মৎস্যবিদ মাসুম বিল্লাহ তমাল

মৎস্যবিদ মাসুম বিল্লাহ তমাল নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনে যেকোন পরামর্শে সাহায্য করতে চাই....

✊ বাতাসী:মাছটিকে বাতাসী, বাতাই, পাতাসি, তিনকাটা মাছ নামেও অঞ্চলভেদে ডাকা হয়।বৈজ্ঞানিক নাম: Neotropius atherinoidesইংরেজি...
27/07/2025

✊ বাতাসী:

মাছটিকে বাতাসী, বাতাই, পাতাসি, তিনকাটা মাছ নামেও অঞ্চলভেদে ডাকা হয়।

বৈজ্ঞানিক নাম: Neotropius atherinoides
ইংরেজি নাম: Indian potasi

বাতাসী হচ্ছে Schilbeidae পরিবারের Neotropius গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।

এই প্রজাতির মাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং মায়ানমারে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে সাধারণত নদী, হাওর, বাওর এবং খাল, বিলে পাওয়া যায়।

বর্তমানে মাছটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির অন্তভূক্ত।

বাতাসী মাছের দৈর্ঘ্য ৪-১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর দেহ চ্যাপ্টা এবং উপরের চোয়াল নীচের চোয়ালের চেয়ে কিছুটা লম্বা।

বাতাসি মাছের প্রজনন মৌসুম হচ্ছে মে - জুলাই।

বাতাসি মাছ একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ মাছ। প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী বাতাসি মাছে পটাশিয়াম ৬১০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪০০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক ১৪.৪ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩৩.০ মিলিগ্রাম এবং ম্যাঙ্গানিজ ২০০ মিলি গ্রাম রয়েছে। যা অন্যান্য দেশীয় ছোট মাছের তুলনায় অনেক বেশি।

সাধারণত পুরুষ বাতাসীর চেয়ে স্ত্রী বাতাসী মাছ অপেক্ষাকৃত বড় হয়ে থাকে।

আশাকরি বাতাসী মাছ আবার সগৌরবে নদী, খাল, বিল, হাওর, বাওরে ফিরে আসবে।

মৎস্যবিদ মাসুম বিল্লাহ (তমাল)
মৎস্য চাষ বিষয়ক পরামর্শক।

কাতল মাছ (ইংরেজি:Catla, বৈজ্ঞানিক নাম:Catla catla) বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে প্রচুর পাওয়া যায়। এটি নদী, পুকুর, ...
24/07/2025

কাতল মাছ (ইংরেজি:Catla, বৈজ্ঞানিক নাম:Catla catla) বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে প্রচুর পাওয়া যায়।

এটি নদী, পুকুর, বিল, হাওর, বাওর ইত্যাদি জলাশয়ের উপরিস্তরে বসবাসকারী মিষ্টি জলের মাছ।

এটি কার্প পরিবারের (Cyprinidae) একটি জনপ্রিয় মিঠাপানির মাছ। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় মাছ।

শারীরিক বৈশিষ্ট্য:
এই মাছের মাথা দেহের অনুপাতে বড় এবং দেহ দৈর্ঘ্যের অনুপাতে বেশ চওড়া এবং দুই পাশ চ্যাপ্টা। আঁশ তুলনামূলকভাবে বড়। মাথা ও পৃষ্ঠ ধূসর, দেহের পাশে রুপালি এবং পেট সাদা।

প্রাকৃতিক আবাসে এরা ১.৮০ মিটার লম্বা এবং ওজন ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

খাদ্যাভ্যাস:
প্রধান খাবার প্লাংকটন(Phytoplankton & Zooplankton)।

বানিজ্যিক চাষে রেডি পিলেট বা হাতে বানানো খাবার।

রোগবালাই:
বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর আক্রামণে কাতল মাছের ক্ষতরোগ দেখা দেয়। আবার পরজীবিতে আক্রান্ত হয়ে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে থাকে।এছাড়াও ফুলকা ও পাখনা পচা রোগ দেখা যায়।

প্রজনন মৌসুম:
বর্ষাকাল (জুন–আগস্ট)।
ডিম ছাড়ে: স্বাদু পানিতে, বিশেষ করে নদীর উজানে বা বন্যায় ডুবে যাওয়া অঞ্চলে।

দুই বছরেই এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। বর্ষাকালে প্লাবিত নদীতে (বিশেষত জলজ উদ্ভিদময় স্থানে) প্রজনন করে থাকে।
এক প্রজনন ঋতুতে একটি মা মাছ প্রায় পনের থেকে ছাব্বিশ লক্ষ ডিম দিয়ে থাকে যা মাছের বয়স, দৈর্ঘ্য ও ওজনের এবং ডিম্বাশয়ের দৈর্ঘ্য ও ওজনের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে।

বর্তমানে এদের কৃত্রিম পদ্ধতিতে হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন করা হয়।

কাতল মাছ পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই চাষ ও প্রাকৃতিক উৎস রক্ষা করা জরুরি।

মৎস্যবিদ মাসুম বিল্লাহ (তমাল)
মৎস্য চাষ বিষয়ক পরামর্শক।

আমি ✊
24/07/2025

আমি ✊

23/07/2025

২৩ জুলাই জন্মদিন ছিল.....
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন।

এই অসাধারণ কাজটি করেছেন ছোট ভাই @মোহাম্মদ আলী।

মাছেদের ফ্যাক্টরিতে.....
23/07/2025

মাছেদের ফ্যাক্টরিতে.....

22/07/2025

চুন.....

21/07/2025

তেলাপিয়া।
সহজলভ্য প্রোটিনের অন্যতম সোর্স......

বিখ্যাত পরীর দীঘির পাড়ে।২০১৮
20/07/2025

বিখ্যাত পরীর দীঘির পাড়ে।
২০১৮

19/07/2025

কার্প জাতীয় মাছের একক চাষ।

18/07/2025



বেলা শেষে...
17/07/2025

বেলা শেষে...

বানিজ্যিক চাষের পুকুরে টিডিএস (Total Dissolved Solids - মোট দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ) এর পরিমাণ বেশি হলে নিম্নলিখিত সমস্যাগু...
17/07/2025

বানিজ্যিক চাষের পুকুরে টিডিএস (Total Dissolved Solids - মোট দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ) এর পরিমাণ বেশি হলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে:

মাছের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব:
- বিষক্রিয়া: অতিরিক্ত লবণ বা খনিজ পদার্থ (যেমন সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট) মাছের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
- অস্মোরেগুলেটরি সমস্যা: উচ্চ টিডিএস মাছের দেহে পানির ভারসাম্য নষ্ট করে, ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস ও বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা হয়।
- বৃদ্ধি ব্যাহত: কিছু মাছ (কার্প জাতীয় মাছ) উচ্চ টিডিএস সহ্য করতে পারে না, ফলে তাদের বৃদ্ধি কমে যায়, অনেক সময় মারাও যায়।

পানির গুণগত মানের অবনতি:
- পিএইচ ও অ্যালকালিনিটির পরিবর্তন: উচ্চ টিডিএস পানির pH বা ক্ষারত্ব বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিতে পারে, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
- অক্সিজেনের ঘাটতি: দ্রবীভূত লবণ পানিতে অক্সিজেনের দ্রাব্যতা কমিয়ে দেয়, ফলে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর শ্বাসকষ্ট হয়।

উদ্ভিদ ও প্ল্যাঙ্কটনের উপর প্রভাব:
- শৈবালের অতিবৃদ্ধি: কিছু লবণ (যেমন নাইট্রেট, ফসফেট) শৈবালের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, যা পানির অক্সিজেন কমিয়ে দেয় (ইউট্রোফিকেশন)।
- উপকারী উদ্ভিদের মৃত্যু: অতিরিক্ত লবণ জলজ উদ্ভিদের (যেমন হাইড্রিলা, কচুরিপানা) বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।

মাটির গুণগত মানের অবনতি:
- লবণাক্ততা বৃদ্ধি: পুকুরের তলদেশের মাটিতে লবণ জমে মাটির উর্বরতা নষ্ট করতে পারে, যা পরবর্তীতে চাষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে।

জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট:
- উচ্চ টিডিএস উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীবের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যা জৈবিক ভারসাম্য নষ্ট করে।

সমাধান:
- নিয়মিত পানি পরীক্ষা করে টিডিএসের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- পানি পরিবর্তন বা ফ্রেশ ওয়াটার মিশিয়ে টিডিএস কমাতে হবে।

সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পুকুরের টিডিএস নিয়ন্ত্রণ করে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব।

Address

Mymensingh
2260

Telephone

+8801751136096

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মৎস্যবিদ মাসুম বিল্লাহ তমাল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মৎস্যবিদ মাসুম বিল্লাহ তমাল:

Share