Picci Writer

Picci Writer "You Don't Want Heaven But You Act In This World As If Heaven Wants You. "
— Hazrat Ali (RA)
❤️❤️❤️❤️

༆••༉🥰࿔࿔••ღ࿐༅༅🌸🖤 ༊••༅༅আমাদের ইচ্ছার থেকে আল্লার༆••🍁 🥀➺সিদ্ধান্ত উত্তম➺🥀 ༊••༅༅কারন তিনি যা করেন আমাদের❥••༅༅🌻🥀 🌺 ●─༅༅ভালোর ...
04/12/2023

༆••༉🥰࿔࿔••ღ࿐༅༅🌸🖤 ༊••༅༅আমাদের ইচ্ছার থেকে আল্লার༆••🍁 🥀➺সিদ্ধান্ত উত্তম➺🥀 ༊••༅༅কারন তিনি যা করেন আমাদের❥••༅༅🌻🥀 🌺 ●─༅༅ভালোর জন্যই করেন●─༅༅.
🖋️Picci Writer🖋️

Me or My Life Petner
29/11/2023

Me or My Life Petner

28/11/2023

Attitude Level 999+|| Farhan Attitude Vedio

গোয়েন্দা_রহস্য  # পর্ব-০২ #লেখক- Picci Writer ------------------------রিয়াজের দৌড়ের গতি এতোই বেশি ছিলো যে, পানির উপর দিয়...
25/11/2023

গোয়েন্দা_রহস্য
# পর্ব-০২
#লেখক- Picci Writer
------------------------
রিয়াজের দৌড়ের গতি এতোই বেশি ছিলো যে, পানির উপর দিয়ে বাতাসের মতো চলে যায় জঙ্গলের ভিতর। রনি হা করে দাড়িয়ে আছে, আর মনে মনে বলল
- শালা আমাকে একা রেখেই চলে গেলো।আমি কিভাবে যাবো। তারে জিজ্ঞেস করলেও বলবে এইটা রহস্য, আমার চুল।
এইটা বলে রনি নদীর পাড়েই অপেক্ষা করতে থাকে৷ এদিকে রিয়াজ জঙ্গলের ভিতর যে গেছে, এখনো ফেরার নাম নেই। রাত প্রায় ৩ টা বাজতে যাচ্ছে।
এদিকে রিয়াজ সাপটির পিছু নিতে নিতে চলে যায় জঙ্গলের গভীরে। অনেক্ক্ষণ পিছু নেওয়ার পর হটাৎ রিয়াজ সাপটিকে হারিয়ে ফেলে। অর্থাৎ জঙ্গলের কোনদিকে সাপটি চলে গেছে, তা রিয়াজের বেখেয়ালীর জন্য মিস্টেক হয়ে যায়। এবার রিয়াজ পুরো থেকে যায়। ধীরে ধীরে চারপাশ চোখ বুলিয়ে বুঝার চেষ্টা করে যাচ্ছে কোনোদিকে শব্দ শুনা যায় কিনা। অন্ধকার রাতের চাদনী এক রশ্মির আলোটাও জঙ্গলের মাটিতে স্পর্শ হতে বাধা খাচ্ছে। উচু বিশাল গাছের পাতার নিচে ঢেকে যায় অন্ধকার। আলোটা আটকা পড়ে পাতার উপরেই। রিয়াজ তবুও মনপ্রান দিয়ে খুজে যাচ্ছে সাপটির গমন পথ কোথায়। কিছুক্ষণ পর রিয়াজ বুঝতে পারে, দূরে কোথাও কোনো মেয়ের চিৎকার। সঙ্গে সঙ্গে রিয়াজ কান খাড়া করে শুনার চেষ্টা করছে, চিৎকারের শব্দ কোথা থেকে আসছে। ধ্বনিটাকে ফলো করে রিয়াজ এগুতে লাগলো আবার। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর হটাৎ রিয়াজ আবার দাড়িয়ে পড়ে৷ ওর মনে হচ্ছে আশেপাশে কেও তাকেই ফলো করে যাচ্ছে। এবার একটু ভয় পেয়ে যায় রিয়াজ। ওর উপস্থিতি কারো চোখে পড়ে যায়নি তো? রিয়াজ এবার নিজেই তাকে ফাকি দেওয়ার জন্য এক দৌড় দেয়।আর ওমনি পিছন পিছন কারো ছুটে আসার শব্দ ভেসে আসে। রিয়াজ মনে মনে ভাবছে, আসলাম কাওকে ফলো করতে, এখন আমার পিছনেই কেও ফলো করতেছে। কিন্তু সে কে৷ দৌড় অবস্থায় রিয়াজ এর রহস্য খুজতে লাগলো৷কিন্তু এবার আর পালানোর গতি নেই৷ রিয়াজ দৌড়ের মাঝেই হুট করে একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে যায়। আর ওমনি দেখতে পায়, সেই বিশাল বড় সাপটি ঝড়ের গতিতে, সামনের দিকে এগিয়ে গেলো। অবশেষে রিয়াজ রহস্য পেয়ে গেছে। রিয়াজ ভাবলো, যখন সে নিজে সাপের পিছন নিচ্ছিলো,তখন এইভাবেই সাপটি লুকিয়ে যায়।আর রিয়াজ ছুটে চলে যায়। আবার সেম কাহিনি ঘটলো সাপটির সঙ্গে। অর্থাৎ এখন পিছু নিলে,আবারো সেম ঘটনা হবে। আর না হবারও কোনো কারণ নেই। কারণ, সাপটিও সাধারণ কেও না। রিয়াজ সিদ্ধান্ত নেয়,আপাতত জঙ্গল থেকে বের হয়ে যাবে। পুরো সব কিছু জেনে,প্রস্তুতি নিয়েই পরে আসবে। এরপর রিয়াজ গাছের আড়াল থেকে বের হতেই দেখে, একটা কালো জামা পরিহিত লোক রিয়াজের থেকে মাত্র ৫ দূরে দাড়িয়ে আছে৷ লোকটির পুরো গায়ে কালো একটা জ্যাকেট। আর মাথায় কালো একটা টুপি৷ যার জন্য মুখটাও দেখা যাচ্ছেনা। রিয়াজ এখন মূর্খের মতো এইটা ভাববেনা, লোকটি কে।এখন কাজ হচ্ছে,লোকটি কি চায় সেটা বুঝা। রিয়াজও লোকটির দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে। আর প্রস্তুতি নিয়ে আছে, এট্যাক করলেই পাল্টা এট্যাক করার জন্য। রিয়াজ বুঝতে পারে, লোকটির হাত পিছনে দেওয়া। এরপর সোজা পায়ের দিকে খেয়াল করে রিয়াজ। আর দেখতে পায়, একটা ধারালো তলোয়ার মাটিতে স্পর্শ করেছে। অর্থাৎ লোকটির পিছনে তলোয়ার আছে। আর তলোয়ার এভাবে লুকিয়ে রাখার অর্থ গোপনীয় এট্যাক করবে সে। রিয়াজ এবার এদিক সেদিক চোখ বুলিয়ে দেখে, আশেপাশে কিছুই নেই৷ আর ওমনিই লোকটি হুট করে এক লাফ দিয়ে এসে রিয়াজের গায়ে তলোয়ার চালিয়ে দেয়..........।
লোকটি তলোয়ার তুলে দেখে, তলোয়ারের নিছে কিছুই নেই। অর্থাৎ রিয়াজ চোখের পলকেই পালিয়ে গেছে। এরপর রিয়াজ একটা গাছের ডাল ভেঙে,উড়ে এসে লোকটি পিঠে ধামম করে আঘাত করে। সাথে সাথে লোকটি উপচে পড়ে মাটিতে। রিয়াজ এক দৌড়ে গিয়ে, লোকটির তলোয়ারটা নিয়ে নেয়। লোকটি মাটিতে পড়ে বলতে লাগলো " ইস্ক্রিভ্রান্থবু কাচিয়াথুনবাইলাস্টাইন গ্রুঠ গ্রুঠ"। আর সঙ্গে সঙ্গে রিয়াজের হাত থেকে তলোয়ারটা অটোমেটিক লোকটির হাতে চলে যায়। এবার রিয়াজ বলল" শাপুকিং হস্তুনিষ্ট"। আর সাথে সাথে লোকটি কাতর হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। অর্থাৎ লোকটি সকল শক্তি রিয়াজের হাতে চলে আসে৷ এবার রিয়াজ যেটাই বলবে,সেটাই হবে। লোকটি কাতরাতে কাতরাতে বলল,
- ছেড়ে দে আমায়।
- হ্যাঁ, তা তো ছাড়বোই৷ কিন্তু কে তুই। আর আমাকে কেনো মারতে চাস।
- তুই তো সে আশিরার লোক তাইনা?
- আশিরা কে?
- এই জঙ্গলের রাজা।
- ওও আচ্ছা, এই তাহলে রহস্য।
- কিসের রহস্য আবার।
- অর্থাৎ, যার পিছনে আমি ছুটতেছি, সে এই জঙ্গলের রাজা। আর তার নাম আশিরা। তুই তাকে মারতে এসেছিস। কিন্তু ভুল করে আমাকেই মারতে চাইছিস।
- কিভাবে বুঝলেন?
- তোর যে মায়াবিদ্যা দেখলাম, এতে বুঝাই যাচ্ছে তুই এখানের এট্যাক কারী না, এট্যাক করতে এসেছিস। আর আমাকে সন্দেহ করা মানে অর্থ, তুই প্রতিশোধ নিতে এসেছিস।তোর দেহের অঙ্গিভঙ্গি স্পষ্ট বলে দিচ্ছে, তুই প্রতিশোধ নিতেই এসেছিস। কিন্তু তুই কে।আর কিসের প্রতিশোধ নিবি।
- তুই কে তা বল। আর এখানে কেনো ।
- আমি রিয়াজ। এখানে কয়েকটা মেয়েকে উদ্ধার করতে এসেছি।
- ও, আর আমি রবি৷ আশিরাকে মারতে এসেছি।
- তো এখানে শুয়ে রইলি কেনো।যা মার?
- আরে,আগে আমাকে ছেড়ে তো দে।
- হ্যাঁ এইটাই। আমার কাছেই তুই পরাজিত, তবে আশিরাকে কিভাবে মারবি।
- যেভাবেই মারি। এখন ছাড় আমাকে।
- এক কাজ কর, আমরা বন্ধু হয়ে যাই। এক সাথে আশিরাকে মারবো।
- তাহলে তো আরো ভালো।
এরপর রিয়াজ তাকে মুক্তি দিয়ে দেয়। রবি রিয়াজকে আশিরার গোহার চিহ্ন দেখিয়ে দেয়। দুজন মিলেই এক সঙ্গে রওনা হয় আশিরার গোহায়। রিয়াজ ও ঝড়ের গতিতে ছুটে যাচ্ছে, রবিও সেম ভাবে। এদিকে রনি নদীর পাড় থেকে দেখতেছে, পাহাড়ের একটা অংশের গাছপালা গুলো নড়াচড়া খাচ্ছে। রনি বুঝতে পারে, ওটা রিয়াজই হবে। এদিকে সময়ও প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। ফজরের আজানের আর ১৬ মিনিট বাকি। রিয়াজ আর রবি অবশেষে একটা গোহার মাঝে ঢুকে পড়ে। গোহার গেটে যেতেই রিয়াজ বলল, " রবি, তলোয়ারটা এদিকে দাও, তুমি এখানে দাড়াও, আমি ইশারা দিকে আসবি "। রিয়াজের কথায় রবি সহমত দেয়। রিয়াজ রবির হাত থেকে তলোয়ারটা নিয়েই, রবির পেটে ঢুকিয়ে দেয়। তলোয়ার ঢুকিয়ে দিয়েই রিয়াজ উচ্চস্বরে হাসতে থাকে।রবি মরা মুরগির মতো চটপট করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রিয়াজ বলল,
- কি ভাবছিস? আমি তোকে চিনবোনা?
- মানে কি রিয়াজ?
- হা হা হা, রহস্যের সাথে রহস্য খেলা দেখাতে আসিস? তুই যখন এট্যাক করেছিলি, তখন তোর ভাব ছিলো ভয়ংকর। প্রতিশোধের না। তোর কথার ভাজে প্রতিশোধ থাকলেও, প্রতিশোধের রুপ ছিলোনা। তখনই ভেবে নিয়েছি, এই ঘটনা তোর সাথে নয়, অন্য কারো সাথে ঘটছে। আর আর তুই তার রুপ ধারণ করে বানিয়ে গল্প শুনাচ্ছিস। এরপর গোহার চিহ্ন দেখিয়ে তুই কি ভাবছিস, আমি তোকে চিনবোনা? যেখানে তুই প্রতিশোধ না নিয়েই গোহা মুখস্থ করে ফেললি। সেটা অসম্ভব। কারণ আশিরার গোহায় গেলে, মেরে আসতে হবে,নয়তো নিজেকে মরতে হবে। সেখানে করলি আরেক ভুল। আর এখানে আসার সময় তুই এমন ভাবেই আসছিলি, যেখানে সতর্কতা ছিলোনা। অর্থাৎ বুঝে গেছি এইটা তোর নিজেরি গোহা। আর এর ভিতরে আসল রবি নামের কোনো লোক আছে।
- তুই বাচবি না। ওরা তোকে ছাড়বেনা।
- হ্যাঁ আমি জানি,আমাকে ফাসানোর এইটা একটা ফাদ ছিলো। কিন্তু আগেই বলেছি, রহস্যের সাথে রহস্য নিয়ে খেলতে এসোনা, নিজেই পেচ খেয়ে যাবে।
এইটা বলেই রিয়াজ তলোয়ার আরো জোরে ঢুকিয়ে দেয়। আর ৫ সেকেন্ড পরেই বাতাসের সঙ্গে কালো ধোয়ায় মিলিত হয়ে যায় শয়তানটি। রিয়াজ গোহার মাঝে ঢুকে দেখে, একটা লোকের হাত পা শিকল দিয়ে বেধে দেওয়া। রিয়াজ লোকটিকে কাধে করে গোহার সামনে নিয়ে আসে। আর এসেই দেখে, গোহার সামনে সেই সাপ ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিয়াজের দিকে। সাপটি এতোই বড় যে, রনি নদীর পাড় থেকে দেখছে,পাহাড়ের উচু ঢালুতে লম্বা কি একটা যেনো নড়াচড়া করছে।
চলবে..........?????

গোয়েন্দা_রহস্য
#পর্ব-০২
#লেখকঃ-Picci writer
......
( এখন কি হবে? সাপটিকে কিভাবে আটকাবে? আর আশিরার ঠিকানা কিভাবে পাবে? রবির মতলব কি? এখনো আশিরার অব্দিই যেতে পারেনি রিয়াজ,তারমানে কি সে খুব শক্তিশালী? রহস্য রহস্য রহস্য।
.......
যারা আমার গল্পটি কপি করেন, তাদের আমরা কিছু বলতে পারিনা। কারণ আমাদের বিচার চাওয়ার অপরাধে আইডি হারাতে হয়। তো কপি যারা করেন তাদেরকেই বলি, গল্পে লেখকের নামটা ঠিকঠাক রাখেন। এরপর কপি দিন। আর যারা নিজেদের নাম বসিয়ে ক্রেডিট নেয়, তাদের ব্যাবস্থা আপনারাই নিন, যারা আমার গল্প পড়েন। কি করবেন সেটাও বলি৷ কপিবাজের পোষ্টের কমেন্টে আমার আইডির লিংক দিয়ে দিন। অন্তত পাঠকরা আসল লেখককে খুজে পাবে। কারণ চোর চোরই থাকবে,তাদের চেঞ্জ করা যাবেনা।

গল্প:- গোয়েন্দা রহস্যলেখক:-Picci Writer ফারিয়ার বুকের উপর অনেক বড় এক সাপ। ভয়ে ফারিয়া চোখ বন্ধ করে ফেলে। কিছুক্ষণ পর ফারি...
24/11/2023

গল্প:- গোয়েন্দা রহস্য
লেখক:-Picci Writer

ফারিয়ার বুকের উপর অনেক বড় এক সাপ। ভয়ে ফারিয়া চোখ বন্ধ করে ফেলে। কিছুক্ষণ পর ফারিয়া বুঝতে পারে, সাপটি তাকে ধর্ষণ করতেছে। ফারিয়া চোখ বন্ধ করে কান্না করতে লাগলো। একটা সাপের যৌনাঙ্গ কিভাবে হতে পারে কাওকে ধর্ষণ করার জন্য। একদিকে কষ্ট তো হচ্ছেই, অন্যদিকে জীবন বাচাতে সে চুপ মেরে আছে। দাতগুলো খিটমিট করে চাপাতে লাগলো। অনেক্ষন পর সাপটি ফারিয়াকে ছেড়ে নেমে যায়। ফারিয়া শুয়া থেকে উঠে দেখে নিজের নিম্নাংশে রক্ত বয়ে যাচ্ছে। এরপর আর কিছু মনে নেই তার।
একই ঘটনা ঘটে গেলো ফারিয়ার বান্ধবী মিমের সাথে। মিমকেও একটা সাপ ধর্ষণ করেছে। কিন্তু কিভাবে কি, সেটাই বুঝার উপ্ব্য নেই। ধর্ষণ করাটা চোখে না দেখলেও, অনুভব করা যায়। যৌনমিলনের সকল কার্যক্রম করা হচ্ছে তা উপলব্ধি করা যায়। তাদের স্তন নিয়ে কেও খেলা করে, তাও স্পষ্ট ধরা যায়। কিন্তু সাপটি কি আদৌ সাপ? নাকি অন্য কিছু? সাপ তো হবার কথা নয়, কিন্তু অন্য কিছুও বা কি হতে পারে। আর যদি তারা জানেও, তবে তাকে শেষ করা অথবা এর সনাধানও তো পাওয়া যাবেনা। মিম বলল,
- শুন ফারিয়া, আমার সত্যিই খুব কষ্ট হয়। আমার তো এখনো বয়সই হয়নি।
- আমার তো মজাই লাগে।
- মাথা খারাপ তোর? একটা অদৃশ্য কিছুর সাথেও মজা নিস?
- প্রথম প্রথম খারাপ লাগতো।এখন আর লাগেনা।
- কিজানি বাবা, তোর ভালো লাগাতেই দোষ আছে।
৫ দিন পর....
- শুন ফারিয়া, এখনো কি তোকে করে?
- হ্যাঁ। কেনো?
- না মানে আমারো এখন ভালো লাগে। উফফ কি অনন্দ।
- দেখলি তো? আমার মত তুইও হয়ে গেলি।
আরো ৫ দিন পর...
এলাকায় ফারিয়া এবং মিমকে খুজেই পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছুদিন যাবত ওদের চোখের চাহনিতে কেমন একটা কামভাব কামভাব থাকতো। আমেরিকার ভদ্র আপাদের স্টাইলে চলাফেরা করতো। কিন্তু হটাৎ করে হারিয়ে গেলো কোথায়। এই নিয়ে পুরো গ্রামবাসী চিন্তিত। তাদের সাথে যে একটা সাপ এতোদিন অঘটন করেছে, তা ওরা দুজন ছাড়া আর কেও জানতো না।এদিকে তাদের দুজনের নিখোঁজে পুরো এলাকা গরম।সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় এলাকার একজন ধার্মিক, ও মায়া বিদ্যার অধিকারী রনি ওজি। উনি তান্ত্রিক গিরি করে অনেক নাম কামিয়েছে৷ রনির আগমনেই পুরো বাড়ির সবাই সাহায্য চাইতে লাগলো। রনি ফারিয়ার বাসায় গিয়ে দেখে সব ঠিকঠাক। অর্থাৎ কিডন্যাপ হয়নি। এরপর পুরো রুমের গন্ধ নিতে চেষ্টা করায় বুঝতে পারে,গতরাতে এখানে অশরীরী ছিলো। রনি ঘেটেঘুটে টেবিলের উপর একটা ডায়রী পায়। সেখানে ফারিয়া ও মিমের পুরো ঘটনা জানতে পারে রনি। কিন্তু তারাও তো জানতো না, সাপটি আসলেই কে। আর কোথা থেকে এসেছে। এদিকে ডায়েরিতে পুরোনো ঘটনাই লেখা। রনি ডায়েরিটা ব্যাগে ঢুকিয়ে, ফারিয়া আর মিমের পরিবারকে বলল," পরে জানাচ্ছি, এখন কাজ আছে"।
রনি সোজা চলে আসে অন্ধরাজ মহলে। হ্যাঁ, অন্ধরাজ মহল। এইটা শুধু নামেই নয়, দেখতেও মহলটা অনেক বড়। পুরোনো কোনো রাজমহল বললেও চলে। এখানে একজন লোক থাকে, নাম রিয়াজ। পেশাগত অভ্যাস হচ্ছে গোয়েন্দা গিরি করা। মিশনের নেশায় ঢুবে থাকা যার অভ্যাস। রহস্য নিয়ে খেলা করার উপায় খোজাও এক রহস্য, সেই রহস্যকে খুজে বের করতেও লাগে রহস্য। এভাবে রহস্যকে হার মানিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তার মাঝেও থাকে রহস্য। কিন্তু গোয়েন্দা রিয়াজ সব সময় এমন কিছু কর‍তে চায়, যেটা রহস্যকে বলবে" আমি তোর থেকে উন্মোচন"।
রনি এসে রিয়াজকে খুজতে লাগলো। রিয়াজের আসল লাইব্রেরিতেও নেই সে( যেখানে গবেষণা করে)। রনি এদিক সেদিক ডাকছে রিয়াজকে। কিন্তু কোনো হুদিশ নেই তার।এমন সময় রিয়াজ রনির পিছন থেকে বলল " আমি তো এখানেই, দেখ? " রনি পিছনে তাকিয়ে দেখে রিয়াজ নেই। রনি হয়ে যায় অবাক, গায়েবি জানে নাকি রিয়াজ। রনি আবার শুনতে পায় রিয়াজ উপর থেকে বলে," আমি এখানে, দেখ? "। রনি উপরে তাকায়, দেখে রিয়াজ নেই৷ এরপর টেবিলের দিকে তাকিতে দেখে রিয়াজ টেবিলের উপর শুয়ে শুয়ে বই পড়তেছে। রনি রিতীমত অবাক হয়েই যায়। এই মাত্র এখানে কেও ছিলোনা। রনি জিজ্ঞাসা করে।
- কিরে, অদৃশ্য হওয়ার কোনো মন্ত্র শিখলি নাকি।
- না।
- তাহলে কিভাবে করলি এইটা?
- রহস্য দোস্ত, রহস্য।
- এই থাম তো, তোর এসব কিছুই বুঝিনা। সারাদিন কি এতো রহস্য রহস্য করিস।
- শুন,মানুষত্বের অপলোকে দৃষ্টি আহরণের প্রেক্ষাপটের এক শক্তিই যাদুবিদ্যা। আমি অদৃশ্য ছিলাম না, অথচ তোর চোখের অগোচরে ছিলাম আমি। রহস্য রহস্য রহস্য।
- এত না পেচিয়ে কিভাবে করলি সেটা বল।
- রহস্য দোস্ত রহস্য।
- রহস্যটা কি সেটা বল।
মানুষত্বের অপলোকে দৃষ্টি আহরণের প্র...
- বুঝেছি, আর বলতে হবেনা। তোর সঙ্গে কথা বলাই এক রহস্য।
- হ্যাঁ দোস্ত রহস্য।
- কিন্তু রহস্যটা কি।
- মানুষত্বের অপ...
- থাম। নতুন মামলা এসেছে। এইবার বের কর রহস্য।
- হ্যাঁ, এখানে বসে সব কাজ করি আমি৷ আর বাহিরে নাম কামাই করস তুই। এইটাও কিন্তু একটা রহস্য।
- বাদ দে তোর চুলের বৎস্য।এই নে ডায়েরিটা পড়। এই মেয়ে দুইটি নিখোঁজ। কি হয়েছে দেখ।( এই বলে রনি ডায়েরিটা রিয়াজের হাতে দেয়। রিয়াজ ডায়েরিটা পড়ে রনিকে বলল।)
- অর্থাৎ কোনো অশরীরী তাদের সাথে যৌনমিলন করতো। এভাবে ধীরে ধীরে তাদের বশ করে নেয়। এরপর তাদেরকে নিজের আয়াত্তে এনে, গায়েব করে দেয়। তারা জানতোনা সুখ কি। কিন্তু অশরীরী এমন ভাবে তাদের বশ করেছে, তখন মেয়ে দুটোর কাছে সেটাই ভালো লাগতো, যেটা অশরীরী করতো।
- কিন্তু অশরীরী কে? আর কি তার উদ্দেশ্য?
- সেটাই তো রহস্য।
- তো বের কর..?
- বের করাও একটা রহস্য।
- এতো রহস্য রহস্য করে তোর লাভ কি বল?
- আমি কি জানি.. 😂
- তোর সাথে কথা বলাটাই আমার অপরাধ৷ এখন ফাসির দড়িতে দিলেও আমি হাসি মুখে বরণ করে নিবো। তবুও তোর রহস্য রহস্য শুনতে রাজি না।
- দেখলি দোস্ত, এইটাও একটা মেন্টালি হ্যারেজমেন্ট। এর মাঝেও আছে রহস্য।
- আমার বাল। আমি গেলাম, রাতে আসতেছি। তুই গবেষণা কর কিভাবে মেয়ে দুটোকে বাচাবি।
- আচ্ছা।
- হু গেলাম।
- আচ্ছা শুন।
- হ্যাঁ বল,
- তুই যে দরজা খোলে বের হবি, এইটাও একটা রহস্য।
- ধুরররর শালা, আমার মাথা তোর কল্লা।
- হা হা হা
রনি চলে যায় বাড়িতে। রিয়াজ ভাবতে থাকে অশরীরীটা কে হতে পারে। রিয়াজের ব্যাপারে কিছু বলে রাখা ভালো। রিয়াজ চোখের দৃষ্টিকে বশ করে মায়াজালে যে কাওকে আটকাতে পারে। আরো অনেক ক্ষমতা তার, সেটা ধীরে ধীরে বুঝবেন। কিন্তু পুরো বাড়িতে সে একা কেনো। এইটাও একটা রহস্য। উফফ দেখলেন তো? রিয়াজের ডায়লগ এখন আমারো মুখস্থ হয়ে গেলো। সে যাইহোক, রিয়াজের বাবা ছিলো একজন যাদুকর। অনেক যাদুবিদ্যার মালিক ছিলেন তিনি। এই লাইব্রেরিটাও রিয়াজের বাবার।রিয়াজ যখন ১৩ বছরের, তখন যাদুবিদ্যা শেখানোর জন্য রিয়াজের চাচা রিয়াজকে নিয়ে যায় জঙ্গলে। এদিকে এক অশুভ শক্তি রিয়াজের বাড়িতে আক্রমণ চালায়। যে যুদ্ধে মারা যায় রিয়াজের পুরো পরিবার। রিয়াজ বাড়িতে এসেই থ হয়ে যায়। ঠিক তখনি একটি বিশাল বড় পাখি এসে, রিয়াজের চাচাকেও নিয়ে যায়। রিয়াজ হয়ে যায় একা।তখন থেকেই রিয়াজের উদ্দেশ্য হলো রহস্য। রহস্য নিয়ে খেলা করার ইচ্ছা জাগে ওর। রিয়াজের স্বপ্ন, একদিন তার পরিবারের হত্যাকারীকে সে বের করবেই। এই মহলটা জঙ্গলের এক পাশে। গ্রামের লোকজন এখানে আসেনা বললেই চলে। কারণ দিনের বেলাও জায়গাটা খুব ভয়ংকর দেখায়। শুনা যায় একা একা কেও এই পথে এলে, সে স্বাভাবিক ভাবে বাড়ি ফিরে যেতে পারেনা। হাত পা ভাঙ্গা অথবা মাথা ফেটে যায় অটোমেটিক। রনি আর রিয়াজের ব্যাপারটা আলাদা। তাদের দেখলেই এসব ছোটখাটো ভূতপ্রেত ১০০ হাত দূরে গিয়ে লুকায়।
অনেক চিন্তাভাবনা করে রিয়াজ শুয়ে পড়ে টেবিলে। রনি এসে দেখে রিয়াজ ঘুমাচ্ছে। রনি রিয়াজকে ধমক দিয়ে বলল,
- কিরে,মান সম্মান খাইবি নাকি। কাজ না করে তুই ঘুমাচ্ছিস।
- কাজ তো শেষ।
- ওয়াও, কি বের করলি তাইলে।
- তুই চোখ বন্ধ কর।
- কেন, আবার কি রহস্য দেখাবি।
- আগে কর?
- হুম করলাম।
- এবার মনে মনে বল " আকালা ঝাকালা পিং পং, থাম্ভি অস্ক্রার লাকানাকা ধুম"। ( রনি চোখ বন্ধ করে মন্ত্রটা পড়ে। আর দেখতে পায়, প্রায় ১০-১৫ জন মেয়েকে কয়েকটা সাপ ধর্ষণ করতেছে। ওদের দেহ সাপের মতোই, কিন্তু হাত, পা,আর যৌনাঙ্গ সব আছে।রনি ধুপপ করেই চোখ মেলে ফেলে)
- ওহ মাই গড। এসব কি রিয়াজ? খুব ভয়ংকর কিছু হতে যাচ্ছে।
- হুম, আর এরা কারা, আগে সে রহস্য বের করতে হবে। এরপর তাদের বিনাশ করার সমাধান খুজবো।
- তো সেটা না করে তুই ঘুমাচ্ছিস?
- ঘুমাচ্ছিলাম না, সাপের খেলা দেখতেছিলাম।
- হা হা হা, এতো দেখার কি আছে, বিয়ে করে নিলেই তো হয়।
- ষিহহ তোর ণজ্জা ষরম নাই? এডি কি বলিস।
- হ ভাই, এখানেও রহস্য আছে, তুই আরো দেখ। কিন্তু সমাধান কিভাবে করবি।
- এখন মিশনে যেতে হবে।
- কিসের মিশন আবার।
- গ্রামে গিয়ে, সেই সাপদের পিছু নিতে হবে।
- এই এই কি বলিস। এইটা কিভাবে সম্ভব।
- চল তুই, পরে বুঝাচ্ছি।
দুজনই রওনা হলো গ্রামের দিকে। রাত প্রায় ১২ টার কাছাকাছি। এলাকা সম্পুর্ন নিরব। না, নিরব বলতে পুরো নিরব না, মাঝে মধ্যে কুত্তার গান শুনা যায়।
রিয়াজ আর রনি একটা নদীর পাড়ে গিয়ে দাড়ায়। চাদনী আলোয় সব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। নদীর এই পাশে হচ্ছে পুরো গ্রাম, আর অন্য পাশে ইয়া বড় এক পাহাড়। এই পাহাড়টিকে মায়াবী পাহাড় বলা হয়। মাঝে মধ্যে এর ভিতর থেকে ভয়ংকর কিছু শব্দ ভেসে আসে। যে শব্দ শুনলে প্রতিটা মানুষের দেহের লোম দাড়াতে বাধ্য। তবে এর সাথে মায়াবী পাহাড় নাম দেওয়ার কারণ হচ্ছে, পাহাড় থেকে মাঝে মাঝে এক মায়াবী সুগন্ধি ভেসে আসে। যে সুগন্ধির কারণে যেকোনো মানুষের রোগ ভালো হয়ে যায়।
( হ, এবার আপনারা খোজেন পাহাড়টা কোথায় আছে৷ তবে আগেই বলে দেই,এখানে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক নাই। আপনাদের তো বিশ্বাস নাই, বাঙালি বলে কথা)
অনেক্ষন অপেক্ষা করার পর, একটা ধমকা বাতাস ছুটে আসে নদীর পাড়ে। রিয়াজ রনিকে বলল" দোস্ত, ওরা আসতেছে, সাবধান হ,আর আমার পিছু পিছু আয়"। রনিও রেডি হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর দেখে, প্রায় ৫০ টার মতো সাপ নদীর পাড়ে এসে থেমে যায়। রিয়াজ আর রনি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছে। অদ্ভুত ভাবে সব গুলো সাপ একটার সঙ্গে আরেকটা পেচাতে থাকে। এভাবে পেচাতে পেচাতে সব গুলো সাপ এক হয়ে যায়। আর অদ্ভুত ভাবে হটাৎ একটা বড় সাপ তৈরি হয়ে যায়। রনি আর রিয়াজ হা করে তাকিয়ে আছে। এত সাপ তাদের সামনে, তাও এত কাছাকাছি। সাপটি হুট করে নদীতে নেমে গিয়ে, ওপাশে উঠে জঙ্গেলের দিকে যেতে থাকে। রিয়াজ রনিকে বলল,"come first yr" বলেই রিয়াজ এক দৌড় দেয়। রিয়াজের দৌড়ের গতি এতোই বেশি ছিলো যে, পানির উপর দিয়ে বাতাসের মতো চলে যায় জঙ্গলের ভিতর। রনি হা করে দাড়িয়ে আছে, আর মনে মনে বলল
- শালা আমাকে একা রেখেই চলে গেলো।আমি কিভাবে যাবো। তারে জিজ্ঞেস করলেও বলবে এইটা রহস্য, আমার চুল।
এইটা বলে রনি নদীর পাড়েই অপেক্ষা করতে থাকে৷ এদিকে রিয়াজ জঙ্গলের ভিতর যে গেছে, এখনো ফেরার নাম নেই। রাত প্রায় ৩ টা বাজতে যাচ্ছে।
চলবে..........?????
গল্প- গোয়েন্দা_রহস্য
#পর্ব-০১
#লেখক- 🖋️Picci Writer🖋️..... বি:দ্র:-ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার সাথে দেখবেন।।
( রহস্য কি এখানে? সাপটি কে? কি তার উদ্দেশ্য? রিয়াজ কোথায় গেলো? উদ্ধার করবে কি? রহস্যের বেড়াজালে আটকা পড়বে নাতো? যদি পড়ে? তবে কি হবে? যেটাই হোক, ভালো হবে তো? যদি ভালো হয়, তবে কে তার কারণ? যেই কারণ হোক, সমাধান কি হবে..?....... রহস্য..........)

Sometimes I Think....
24/11/2023

Sometimes I Think....

22/11/2023

Upcoming New Movie

22/11/2023

22/11/2023

Attitude for King

Address

Boilor
Mymensingh
2220

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Picci Writer posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Picci Writer:

Share