
01/07/2025
🔹 সক্রেটিসের জীবন কাহিনি!
নাম: সক্রেটিস (Socrates)
জন্ম: খ্রিস্টপূর্ব ৪৬৯ সালে, এথেন্স, গ্রিস
মৃত্যু: খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯ সালে (৭০ বছর বয়সে)
পিতা: সোফ্রোনিসকাস (একজন মিস্ত্রি বা ভাস্কর)
মাতা: ফেনারেট (ধাত্রী বা প্রসূতি সহায়িকা)
স্ত্রী: জ্যান্থিপে (Xanthippe)
পেশা: দার্শনিক, নৈতিক চিন্তাবিদ, শিক্ষক
---
🔹 জীবনের মূল দিক
১. শিক্ষা ও ব্যক্তিত্ব
সক্রেটিস নিজে কোনো লেখা রাখেননি, তাঁর ছাত্র প্লেটো ও জেনোফনের রচনার মাধ্যমেই আমরা তাঁর চিন্তা জানতে পারি। তিনি নিজেকে 'জ্ঞানের সন্ধানকারী' বলে মনে করতেন। তাঁর বিখ্যাত উক্তি:
➡️ “আমি জানি, আমি কিছুই জানি না।”
২. দর্শনের পদ্ধতি
তিনি যুক্তিভিত্তিক প্রশ্ন করে সত্যের অনুসন্ধান করতেন। এই পদ্ধতিকে বলে সক্রেটিক পদ্ধতি (Socratic Method)। তিনি যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করতেন, যেন মানুষ নিজের অজ্ঞতা বুঝতে পারে এবং সত্য উদ্ঘাটিত হয়।
৩. শিক্ষাদান
সক্রেটিস ছাত্রদের সঙ্গে পথেঘাটে, বাজারে, মন্দিরে বসে আলোচনা করতেন। তাঁর বিখ্যাত ছাত্রদের মধ্যে প্লেটো অন্যতম, যিনি সক্রেটিসের চিন্তা ও শিক্ষা রক্ষা করেন এবং সংরক্ষণ করেন।
৪. বিচার ও মৃত্যু
সক্রেটিসের প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তিবাদ ও তরুণদের চিন্তাকে প্রভাবিত করার কারণে এথেন্সের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়:
যুবকদের বিপথে পরিচালনা করা
দেবতাদের অস্বীকার করা
সক্রেটিস আত্মপক্ষ সমর্থন করেন, কিন্তু আপস করেননি। অবশেষে, তাঁকে বিষপান (হেমলক) করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
➡️ মৃত্যু আগে তিনি বলেন:
"মৃত্যু হয়তো জীবনের চেয়ে ভালো। সেজন্য ভয় পাই না।"
---
🔹 সক্রেটিসের প্রভাব
সক্রেটিস পাশ্চাত্য দর্শনের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর শিক্ষা প্লেটোর মাধ্যমে অ্যারিস্টটলের কাছে যায় এবং সেখান থেকে ইউরোপীয় জ্ঞানতত্ত্ব ও নৈতিকতার মূল উৎস হয়ে ওঠে।
#সক্রেটিস #জ্ঞান #সত্য #দর্শন #নেতৃত্ব #মুক্তচিন্তা #জীবনেরপাঠ #ঐতিহাসিক