11/07/2024                                                                            
                                    
                                                                            
                                            আজকে ভোর বেলায় আমি হুট করে আবিষ্কার করলাম-
জগতের সমস্ত ভালো জিনিসের প্রতি আমার কেমন যেন একটা তীব্র ভীতি তৈরি হয়ে গেছে বিগত কিছু বছরে। তীব্র আর প্রচন্ড ভীতি। 
ভীতিটা এইরকম যে কোন ভালো জিনিসে আমার আর বিশ্বাস আসে না, মানুষের উপরে আর আস্থা পাই না। পৃথিবীর যত নরম সরম সুখের কথায় আমি আজীবন বিশ্বাস রেখেছি, সেসবের কিছুই এখন আর আমি বিশ্বাস করি না!! আমার একেবারে রূহ থেকে ব্যাপারগুলি মুছে গেছে। 
কোন ভালো ঘটনা ঘটলে মনে হয়- 
নিশ্চয়ই সামনে খুব খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে! 
সব খারাপ থাকলে বরং মনে হয়- 
ওহ, এইটাই তো স্বাভাবিক! খারাপই তো চলবে। 
কোন কিছুর সাথে এটাচমেন্ট তৈরি হয়ে গেলে ভয় লাগে। মনে হয়- এই তো, আবার ব্যথা পেতে হবে! মানুষের সাথে এটাচমেন্ট তৈরি হলে তো তীব্র এংজাইটি হয়। মনে হয়, তাদের তরফ থেকে দূরত্ব আসার আগেই আগেই বরং আমি দূরে থাকি। সেই-ই ভালো।  এটাচমেন্ট মানেই ব্যথা পাওয়া। 
আমি প্রচন্ড রকম ইমোশনালি আনএভেইলেবল একটা মানুষ হয়ে গেছি- এটা হয়তো খুব কাছের মানুষেরা বুঝতে পারেন। দূরে দূরে থাকি। কারো সাথে একদিন খুব মাখামাখি থাকলে, পরের দিনই আমি দূরে দূরে থাকি। 
এই ব্যাপারটা সবচাইতে বেশি সাফার করে মনে হয় আমার আম্ম আর ভাই, আর আমার বান্ধবীরা।  এই আম্মুর সাথে এক ঘন্টা খুব হাসাহাসি করে গল্প করলাম, এরপরে ২/৩ দিন আম্মু আমাকে খুঁজেও পাবে না। কারও ফোনে ধরতে পারলেও হু হ্যাঁ বলে কাজ সারি। ফোন কল, শপিং, বাইরে যাওয়া সব বিরক্ত লাগে।
মা তো জন্ম দিসে, মা হয়তো বোঝে কেন এমন করি.... আর কেউ বুঝতে পারে কিনা জানি না। বান্ধবীদের কাছে আমাকে হয়তো খুব খারাপ লাগে, মনে হয় আমি ইগনোর করছি ইচ্ছা করে... 
আসলে কি জানেন-
জীবনে মানুষ আসবে আর মানুষ চলেও যাবে, এটা খুব স্বাভাবিক। প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ যাবার সময় পারমানেন্টলি আহত করে রেখে যায়, একেবারে দগদগে ক্ষতস্থান রেখে যায়, কিছু একটা ভেঙে রেখে যায়। সেই বিকল জিনিসটা হয়তো আর কোনদিন মেরামত করা যায় না... 
আমরা কেবল নিজের ওই ভাঙা অংশটা নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখে যাই। ভাঙা টুকরোগুলি লুকিয়ে রাখতে শিখে যাই! 🙃
কিছু ঘটনা তুলার মতো মনকেও পাথর বানিয়ে রাখে।