06/08/2024
ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান রাখুন।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
অনেকেই বলতেছে স্বৈরাচারী সরকার এতো এতো টাকা লুট করে নিয়ে গেছে তার বেলা কিছু না এখন গণভবন থেকে সামান্য জিনিস লুট হচ্ছে দেখে সবার মায়া হচ্ছে।
এগুলো যারা মনে করছে তারা আসলে বুঝেই নাই কেন ছাত্ররা রাজপথে নেমেছিলো। স্বৈরাচারী সরকারের এতো লুট, গুম, অন্যায়, অত্যাচারের কারণেই ছাত্ররা মাঠে নেমেছিলো। আর আপনি সেটা অনায়াসে বলছেন তার বেলা কিছুই না?
ছাত্র-নাগরিক সবাই একত্রিত হয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটালাম,আবার আমরাই সেই স্বৈরাচারের মতো লুট, জ্বালাও, পোড়াও,ভাংচুর কাজে লেগে পরলাম। তাহলে সেই স্বৈরাচার আর আমাদের মাঝে পার্থক্য থাকলো কি?
যারা এই আনন্দ-উল্লাস নামে লুট,জ্বালাও,পোড়াও কে সমর্থন করছেন প্রশ্ন থাকলো তাদের কাছে।
আপাত দৃষ্টিতে হয়তো আপনার মনে হচ্ছে, গণভবনের এই সামান্য লুট, স্বৈরাচারীর সমর্থনকারীদের বাড়িতে জ্বালাও,,পোড়াও, ভাংচুর এগুলো খুবই সামান্য। কিন্তু না এগুলা সামান্য না। এর রেশ গড়াতে পারে অনেক দূর।
আপনার প্রতিবাদের খবর যেমন বহির্বিশ্বের কাছে পৌঁছেছে,আর তারা আমাদের সমর্থন করেছে। তেমনি এগুলোও পৌঁছাবে, তখন তারাই আবার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে পারে এ কেমন স্বাধীনতা, এ কেমন বিজয়? এগুলোর জন্যই কি আমরা সমর্থন করেছিলাম? তখন কি উত্তর দিবেন?
আর তাছাড়া এখনো অনেক সুযোগ সন্ধানীরা ওত পেতে বসে আছে শেষ মরণ কামড় দেওয়ার জন্য। জিদের বসেই নিজ বাড়িতে আগুন জ্বালিয়েই ছাত্রদের নাম দিতে পারে।ছাত্রদের ইমেজ খারাপ করে দিবে সবার কাছে। আর সেটা সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতেও বেশি দেরি লাগবে না। কারণ ঐযে দেখবে স্বাধীন হওয়ার পর বিজয় উল্লাস নামে লুট হয়েছে,যেটাকে আপনি সামান্য লুট, কিছুই না লুট বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। এটাকে কেউ আর সামান্য লুট বলে সমর্থন করবেন না প্লিজ 🙏
নিজের বিবেক কে কাজে লাগান। যা ক্ষতি করার সেটাতো আমরা করেই ফেলেছি, এখন এই সব লুট,জ্বালাও,পোড়াও,ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজে বিরত থাকুন, অন্যকেও রাখুন।
দেশ যেমন স্বাধীন করেছেন, তেমনি স্বাধীনতাও রক্ষা করুন।
Mahmuda Mim ✍️