষমতা তাই কিছু বলার নাই ওসি সাহেবের।
ওসি মনোয়ার হোসেন শুধু আক্ষেপ করে বলেছিলেন কি মিয়া ১০ লক্ষ টাকা লাভ করলা আর ১০ টাকার জিলাপি খাওয়াইলানা এতেই যে অবস্থা সারা বাংলাদেশে ওসি সাহেব ভাইরাল।
এখন কথা হচ্ছে ওসি সাহেবকে বদলী করা হচ্ছে অপসারণ করা হচ্ছে এর তার পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা।
কিন্তু ২০ লাখ টাকার কাজে ১০ লাখ টাকা লাভ করার বিষয়টা কেউ উপস্থাপন করছে না।
একবার চিন্তা করে দেখছেন যদি ঘঠনা সত্যি হয় তাহলে দেশে কি পরিমান দূর্নীতো হতো এবং হচ্ছে। ২০ লাখ টাকার কাজে ১০ লাখ টাকা লাভ এটা কত বড় পুকুর চুরি?
পুকুর চুরিতে যারা যারা জড়িত
কাজের জন্য টাকা ২০ লাখ বরাদ্দ কে বা কারা দিয়েছে?
২০ লাখ টাকার কাজ কিভাবে ১০ লাখ টাকায় শেষ হয়?
কাজ তদারকির কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিরা কোথায়?
ছাত্র নেতার বিপক্ষে কোন পদক্ষেপ কোন নেওয়া হচ্ছে না?
এত কিছুর পরেও যদি দেশের এই অবস্থা থাকে তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে সিঙ্গাপুর বা মালোশিয়া হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। কারণ আমি বা আমরা যতদিন লোভ সামলাতে না পারবো প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে না পারবো ততোদিন স্বপ্ন দেখে লাভ নাই।
বাদ দেন আগে নিজেকে বদলান, দেশ এমনিতেই বদলে যাবে
Send a message to learn more