14/08/2022
এই বিষাক্ত সমাজ আর এদের বাঁচতে দিলো না। সমাজে থাকা কিছু কূরুচিপূর্ণ মানুষের জন্য জীবন দিতে হলো আজ।
এই সমাজ মানুষকে ধিক্কার দিতেই জানে, বাহ বাহ না! এই সমাজ কতটা মূর্খ আমার জানা নেই।
সমাজে এমন কিছু লোক থাকবেই যারা, রাতে অন্ধকারে ডুবে থাকে আবার দিনে আলোর বাণী শোনায়।
এদের দোষটা কি ছিলো রে ভাই? এরা কি পরোকিয়া করছিলো নাকি আবাসিক হোটেল এ ধরা পরছিলো????
কোন টায় না, এদের অপরাধ এরা বিয়ে করাতে! কেন রে ভাই! হযরত মোহাম্মদ (স) ও তো ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সের বয়স্ক নারীকে বিয়ে করেছিলো।
ইসলাম কি এটাকে নিষেদ করছে? যখন ইসলাম এটাকে সাপোর্ট করে তখন তুই কে সমালোচনা করার।
অথচ, ইসলাম যেটাকে নিষেদ করছে সেটা করে বেড়াচ্ছেন আর শুক্রবারের নামাজ শেষে বড় বড় ধর্মের বাণী ভালোই শুনাতে পারেন।
নিজের ছেলে মেয়েকে ল্যালিয়ে দিয়েছেন যেনার মুখে, তাদের ছেলে মেয়েদের অবস্থা পতিতাদের সাথে তুলনা করলেও বা কম হবে না, কারন, পতিতারা নেয় টাকা, আর এরা টাকা নেয় না , সম্পূর্ন ফ্রি তে সার্ভিস প্রভাইড করে।
আবার অল্প বয়সে কেউ বিয়ে করলে আঙ্গুল তুলে ঠিকই বলতে পারেন যে, ছেলেটা বিরাট ভুল করছে, ভালো ছিলো ছেলেটা খারাপ হয়ে গেছে ইত্যাদি।
তবে হ্যা, আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়, এই সমাজ শুধু মুখে বুলি ছুড়তেই জানে। আপনার পেটে ভাত না থাকলে এক বেলার অন্য জোগান দিতে জানে না। এই সমাজের কথা না কানে নেওয়াটাই শ্রেয়। তবে অনেক সময় এত তিব্র হয় যে, কানে না নিলেও জোর করে ঢুকিয়ে দেয়।
যেই সমাজ আমাকে না দিতে পারে এক বেলা অন্য, যে সমাজ না দিতে পারে একটু সাপোর্ট, যে সমাজ না দিতে পারে প্রশান্তি সেই সমাজের কথা পরোয়া করার কি প্রয়োজন। কি প্রয়োজন সেই সমাজের কথায় নিজেকে বা নিজের প্রিয়জন কে কষ্ট দেওয়ার, এতে সেই সমাজের কিন্তু কিচ্ছু আসে যায় না
বরং আপনি নিজেকে শেষ করছেন, শেষ করছেন প্রিয়জনকে। তাই প্রিয়জনদের মূল্যায়ন করতে শিখুন, নিজেকে মূল্যায়ন করতে শিখুন, দিনশেষে প্রিয়জন ব্যাতিত এই সমাজ আপনার পাশে থাকবে না।