SumanTravels

SumanTravels "Discover the World with Our Expert Care"

গারো পাহাড়গারো পাহাড় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত একটি পর্বতশ্রেণি। গারো পাহাড় মূলত ...
13/09/2025

গারো পাহাড়

গারো পাহাড় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত একটি পর্বতশ্রেণি। গারো পাহাড় মূলত পূর্ব গারো পাহাড়, পশ্চিম গারো পাহাড় এবং দক্ষিণ গারো পাহাড়-এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। এর ভৌগোলিক অবস্থান ৮৯°৫০′ পূর্ব থেকে ৯০°৫০′ পূর্ব অক্ষাংশ এবং ২৮°০৮′ উত্তর থেকে ২৬°০১′ উত্তর দ্রাঘিমাংশ। এর আয়তন প্রায় ৮,১৬৭ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলাসমূহ গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। গারো পাহাড়ের অধিকাংশ স্থান নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশজুড়ে দেখা যায়- যা পশ্চিম কুরি বিল থেকে পুবে ভোগাই নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।
গারো পাহাড় মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো-খাসি পাহাড়শ্রেণির অন্তর্গত। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এখানে অবস্থিত। গারো পাহাড় বিশ্বের অন্যতম বৃষ্টিপ্রধান। এখানকার অঞ্চলসমূহের মধ্যে আবহাওয়া, শান্ত পরিবেশ এবং মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে। গারো পাহাড়ের দীর্ঘতম নদীটির নাম সিমসাং- যেটি বাংলাদেশে সোমেশ্বরী নদী নামে পরিচিত। নদীটির উৎপত্তি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪০০ মিটার উচ্চতায় নকরেক অঞ্চলে। এই নদীর দুই ধারের আকর্ষণগুলো হলো- বাঘমারা, সিজু গুহা, সিমসাংরি ইত্যাদি। মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চল জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। বিল, হাওর, ঘন সবুজ বন এবং বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমারোহ গারো পাহাড়কে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। গারো পাহাড়ে গারো, হাজং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে। এই পাহাড়ের গহীন অরণ্যে স্রোতস্বিনী ঝরনা, জলাশয়, গন্ডার, বাঘ, হাতি, বন্য মহিষ ইত্যাদির দেখা মেলে।

★★★কালুশাহ বা কালশার দিঘি!হালুয়াঘাটের উস্থি ইউনিয়নে ষোড়শ শতকে সেকান্দর শাহের ছেলে ফরিদ শাহের ছোট ভাই কালুশাহ মাইজবাড়িতে ...
12/09/2025

★★★কালুশাহ বা কালশার দিঘি!
হালুয়াঘাটের উস্থি ইউনিয়নে ষোড়শ শতকে সেকান্দর শাহের ছেলে ফরিদ শাহের ছোট ভাই কালুশাহ মাইজবাড়িতে তাঁর বাড়ির সামনে প্রায় চৌদ্দ একর জমিজুড়ে একটি পুকুর খনন করেন। এটাই কালুশাহ'র দিঘি নামে পরিচিত। এটা এখনো পূর্বাবস্থায় রয়েছে। কালুশাহ উস্থি ইউনিয়নের বড়বাড়িতে ২টি দুর্গ স্থাপন করেছিলেন এবং দিল্লির সুলতানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন বলে শোনা যায়। এতে দিল্লির সুলতানের সৈন্যদের সাথে এক ভীষণ যুদ্ধ হয়। কথিত আছে, যুদ্ধে কালুশাহ পরাস্ত হন ও তাঁর মাথা কেটে সুলতানের সৈন্যগণ দিল্লি নিয়ে যায়। মাথাহীন দেহ পুকুরের পূর্ব পাড়ে সমাহিত করা হয়।

★★★অন্যান্য দর্শনীয় স্থান!ব্রহ্মপুত্র নদ: ব্রহ্মপুত্র নদ এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদ। ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি হিমা...
11/09/2025

★★★অন্যান্য দর্শনীয় স্থান!

ব্রহ্মপুত্র নদ: ব্রহ্মপুত্র নদ এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদ। ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের কাছে অংসি ও শেমাইয়াং-দাং হিমবাহে, যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। ইয়ারলুং সাংপো নামে তিব্বতের পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সিয়ং নামে এটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করে। তারপর আসামের ওপর দিয়ে দিহং নামে বয়ে যাবার সময় এতে দিবং এবং লুহিত নামে আরো দুটি বড়ো নদী যোগ দেয় এবং তখন সমতলে এসে চওড়া হয়ে এর নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। তারপর এটি ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মেশে। উৎপত্তিস্থল থেকে এর দৈর্ঘ্য ২৯০০ কিলোমিটার। ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা যমুনা নদী। উল্লেখ্য, ১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ উত্থিত হওয়ার কারণে এর মূল গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদীর মূল প্রবাহে পরিণত হয়। এককালের প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদ বর্তমানে শীর্ণকায়। ব্রহ্মপুত্র নদের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকনের জন্য নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

★★★বীরাঙ্গনা সখিনার সমাধি (কেল্লা তাজপুর)ময়মনসিংহের গৌরীপুর সদর উপজেলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রাম...
10/09/2025

★★★বীরাঙ্গনা সখিনার সমাধি (কেল্লা তাজপুর)

ময়মনসিংহের গৌরীপুর সদর উপজেলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামে সখিনা বিবির সমাধির অবস্থান। মোগল আমলের বহু স্মৃতি বিজড়িত এ সমাধিস্থলের প্রধান ফটকের সীমানা প্রাচীরে পাথরখণ্ডে লেখা আছে বিবি সখিনার প্রেম কাহিনি। ইট সিমেন্টে বাঁধানো সমাধির চারপাশে অনেক গাছের পাশাপাশি রয়েছে কাঠগোলাপের গাছ। এই কুমড়ী গ্রাম অনেকের কাছে 'কেল্লা তাজপুর' নামেও পরিচিত।

কিংবদন্তি অনুসারে, এ কেল্লা তাজপুরের মোগল দেওয়ান উমর খাঁর মেয়ে সখিনা ছিলেন অপরূপ সুন্দরী ও সর্ববিদ্যায় পারদর্শী। এখান থেকে ৫০-৬০ মাইল দূরবর্তী বারো ভূঁইয়ার অন্যতম কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়ির স্বাধীন শাসক ঈশা খাঁর নাতি ফিরোজ খাঁর কানেও সে খবর পৌঁছে। কিন্তু দেওয়ান উমর ২। পরিবারের কঠোর পর্দাপ্রথার কারণে কৌশলের আশ্রয় নেন ফিরোজ খাঁ। দরিয়া নামক এক নারীকে তসবি বিক্রেতা সাজিয়ে উমর খাঁর অন্তঃপুরে সখিনার বাসগৃহে পাঠানো হয়। দরিয়ার মুখে সৌন্দর্য ও গুণের কথা শুনে সখিনা ভালোবেসে ফেলেন ফিরোজ খাঁকে। ফিরোজ খাঁ উমর খাঁর দরবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে কন্যাপক্ষ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ফলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। এরপর ফিরোজ খাঁর অতর্কিত আক্রমণে উমর খাঁর বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পরাজয় বরণ করে এবং ফিরোজ খাঁ সখিনাকে বিয়ে করে।

এদিকে পরাজিত উমর খাঁ প্রতিশোধস্পৃহায় পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ফিরোজ খাঁকে বন্দি করেন এবং সখিনাকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু ফিরোজ খাঁ তালাক দিতে রাজি হননি। এ সময় হঠাৎ যুদ্ধের ময়দানে ১৭-১৮ বছর বয়সি এক যুবকের নেতৃত্বে ফিরোজের বিপর্যস্ত বাহিনীর দুর্ধর্ষ আক্রমণে উমর খাঁর বাহিনী পরাজিত হয়। এসময় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ফিরোজ খাঁ সখিনাকে তালাক দিয়েছেন। কথাটা শুনে টগবগে সেই বীর যুবকের নিথরদেহটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। শিরস্ত্রাণ খসে গেলে দেখা যায় তিনি আর কেউ নন, উমর খাঁর আদরের - দুলালি ও ফিরোজ খাঁর স্ত্রী সখিনা। তখন শোকে মুহ্যমান উমর খাঁ জামাতা ফিরোজ খাঁকে মুক্ত করে দেন। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরোজ খাঁ পাগলপ্রায় হয়ে গেলেন। শোনা যায়, এরপর তিনি দরবেশ বেশ ধারণ করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সখিনার সমাধিতে প্রদীপ জ্বেলে নিশ্চুপ বসে থাকতেন। বীরাঙ্গনা সখিনা যে জায়গায় প্রাণত্যাগ করেন, সেই কুমড়ী নামক স্থানেই গড়ে ওঠে তার সমাধি।

অতীতে কেল্লা তাজপুর গ্রামের চারপাশে প্রায় চার মাইলব্যাপী মাটির উঁচু প্রাচীর ছিল। সেখানে ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হতো। গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে দুই মাইল বিস্তৃত সুরিয়া নদী। নদীর পাশেই রয়েছে যুদ্ধের পরিখার চিহ্ন। স্থানে স্থানে রয়েছে উঁচু মাটির টিলা। রয়েছে ২০ একর জমিজুড়ে নির্মিত বীরাঙ্গনা সখিনার বাবা কেল্লা তাজপুরের দেওয়ান উমর খাঁর বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। এর পেছনে ছিল হাতি রাখার স্থান, যা গ্রামের মানুষের কাছে পিলখানা হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিশাল পুকুর ছিল। এগুলোর বেশিরভাগই মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এখনো কেল্লা তাজপুর গ্রামে মাটি খুঁড়লে পাওয়া যায় নানা কারুকার্যময় ইট। অনেক ইটে ফারসি হরফের লেখাও দেখা যায়।

★★★কাদিগড় জাতীয় উদ্যান!ময়মনসিংহ বন বিভাগের অধীনস্থ ভালুকা রেঞ্জের একটি বিট কাদিগড় জাতীয় উদ্যান। এখানে রয়েছে গজারি বাগান ...
08/09/2025

★★★কাদিগড় জাতীয় উদ্যান!

ময়মনসিংহ বন বিভাগের অধীনস্থ ভালুকা রেঞ্জের একটি বিট কাদিগড় জাতীয় উদ্যান। এখানে রয়েছে গজারি বাগান ও সেগুন বাগান। বাগানে অবাধে বিচরণ করে হনুমান ও বানরের দল। এটি একটি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বনের অপূর্ব সমন্বয়। এখানকার মিনজিরি, অর্জুন ও সেগুন বাগানের সবুজের সমারোহ আর মন ভোলানো পাখির কলকাকলি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে বিমোহিত করে। শুষ্ক মৌসুমে এখানে অনেক লোক বনভোজনে আসে।

★★★ময়মনসিংহ টাউন হল!১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহের বিভিন্ন জমিদারদের বদান্যতায় ও অর্থানুকূল্যে ময়মনসিংহ টাউন হল স্থাপিত হয়...
07/09/2025

★★★ময়মনসিংহ টাউন হল!

১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহের বিভিন্ন জমিদারদের বদান্যতায় ও অর্থানুকূল্যে ময়মনসিংহ টাউন হল স্থাপিত হয়। অতীতে সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে জমিদারদের বিরাট ভূমিকা ছিল। এই টাউন হলকে কেন্দ্র করেই ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হতো। টাউন হলটি স্থাপনের ক্ষেত্রে মহারাজ সূর্যকান্তের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। তিনি তৎকালে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি লাইব্রেরিসহ এটি নির্মাণ করান। বহু বছর পর টাউন হলটি ১৯৭৪ সালে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয় এবং এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। ফলে ময়মনসিংহের নাট্যচর্চাসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কেবলমাত্র নতুন গতিই লাভকরেনি, বরং দারুণভাবে আলোড়িত হয়। এই টাউন হল শুধু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডই নয়, অনেক রাজনৈতিক উত্থান-পতনেরও সাক্ষী। এখানে অনেক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় তিনশ আসনের এই টাউন হলে একসময় একটি রিভলভিং স্টেজও ছিল। স্টেজটি মুক্তাগাছার নাট্যমন্দির 'ভুপেন্দ্র রঙ্গপীঠ' থেকে টাউন হলে এনে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে টাউন হলটির নামকরণ অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম করা হয়েছে।

আকাশের নানা রং
06/09/2025

আকাশের নানা রং

★★★আনন্দমোহন কলেজ!ময়মনসিংহ শহরে ১৬ একর স্থানের ওপর কলেজটি ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আনন্দমোহন কলেজ বাংলাদেশে শিক্ষা আন্দো...
06/09/2025

★★★আনন্দমোহন কলেজ!

ময়মনসিংহ শহরে ১৬ একর স্থানের ওপর কলেজটি ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আনন্দমোহন কলেজ বাংলাদেশে শিক্ষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক গৌরবময় ঐতিহ্যের প্রতীক। এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসু প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ সাল থেকে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৯০-এর দশকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ২২টি বিষয়ে অনার্স ও স্নাতকোত্তর কোর্সে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। বর্তমানে এর শিক্ষক সংখ্যা দুই শতাধিক। কলেজটিতে ৬টি ছাত্র হোস্টেল ও ২টি ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। এছাড়া এখানে ৫০ হাজার বইয়ের একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং একটি মেডিক্যাল সেন্টার ও সাইবার ক্যাফে রয়েছে।

Address

Dhobaura
Mymensingh
2416

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SumanTravels posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share