Alapsalap.com

Alapsalap.com Alapsalap is a promising megazine .

01/05/2025
28/08/2022

একদিন ঠিকই আফসোস করব!

১: ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম জেনেও আমি ফজরে ঘুমিয়ে ছিলাম।

২: কুরআন তিলাওয়াতে অন্তরে প্রশান্তি আসে, তারপরও আমি কুরআন ত্যাগ করেছিলাম।

৩. আল্লাহর যিকির আমার সারাদিনের কাজেকর্মে বরকত আনে জেনেও, অলসতা করে যিকির ছেড়েছি।

৪. ইস্তেগফারে আমার রিযিক বৃদ্ধি জেনেও, গাফেল থেকেছি।

৫. তাহাজ্জুদ আমার জন্য শান্তি, শৃঙ্খলা, সুস্থিরতাসহ আরো অসংখ্য উপকারিতা নিয়ে আসে জেনেও, আমি এমন মহার্ঘ তাহাজ্জুদও আমি হেলাভরে ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়েছি।

৬. তাওবার দরজা সদা-সর্বদা উন্মুক্ত, আমি আজ করছি, কাল করছি করে শুধু পিছিয়েছি।

৭. গুনাহে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও গুনাহ ত্যাগ করলে, আল্লাহ আমার বিপদ দুর করে দিতেন। আমার দুশ্চিন্তা লাঘব করতেন। এটা জেনেও আমি গুনাহে অনঢ় থেকেছি। গুনাহে লিপ্ত থেকেছি।

৮. যে কোনো ভালো কাজ করলেই আমি জান্নাতের আরেকটু কাছে চলে যেতাম। জাহান্নাম থেকে দূরে সরে আসতাম। এটা জেনেও আমি উদাসীন থেকেছি।

একদিন ঠিকই আফসোস করবো।
ইয়া আল্লাহ সুমতি দান করুন। আমীন।

শাইখ আতীক উল্লাহ

12/04/2022

সুন্নাহ ও বিদাত সম্পর্কে কিছু কথা
আরীফ মুহাম্মদ

কিছু ভাইকে দেখি ধর্ম সম্পর্কে বাহ্যিক ভাবে বেশ সচেতনতার পরিচয় দেন। কিছু হতে না হতেই বেদাত সুন্নতের কথা বলেন। এমন কার্যকলাপের মূল অর্থ হল তিনি দীন-ধর্ম সম্পর্কে আসলে খুব সিরিয়াস। এই পর্যন্ত অবশ্য-ই প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু কখন বিদাত আর কখন সুন্নত?! বিদাত সুন্নতের পার্থক্য করণ-টি বাস্তবেই বেশ সুক্ষ ও আত্যান্ত জরুরী।
বিদাতের আভিধানিক অর্থ হল "অভিনব"। যা ইতিপূর্বে ছিল না এমন। অনেকে সহজে বলে থাকেন যা নবী ও সাহাবাদের যুগে ছিল না তাই বিদাত। আভিধানিক দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টিকে ভুল বলা যাবে না। কিন্তু কোরান সুন্নাহর দৃষ্টিতে বিদাত নির্ণয়ে এতটুকুতেই যথেষ্ঠ নয়। বরং বিদাতের যথার্থ ব্যখ্যার পূর্বে একটি বিষয় অবশ্যি বুঝা দরকার। ক্বিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম আল্লাহর নির্বাচিত দীন। দীন-ধর্ম হিসেবে যা হওয়া প্রয়োজন তা আল্লাহ পরিপূর্ণ করে পাঠিয়েছেন। সুতরাং ইসলামে তার মৌলিকত্বে সংযোজন বিয়োজনের উর্ধে। এটা ইসলামের মূল বিশ্বাসের অংশ। কাজেই যে কোন সংযোজন বিয়োজনকে-ই বিদাত বলা হয়।
কাজেই কোরান সুন্নাহর দৃষ্টিতে বিদাত হলঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবাদের যুগে ছিল না এমন কোন কাজকে ইসলামের অংশ হিসেবে অর্থাৎ ইবাদাত হিসেবে পালন করা। সুতরাং দ্বীনের ভাল খিদমতের উদ্দেশ্যে যদি কেও কোন কর্মসূচী পালন করে থাকেন তাহলে এটাকে সাধুবাদ জানাতে হবে যতক্ষন না কেও এটাকে ইবাদত মনে না করে। ইবাদত মনে করলে এখানে ভুল সংশোধনের বিষয় চলে আসবে। যেমন বিভিন্ন ইসলামী এন,জি,ও সংস্থা, ইসলামী বীমা সংস্থা, দাওয়াতী সংস্থা ইত্যাদি। সবগুলো-ই ইসলামের খিদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছে। তাদের কর্ম পদ্ধতিতে যদি কোন কাজকে ইবাদত বিশ্বাস নিয়ে কাজ করা হয় তাহলে বিদাতে রুপ নিবে। আর যদি ইবাদত মনে না করে খিদমত করার এক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে তাহলে অবশ্যি মোবারকবাদের হকদার।
এই রকম অনেক কাজ আছে যা ইসলামের ভাল দিকগুলো প্রচার করছে। অথচ নবী যুগে তা ছিল না। তা সত্বেও ফিক্বাহশাস্ত্রবীদগণ তাকে বিদাত আখ্যা দেন নি। যেমন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, তার পাঠদান পদ্ধতি ও সিলেবাস। এগুলোকে বিদাত বললে কেমন হবে বলে মনে করেন! টিভি ও সেটেলাইট চ্যনেলগুলোতে ইসলামের কথা বলা, কোরান তাফসীর করা, ও টক শোতে অংশগ্রহন করা, বা প্রচার মিডিয়েতে কোন বিষয়ে সাক্ষাতকার দেওয়া। এই সবগুলোকে বিদাত বললে কেমন হয়?! এডুকেশন লাইনে কোন স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়া বিদাত আখ্যা দিয়ে হারাম বলে নবী যুগের মত মসজিদে বসে একজনের কাছে সব কিছু পড়াশোনা করা সুন্নত বলে কেও বললে তাকে আপনি কি বলবেন! মনে রাখবেন তার কাছে কিন্তু প্রমান যুক্তি আছে। সে বলছে রাসূলের যুগে এইগুলি ছিল না। কাজেই সবগুলো বিদাত। রাসূলের যুগে সব কিছু একজনের কাছে শিক্ষা নেয়া হত। কাজেই এখন মসজিদে একজনের কাছে সব শিখতে হবে। কি বলবেন এই ক্ষেত্রে?! মাইক ব্যবহার করা, প্রচার মিডিয়ায় আধুনিক পদ্ধতিগুলোতে ইসলামের কথা বলা, রিক্সা, গাড়ি, মটরযানে আরহণ করা, বিমানে সফর করা বিদাত। আপনার স্বাভাবিক বিচারে কি বলবেন এই ব্যক্তিকে?!
কাজেই শুধু রাসূল যুগে না থাকাটাই যদি বিদাতের মানদন্ড কেও মনে করেন তাহলে মেধার কাজ পেটে করার শামিল। অর্থাৎ বিবেচনা করার কথা মাথা দিয়ে। তা না করে চিন্তা করল পেট দিয়ে। ফলাফল যা হবার তাই হবে।
অনেকে বলে থাকেন তাবলীগ বিদাত। তাদের চিন্তার স্বাধিনতাকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা করে বলতে বাধ্য হচ্ছি অসম্পূর্ন ভাবনা। কারণঃ তারা ইসলামী ফিক্বাহ শাস্ত্রের মৌলিক নিয়মকে পাশকাটিয়েই এই কথা বলছেন। তাবলীগ জামাত ইসলামে কোন বিষয়কে ইবাদত হিসেবে সংযোজন বিয়োজন করেনি। বরং সমাজে মুসলমান্দের ভিতরে ধর্মীয় সচেতনতা, আমল আখলাক্ব বৃদ্ধির এক পদ্ধতি হিসেবে তারা কাজ করছেন। শিক্ষা লাইনে যেমন সময় বিন্নাস থাকে এখানেও তারা সময় বিন্নাস করেছেন। ৩ দিন, ৭ দিন, এক চিল্লা, তিন চিল্লা ইত্যাদি। কিন্তু কখনই তারা বলে না এই সময় বিন্যাস ইবাদত। বরং বলেন এটা একটা পদ্ধতি মাত্র। হ্যাঁ আল্লহর রাস্তায় সময় ব্যয়ে সওয়াব হয় এখানেও তাই। কারণ ভাল কাজে সময় ব্যয় করছে। এই পদ্ধতি কেও পছন্দ করবেন কেও অপছন্দ করবেন এটা ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের বিষয়। কিন্তু বিদাত বললে শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী বলতে হবে। কাজেই সবাইকে অনুরোধ মাথার কাজ পেট দিয়ে করবেন না।
আনেকে বলেন বিন বায (রঃ) এর ফতোয়া আছে। ছালেহ উসাইমিন (রঃ) এর ফতোয়া আছে। বর্তমান আবু ইসহাক হুওয়াইনি দামাত বারাকাতুহুমের ফতোয়া আছে। তাদের ক্ষেত্রেও একি কথা। প্রশ্ন উঠতে পারে আপনি কি তাদের থেকে বেশী বুঝেন? উনারা ভুল করেছেন আর আপনি সঠিক?
আমি বলতে চাই আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে তার বিবেক ও কার্যকলাপের উপর জিজ্ঞাসা করবেন। একজন মহান ব্যক্তি তার পান্ডিত্ব সত্তেও যে কোন ছোট কাজে ভুল করতে পারেন। কারণ তিনি মানুষ। নবী নন। অন্যের ভুল ধরার দৃষ্টিকোন থেকে কাজ করা উচিত নয়। বরং সত্য সন্ধানে আমাদের প্রত্যেকেরই জবাবদিহিতা রয়েছে। নিজের দায়িত্ব পালনেই আমাদের মনযোগী হওয়া প্রয়োজন। এই বিশ্বাস থেকেই আমি নিযের করণীয় সম্পর্কে সর্বাত্নক চেষ্টা করি।
বিদাত আখ্যা দেওয়ার পদ্ধতি ও মৌলিক নিয়ম নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তখন অনেকেই চুপ থেকেছেন; অনেকে বলেছেন বিষয়টি আরো ভাবা লাগবে। আল্লামা আবু ইসহাক হুওয়াইনি মাদ্দাজিল্লুহুর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত হয় নি। কিন্তু তার বেশ কয়জন শিষ্যের সংগে কথা হয়েছে। মতবিনিময়ের পর তারাও চুপ থেকেছেন। বিষয়টি নিয়ে আরো ভাবা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু বিদাত আখ্যা দেয়ার নিয়মনীতি সম্পর্কে তারাও চুপ থেকেছেন।
আসলে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে তার ভাল-মন্দ প্রভাব নিয়ে চিন্তা করে কথা বলাই একজন সুবিবেচকের কাজ। হুট করে বিদাত বলে ফেলা, অন্যের ভুল ত্রুটি তালাশ করা, সচেতনতা সৃষ্টির নামে বিশৃংখলা তৈরী করা স্বল্প জ্ঞান ও ছেলে বাৎসল্যের পরিচয়। আল্লাহর কাছে সবার জন্য তার-ই শিক্ষা দেওয়া প্রার্থনার ভাষায় বলি
ربنا آتنا من لدنك رحمة وهيئ لنا من أمرنا رشدا، آمين

লেখক: আলেম, গবেষক

রোজা ও চিকিৎসা: জেনে রাখা ভালো      হাফেয মাওলানা ডাক্তার আব্দুল বারীঅনেক ডাক্তারের ওয়ালে রোজার মাসআলা সম্পর্কিত নিম্ন ...
05/04/2022

রোজা ও চিকিৎসা: জেনে রাখা ভালো
হাফেয মাওলানা ডাক্তার আব্দুল বারী

অনেক ডাক্তারের ওয়ালে রোজার মাসআলা সম্পর্কিত নিম্ন লিখিত পোস্ট টি দেখে দুয়েকটি কথা বলা দরকার মনে করলাম। আমার এই লেখাটি বিশেষ ভাবে আমার ডাক্তার ভাইদের জন্য।

আসুন, আমরা দেখে নিই সূরা বাকারায় রোজার নির্দেশ সম্পর্কিত ১৮৩ ও১৮৪ নাম্বার আয়াতগুলোতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন কি বলেছেন?

"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।
গণনা করে কয়েকটি দিনের জন্য। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার জন্য অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর রোজা রাখা যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে।
যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।" ..সূরা বাকারাহ, আয়াত, ১৮৩-১৮৪।

উক্ত আয়াতে রোজা রাখার নির্দেশের বাইরে তিন ক্যাটাগরির মানুষের কথা বলা হয়েছেঃ

১। অসুস্থ
২। সফর বা ভ্রমণঃ (৪৮ মাইলের বেশি দূরত্ব।)
এই দুই প্রকারের মানুষ জন্য পরে রোজা কাজা করে নেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

৩। বার্ধক্য বা অন্য কোনো কারণে শরীর এতো দুর্বল যে, রোজা রাখা তাদের জন্য কষ্টকর এবং পরবর্তীতেও রোজা রাখার মত শারীরিক অবস্থা হবে না, তারা ফকির মিসকিন খাইয়ে দিবেন।

অসুস্থতার বিষয়ে সব চেয়ে ভাল বুঝবেন চিকিৎসকগন।
সাধারণভাবে অসুস্থতার মাত্রা ৩ প্রকারঃ
১। মাইল্ড বা মৃদু
২। মডারেট বা মধ্যম
৩। সিভিয়ার বা তীব্র

সিভিয়ার বা তীব্র যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে রোজা না রাখার জন্য অনুমতি দেয়া আছে।
সাধারণভাবে মাইল্ড থেকে মডারেট রোগ নিয়ে রোজা রাখা যেতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারগণ রোজা রাখার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
তবে মেডিকেল ইমার্জেন্সি রোগে রোজা রাখতে গেলে তা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে রোজা না রেখে পরে কাজা করে নেয়ার অনুমতি আছে।
মেডিকেল ইমার্জেন্সি রোগগুলো সাধারণত সিভিয়ার হয়ে থাকে।
যে কোনো মেডিকেল প্রসেডিওর ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন তৈরি করতে পারে।
যে অ্যানজাইনাল পেইনে নাইট্রেট ব্যবহার করতে হয় বা যে অ্যাজমায় ইনহেলার প্রয়োজন পরে, তা সিভিয়ার ডিজিজের মধ্যে পরে।
নিচের মাসআলাগুলোর কোনটি ব্যক্তি পর্যায়ে প্রযোজ্য হলেও সব তথ্য সঠিক নয় ও জেনারেলি প্রযোজ্য নয় বলে মনে হয়। আল্লাহু আ'লাম।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন আমাদের সঠিক বিষয় বোঝার তৌফিক দিন।

"রোজায় চিকিৎসা:
১. রোজা অবস্থায় ইনহেলার, নাকের স্প্রে ব্যবহার করা যাবে।
২. রোজা অবস্থায় চোখ, ও কানের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে।
৩. হার্টের এনজাইনার সমস্যার জন্যে বুকে ব্যথা উঠলে ব্যবহৃত নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট বা স্প্রে জিহবার নিচে ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না।
৪. রোজা রেখে শিরাপথে খাদ্য-উপাদান ছাড়া কোনো ওষুধ ত্বক, মাংসপেশি বা হাড়ের জোড়ায় ইনজেকশান হিসেবে প্রয়োগ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
৫. রোজা রাখা অবস্থায় স্যালাইন বা গ্লুকোজ জাতীয় কোনো তরল শিরাপথে গ্রহণ করা যাবে না।
৬. চিকিৎসার প্রয়োজনে রোজা রেখে অক্সিজেন কিংবা চেতনা নাশক গ্যাস গ্রহণে রোজা নষ্ট হবে না।
৭. চিকিৎসার প্রয়োজনে ক্রিম, অয়েনমেণ্ট, ব্যাণ্ডেজ, প্লাস্টার ইত্যাদি ব্যবহার করলে এবং এসব উপাদান ত্বকের গভীরে প্রবেশ করলেও রোজার কোনো সমস্যা হবে না।
৮. রোজা রেখে দাঁত তোলা যাবে। দাঁতের ফিলিং করা যাবে এবং ড্রিল ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া দাঁত পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশত কিছু গিলে ফেললে রোজা নষ্ট হবে না।
৯. রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষার জন্যে রক্ত দিতে বাধা নেই।
১০. কাউকে রক্তদানে এবং রক্তগ্রহণেও বাধা নেই।
১১. চিকিৎসার জন্যে যোনিপথে ট্যাবলেট কিংবা পায়ুপথে সাপোজিটোরি ব্যবহার করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
১২. পরীক্ষার জন্যে যোনিপথ কিংবা পায়ুপথে চিকিৎসক বা ধাত্রী আঙুল প্রবেশ করালেও রোজার সমস্যা হবে না।
১৩. রোজা রেখে জরায়ু পরীক্ষার জন্যে হিস্টেরোস্কপি এবং আই.ইউ.সি.ডি ব্যবহার করা যাবে।
১৪. হার্ট কিংবা অন্য কোনো অঙ্গের এনজিওগ্রাফি করার জন্যে কোনো রোগ নির্ণয়কারক দ্রবণ শরীরে প্রবেশ করানো হলে রোজার ক্ষতি হবে না।
১৫. কোনো অঙ্গের আভ্যন্তরীণ চিত্রধারণের জন্যে সেই অঙ্গের প্রবেশপথে কোনো ক্যাথেটার বা নালীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তরল রঞ্জক প্রবেশ করালে রোজা নষ্ট হবে না।
১৬. রোগ নির্ণয়ের জন্যে এণ্ডোস্কোপি বা গ্যাস্ট্রোস্কোপি করলেও রোজা নষ্ট হয় না। তবে এণ্ডোস্কোপি বা গ্যাস্ট্রোস্কোপি করার সময় ভেতরে তরল কিংবা অন্য কোনো কিছু প্রবেশ করানো যাবে না যার খাদ্যগুণ রয়েছে।
১৭. রোজা রাখা অবস্থায় না গিলে মাউথওয়াশ, মুখের স্প্রে ব্যবহার করা যাবে এবং গড়গড়া করা যাবে।
১৮. রোজা রাখা অবস্থায় লিভারসহ অন্য কোনো অঙ্গের বায়োপসি করা যাবে।
১৯. রোজা রাখা অবস্থায় পেরিটোনিয়াল কিংবা মেশিনে কিডনি ডায়ালাইসিস করা যাবে।
রোজা রাখা অবস্থায় চিকিৎসা সংক্রান্ত কী কী করা যাবে আবার কী কী করা যাবে না তা নিয়ে যেমন সাধারণ রোগীদের মধ্যে জ্ঞান ও সচেতনতার অভাব রয়েছে, তেমনি নানা সংশয় ও বিভ্রান্তি রয়েছে চিকিৎসকদের মাঝেও। এ সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করার জন্যে ১৯৯৭ সালের জুন মাসে মরক্কোতে অনুষ্ঠিত নবম ফিক্বহ-চিকিৎসা সম্মেলন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সম্মেলনে জেদ্দা ইসলামিক ফিকহ একাডেমি, আল আজহার ইউনিভার্সিটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আলেকজান্দ্রিয়া, মিশর এবং ইসলামিক শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (আইএসইএসসিও) প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এই সম্মেলনের মূল আলোচনার বিষয় ছিল--রোজা অবস্থায় যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ প্রয়োগে রোজা নষ্ট হবে না সে বিষয়ে একটা সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। এ লক্ষ্যে ইসলামিক চিন্তাবিদগণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা ও গবেষণা করে রোজা অবস্থায় ওষুধ প্রয়োগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে সুচিন্তিত তথ্য উপস্থাপন করেন যা ২০০৪ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ হিসেবে প্রকাশিত হয়।
(তবে নাকের ড্রপের ব্যাপারে অনেক স্কলার আপত্তি করেন। অনেকসময় এসব ফিক্বহী বিষয়ে বিভিন্ন স্কলারদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। সব স্কলারের মতামতের প্রতিই আমাদের শ্রদ্ধা থাকা প্রয়োজন।)

নাগরিক জীবনে কত ছোট ছোট দুঃখ কথা থাকে!  কখনো কখনো সেসব কথা উঠে আসে অন্তর্জালের গলি ঘুপচিতে,কখনো বা উঠে আসে বইয়ের পাতায়। ...
02/04/2022

নাগরিক জীবনে কত ছোট ছোট দুঃখ কথা থাকে! কখনো কখনো সেসব কথা উঠে আসে অন্তর্জালের গলি ঘুপচিতে,কখনো বা উঠে আসে বইয়ের পাতায়। আবার কখনো বা যাপিত জীবনের সব প্রকাশিত / অপ্রকাশিত ভাবনা, সবকিছু বদলে দেয়ার তীব্র ইচ্ছা কিংবা নিজেদের নিয়তি মেনে নেয়ার বুকভরা যন্ত্রনা, চায়ের কাপে ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে প্রিয়জনের সাথে আলাপ-সালাপ করেই বাতাসে মিশিয়ে দেই।

নাগরিক জীবনের সেইসব আলাপ-সালাপ আসছে......

31/03/2022

কে তিনি?
-আবু আয়িশা

১২৭৫ সাল।
ইরান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশের সোনারগাঁয়ে প্রবেশ করল একটি কাফেলা। কাফেলার নেতৃত্বে বিখ্যাত এক ব্যক্তি। বাংলায় যার মাধ্যমে বুখারী শরীফের আগমন। এলেন, প্রতিষ্ঠা করলেন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অল্প কিছুদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেল। দেশে দেশে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ল। শিক্ষার্থীরা ভীড় জমালো সেই প্রতিষ্ঠানে । নানা দেশের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল এর ক্যাম্পাস। চর্চা হত জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার। সমাজবিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান সহ বিজ্ঞানের নানা শাখা। পড়ানো হত ধর্মীয় শিক্ষা।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভিসির হাত ধরে বাংলায় বুখারী শরীফের আগমন। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন সূফী দার্শনিক। জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। আজ থেকে প্রায় সাড়ে সাতশত বছর আগে তার প্রচেষ্টায় বাংলায় প্রজ্বলিত হয়েছিল জ্ঞানের মশাল। তার ও তার বংশের প্রদীপ নিভে যাওয়ার সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিজ্ঞান চর্চা থেমে গেলেও হাদীসের জ্ঞান জারি ছিল। এরপর আজ পর্যন্ত বাংলার মাটি ধর্মীয় ও বিজ্ঞান শিক্ষার সমন্বয়ে কোন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় নি। যাদের হাত ধরে বিজ্ঞান এসেছিল এ মাটিতে তারা আজ বিস্মৃতির অতল গহ্বরে নিক্ষিপ্ত। ধর্মীয় অঙ্গনেও তার নাম জানা মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা। তার অবদান ভুলতে বসেছে জাতি।
বলুন তো এ মহান ব্যক্তিটি কে ছিলেন?
কে তিনি?

ছেলেবেলা হারিয়ে যায়-বড় হওয়ার ফাঁকে,আজও কি কেউ বিকেল হলে-খেলবি বলে ডাকে?
31/03/2022

ছেলেবেলা হারিয়ে যায়-
বড় হওয়ার ফাঁকে,
আজও কি কেউ বিকেল হলে-
খেলবি বলে ডাকে?

হরিশংকর জলদাসজীবনের ছবি আঁকেন শব্দে৷ জেলেদের জীবন৷তিনি আমাকে বললেন, "মনে যা উদয় হয় লিখবেন৷ মনকে ফাঁকি দিবেন না৷"আমি লেখা...
30/03/2022

হরিশংকর জলদাস
জীবনের ছবি আঁকেন শব্দে৷ জেলেদের জীবন৷
তিনি আমাকে বললেন, "
মনে যা উদয় হয় লিখবেন৷ মনকে ফাঁকি দিবেন না৷"
আমি লেখালেখি করি জেনে তিনি উৎসাহিত করলেন৷

তিনি লিখলেন,
লাবীব আব্দুল্লাহ
সমাজ কী বলে — না শুনে মন কী বলে শুনুন৷ জীবনের অর্ধেক লড়াই কমে যাবে৷
ভালো থাকুন এই কামনা

হরিশংকর জলদাস
30/3/2021

কোথায় যাবে তোমার মানুষ রেখে?মানুষ কেন হারিয়ে গেলে শেষে, মানুষ পাওয়া শেখে !- সাদাত হোসাইননাগরিক জীবনের আলাপ-সালাপ আসছে...
28/03/2022

কোথায় যাবে তোমার মানুষ রেখে?
মানুষ কেন হারিয়ে গেলে শেষে,
মানুষ পাওয়া শেখে !
- সাদাত হোসাইন

নাগরিক জীবনের আলাপ-সালাপ আসছে...

27/03/2022

নাগরিক জীবনের আলাপ সালাপ আসছে.........

Address

272/8, Golgonda-Mymensingh
Mymensingh
2220

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alapsalap.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share