20/04/2025
ধনকুবের মুকেশ আম্বানি এবং রতন টাটার মধ্যে পার্থক্য কী? দু'জনের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই দেখতে পাবেন রতন টাটা মুকেশ আম্বানির মতো অতোটা ধনী ছিলেন না! ভারতের একটি বিখ্যাত বিজনেস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য এক অভিনব কথা চালু করেছিল- ‘ইনভেস্ট ইন রিলায়েন্স অ্যান্ড ওয়ার্ক ফর টাটা’! অর্থাৎ যদি ব্যবসা করতে চাও তবে রিলায়েন্সের সাথে করো, আর যদি চাকরি করতে চাও তবে টাটা গ্রুপে নাম লেখাও!
কেন এমন কথা? একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে, রতন টাটা আর মুকেশ আম্বানি দু'জনেরই বেড়ে ওঠা একইভাবে। দু'জনেই পৃথিবীর অন্যতম সেরা দুই ইউনিভার্সিটি থেকে নিজেদের এম.বি.এ ডিগ্রি লাভ করেছেন। দু'জনেই পারিবারিক সূত্রে বিরাট ধনী পরিবারের সন্তান।
উভয়ই নিজেদের বুদ্ধি ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তবে, কেন মুকেশ আম্বানি রতন টাটার চেয়ে বেশি ধনী?
এক বিজনেস কনফারেন্সের প্রেস মিটিংয়ে যখন ঠিক এই প্রশ্নটি রতন টাটাকে করা হয়েছিল, উনি মৃদু হেসে জবাব দিয়েছিলেন- 'আসলে আমি একজন সামান্য শিল্পপতি, আর মুকেশ আম্বানি ব্যবসায়ী'। এই ছোট্ট জবাবেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাদের দু’জনের মধ্যকার তফাৎটা। কিন্তু কীভাবে?
রতন টাটার মালিকানায় থাকা টাটা কোম্পানি, বছর শেষে নিজেদের লাভের ৬৬% বিলিয়ে দেয় সাধারণ মানুষের উন্নতি ও অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য। অর্থাৎ টাটা বছর শেষে ১০০ টাকা আয় করলে তার ৬৬ টাকাই দান করে দেয়! কয়েক বছর আগের বার্ষিক আয়ের রেভিনিউ একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, টাটা কোম্পানির বার্ষিক আয়ের রেভিনিউ ছিল যেখানে ১৪৪ বিলিয়ন ডলার, সেখানে রিলায়েন্সের বার্ষিক রেভিনিউ ছিল ৪৪ বিলিয়ন ডলার। ভারতবর্ষে এমন কোন শিল্পপতি নেই, যিনি রতন টাটার মতো নিজের আয়ের ৬৬% মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার সাহস বা মানসিকতা রাখেন!