12/10/2025
ইস্তেগফার/ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রক্রিয়া
'ইস্তেগফার' হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রক্রিয়া। এটি গুনাহ মাফ, দুশ্চিন্তা দূর এবং রিযিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
ইতিহাসে প্রথম যে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে, সেটি হলো আদম (আ.) এবং হাওয়া (আ.)-এর দোয়া, যা কুরআনে উল্লেখ আছে। এটিও মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মৌলিক ও শিক্ষণীয় ইস্তেগফার।
মানবজাতির প্রথম ইস্তেগফার: আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর দোয়া জান্নাতে ভুল করার পর আদম (আ.) এবং হাওয়া (আ.) যে দোয়াটি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন, সেটিই হলো মানবজাতির প্রথম এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রথম শিক্ষণীয় ইস্তেগফার:
আরবি: رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
বাংলা উচ্চারণ: "রব্বানা- জ্বলামনা- আনফুসানা- ওয়াইল্লাম তাগফির্ লানা- ওয়াতারহাম্না- লানাকূনান্না মিনাল খাসিরীন।"
বাংলা অর্থ: "হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি। আর যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।" (সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ২৩) এই দোয়াটির মাধ্যমে শুধু ক্ষমা প্রার্থনাই নয়, বরং স্বীকারোক্তি, বিনয় এবং আল্লাহর দয়া ছাড়া অসহায়ত্বের ভাব প্রকাশ পেয়েছে—যা ইস্তেগফারের মূল ভিত্তি।
এখানে সকল প্রকারের গুরুত্বপূর্ণ ইস্তেগফার, সেগুলোর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:
১. সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া)
এটি ফজিলতের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ ইস্তেগফার। হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে দিনে এই ইস্তেগফার পড়বে এবং সন্ধ্যায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অনুরূপভাবে রাতে পড়লে এবং ভোরে মারা গেলেও জান্নাতী হবে। (সহীহ বুখারী)
* আরবি: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
বাংলা উচ্চারণ: "আল্ল-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানী ওয়া আনা 'আব্দুকা, ওয়া আনা 'আলা 'আহ্দিকা ওয়া ওয়া'দিকা মাস্তাত্বা'তু। আ'ঊযু বিকা মিন শাররি মা ছানা'তু। আবূউ লাকা বিনি'মাতিকা 'আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযাম্বী, ফাগ্ফির্ লী ফা-ইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।"
বাংলা অর্থ: "হে আল্লাহ! আপনিই আমার প্রতিপালক। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমতো আপনার সঙ্গে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি আমার প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছেন, তা আমি স্বীকার করছি এবং আমি আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।"
২. সহজ ও বহুল প্রচলিত ইস্তেগফারসমূহ
এই ইস্তেগফারগুলো প্রতিদিনের জিকির ও আমলে সহজে ব্যবহার করা যায়।
ক. সংক্ষিপ্ত ইস্তেগফার
এটি সবচেয়ে সরল এবং দ্রুত পাঠযোগ্য ইস্তেগফার।
আরবি: أَسْتَغْفِرُ اللهَ
বাংলা উচ্চারণ: "আস্তাগফিরুল্ল-হ।"
বাংলা অর্থ: "আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।"
(নবী (সা.) ফরজ সালাতের সালাম ফেরানোর পর এটি তিনবার পড়তেন।)
খ. তাওবার সাথে ইস্তেগফার
নবী (সা.) এই ইস্তেগফারটি দৈনিক ৭০ থেকে ১০০ বারেরও বেশি পাঠ করতেন।
আরবি:أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
বাংলা উচ্চারণ:"আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।"
বাংলা অর্থ: "আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তাঁর দিকেই ফিরে আসছি (তাওবা করছি)।"
গ. কোরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিশেষ ইস্তেগফার
এটি একটি দীর্ঘ ইস্তেগফার, যা পাপ মোচন ও রিযিকের জন্য কার্যকরী:
আরবি: أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
বাংলা উচ্চারণ: "আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।"
বাংলা অর্থ: "আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর দিকেই (তাওবা করে) ফিরে আসি।"
(ফজিলত: হাদীসে আছে, এই ইস্তেগফার পড়লে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়। - আবু দাউদ, তিরমিজি)
৩. মজলিসে ক্ষমা প্রার্থনার ইস্তেগফার
যে কোনো বৈঠক শেষে পড়ার জন্য এই দোয়াটি সুন্নাহসম্মত:
* আরবি: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
বাংলা উচ্চারণ:"সুবহা-নাকাল্ল-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।"
বাংলা অর্থ:"হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র এবং আপনার জন্যই সব প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার কাছেই তওবা করছি।"
আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্তেগফার রয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে পাঠ করা হয়। ক্ষমা প্রার্থনার জন্য যত বেশি শব্দ ব্যবহার করা যায়, তত ভালো। কারণ, প্রত্যেকটি শব্দে আল্লাহর কাছে বিনয় প্রকাশ পায়।
নিচে আরও কয়েকটি বিশেষ ইস্তেগফার দেওয়া হলো:
১. নবী ইউনুস (আঃ)-এর দোয়া (তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা)
এটি মূলত নবী ইউনুস (আঃ)-এর সেই বিখ্যাত দোয়া, যা তিনি মাছের পেটে থাকার সময় করেছিলেন। এটি সকল প্রকার বিপদ ও সংকটে আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
* আরবি:لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
* বাংলা উচ্চারণ:"লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জ-লিমীন।"
* বাংলা অর্থ: "আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আপনি পবিত্র। নিশ্চয় আমি অত্যাচারীদের অন্তর্ভুক্ত।"
(ফজিলত: নবী (সাঃ) বলেছেন, যে মুসলিম কোনো বিপদে বা কষ্টে এই দোয়া পড়ে, আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন।)
২. রাসূল (সাঃ)-এর বহুল পঠিত ইস্তেগফার
নবী (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকে এটি প্রায় ১০০ বার পাঠ করতেন।
* আরবি: رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
* বাংলা উচ্চারণ: "রাব্বিগ্ফির্ লী ওয়া তুব্ 'আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত্ তাউয়্যা-বুর রাহীম।"
* বাংলা অর্থ: "হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা কবুলকারী, অতি দয়ালু।" (নোট: কিছু বর্ণনায় 'আনতা' শব্দটি বাদ দিয়েও এসেছে, তবে অর্থ একই থাকে।)
৩. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ-এর সাথে ইস্তেগফার
এই বাক্যটি জান্নাতের ধনভান্ডার বলা হয় এবং এটি সকল শক্তি ও ক্ষমতা আল্লাহর কাছ থেকে আসে বলে স্বীকার করা হয়। কোনো পাপ থেকে বাঁচার বা নেক কাজ করার শক্তি নেই — এই অনুভূতি নিয়ে ইস্তেগফার করা উচিত।
আরবি: أَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبِّيْ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
বাংলা উচ্চারণ:"আস্তাগফিরুল্লা-হা রব্বী মিন কুল্লি যাম্বিওঁ ওয়া আতূবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হিল 'আলিয়্যিল আ'যীম।"
বাংলা অর্থ:"আমি আমার প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আমার সকল পাপের জন্য ক্ষমা চাই এবং তাঁর দিকে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তি ও সামর্থ্য নেই যিনি মহান ও মহৎ।"
ইস্তেগফারের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতসমূহ:
১. পাপ মোচন: ইস্তেগফারের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়। আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দার পাপ ক্ষমা করে দেন।
২. দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর: যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তাকে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি এবং সব বিপদ থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করে দেন। এটি হতাশা ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
৩. রিজিক বৃদ্ধি: ইস্তেগফার রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। ইস্তেগফারকারীর জন্য এমন উৎস থেকে রিযিকের ব্যবস্থা হয় যা সে কল্পনাও করতে পারে না। পবিত্র কুরআনের সূরা নূহে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে ইস্তেগফার করলে তিনি প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করবেন।
৪. আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য: ইস্তেগফার আল্লাহর কাছে একটি প্রিয় ইবাদত। এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং তাঁর প্রিয়পাত্রে পরিণত হয়।
৫. অন্তর পরিশুদ্ধি: গুনাহের কারণে অন্তরে যে কালো দাগ পড়ে, ইস্তেগফারের মাধ্যমে তা পরিষ্কার হয় এবং অন্তর পরিশুদ্ধ হয়।
৬. জান্নাত লাভ: সহীহ হাদীসে 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার' (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া) সম্পর্কে বলা হয়েছে— যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনে তা পাঠ করে এবং সন্ধ্যার আগে মারা যায়, সে জান্নাতী হবে। রাতে পাঠ করলে সকাল হওয়ার আগে মারা গেলেও জান্নাতী হবে।
৭. শক্তি-সামর্থ্য লাভ: এটি দৈহিক ও আত্মিক শক্তি-সামর্থ্য বাড়িয়ে দেয় এবং জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে।
৮. দুনিয়ার শাস্তি থেকে মুক্তি: ইস্তেগফারকারীকে আল্লাহ দুনিয়ার শাস্তি থেকে হেফাজত করেন।
ইস্তেগফার করার উত্তম সময় হলো:
ফরয সালাতের পর।
দিনের যেকোনো সময়, তবে শেষ রাতে বা সাহরির সময় ইস্তেগফার করা মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য।
যেকোনো গুনাহ বা ভুলের পরপরই।
ইস্তেগফারের মূল সারকথা:
ইস্তেগফারের বাক্য যাই হোক না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
* পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া: কৃতকর্মের জন্য মন থেকে লজ্জিত হওয়া।
* ক্ষমা প্রার্থনা: আল্লাহর কাছে কাকুতি-মিনতি করে ক্ষমা চাওয়া।
* ফিরে না আসার সংকল্প: ভবিষ্যতে সেই পাপ আর না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা।
যে ব্যক্তি নিয়মিত এবং একনিষ্ঠভাবে ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তাকে সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করেন (আবু দাউদ)। তাই এই দোয়াগুলো বেশি বেশি পাঠ করা উচিত।
নবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন:
"ঐ ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যে তার আমলনামায় প্রচুর পরিমাণে ইস্তেগফার খুঁজে পাবে।" (সুনানে ইবনে মাজাহ)
বেশি বেশি ইস্তেগফার কিয়ামতের দিন বান্দার নেকীর পাল্লা ভারী করবে। ইস্তেগফারকারী হাশরের মাঠে ডানপন্থী মুত্তাকীদের দলে থাকবে এবং আরশের ছায়ায় স্থান পাবে।
আল্লাহ আমাদের সকলকে বেশি বেশি ইস্তেগফার করার তাওফিক দান করুন। আপনি কি প্রতিদিনের ইস্তেগফারের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দু'আ বা সময় বেছে নিতে চান?