Arju Da Sailor

Arju Da Sailor A traveller who sails around the world......

22/09/2025

উত্তাল সাগরের ঢেউ এবং রোলিং.....🌊🛳️
বাতাস এবং ঢেউ এর শব্দ শুনতে কোন এডিটিং ছাড়া অরিজিনাল ভিডিও আপলোড দিলাম।

"ভয়ংকর সুন্দর"!!!প্রায় ৬ তলা উচুতে পানি!আজকে(21 sep) সকালে ডিউটিতে গিয়েই দেখি সাগর বেশ উত্তাল।বাতাসের গতিবেগ ৬০ কি.মি./ঘ...
21/09/2025

"ভয়ংকর সুন্দর"!!!
প্রায় ৬ তলা উচুতে পানি!
আজকে(21 sep) সকালে ডিউটিতে গিয়েই দেখি সাগর বেশ উত্তাল।বাতাসের গতিবেগ ৬০ কি.মি./ঘন্টা! সামনে থেকে বিশাল বিশাল একেকটা ঢেউ এসে জাহাজের উপর আছড়ে পরছে! এখন আছি পূর্ব চীন সাগরে।এই আবহাওয়াতেই এতো পরিমাণ " ফিশিং বোট" যে জাহাজ নেভিগেট করাই দুষ্কর! নেভিগেশনের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাস্ত জায়গা হচ্ছে এই "চায়না সী"!প্রচুর দুর্ঘটনাও ঘটে এখানে! পুরো ডিউটির সময়টা RADAR থেকে চোখ সরানো যায় না!ক্যাপ্টেন ব্রিজে(যেখান থেকে নেভিগেট করা হয়) আসলে উনার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই ছবিটা তুলেছি।

এবার একটু ছবির দিকে লক্ষ্য করুন......
৩-৪ মিটার উচু উচু ঢেউগুলো জাহাজের সামনে আছড়ে পরায় পানির স্প্রে ঠিক কতো উপরে উঠছে তার একটা ধারণা দিচ্ছি।সামনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন জাহাজের "ফরোয়ার্ড মাস্ট" বা খুটি দেখা যাচ্ছে।পানি থেকে ওটার উচ্চতা প্রায় ৬০ ফিটের মতো(বেশি হবে বই কম না)! অথচ ওটার উপর পর্যন্ত পানির স্প্রে উঠে যাচ্ছে!অর্থাৎ প্রায় ৬ তলা পরিমাণ উচুতে এক ঝাপটা পানি শূন্যে ভাসছে!তবে সাগর,আকাশ আর পানি মিলিয়ে দৃশ্যটা খুবই চমৎকার লাগছে। এজন্যই এর উপমা দিয়েছি "ভয়ংকর সুন্দর" 💙।

জাহাজের "হেডলাইট"....সাধারণত একটা বাইক কিংবা প্রাইভেট কারের হেডলাইটের আলোতে প্রায় আধা কিলোমিটার সামনে দেখা যায়।তাহলে এতো...
20/09/2025

জাহাজের "হেডলাইট"....
সাধারণত একটা বাইক কিংবা প্রাইভেট কারের হেডলাইটের আলোতে প্রায় আধা কিলোমিটার সামনে দেখা যায়।তাহলে এতো বিশাল জাহাজের হেডলাইটে কতো কিলোমিটার সামনে দেখা যেতে পারে???🤔
-উত্তর হচ্ছে " ২ ফিট" সামনেও স্পষ্টভাবে কিছু দেখা যায় না।
আসলে জাহাজের নেভিগেশন লাইটগুলো একটু অন্য রকম।এই লাইটগুলো সামনে দেখার কাজে ব্যবহৃত হয় না। বরং অন্য জাহাজ যেন লাইটগুলো দেখতে পারে এজন্যই দেয়া।প্রতিটি লাইটেরই আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে।সাধারণত বড় বড় বাণিজ্যিক জাহাজগুলো রাতে নেভিগেশনের সময় সামনে এবং পেছনে দুই মাস্ট(খুটি) এর উপর দুটো হেডলাইট(সাদা) প্রদর্শন করে। এগুলো অনেক উচুতে থাকে।এছাড়া জাহাজের ডানপাশে একটা গ্রীন লাইট,বামপাশে একটা রেড লাইট এবং একেবারে পেছনে একটা হুয়াইট লাইট জ্বালানো থাকে।নিয়ম হচ্ছে হেডলাইটগুলো কমপক্ষে ১১ কি.মি. এবং সাইড লাইটগুলো কমপক্ষে ৫.৫ কি.মি. দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যেতে হবে।কিন্তু বাস্তবে আরও অনেক দূর থেকেই দেখা যায়।তবে এগুলো আলো ছড়ায় না।এই লাইটগুলো দেখে জাহাজের "অবয়ব" বুঝা যায়, মানে ডানপাশ না বামপাশ অথবা জাহাজটা কোন দিক মুখ করে আগাচ্ছে ইত্যাদি নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে জাহাজ "নোঙর" করা থাকলে জাহাজের ডেকের সব লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়।এজন্য নোঙরের জাহাজগুলো অনেক আলোকোজ্জ্বল দেখায়।
কাজেই বুঝতেই পারছেন যে,জাহাজের লাইট সামনে দেখার কাজে ব্যবহার করা হয় না।কেবলমাত্র অন্য জাহাজকে সংকেত প্রদানে প্রদর্শন করা হয়।

"সামুদ্রিক ঝড়"..... 🌪️⛈️🌊আজ(18 Sep) রাতে আমরা একটা ঝড় অতিক্রম করতে যাচ্ছি ইন শা আল্লাহ।এ যাত্রায় পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকটা ...
18/09/2025

"সামুদ্রিক ঝড়"..... 🌪️⛈️🌊
আজ(18 Sep) রাতে আমরা একটা ঝড় অতিক্রম করতে যাচ্ছি ইন শা আল্লাহ।এ যাত্রায় পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকটা রাস্তা শান্তিপূর্ণ ভাবে পারি দিয়ে এসে শেষ মেষ ঝড়ের দেখা পেলাম! আমার জাহাজের বর্তমান অবস্থান দক্ষিণ চীন সাগরে;ফিলিপাইনের উপকূল থেকে প্রায় ১৩০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে। তাইওয়ান প্রণালী হয়ে গন্তব্য চীনের " Tianjin"।

আমরা স্বাভাবিক ভাবেই তাইওয়ান প্রণালীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে ওয়েদার আপডেট আসে যে ফিলিপাইনের পূর্ব দিক থেকে একটা ঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে এবং এটি উত্তর-পশ্চিম দিক মুখ করে দক্ষিণ চীন সাগর অতিক্রম করবে!কাজেই আমরা আমাদের জাহাজের গতি এবং দিক হিসেব করে দেখলাম, এভাবে চলতে থাকলে "ঝড়ের কেন্দ্র" টা আমাদের উপর দিয়ে যাবে! কাজেই ক্যাপ্টেন কোম্পানির সাথে কথা বলে জাহাজের দিক পরিবর্তন করে কিছুটা ফিলিপাইনের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন।এতে করে ঝড়টা অতিক্রম করে চলে যাবে এবং আমরা আস্তে আস্তে তার পেছন দিয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকবো। আমাদের আশেপাশের সব জাহাজ একই কাজ করেছে। এমনকি আমার জাহাজের পাশে "ফাতেমা জাহান ২" নামে একটা বাংলাদেশী জাহাজও আছে।VHF এ কল দিয়ে তাদের সাথেও কথা হলো।
যাইহোক, এখন কথা হচ্ছে ঝড়টা কি বেশি মারাত্মক বা আমরা কি ঝড় আসলে সব সময় এভাবে এড়িয়ে চলি?
-উত্তর হচ্ছে "না"। এই ঝড়টা খুব একটা শক্তিশালী না।বাতাসের গতিবেগ থাকবে প্রায় ৫০- ৬০ কি.মি./ঘন্টা আর ঢেউ এর উচ্চতা ১০-১৪ ফুটের মতো। এগুলো আমাদের জাহাজের জন্য খুব একটা সমস্যা হয় না।এ ধরনের ঝড়কে আমরা "Tropical Depression" বলে থাকি।বাতাস এবং ঢেউ এর সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এ ধরনের ঝড়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবুও দিক পরিবর্তন করা হলো জাহাজের গতির কথা চিন্তা করে।ঝড়ের ভেতর দিয়ে গেলে গতি কমে যাবে,ফলে পৌঁছানোর সময়(ETA) ঠিক থাকবে না।আর তাইওয়ান প্রণালীতে এখন "টাইফুন" এর সিজন চলছে(জুন-সেপ্টেম্বর)!এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একটার পর একটা টাইফুন আসতে থাকবে!এমনকি আজকেরটার পর আগামী ২২ তারিখের দিকে এর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী একটা টাইফুন এই এলাকা অতিক্রম করবে।কিন্তু তার আগেই আমরা এ এলাকা অতিক্রম করে চলে যাব ইন শা আল্লাহ।
এখন ভাবতে পারেন যে আমরা এতে অনেক উচ্ছ্বসিত, কিন্তু না!কেননা এসব ঝড়,বাতাস,ঢেউ,রোলিং-পিচিং ইত্যাদি নাবিকদের নিত্য দিনের সাথী।আর এজন্যই মানুষ এটাকে "এডভেঞ্চার" বলে থাকে।
ছবি: দক্ষিণ চীন সাগর, ১৮সে,২০২৫।

"বার্মুডা ট্রায়াংগেল" এ আমার ৩ দিন......!!!হেডলাইনটা দেখেই হয়তো চমকে উঠছেন।অবশ্য চমকাবারই কথা।কেননা মুটামুটি শিক্ষিত যে ...
15/09/2025

"বার্মুডা ট্রায়াংগেল" এ আমার ৩ দিন......!!!
হেডলাইনটা দেখেই হয়তো চমকে উঠছেন।অবশ্য চমকাবারই কথা।কেননা মুটামুটি শিক্ষিত যে কেউই এই জায়গাটা নিয়ে নানান রকম গল্প শুনে বড় হয়েছেন,নিজে থেকেও করেছেন নানান কল্পনা-জল্পনা। আজকে সেই বার্মুডা ট্রায়াংগেল নিয়ে আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করব.....

প্রথমেই এই ত্রিকোণাকার জায়গাটার অবস্থানটা ক্লিয়ার করি।আ-মেরিকার "ফ্লোরিডা",ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের "পুওর্তো রিকো" এবং "বার্মুডা".... এই তিনটি জায়গা যোগ করলে ত্রিভুজ আকৃতির যে জায়গাটা হয়,সেটিকেই মূলত বার্মুডা ট্রায়াংগেল বলা হয়।এটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত। সাধারণত ল্যাটিন আ-মেরিকা,পানামা অথবা মেক্সিকো থেকে কোন জাহাজ আ-মেরিকার পূর্ব ভাগে যাওয়ার সময় এই ট্রায়াংগেলটা পারি দিতে হয়।আমিও ব্রাজিল থেকে এই রুট হয়েই আ-মেরিকার বাল্টিমোরে গিয়েছিলাম।তবে এখন সেটা নিয়ে কিছু বলছি না।বরং এই ট্রায়াংগেলের ভেতরে জাহাজ নিয়ে " ৩ দিন" ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করছি....।

আমরা বাল্টিমোর পোর্টের বাইরে নোঙর করে ছিলাম।কেননা পরবর্তী গন্তব্য ঠিক হয়নি।কিন্তু আ-মেরিকার আওতাধীন সাগরে থাকলে জাহাজে অনেক দামী লো-সালফার ফুয়েল ব্যাবহার করতে হয়।এতে পরিবেশ কম দূষিত হয়।৭ দিন অপেক্ষার পর কোম্পানি অর্ডার করলো(খরচ বাচাতে),আমরা যেন ২০০ নটিক্যাল সাগরের ভেতরে গিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে কোম্পানির পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করি।যেই কথা সেই কাজ....।আমরা চলে গেলাম উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ভেতরে।জাহাজের ভাষায় এটাকে ড্রিফটিং বলা হয়।বলে রাখি,পৃথিবীর উত্তাল সাগরের মধ্যে উত্তর আটলান্টিক অন্যতম। কয়েকদিন পর পর একটা করে নিম্নচাপ এসে আমাদের অবস্থা নাজেহাল করে যেতো। আবার দু'একদিন ভালো,পরে আবার রোলিং-পিচিং! ইঞ্জিন বন্ধ থাকলেও বাতাস,ঢেউ এবং স্রোতে ভেসে আমাদের জাহাজ প্রতিদিন প্রায় ৭০-৮০ মাইল করে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে এগোতে থাকে।এভাবে যেতে যেতে আমরা চলে যাই বার্মুডা ট্রায়াংগেলের ভেতরে!!!

আমি সেকেন্ড অফিসার এবং ক্যাপ্টেনকে বললাম, কোন সমস্যা হবে না স্যার? উনারা অনেক হাসাহাসি করলেন।বললেন, "এগুলো আ-মেরিকার বানানো গল্প!আসলে কিছুই না"।যাইহোক, তবুও মনে একটা ভয় ভয় কাজ করতো। ভয়ের আরেকটা কারণ ছিলো খারাপ আবহাওয়া! ওখানে বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় প্রায় ৮০ কি.মি. এবং ঢেউ এর উচ্চতা ছিলো ১৫-১৮ ফুটের মতো! এর মাঝে সেকেন্ড অফিসার একদিন বললেন, গত দুই দিন ওয়েদার আপডেট এর কোন মেসেজ আসছে না!এটা শুনে ভয় আরও বেড়ে গেল!কেননা তখন আমি অনেক জুনিয়র ছিলাম।অত:পর ১৭ দিন পর আমরা সেখান থেকে ফ্রান্স এর উদ্দেশ্যে রওনা হই।

এখন আসি আসল কথায়.....
আসলে জাহাজের অফিসারদের কথাই ঠিক।বার্মুডা ট্রায়াংগেলের ওসব গল্পের কোন ভিত্তি নেই!যেসব বিমান এবং জাহাজ দুর্ঘটনার কথা আমরা শুনি,ওগুলো অনেক বছর আগের।তখন প্রযুক্তি ততোটা উন্নত ছিলো না।কাজেই উত্তর আটলান্টিকের বিশাল ঢেউ আর বাতাসের কাছে ওসব জাহাজ টিকে উঠতে পারেনি।আর ম্যাপে তাকালে দেখবেন বার্মুডার আশেপাশে আর কোন দেশ নেই।কাজেই সিগনাল স্টেশন না থাকায় জাহাজগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতো না,যার দরুন উত্তাল ঢেউ সেগুলোকে খুব সহজেই ঘায়েল করে নিতো!এমনকি এখনো ওদিকের সিগনাল স্টেশন তেমন একটা সক্রিয় না,তাই Navtex এ মাঝে মাঝে মেসেজ আসে না।যদি এটা আসলেই বিপদজনক হতো, তাহলে এই জায়গাটা আমাদের জন্য " রেড জোন" করে দিতো।আমরা জাহাজে যে ম্যাপ ব্যাবহার করি,সেটা কতটা নিখুঁত তা কেবল আমরাই জানি।ধরেন, ৩০ বছর আগে একটা জাহাজ ডুবেছে....কাজেই সেই জায়গার গভীরতা একটু কমেছে। এটাও আমাদের ম্যাপে সুস্পষ্টভাবে মার্ক করা থাকে।এছাড়া এসব ম্যাপ প্রতি সপ্তাহে আপডেট করা হয়!কাজেই বুঝতেই পারছেন যে,সো কল্ড বার্মুডা ট্রায়াংগেল যদি আসলেই বিপদজনক হতো তবে তা অবশ্যই আমরা এড়িয়ে চলতাম।
যাইহোক, আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে বার্মুডা ট্রায়াংগেলে আধ্যাত্মিক কোন ব্যাপার নেই।ভৌগোলিক ভাবেই সেখানকার সাগরটা অনেক উত্তাল থাকে(বিশেষ করে শীতকালে)।আর আকাশের অবস্থাও খারাপ থাকায় এবং নিকটবর্তী কোন কন্ট্রোল টাওয়ার না থাকায় প্লেনের পাইলটও পথ হারিয়েছিলেন। হঠাৎ করে পানি সরে গিয়ে গর্ত হয়ে যাওয়া,এলিয়েন ল্যান্ড করা,কম্পাস কাজ না করা.....ইত্যাদি সবই গুজব!
ছবি:বার্মুডা ট্রায়াংগেল, ২০১৯

"বাচ্চা হাঙর"!!! 🐋সময়টা ২০১৯.....আ-মেরিকার " বাল্টিমোর" পোর্টে মালামাল নামিয়ে পোর্টের বাইরে জাহাজ নোঙর করা ছিলো। কেননা আ...
14/09/2025

"বাচ্চা হাঙর"!!! 🐋
সময়টা ২০১৯.....আ-মেরিকার " বাল্টিমোর" পোর্টে মালামাল নামিয়ে পোর্টের বাইরে জাহাজ নোঙর করা ছিলো। কেননা আমাদের পরবর্তী গন্তব্য তখনও ঠিক হয়নি।জাহাজটা খুবই নতুন হওয়ায় কারোরই তেমন কোন কাজ ছিলো না।কাজেই বর্শি ফেলে মাছ ধরেই সবাই সময় কাটাচ্ছিলো।
প্রচুর মাছ ছিলো ওখানে!নানান রকম মাছের সাথে মাঝে মাঝে ছোট ছোট "হাঙর" মাছও ধরা পড়ছিলো। প্রথমে ছেড়ে দিলেও একজন(চাইনিজ) বললো সে নাকি এগুলো খাবে!কাজেই বেশ কয়েকটা রেখে দিল। জাহাজের বাবুর্চি দেখে ঠিক করলো, আজ ডিনারে হাঙর রান্না করবে!একজনকে আবার শুটকি দিতেও দেখলাম(চাইনিজ বলে কথা)!
যাইহোক,ডিনারে গিয়ে দেখি হাঙর মাছ স্টীম করে পরিবেশন করা হয়েছে।দেখেই বমি আসছিলো!!!চাইনিজরা Beer এর কেইজ নিয়ে বসে গেলো টেবিলে।কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এগুলোর টেস্ট নাকি এতো বাজে ছিলো যে চাইনিজরাও খেতে পারেনি!
এছাড়া আমার প্রথম জাহাজে একবার মুটামুটি বড় আকারের একটা হাঙর ধরা পড়ে।ঐ জাহাজের চাইনিজগুলো আবার খুব মজা করে খেয়েছে! মোটকথা তারা তাদের জাতিগত ইজ্জত ধরে রেখেছে যে ওরা সর্বভুক!!!

13/09/2025

প্রায় "৩ লক্ষ" মেট্রিক টন তেলবাহী জাহাজ এবং আমার চলন্ত জাহাজ থেকে সিংগাপুর সিটি..... 🛳️🇸🇬

12/09/2025

বাণিজ্যিক জাহাজে কীভাবে জ্বালানি তেল নেয়া হয়,তেলগুলো কোথায় রাখা হয় এবং তেলের দাম কেমন হয়ে থাকে???
-সব উত্তর এই ভিডিওতে।
📌পোর্ট ক্লাং,মালয়েশিয়া 💙

ইন্দোনেশিয়ান জলদস্যু!!!দক্ষিণ আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগর পারি দিয়ে এখন আছি "মালাক্কা প্রণালী" তে।গন্তব্য মালয়েশিয়ার পোর্...
11/09/2025

ইন্দোনেশিয়ান জলদস্যু!!!
দক্ষিণ আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগর পারি দিয়ে এখন আছি "মালাক্কা প্রণালী" তে।গন্তব্য মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং।মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যবর্তী এই জায়গাটায় জলদস্যুদের প্রকোপ বেড়েই চলেছে!

এই জলদস্যুগুলো সোমালিয়া কিংবা নাইজেরিয়ান দস্যুদের মতো না।বলতে পারেন কিছুটা নিচু মানের দস্যু।কেননা এরা পুরো জাহাজ ছিনতাই করে না!সাধারণত রাতের বেলা স্পীড বোটে করে এসে চলন্ত জাহাজে চুপিচুপি উঠে সরাসরি জাহাজের "ইঞ্জিন রুম" এ চলে যায়।ইঞ্জিন রুম থেকে দামী কিছু "স্পেয়ার পার্টস" নিয়ে পালিয়ে যায়(এসময় ডিউটি ইঞ্জিনিয়ারদের বেধে রাখে)!এদের সাথে বেশির ভাগ সময় ধারালো কিছু অস্ত্র থাকলেও কোন কোন সময় বন্দুক নিয়েও উঠে! বন্দুকধারী হলে ভয় দেখিয়ে অনেক সময় মোবাইল,লেপটপ এবং টাকা পয়সাও নিয়ে যায়!তবে এরা বেশিক্ষণ থাকে না,অল্প সময়ে ডাকাতি করে আবার চলে যায়!
এদের টার্গেট থাকে আমার জাহাজের মতো "বাল্ক ক্যারিয়ার" অথবা "তেলবাহী" ফুল লোডেড জাহাজগুলো। কেননা লোডেড কন্ডিশনে এসব জাহাজের বেশিরভাগ অংশ পানির নিচে থাকায় পানি থেকে জাহাজের ডেকের উচ্চতা কম থাকে।কাজেই খুব সহজেই এরা রশি বেয়ে জাহাজে উঠে যেতে পারে।কিছুদিন আগেও আমার কোম্পানির একটা জাহাজে উঠে অনেককিছু নিয়ে গিয়েছে!এছাড়াও প্রতি মাসেই এখানে কোননা কোন জাহাজে ডাকাতির ঘটনা আছেই!
এখন বলি এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তার জন্য আমরা কী কী করি.....
প্রথমত, জাহাজের চারপাশে কাটা তার লাগিয়ে দেয়া হয়।এরপর জাহাজের পেছনে একজন ক্রু সবসময় তদারকিতে থাকে।আর আমরা নেভিগেশনের সময় ব্রীজেও(যেখান থেকে জাহাজ চালানো হয়) খুবই তৎপর থাকি।এর পরও যদি কোন বোট আক্রমণ করতে আসে,সাথে সাথে নিকটবর্তী "কোস্ট স্টেশনে" জানিয়ে দেয়া হবে যেন কোস্ট গার্ড এসে ব্যবস্থা নিতে পারে।আজ(১১.০৯.২০২৫) রাতে এদিকটা পারি দিব ইন শা আল্লাহ। এর আগেও অনেকবার পারি দিয়েছি,কখনো কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি আলহামদুলিল্লাহ।

সাগরে ভাসমান দৈত্য!!! ছবিতে আবছা আলোকোজ্জ্বল যে বস্তুটি দেখতে পাচ্ছেন, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোর একটি!"২৩ হাজার" ...
09/09/2025

সাগরে ভাসমান দৈত্য!!!
ছবিতে আবছা আলোকোজ্জ্বল যে বস্তুটি দেখতে পাচ্ছেন, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোর একটি!"২৩ হাজার" পিস কন্টেইনার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজটির নাম "CMA CGM SORBONNE"।প্রায় ৩ কি.মি. দূর থেকে ছবিটি তোলায় ছোট দেখাচ্ছে।এমনিতে জাহজটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার(১৩১২ ফুট) এবং প্রস্থ ৬২ মিটার(২০৩ ফুট)!উচ্চতা প্রায় ১৮ তলার সমান! আবারও বলছি এটি "২৩ হাজার" পিস কন্টেইনার নিয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ কি.মি. বেগে ছুটতে সক্ষম!!! জাহাজটির জ্বালানি হিসেবে LNG ব্যাবহার করা হয়।এটি খুবই নতুন একটা পদ্ধতি। কাজেই প্রতিদিন কী পরিমাণ LNG লাগে সে ব্যাপারে আমার ধারণা নেই।
তবে তেলে চালানো হলে এ ধরনের একটা জাহাজের প্রতিদিন প্রায় "২০০-২৫০ টন" জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হয়(ক্ষেত্র বিশেষে আরও বেশি লাগতে পারে) !!!

প্রায় আধা কিলোমিটার লম্বা লোহার তৈরি একটা জিনিস ২৩ হাজার পিস কন্টেইনার সহ পানিতে ভাসছে.....!শুধু ভাসছেই না,বরং ঘন্টায় ৪৪ কি.মি. বেগে ছুটতে সক্ষম! কাজেই এর উপাধি "দৈত্য" ছাড়া আর কিছু হতে পারে না!!!

🇨🇦 #কানাডাতে_ধর্মীয়_দাওয়াত!!!আজকে(১৮-০৮-২০২১ইং)আমার ডিউটির সময় জাহাজে একজন খ্রিস্টান মিশনারী এসেছিলেন। দু'হাতে দুটো ব্যা...
09/09/2025

🇨🇦 #কানাডাতে_ধর্মীয়_দাওয়াত!!!
আজকে(১৮-০৮-২০২১ইং)আমার ডিউটির সময় জাহাজে একজন খ্রিস্টান মিশনারী এসেছিলেন। দু'হাতে দুটো ব্যাগ,বয়স পঞ্চাশোর্ধ হবে।জাহাজে পা রেখেই "গুড মর্নিং" বলে সুন্দর একটা হাসি দিলেন।আমার জাতীয়তা জিজ্ঞেস না করেই বললেন,"হাও মেনী ক্রু ফ্রম বাংলাদেশ"? এটা শুনে আমি মোটেও অবাক হইনি,কেননা পোর্টে আসার পর জাহাজের সব ইনফরমেশনই তাদের কাছে থাকে।কেননা তাদের পরিচালনাধীন "সীম্যান'স ক্লাব" আছে এখানে।এবারে মূল ঘটনায় আসি....

কানাডাতে আমি এই প্রথম আসলাম কিনা জানতে চাইল।যখন বললাম যে এর আগেও ঠিক এই পোর্টেই আরেকবার এসেছি,তখন উনার বুঝার বাকি রইল না যে উনার মতো লোকের সাথে এর আগেও আমার কথা হয়েছে।আজকের এই লোকটি ছিল "হংকং এর বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান"। দু'হাতের ব্যাগগুলো আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,এখানে কিছু শুকনা খাবার এবং আমাদের সীম্যান ক্লাবের কর্মকাণ্ডের ডিটেইলস আছে।আমি আবার এসবে খুবই ইন্টারেস্টেড। নতুন কারো সাথে পরিচিত হয়ে তাদের সম্পর্কে জানতে খুব ভাল লাগে।তাই তার কথা শুনার আগ্রহ প্রকাশ করলাম।উনি কানাডার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা এবং এখানকার লাক্সারিয়াস জীবনব্যবস্থার কথা বললেন।আমি এখনো অবিবাহিত জানার পর খুব করে ব্রেন ওয়াশ করলেন যে এটাই উত্তম সময় নিজেকে কানাডার মতো দেশের নাগরিক করে তোলার।কীভাবে কী করলে খুব সহজেই এখানে এসে স্যাটেল্ড হওয়া যায় সব বর্ণনা করলেন।আর আমি মেরিনার বলে ব্যাপারটা আরো সহজ হবে বললেন।এসব নিয়ে প্রায় ৪০ মিনিটের মতো কথা হলো এবং খুব তাড়াতাড়ি যেন আমায় এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে দেখতে পান সেব্যাপারে উৎসাহী করলেন।তবে উনার একটা ব্যাপারে খুব অবাক হয়েছি যে,উনি খ্রিস্টধর্ম নিয়ে আমার ব্রেন ওয়াস করার চেষ্টা করেননি।কিন্তু ইশারায় ঠিকই বুঝিয়েছেন!যাবার আগে ব্যাগে রাখা বইগুলো(বাইবেল এর অংশ) পড়তে বললেন এবং আমার সাথে একটা সেলফি তুলে চলে গেলেন।

এর আগেরবার কানাডায় এসে সীম্যান'স ক্লাবের যে লোকটার সাথে এসব নিয়ে কথা হয়েছিল,উনি স্থায়ী কানাডিয়ান ছিলেন এবং বাইবেল এর একটি বাংলা গ্রন্থ আমার হাতে দিয়ে বাংলায় বলেছিলেন " ধন্যবাদ"!!! উনার মুখে বাংলা একটা শব্দ শুনে অনেক ভাল লেগেছিল।এরপর উনিও কানাডায় স্যাটেন্ড হওয়ার উপায়গুলো বর্ণনা করে বার বারই ধর্মীয় কথায় চলে যেতেন।বাইবেলই পরম সত্য এবং বিভিন্ন পৃষ্ঠার সংখ্যা বলে আমায় সেই অনুচ্ছেদটি পড়তে বলেছিলেন।আর আমি এতে কী বুঝলাম জানতে চেয়েছিলেন।তখন করোনা ছিল না বিধায় আরাম আয়েশে অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল।কিন্তু সবশেষে আমি উনাকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আমি জন্মগতভাবে যে সত্যটা(ইসলাম) পেয়েছি তাতেই আমি সন্তুষ্ট 😊।

আমেরিকাতেও এমন দুজনের সাথে কথা হয়েছিল।উনারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন।মজার ব্যাপার হলো সবার থীম একটাই!!!প্রলোভন.....!!! আমি লাঞ্চ করতে করতে লম্বা সময় উনাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি বলে এবং উনাদের দেয়া ম্যাগাজিনগুলো নিয়েছি বলে খুশি হয়ে ভেবেছিলেন আমি পটে গিয়েছি।তবে ইসলামের ব্যাপারেও উনাদের বেশ ভাল জ্ঞান ছিলো।আমায় বুঝালেন আমরা একই বাবার সন্তান।উনারাও ইব্রাহিম (আঃ) কে জাতীর পিতা মানেন...এই সেই অনেক কিছু। কিন্তু পরিশেষে আমি হাসিমুখে উনাদের বুঝিয়েছিলাম যে,"আপনারা যদি আমায় ১০ মিলিয়ন ডলার দেন..... তাহলে আমি অনেক খুশি হব।কিন্তু সন্তুষ্ট হব না।মনে হবে আরো দেন,আরো দেন!!!আর আমার কাছে ইসলাম এমন একটা সম্পদ যা নিয়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট, আর কিছু খোঁজার আগ্রহই আসে না মনে"।এরপর যাবার আগে উনারা জানতে চাইলেন জাহাজে আমি নামাজ আদায় করি কিনা।উত্তরে "অবশ্যই" বলাতে তারা আমার কাধে হাত রেখে বলেছিলেন...."চালিয়ে যাও,তোমার মূল্যবান সময়ের জন্য ধন্যবাদ"।
পরিশেষে এটুকুই বলব যে,এসব প্রলোভনকে আমার কাছে সুযোগ বলে মনে হয় না!মনে হয় শয়তানের পাতা এক একটা ফাদ!!!আর এতো উচ্চ বিলাসী জীবন আমি কখনোই চাই না। ইউরোপ-আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হবার লালসাও কাজ করে না আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি কখনো অন্য দেশে চলেও যাই,তবু নিজের ধর্মকে বিক্রি করতে যাব না কখনোই!!!নিজের মেধা/শ্রম দিয়েই করব ইন-শা-আল্লাহ। তবে আখিরাতের চিন্তা বাদ দিলে এসব দেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কতোটা সহজ সেটা এখানে এসেই বুঝতে পারছি!
আল্লাহ যেন এসব কুপ্রস্তাব থেকে সবাইকে দূরে থাকার তাওফিক দান করেন-আমীন।
ছবি📍: Vancouver, Canada (2021)

সাগরে ভাসমান সমাধি! ছবিতে হলুদ রঙের যে ক্যাপসুলটি দেখতে পাচ্ছেন এটার ভেতরে "ডেড বডি/লাশ" রয়েছে!দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন...
07/09/2025

সাগরে ভাসমান সমাধি!
ছবিতে হলুদ রঙের যে ক্যাপসুলটি দেখতে পাচ্ছেন এটার ভেতরে "ডেড বডি/লাশ" রয়েছে!

দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন এর উপকূলে এই ভাসমান সমাধিগুলোর দেখা মিলে।এর আগে যে জাহাজে ছিলাম, সেটা প্রতি মাসে প্রায় দুইবার এই জায়গাটা পারি দিত। কাজেই প্রতিবারই এগুলোর দেখা মিলতো।যদিও আমি জানতাম না এগুলো আসলে কী? আমি ভাবতাম ফিশিং নেট!কেননা জেলেরা সাধারণত এভাবে ফ্যান্ডার এর সাথে জাল বেধে সাগরে ছেড়ে রাখে।কাজেই এগুলো সামনে আসলে আমি জাহাজের দিক খানিকটা পরিবর্তন করে পাশ কাটিয়ে চলে যেতাম।

হঠাৎ একদিন এটার আসল রহস্য জানতে পারি!আমার জাহাজের খুব কাছাকাছি একটা "লাশ বাহী" ক্যাপসুল ভেসে যাচ্ছিলো। তখন "ক্যাপ্টেন" নিজেও ব্রিজে(যেখান থেকে জাহাজ নেভিগেট করা হয়) ছিলেন।ক্যাপ্টেন এটা দেখে আমায় সতর্ক করে দেন যেন এগুলোকে এড়িয়ে চলি।আমি বললাম "হ্যা স্যার,ফিশিং নেট এগুলো.... খুব ছোট বিধায় RADAR এ-ও ধরা পরে না স্যার"। ক্যাপ্টেন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, " তোমায় কে বলেছে এগুলো ফিশিং নেট!?এগুলোর ভেতরে ডেড বডি!!!"
ক্যাপ্টেন এর কথা শুনে আমার গা শিউরে উঠলো!তারপর ক্যাপ্টেন খুলে বললেন যে,ফিলিপাইনে একটা গোষ্ঠী আছে যারা কিনা মৃত ব্যাক্তিকে এভাবে সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে থাকে।উনি হেসে বললেন এটা খুবই ভালো.... প্রকৃতি থেকে আগমন, আবার প্রকৃতির মাঝেই হারিয়ে যাওয়া।
আমি এসব শুনছিলাম আর চিন্তা করছিলাম যে কতো বার এদিক পারি দিয়েছি,কতো কতো লাশের ভেলা দেখেছি।অনেক সময় রাতের বেলায় পারি দিয়েছি!এগুলোতে লাইট না থাকায় হয়তো দেখিনি,তখন হয়তোবা কোনটা জাহাজের প্রোপেলারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে..... নানাবিধ চিন্তা!অনলাইনে এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করেও খুব বেশি একটা তথ্য পাইনি।এমনকি এর পর থেকে দোয়া করতাম যেন দিনের বেলা জাহাজটা এই জায়গা অতিক্রম করে,কিংবা আমার ডিউটিতে এই এরিয়াটুকু না পরে!!!কেননা ছোট থেকেই এসবে আমি খুব ভয় পাই!
এখন আবারও ছবির দিকে লক্ষ্য করুন,খুব সম্ভবত ওখানে মৃত ব্যাক্তির নাম লিখা থাকে।আর প্রতিটি ক্যাপসুলেই একটা "তালপাতা"র খুটি দেয়া থাকে।খুব বেশি দূর যেন ভেসে না যায় এজন্য নিচে একটা ব্যাগের মতো ঝুলানো থাকে....আমরা জাহাজের ভাষায় এটাকে " সী এংকর" বলি।এই ছবিটা তোলার জন্য ইচ্ছে করে জাহাজকে খুব কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলাম।

যাইহোক, আজব এই দুনিয়া.....আজব দুনিয়ার মানুষ। নানান জাতি, নানান বিশ্বাস, নানান সংস্কৃতি...... কিন্তু একটা জায়গায় সবাই এক!!!সেটা হচ্ছে "জন্ম-মৃত্যু"!

Address

Mymensingh
2216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Arju Da Sailor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share