24/11/2023
গল্প:- গোয়েন্দা রহস্য
লেখক:-Picci Writer
ফারিয়ার বুকের উপর অনেক বড় এক সাপ। ভয়ে ফারিয়া চোখ বন্ধ করে ফেলে। কিছুক্ষণ পর ফারিয়া বুঝতে পারে, সাপটি তাকে ধর্ষণ করতেছে। ফারিয়া চোখ বন্ধ করে কান্না করতে লাগলো। একটা সাপের যৌনাঙ্গ কিভাবে হতে পারে কাওকে ধর্ষণ করার জন্য। একদিকে কষ্ট তো হচ্ছেই, অন্যদিকে জীবন বাচাতে সে চুপ মেরে আছে। দাতগুলো খিটমিট করে চাপাতে লাগলো। অনেক্ষন পর সাপটি ফারিয়াকে ছেড়ে নেমে যায়। ফারিয়া শুয়া থেকে উঠে দেখে নিজের নিম্নাংশে রক্ত বয়ে যাচ্ছে। এরপর আর কিছু মনে নেই তার।
একই ঘটনা ঘটে গেলো ফারিয়ার বান্ধবী মিমের সাথে। মিমকেও একটা সাপ ধর্ষণ করেছে। কিন্তু কিভাবে কি, সেটাই বুঝার উপ্ব্য নেই। ধর্ষণ করাটা চোখে না দেখলেও, অনুভব করা যায়। যৌনমিলনের সকল কার্যক্রম করা হচ্ছে তা উপলব্ধি করা যায়। তাদের স্তন নিয়ে কেও খেলা করে, তাও স্পষ্ট ধরা যায়। কিন্তু সাপটি কি আদৌ সাপ? নাকি অন্য কিছু? সাপ তো হবার কথা নয়, কিন্তু অন্য কিছুও বা কি হতে পারে। আর যদি তারা জানেও, তবে তাকে শেষ করা অথবা এর সনাধানও তো পাওয়া যাবেনা। মিম বলল,
- শুন ফারিয়া, আমার সত্যিই খুব কষ্ট হয়। আমার তো এখনো বয়সই হয়নি।
- আমার তো মজাই লাগে।
- মাথা খারাপ তোর? একটা অদৃশ্য কিছুর সাথেও মজা নিস?
- প্রথম প্রথম খারাপ লাগতো।এখন আর লাগেনা।
- কিজানি বাবা, তোর ভালো লাগাতেই দোষ আছে।
৫ দিন পর....
- শুন ফারিয়া, এখনো কি তোকে করে?
- হ্যাঁ। কেনো?
- না মানে আমারো এখন ভালো লাগে। উফফ কি অনন্দ।
- দেখলি তো? আমার মত তুইও হয়ে গেলি।
আরো ৫ দিন পর...
এলাকায় ফারিয়া এবং মিমকে খুজেই পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছুদিন যাবত ওদের চোখের চাহনিতে কেমন একটা কামভাব কামভাব থাকতো। আমেরিকার ভদ্র আপাদের স্টাইলে চলাফেরা করতো। কিন্তু হটাৎ করে হারিয়ে গেলো কোথায়। এই নিয়ে পুরো গ্রামবাসী চিন্তিত। তাদের সাথে যে একটা সাপ এতোদিন অঘটন করেছে, তা ওরা দুজন ছাড়া আর কেও জানতো না।এদিকে তাদের দুজনের নিখোঁজে পুরো এলাকা গরম।সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় এলাকার একজন ধার্মিক, ও মায়া বিদ্যার অধিকারী রনি ওজি। উনি তান্ত্রিক গিরি করে অনেক নাম কামিয়েছে৷ রনির আগমনেই পুরো বাড়ির সবাই সাহায্য চাইতে লাগলো। রনি ফারিয়ার বাসায় গিয়ে দেখে সব ঠিকঠাক। অর্থাৎ কিডন্যাপ হয়নি। এরপর পুরো রুমের গন্ধ নিতে চেষ্টা করায় বুঝতে পারে,গতরাতে এখানে অশরীরী ছিলো। রনি ঘেটেঘুটে টেবিলের উপর একটা ডায়রী পায়। সেখানে ফারিয়া ও মিমের পুরো ঘটনা জানতে পারে রনি। কিন্তু তারাও তো জানতো না, সাপটি আসলেই কে। আর কোথা থেকে এসেছে। এদিকে ডায়েরিতে পুরোনো ঘটনাই লেখা। রনি ডায়েরিটা ব্যাগে ঢুকিয়ে, ফারিয়া আর মিমের পরিবারকে বলল," পরে জানাচ্ছি, এখন কাজ আছে"।
রনি সোজা চলে আসে অন্ধরাজ মহলে। হ্যাঁ, অন্ধরাজ মহল। এইটা শুধু নামেই নয়, দেখতেও মহলটা অনেক বড়। পুরোনো কোনো রাজমহল বললেও চলে। এখানে একজন লোক থাকে, নাম রিয়াজ। পেশাগত অভ্যাস হচ্ছে গোয়েন্দা গিরি করা। মিশনের নেশায় ঢুবে থাকা যার অভ্যাস। রহস্য নিয়ে খেলা করার উপায় খোজাও এক রহস্য, সেই রহস্যকে খুজে বের করতেও লাগে রহস্য। এভাবে রহস্যকে হার মানিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তার মাঝেও থাকে রহস্য। কিন্তু গোয়েন্দা রিয়াজ সব সময় এমন কিছু করতে চায়, যেটা রহস্যকে বলবে" আমি তোর থেকে উন্মোচন"।
রনি এসে রিয়াজকে খুজতে লাগলো। রিয়াজের আসল লাইব্রেরিতেও নেই সে( যেখানে গবেষণা করে)। রনি এদিক সেদিক ডাকছে রিয়াজকে। কিন্তু কোনো হুদিশ নেই তার।এমন সময় রিয়াজ রনির পিছন থেকে বলল " আমি তো এখানেই, দেখ? " রনি পিছনে তাকিয়ে দেখে রিয়াজ নেই। রনি হয়ে যায় অবাক, গায়েবি জানে নাকি রিয়াজ। রনি আবার শুনতে পায় রিয়াজ উপর থেকে বলে," আমি এখানে, দেখ? "। রনি উপরে তাকায়, দেখে রিয়াজ নেই৷ এরপর টেবিলের দিকে তাকিতে দেখে রিয়াজ টেবিলের উপর শুয়ে শুয়ে বই পড়তেছে। রনি রিতীমত অবাক হয়েই যায়। এই মাত্র এখানে কেও ছিলোনা। রনি জিজ্ঞাসা করে।
- কিরে, অদৃশ্য হওয়ার কোনো মন্ত্র শিখলি নাকি।
- না।
- তাহলে কিভাবে করলি এইটা?
- রহস্য দোস্ত, রহস্য।
- এই থাম তো, তোর এসব কিছুই বুঝিনা। সারাদিন কি এতো রহস্য রহস্য করিস।
- শুন,মানুষত্বের অপলোকে দৃষ্টি আহরণের প্রেক্ষাপটের এক শক্তিই যাদুবিদ্যা। আমি অদৃশ্য ছিলাম না, অথচ তোর চোখের অগোচরে ছিলাম আমি। রহস্য রহস্য রহস্য।
- এত না পেচিয়ে কিভাবে করলি সেটা বল।
- রহস্য দোস্ত রহস্য।
- রহস্যটা কি সেটা বল।
মানুষত্বের অপলোকে দৃষ্টি আহরণের প্র...
- বুঝেছি, আর বলতে হবেনা। তোর সঙ্গে কথা বলাই এক রহস্য।
- হ্যাঁ দোস্ত রহস্য।
- কিন্তু রহস্যটা কি।
- মানুষত্বের অপ...
- থাম। নতুন মামলা এসেছে। এইবার বের কর রহস্য।
- হ্যাঁ, এখানে বসে সব কাজ করি আমি৷ আর বাহিরে নাম কামাই করস তুই। এইটাও কিন্তু একটা রহস্য।
- বাদ দে তোর চুলের বৎস্য।এই নে ডায়েরিটা পড়। এই মেয়ে দুইটি নিখোঁজ। কি হয়েছে দেখ।( এই বলে রনি ডায়েরিটা রিয়াজের হাতে দেয়। রিয়াজ ডায়েরিটা পড়ে রনিকে বলল।)
- অর্থাৎ কোনো অশরীরী তাদের সাথে যৌনমিলন করতো। এভাবে ধীরে ধীরে তাদের বশ করে নেয়। এরপর তাদেরকে নিজের আয়াত্তে এনে, গায়েব করে দেয়। তারা জানতোনা সুখ কি। কিন্তু অশরীরী এমন ভাবে তাদের বশ করেছে, তখন মেয়ে দুটোর কাছে সেটাই ভালো লাগতো, যেটা অশরীরী করতো।
- কিন্তু অশরীরী কে? আর কি তার উদ্দেশ্য?
- সেটাই তো রহস্য।
- তো বের কর..?
- বের করাও একটা রহস্য।
- এতো রহস্য রহস্য করে তোর লাভ কি বল?
- আমি কি জানি.. 😂
- তোর সাথে কথা বলাটাই আমার অপরাধ৷ এখন ফাসির দড়িতে দিলেও আমি হাসি মুখে বরণ করে নিবো। তবুও তোর রহস্য রহস্য শুনতে রাজি না।
- দেখলি দোস্ত, এইটাও একটা মেন্টালি হ্যারেজমেন্ট। এর মাঝেও আছে রহস্য।
- আমার বাল। আমি গেলাম, রাতে আসতেছি। তুই গবেষণা কর কিভাবে মেয়ে দুটোকে বাচাবি।
- আচ্ছা।
- হু গেলাম।
- আচ্ছা শুন।
- হ্যাঁ বল,
- তুই যে দরজা খোলে বের হবি, এইটাও একটা রহস্য।
- ধুরররর শালা, আমার মাথা তোর কল্লা।
- হা হা হা
রনি চলে যায় বাড়িতে। রিয়াজ ভাবতে থাকে অশরীরীটা কে হতে পারে। রিয়াজের ব্যাপারে কিছু বলে রাখা ভালো। রিয়াজ চোখের দৃষ্টিকে বশ করে মায়াজালে যে কাওকে আটকাতে পারে। আরো অনেক ক্ষমতা তার, সেটা ধীরে ধীরে বুঝবেন। কিন্তু পুরো বাড়িতে সে একা কেনো। এইটাও একটা রহস্য। উফফ দেখলেন তো? রিয়াজের ডায়লগ এখন আমারো মুখস্থ হয়ে গেলো। সে যাইহোক, রিয়াজের বাবা ছিলো একজন যাদুকর। অনেক যাদুবিদ্যার মালিক ছিলেন তিনি। এই লাইব্রেরিটাও রিয়াজের বাবার।রিয়াজ যখন ১৩ বছরের, তখন যাদুবিদ্যা শেখানোর জন্য রিয়াজের চাচা রিয়াজকে নিয়ে যায় জঙ্গলে। এদিকে এক অশুভ শক্তি রিয়াজের বাড়িতে আক্রমণ চালায়। যে যুদ্ধে মারা যায় রিয়াজের পুরো পরিবার। রিয়াজ বাড়িতে এসেই থ হয়ে যায়। ঠিক তখনি একটি বিশাল বড় পাখি এসে, রিয়াজের চাচাকেও নিয়ে যায়। রিয়াজ হয়ে যায় একা।তখন থেকেই রিয়াজের উদ্দেশ্য হলো রহস্য। রহস্য নিয়ে খেলা করার ইচ্ছা জাগে ওর। রিয়াজের স্বপ্ন, একদিন তার পরিবারের হত্যাকারীকে সে বের করবেই। এই মহলটা জঙ্গলের এক পাশে। গ্রামের লোকজন এখানে আসেনা বললেই চলে। কারণ দিনের বেলাও জায়গাটা খুব ভয়ংকর দেখায়। শুনা যায় একা একা কেও এই পথে এলে, সে স্বাভাবিক ভাবে বাড়ি ফিরে যেতে পারেনা। হাত পা ভাঙ্গা অথবা মাথা ফেটে যায় অটোমেটিক। রনি আর রিয়াজের ব্যাপারটা আলাদা। তাদের দেখলেই এসব ছোটখাটো ভূতপ্রেত ১০০ হাত দূরে গিয়ে লুকায়।
অনেক চিন্তাভাবনা করে রিয়াজ শুয়ে পড়ে টেবিলে। রনি এসে দেখে রিয়াজ ঘুমাচ্ছে। রনি রিয়াজকে ধমক দিয়ে বলল,
- কিরে,মান সম্মান খাইবি নাকি। কাজ না করে তুই ঘুমাচ্ছিস।
- কাজ তো শেষ।
- ওয়াও, কি বের করলি তাইলে।
- তুই চোখ বন্ধ কর।
- কেন, আবার কি রহস্য দেখাবি।
- আগে কর?
- হুম করলাম।
- এবার মনে মনে বল " আকালা ঝাকালা পিং পং, থাম্ভি অস্ক্রার লাকানাকা ধুম"। ( রনি চোখ বন্ধ করে মন্ত্রটা পড়ে। আর দেখতে পায়, প্রায় ১০-১৫ জন মেয়েকে কয়েকটা সাপ ধর্ষণ করতেছে। ওদের দেহ সাপের মতোই, কিন্তু হাত, পা,আর যৌনাঙ্গ সব আছে।রনি ধুপপ করেই চোখ মেলে ফেলে)
- ওহ মাই গড। এসব কি রিয়াজ? খুব ভয়ংকর কিছু হতে যাচ্ছে।
- হুম, আর এরা কারা, আগে সে রহস্য বের করতে হবে। এরপর তাদের বিনাশ করার সমাধান খুজবো।
- তো সেটা না করে তুই ঘুমাচ্ছিস?
- ঘুমাচ্ছিলাম না, সাপের খেলা দেখতেছিলাম।
- হা হা হা, এতো দেখার কি আছে, বিয়ে করে নিলেই তো হয়।
- ষিহহ তোর ণজ্জা ষরম নাই? এডি কি বলিস।
- হ ভাই, এখানেও রহস্য আছে, তুই আরো দেখ। কিন্তু সমাধান কিভাবে করবি।
- এখন মিশনে যেতে হবে।
- কিসের মিশন আবার।
- গ্রামে গিয়ে, সেই সাপদের পিছু নিতে হবে।
- এই এই কি বলিস। এইটা কিভাবে সম্ভব।
- চল তুই, পরে বুঝাচ্ছি।
দুজনই রওনা হলো গ্রামের দিকে। রাত প্রায় ১২ টার কাছাকাছি। এলাকা সম্পুর্ন নিরব। না, নিরব বলতে পুরো নিরব না, মাঝে মধ্যে কুত্তার গান শুনা যায়।
রিয়াজ আর রনি একটা নদীর পাড়ে গিয়ে দাড়ায়। চাদনী আলোয় সব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। নদীর এই পাশে হচ্ছে পুরো গ্রাম, আর অন্য পাশে ইয়া বড় এক পাহাড়। এই পাহাড়টিকে মায়াবী পাহাড় বলা হয়। মাঝে মধ্যে এর ভিতর থেকে ভয়ংকর কিছু শব্দ ভেসে আসে। যে শব্দ শুনলে প্রতিটা মানুষের দেহের লোম দাড়াতে বাধ্য। তবে এর সাথে মায়াবী পাহাড় নাম দেওয়ার কারণ হচ্ছে, পাহাড় থেকে মাঝে মাঝে এক মায়াবী সুগন্ধি ভেসে আসে। যে সুগন্ধির কারণে যেকোনো মানুষের রোগ ভালো হয়ে যায়।
( হ, এবার আপনারা খোজেন পাহাড়টা কোথায় আছে৷ তবে আগেই বলে দেই,এখানে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক নাই। আপনাদের তো বিশ্বাস নাই, বাঙালি বলে কথা)
অনেক্ষন অপেক্ষা করার পর, একটা ধমকা বাতাস ছুটে আসে নদীর পাড়ে। রিয়াজ রনিকে বলল" দোস্ত, ওরা আসতেছে, সাবধান হ,আর আমার পিছু পিছু আয়"। রনিও রেডি হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর দেখে, প্রায় ৫০ টার মতো সাপ নদীর পাড়ে এসে থেমে যায়। রিয়াজ আর রনি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছে। অদ্ভুত ভাবে সব গুলো সাপ একটার সঙ্গে আরেকটা পেচাতে থাকে। এভাবে পেচাতে পেচাতে সব গুলো সাপ এক হয়ে যায়। আর অদ্ভুত ভাবে হটাৎ একটা বড় সাপ তৈরি হয়ে যায়। রনি আর রিয়াজ হা করে তাকিয়ে আছে। এত সাপ তাদের সামনে, তাও এত কাছাকাছি। সাপটি হুট করে নদীতে নেমে গিয়ে, ওপাশে উঠে জঙ্গেলের দিকে যেতে থাকে। রিয়াজ রনিকে বলল,"come first yr" বলেই রিয়াজ এক দৌড় দেয়। রিয়াজের দৌড়ের গতি এতোই বেশি ছিলো যে, পানির উপর দিয়ে বাতাসের মতো চলে যায় জঙ্গলের ভিতর। রনি হা করে দাড়িয়ে আছে, আর মনে মনে বলল
- শালা আমাকে একা রেখেই চলে গেলো।আমি কিভাবে যাবো। তারে জিজ্ঞেস করলেও বলবে এইটা রহস্য, আমার চুল।
এইটা বলে রনি নদীর পাড়েই অপেক্ষা করতে থাকে৷ এদিকে রিয়াজ জঙ্গলের ভিতর যে গেছে, এখনো ফেরার নাম নেই। রাত প্রায় ৩ টা বাজতে যাচ্ছে।
চলবে..........?????
গল্প- গোয়েন্দা_রহস্য
#পর্ব-০১
#লেখক- 🖋️Picci Writer🖋️..... বি:দ্র:-ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার সাথে দেখবেন।।
( রহস্য কি এখানে? সাপটি কে? কি তার উদ্দেশ্য? রিয়াজ কোথায় গেলো? উদ্ধার করবে কি? রহস্যের বেড়াজালে আটকা পড়বে নাতো? যদি পড়ে? তবে কি হবে? যেটাই হোক, ভালো হবে তো? যদি ভালো হয়, তবে কে তার কারণ? যেই কারণ হোক, সমাধান কি হবে..?....... রহস্য..........)