07/12/2023
রাসূলুল্লাহ (স.)- এর একজন লেখক আবু রিবয়ী হানজালা বিন রাবি উসাইয়িহী (রা) বলেন, একদা আবু বকর (রা) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, 'হে হানজালা, তুমি কেমন আছো?' আমি বললাম,' হানজালা মুনাফিক হয়ে গেছে'। তিনি আশ্চর্য হয়ে বললেন,' সুবহানাল্লাহ! এ কি কথা বলছো!'
আমি বললাম,' কথা এই যে, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (স.)- এর নিকটে থাকি, তিনি আমাদের সামনে এমন ভঙ্গিমায় জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা করেন যেন আমরা তা নিজ চোখে দেখছি। অতঃপর যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (স.)- এর নিকট থেকে বের হয়ে আসি, তখন স্ত্রী সন্তান-সন্ততি ও অন্যান্য পার্থিব কারবারে ব্যস্ত হয়ে অনেক কিছু ভুলে যাই'।
আবু বকর (রা) বললেন, 'আল্লাহর কসম, আমাদেরও তো এই অবস্থা হয়'। কাজেই আমি ও আবু বকর (রা) গিয়ে রাসূলুল্লাহ (স.)- এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। অতঃপর আমি বললাম, ' হে আল্লাহর রাসূল, হামজালা মুনাফিক হয়ে গেছে'। রাসূলুল্লাহ (স.) বললেন, ' সে কি কথা!'
আমি বললাম, ' হে আল্লাহর রাসূল, আমরা যখন আপনার নিকটে থাকি তখন আপনি আমাদেরকে জান্নাত জাহান্নামের কথা এরূপে শোনান যেন আমরা তা প্রত্যক্ষভাবে দেখছি। অতঃপর আমরা যখন আপনার নিকট থেকে বের হয়ে যাই, তখন অনেক কথা ভুলে যাই'।
এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (স.) বললেন, ' সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা সর্বদা এই অবস্থায় থাকতে যে অবস্থাতে তোমরা আমার নিকটে অবস্থান করো এবং সর্বদা আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকতে তাহলে ফেরেশতাগণ তোমাদের বিছানায় ও তোমাদের পথে তোমাদের সঙ্গে মুসাফাহা করতেন। কিন্তু হে হানজালা, সর্বদা মানুষের এক অবস্থা থাকে না। কিছু সময় ইবাদতের জন্য ও কিছু সময় সাংসারিক কাজের জন্য'। তিনি এ কথা তিনবার বললেন।
সূত্র: মুসলিম ২৭৫০, তিরমিযী ২৪৫২