Nikhil

Nikhil বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্য্য, জীবন ও জীবিকা তুলে ধরার চেষ্টা।

11/04/2024

EID MUBARAK

I have reached 100 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
30/12/2023

I have reached 100 followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

11/07/2023

#নাফাখুম জলপ্রপাত
নাফাখুম বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। রেমাক্রী নদীতে এক ধরনের মাছ পাওয়া যায়, যার নাম নাফা মাছ। এই মাছ সবসময় স্রোতের ঠিক বিপরীত দিকে চলে। বিপরীত দিকে চলতে চলতে মাছগুলো যখন লাফিয়ে ঝর্ণা পার হতে যায় ঠিক তখনই আদিবাসীরা লাফিয়ে ওঠা মাছগুলোকে জাল বা কাপড় দিয়ে ধরে ফেলে। এ থেকে এই ঝর্ণার নাম দেওয়া হয়েছে নাফাখুম ঝর্ণা।

10/07/2023

#ব্রহ্মপুত্র নদ,ময়মনসিংহ

ব্রহ্মপুত্র নদ এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ হচ্ছে ‘ব্রহ্মার পুত্র’। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদ ব্রহ্মপুত্রকে নিয়ে এরকম শত শত উপকথা প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশের এই ব্রহ্মপুত্র নদটি শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই নদকে ঘিরে রয়েছে সুবিস্তৃত ইতিহাস। ভৌগোলিক অবস্থান এবং কোটি মানুষের জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত এই নদের গল্প নিয়ে ‘বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের’ নিকট পরিবেশন করছি আমাদের আজকের আয়োজন ব্রহ্মপুত্র নদের ইতিকথা।

একনজরে ব্রহ্মপুত্র নদ
সারাবিশ্বে নদ-নদীর তালিকায় পানি নিষ্কাশনের দিক থেকে নবম এবং দৈর্ঘ্যের হিসাবে পৃথিবীর ১৫ তম বৃহত্তম এই ব্রহ্মপুত্র নদ। হিমালয়ের কৈলাস শৃঙ্গ থেকে জন্ম নেয়া এই নদ তিব্বতের বুকে প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম উপত্যকা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। ভারতের আসাম হয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশে পদ্মা (যমুনা নদী হিসেবে) এবং মেঘনা নদীর সাথে মিশে শেষমেশ বিসর্জিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। অঞ্চলভেদে সাংপো (তিব্বত), ইয়ারলুং জাংবো (চীন), লৌহিত্য, লোহিত, দিহাং (আসাম), পুরাতন ব্রহ্মপুত্র (বাংলাদেশ) হিসেবে পরিচিত এই আন্তর্জাতিক নদটিকে সাধারণত ‘ব্রহ্মপুত্র’ নামে ডাকা হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের দৈর্ঘ্য নিয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। বাংলাপিডিয়া মতে, এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২,৮৫০ কিলোমিটার। তবে সম্প্রতি চীনা জরিপে দেখা গেছে, এই নদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩,৮৪৮ কিলোমিটার।
ব্রহ্মপুত্র নদ তার যাত্রাকালে বেশকিছু উপনদীর জন্ম দিয়েছে। এই নদের যাত্রাপথে অসংখ্য চর এবং দ্বীপের জন্ম হয়েছে। এই নদের মাজুলি দ্বীপকে পৃথিবীর বৃহত্তম নদী-দ্বীপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নদ বাংলাদেশ এবং ভারতের অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে অন্যতম প্রধান নদ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশের বুকে ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহ অন্যান্য দেশের তুলনায় সংক্ষিপ্ত। ভবানীপুর এলাকায় কুড়িগ্রাম জেলার উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এদেশে একে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ হিসেবে ডাকা হয়। চিলমারী অতিক্রম করে এই নদ তিস্তা নদীর সাথে মিলিত হয়। এরপর দক্ষিণে এটি যমুনা নদী হিসেবে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদী প্রবাহিত হয়ে গোয়ালন্দ ঘাটের নিকটে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে। আর ব্রহ্মপুত্রের মূল ধারা জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই ধারা ভৈরব বাজারে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে। চাঁদপুর জেলায় মেঘনা এবং ব্রহ্মপুত্রের ধারার সাথে মিলিত হয় পদ্মা। এরপর মেঘনা নদী হিসেবে তা দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ
২০০ বছর পূর্বে ১৭৮৫ সালে রেনেলের তৈরি মানচিত্রে ময়মনসিংহের উপর দিয়ে নদের গতিপথ চিহ্নিত হয়েছে। তখন এটিই ব্রহ্মপুত্রের মূল গতিপথ ছিল। ১৭৮২-৮৭ সময়কালের মধ্যে সঙ্ঘটিত ভূমিকম্প এবং ভয়াবহ বন্যার ফলে এর গতিধারা বদলে যায়। ব্রহ্মপুত্রের পানি তখনকার জোনাই খালের সাথে মিলিত হয়ে গঠিত হয় যমুনা নদী। গঙ্গা (পদ্মা), ব্রহ্মপুত্রসহ বেশ কয়েকটি নদী নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিস্তৃত ৩৫৫ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে গঠিত হয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ।

ব্রহ্মপুত্র নদ না নদী?
নদ এবং নদীর মধ্যে পার্থক্য জিজ্ঞাসা করা হলে প্রায়ই যে উত্তর পাওয়া যায় তা হচ্ছে, নদীর শাখা আছে কিন্তু নদের নেই। বহুল প্রচলিত হলেও এই উত্তর সঠিক নয়। যেমন ধরা যাক ব্রহ্মপুত্রেরই কথা। নদ হিসেবে পরিচিত এই ব্রহ্মপুত্র থেকে যমুনা, শীতলক্ষ্যা, বানার, সাতিয়া নামক শাখা নদীর উৎপত্তি হয়েছে। সংজ্ঞা অনুযায়ী কিন্তু ব্রহ্মপুত্রকে নদী বলতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা একে নদ বলি। নদ এবং নদীর মধ্যকার লিঙ্গ বিভাজন সম্ভবত পৃথিবীর এই অঞ্চল ব্যতীত অন্য কোথাও নেই। আর এই বিভাজনের কারণ শাখায় নয়, ব্যাকরণে। পুরুষবাচক নামের ক্ষেত্রের জলধারাকে আমরা নদ হিসেবে ডাকছি। আর নারীবাচক নামের জলধারাকে নদী। সেজন্য ব্রহ্মপুত্র, কপোতাক্ষ হলো নদ, কিন্তু পদ্মা, মেঘনা যমুনা হচ্ছে নদী। তবে এর ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন, আড়িয়াল খাঁ একটি পুরুষবাচক শব্দ হলেও এটি একটি নদীর নাম।

প্রাণের আশ্রয়
বাংলাদেশে পরিচালিত এক জরিপে প্রায় ৬৭ প্রজাতির মাছ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাছ হচ্ছে পাবদা, চিতল, মৃগেল, মিরর কার্প, চীনা পুঁটি, সিলভার কার্প ইত্যাদি। ব্রহ্মপুত্রের সমৃদ্ধ মৎস্য সম্পদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিচিত্র জেলে সমাজ। একসময় শুষ্ক মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের বুক থেকে জেলেরা জনপ্রতি দৈনিক ৫০ কেজির মতো মাছ ধরতে পারতো। তবে নদের পানি দূষিত হয়ে যাওয়ায় এখন তা ১৫-২০ কেজিতে নেমে এসেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নদের বুক থেকে প্রায় ২৮২.৭ হাজার টন মাছ ধরা হয়েছিল। মাছ ছাড়াও বহু প্রজাতির পাখি, সাপ, কচ্ছপ এবং ডলফিনের দেখা মিলেছে ব্রহ্মপুত্রের বুকে। এককালে এখানে কুমির এবং ঘড়িয়াল (মেছো কুমির) পাওয়া যেত বলে জানা গেছে।

ব্রহ্মপুত্রের বিরল গণ্ডার
ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বহু হাতি, বেঙ্গল বাঘ, চিতা বাঘ, বন্য মহিষ, হরিণের মতো প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরা বেঁচে থাকার জন্য ব্রহ্মপুত্রের উপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। আসামের দিকে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে এক-খড়গ বিশিষ্ট গণ্ডারের সন্ধান পাওয়া যেত। বর্তমানে এদের সংখ্যা অনেক কম। আসাম ব্যতীত পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এই প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

নাব্যতা
ব্রহ্মপুত্র তার শক্তিশালী রূপে আবির্ভূত হয়েছে ভারতের আসাম এবং বাংলাদেশের বুকে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভরা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র অত্যন্ত খরস্রোতা এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। সমতল ভূমিতে ব্রহ্মপুত্রের পুরো অঞ্চলই (প্রায় ১১০০ কিলোমিটার) নৌ পরিবহণের চলাচলের জন্য উপযোগী।

বাংলাদেশ এবং আসামে স্থানীয় নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার, ট্রলারে করে মানুষ নদীপথে যাতায়াত করে। এছাড়া বিভিন্ন ভারী কাঁচামাল বোঝাই বাণিজ্যিক নৌযানও ব্রহ্মপুত্র দিয়ে যাতায়াত করে।

বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ফেরী যাতায়াত ব্যবস্থাকে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশে কুড়িগ্রাম, রৌমারী, চিলমারি, বাহাদুরাবাদ ঘাট, সরিষাবাড়ি, জগন্নাথ ঘাট, নাগরবাড়ি, গোয়ালন্দ ঘাট প্রভৃতি ব্রহ্মপুত্রের বুকে গুরুত্বপূর্ণ ফেরী চলাচল কেন্দ্র।

ব্রহ্মপুত্রের প্রাণবন্ত রূপ যেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি। তাই আমাদের সকলের উচিত এই নদের উদ্ধারে এগিয়ে আসা। কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাসাধ্য অবদানের মাধ্যমে এই নদকে বাঁচিয়ে রাখা।

04/07/2023

নতুন পানি
লোকেশন:ফুলবাড়িয়া

29/06/2023

ঈদের খুশি ছড়িয়ে যাক সবার মাঝে।ঈদ মোবারক সবাইকে।

26/06/2023

মনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঘাটাইল,টাংগাইল।
স্থাপিত: ১৯৮৩

21/06/2023

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির ভিতরে

18/06/2023

বাড়ি যাওয়ার পথ।
লোকেশন : মনতলা টু বাঘাড়া।

16/06/2023

প্রিয় জায়গা।
লোকেশন: মনতলা টেংরা বাইদ,ঘাটাইল,টাগাইল।

Address

Mymensingh Sadar
Mymensingh
2200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nikhil posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nikhil:

Share

Category