
06/04/2025
১ লাখ ১৭ হাজার মানুষের একটা শহর রাফাহ, সেখানে একটি মানুষও আর নেই। কেউ আর বিশ্ববাসীর কাছে জবাব চাইবেনা, আর কেউ সাহায্য চাইবেনা।
মানবহীন ভূমি দেখে যারা উল্লাস করছে তারা জানেনা প্রতিশোধের বদলা শুধু মানুষই নেয়না প্রকৃতিও নেয়। রাফার মাটির সাথে যে রক্ত মিশে আছে সেই রক্তমাখা মাটিই একদিন হিংস্র হয়ে গ্রাস করবে।
আজকে রাফা'হ মানবশূন্য ঠিকই কিন্তু একদিন এই রাফাই আবার জনমানবে বিস্তৃত হবে, শেষ লড়াই টা লড়বে। উল্লাস তখন মুসলমান করবে, পতাকা উড়বে ফিলি/স্তিনে কিন্তু সমাদৃত হবে পুরো বিশ্বে ইন শা আল্লাহ।
রাফায় আর কোন প্রাণের অস্তিস্ত নেই। এক লক্ষ সতেরো হাজার মানুষের শহর রাফাহ আজ নিস্তব্ধ।
একটি মানুষও আর নেই, একটিও কণ্ঠস্বর বেঁচে নেই যে বিশ্বকে প্রশ্ন করবে, আহ্বান জানাবে সাহায্যের।
দুনিয়ার ক্ষমতাধররা নিশ্চুপ, কথা বলছে না মুসলিম উম্মাহ, ক্ষমতাধর আরব, কিন্তু যারা মৃত্যুর শামিল হচ্ছে তারা জানে—
প্রকৃতির নীরব প্রতিশোধের ভাষা মানুষের চেয়েও ভয়ংকর।
রক্তমাখা মাটি চুপ করে থাকে না।
রাফার বুকে যেসব শিশুর কান্না থেমে গেছে, যেসব মায়ের বুক খালি হয়ে গেছে—
সেই ব্যথা, সেই রক্ত একদিন মাটির গভীরে আগ্নেয়গিরির মতো জেগে উঠবে।
আজ যখন ধ্বংসস্তূপে ঢাকা পুরো ফিলিস্তিন, তখনও তাদের বুক ভরা ঈমানের শক্তি অটুট।
যাদের ঘর নেই, খাবার নেই, সন্তান নেই—
তাদের চোখে আজও একটাই দৃঢ়তা:
"حسبنا الله ونعم الوكيل" — আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম সহায়ক!
বো*মা, আগুন, নিষ্ঠুরতা— কোনো কিছুই তাদের ঈমান ভাঙতে পারেনি।
তারা জানে, শহীদী মৃত্যুই শ্রেষ্ঠ সম্মান, তারা জানে বিজয় আসবেই, কারণ আল্লাহর ওয়াদা সত্য।
কিন্তু আজ, যখন গা'জা-রাফাহর আকাশে ধোঁয়া আর মৃ'ত্যু ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে, আমরা নিশ্চুপ। কিছুই করতে পারছি না তাদের জন্য।
নিশ্চয়ই ওরা ধিক্কার দিচ্ছে আমাদের। এই ধিক্কার নিয়ে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টের😥