Mahbub Belal

Mahbub Belal Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Mahbub Belal, Digital creator, Mymensingh.

12/10/2025

ইস্তেগফার/ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রক্রিয়া

'ইস্তেগফার' হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রক্রিয়া। এটি গুনাহ মাফ, দুশ্চিন্তা দূর এবং রিযিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

ইতিহাসে প্রথম যে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে, সেটি হলো আদম (আ.) এবং হাওয়া (আ.)-এর দোয়া, যা কুরআনে উল্লেখ আছে। এটিও মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মৌলিক ও শিক্ষণীয় ইস্তেগফার। ​

মানবজাতির প্রথম ইস্তেগফার: আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর দোয়া ​জান্নাতে ভুল করার পর আদম (আ.) এবং হাওয়া (আ.) যে দোয়াটি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন, সেটিই হলো মানবজাতির প্রথম এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রথম শিক্ষণীয় ইস্তেগফার: ​

আরবি: رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

বাংলা উচ্চারণ: ​"রব্বানা- জ্বলামনা- আনফুসানা- ওয়াইল্লাম তাগফির্ লানা- ওয়াতারহাম্না- লানাকূনান্না মিনাল খাসিরীন।" ​

বাংলা অর্থ: ​"হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি। আর যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।" (সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ২৩) ​এই দোয়াটির মাধ্যমে শুধু ক্ষমা প্রার্থনাই নয়, বরং স্বীকারোক্তি, বিনয় এবং আল্লাহর দয়া ছাড়া অসহায়ত্বের ভাব প্রকাশ পেয়েছে—যা ইস্তেগফারের মূল ভিত্তি।

এখানে সকল প্রকারের গুরুত্বপূর্ণ ইস্তেগফার, সেগুলোর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:

১. সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া)
এটি ফজিলতের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ ইস্তেগফার। হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে দিনে এই ইস্তেগফার পড়বে এবং সন্ধ্যায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অনুরূপভাবে রাতে পড়লে এবং ভোরে মারা গেলেও জান্নাতী হবে। (সহীহ বুখারী)
* আরবি: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

বাংলা উচ্চারণ: "আল্ল-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানী ওয়া আনা 'আব্দুকা, ওয়া আনা 'আলা 'আহ্দিকা ওয়া ওয়া'দিকা মাস্তাত্বা'তু। আ'ঊযু বিকা মিন শাররি মা ছানা'তু। আবূউ লাকা বিনি'মাতিকা 'আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযাম্বী, ফাগ্ফির্ লী ফা-ইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।"

বাংলা অর্থ: "হে আল্লাহ! আপনিই আমার প্রতিপালক। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমতো আপনার সঙ্গে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি আমার প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছেন, তা আমি স্বীকার করছি এবং আমি আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।"

২. সহজ ও বহুল প্রচলিত ইস্তেগফারসমূহ
এই ইস্তেগফারগুলো প্রতিদিনের জিকির ও আমলে সহজে ব্যবহার করা যায়।
ক. সংক্ষিপ্ত ইস্তেগফার

এটি সবচেয়ে সরল এবং দ্রুত পাঠযোগ্য ইস্তেগফার।
আরবি: أَسْتَغْفِرُ اللهَ

বাংলা উচ্চারণ: "আস্তাগফিরুল্ল-হ।"

বাংলা অর্থ: "আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।"
(নবী (সা.) ফরজ সালাতের সালাম ফেরানোর পর এটি তিনবার পড়তেন।)

খ. তাওবার সাথে ইস্তেগফার
নবী (সা.) এই ইস্তেগফারটি দৈনিক ৭০ থেকে ১০০ বারেরও বেশি পাঠ করতেন।
আরবি:أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

বাংলা উচ্চারণ:"আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।"

বাংলা অর্থ: "আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তাঁর দিকেই ফিরে আসছি (তাওবা করছি)।"

গ. কোরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিশেষ ইস্তেগফার
এটি একটি দীর্ঘ ইস্তেগফার, যা পাপ মোচন ও রিযিকের জন্য কার্যকরী:
আরবি: أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

বাংলা উচ্চারণ: "আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।"

বাংলা অর্থ: "আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর দিকেই (তাওবা করে) ফিরে আসি।"
(ফজিলত: হাদীসে আছে, এই ইস্তেগফার পড়লে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়। - আবু দাউদ, তিরমিজি)

৩. মজলিসে ক্ষমা প্রার্থনার ইস্তেগফার
যে কোনো বৈঠক শেষে পড়ার জন্য এই দোয়াটি সুন্নাহসম্মত:
* আরবি: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ

বাংলা উচ্চারণ:"সুবহা-নাকাল্ল-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।"

বাংলা অর্থ:"হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র এবং আপনার জন্যই সব প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার কাছেই তওবা করছি।"

আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্তেগফার রয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে পাঠ করা হয়। ক্ষমা প্রার্থনার জন্য যত বেশি শব্দ ব্যবহার করা যায়, তত ভালো। কারণ, প্রত্যেকটি শব্দে আল্লাহর কাছে বিনয় প্রকাশ পায়।

নিচে আরও কয়েকটি বিশেষ ইস্তেগফার দেওয়া হলো:

১. নবী ইউনুস (আঃ)-এর দোয়া (তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা)
এটি মূলত নবী ইউনুস (আঃ)-এর সেই বিখ্যাত দোয়া, যা তিনি মাছের পেটে থাকার সময় করেছিলেন। এটি সকল প্রকার বিপদ ও সংকটে আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
* আরবি:لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

* বাংলা উচ্চারণ:"লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জ-লিমীন।"

* বাংলা অর্থ: "আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আপনি পবিত্র। নিশ্চয় আমি অত্যাচারীদের অন্তর্ভুক্ত।"
(ফজিলত: নবী (সাঃ) বলেছেন, যে মুসলিম কোনো বিপদে বা কষ্টে এই দোয়া পড়ে, আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন।)

২. রাসূল (সাঃ)-এর বহুল পঠিত ইস্তেগফার
নবী (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকে এটি প্রায় ১০০ বার পাঠ করতেন।
* আরবি: رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

* বাংলা উচ্চারণ: "রাব্বিগ্ফির্ লী ওয়া তুব্ 'আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত্ তাউয়্যা-বুর রাহীম।"

* বাংলা অর্থ: "হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা কবুলকারী, অতি দয়ালু।" (নোট: কিছু বর্ণনায় 'আনতা' শব্দটি বাদ দিয়েও এসেছে, তবে অর্থ একই থাকে।)

৩. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ-এর সাথে ইস্তেগফার
এই বাক্যটি জান্নাতের ধনভান্ডার বলা হয় এবং এটি সকল শক্তি ও ক্ষমতা আল্লাহর কাছ থেকে আসে বলে স্বীকার করা হয়। কোনো পাপ থেকে বাঁচার বা নেক কাজ করার শক্তি নেই — এই অনুভূতি নিয়ে ইস্তেগফার করা উচিত।

আরবি: أَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبِّيْ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ

বাংলা উচ্চারণ:"আস্তাগফিরুল্লা-হা রব্বী মিন কুল্লি যাম্বিওঁ ওয়া আতূবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হিল 'আলিয়্যিল আ'যীম।"

বাংলা অর্থ:"আমি আমার প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আমার সকল পাপের জন্য ক্ষমা চাই এবং তাঁর দিকে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তি ও সামর্থ্য নেই যিনি মহান ও মহৎ।"

ইস্তেগফারের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতসমূহ:
১. পাপ মোচন: ইস্তেগফারের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়। আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দার পাপ ক্ষমা করে দেন।

২. দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর: যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তাকে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি এবং সব বিপদ থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করে দেন। এটি হতাশা ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।

৩. রিজিক বৃদ্ধি: ইস্তেগফার রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। ইস্তেগফারকারীর জন্য এমন উৎস থেকে রিযিকের ব্যবস্থা হয় যা সে কল্পনাও করতে পারে না। পবিত্র কুরআনের সূরা নূহে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে ইস্তেগফার করলে তিনি প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করবেন।

৪. আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য: ইস্তেগফার আল্লাহর কাছে একটি প্রিয় ইবাদত। এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং তাঁর প্রিয়পাত্রে পরিণত হয়।

৫. অন্তর পরিশুদ্ধি: গুনাহের কারণে অন্তরে যে কালো দাগ পড়ে, ইস্তেগফারের মাধ্যমে তা পরিষ্কার হয় এবং অন্তর পরিশুদ্ধ হয়।

৬. জান্নাত লাভ: সহীহ হাদীসে 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার' (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া) সম্পর্কে বলা হয়েছে— যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনে তা পাঠ করে এবং সন্ধ্যার আগে মারা যায়, সে জান্নাতী হবে। রাতে পাঠ করলে সকাল হওয়ার আগে মারা গেলেও জান্নাতী হবে।

৭. শক্তি-সামর্থ্য লাভ: এটি দৈহিক ও আত্মিক শক্তি-সামর্থ্য বাড়িয়ে দেয় এবং জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করে।

৮. দুনিয়ার শাস্তি থেকে মুক্তি: ইস্তেগফারকারীকে আল্লাহ দুনিয়ার শাস্তি থেকে হেফাজত করেন।

ইস্তেগফার করার উত্তম সময় হলো:
ফরয সালাতের পর।
দিনের যেকোনো সময়, তবে শেষ রাতে বা সাহরির সময় ইস্তেগফার করা মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য।
যেকোনো গুনাহ বা ভুলের পরপরই।

ইস্তেগফারের মূল সারকথা:
ইস্তেগফারের বাক্য যাই হোক না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
* পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া: কৃতকর্মের জন্য মন থেকে লজ্জিত হওয়া।
* ক্ষমা প্রার্থনা: আল্লাহর কাছে কাকুতি-মিনতি করে ক্ষমা চাওয়া।
* ফিরে না আসার সংকল্প: ভবিষ্যতে সেই পাপ আর না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা।
যে ব্যক্তি নিয়মিত এবং একনিষ্ঠভাবে ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তাকে সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করেন (আবু দাউদ)। তাই এই দোয়াগুলো বেশি বেশি পাঠ করা উচিত।

নবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন:
"ঐ ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ, যে তার আমলনামায় প্রচুর পরিমাণে ইস্তেগফার খুঁজে পাবে।" (সুনানে ইবনে মাজাহ)
বেশি বেশি ইস্তেগফার কিয়ামতের দিন বান্দার নেকীর পাল্লা ভারী করবে। ইস্তেগফারকারী হাশরের মাঠে ডানপন্থী মুত্তাকীদের দলে থাকবে এবং আরশের ছায়ায় স্থান পাবে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে বেশি বেশি ইস্তেগফার করার তাওফিক দান করুন। আপনি কি প্রতিদিনের ইস্তেগফারের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দু'আ বা সময় বেছে নিতে চান?

04/10/2025

*হতাশা দূর করার ২টি মোক্ষম হাতিয়ারঃ*
১. অনবরত ইস্তেগফার। হাঁটতে, চলতে, বসতে, গাড়িতে, বাড়িতে, ফেসবুকের নিউজফিড স্ক্রল করার সময়। মোটকথা যতক্ষণ ফুরসত (সুযোগ) পাওয়া যায় ততক্ষণ।
২. দরূদ পড়া। যত বেশি পারা যায়। ১ বার দরূদ পাঠের বিনিময়ে ১০ বার রহমত বর্ষিত হয়।
সহজ দুটি আমল। আসুন প্রয়োগ করে দেখি।
ইন শা আল্লাহ্ ঠকবো না।

*ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে সম্পদ জমা করার চেয়ে পরকালের জন্য অর্জন করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।*  কারণ দুনিয়ার সম্পদ, আরাম-আয়েশ,...
21/09/2025

*ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে সম্পদ জমা করার চেয়ে পরকালের জন্য অর্জন করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।*
কারণ দুনিয়ার সম্পদ, আরাম-আয়েশ, প্রতিপত্তি—সবই একদিন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় করা একটি ছোট আমলও পরকালে অনেক বড় পুরস্কার নিয়ে আসতে পারে।

*আল্লাহ বলেন:*
_“তোমরা যা কিছু ব্যয় করো, তিনি তার প্রতিদান দিবেন এবং তিনি সর্ব উত্তম রিযিকদাতা।”_
— *সূরা সাবা: ৩৯*

*হাদীসে এসেছে:*
_“বুদ্ধিমান সেই, যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যুর পরে (আখিরাতের) জন্য কাজ করে।”_
— *তিরমিযি: ২৪৫৯*

- সাদাকা, দান, সদাচরণ, নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত—এইসব আমলই প্রকৃত সম্পদ
- দুনিয়াতে প্রয়োজনীয় আয় করো, কিন্তু নেক আমল জমা করো আখিরাতের জন্য
- নিজের মনকে আখিরাত মুখী করার জন্য দুনিয়া দ্বার মানুষকে এরিয়ে চলবেন।
- নিজের থেকে উপরের স্তরের মানুষের দিকে না তাকিয়ে নিচু স্তরের মানুষের দিকে তাকানো।

দুনিয়ার ভোগ চলে যাবে,
কিন্তু আখিরাতের জন্য করা আমল চিরকাল থাকবে।
*তোমার আসল বাড়ি জান্নাত-সেটার জন্য প্রস্তুত হও।*

বাস্তব কথা
11/07/2025

বাস্তব কথা

অদৃশ্য ভালোবাসা....তুমি হারাতে পারো নতুন কারো ডাকে...আমি না হয় রয়ে যাবো তোমার স্মৃতির মাঝে..."কখনো কখনো মানুষ হারিয়ে ...
05/05/2025

অদৃশ্য ভালোবাসা....

তুমি হারাতে পারো নতুন কারো ডাকে...
আমি না হয় রয়ে যাবো তোমার স্মৃতির মাঝে..."

কখনো কখনো মানুষ হারিয়ে যায় খুব সহজেই। নতুন কারো হাসিতে, নতুন কারো স্পর্শে, নতুন কোনো স্বপ্নে। অথচ কেউ কেউ রয়ে যায় ঠিক সেই পুরোনো জায়গাটায়, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে শুধু তোমার গল্প লেখা হয়েছিল।

তুমি যখন কারো হাত ধরলে, আমি তখনও সেই পুরোনো ছবিটা দেখছিলাম — যেখানে আমরা ছিলাম একসাথে, হাসছিলাম বৃষ্টিতে ভিজে, কাঁদছিলাম নিরবতায়।

তুমি এখন হয়তো আর খোঁজ নাও না, তবুও আমার দিন শেষ হয় তোমার নামেই। তুমি নতুন জীবনে যতই এগিয়ে যাও না কেন, আমার সবটুকু স্মৃতি তোমার একটুখানি 'হয়তো'র মাঝে আটকে আছে।

ভালো থেকো। কারণ ভালোবাসা মানেই তো দাবি নয়।
ভালোবাসা মানে হয়তো এভাবেই —
তোমাকে ছেড়ে দিয়েও তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকা।

আমার না হয় কোনো পরিচয় থাকবে না তোমার নতুন জীবনে,
তবুও একটা নামহীন অনুভূতি হয়ে তোমার নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকবো আমি...
তুমি খুঁজলে হয়তো পাবেও না,
কিন্তু আমি হারাবো না...
তোমার মধ্যে রয়ে যাবো —
অদৃশ্য, অথচ অনুভবযোগ্য ভালোবাসা হয়ে।

❝ মানুষ যতক্ষণ আপনাকে উপকারে পায়, ততক্ষণই আপনাকে চায়।❞ একটা সময় ছিল, ভেবেছিলাম ভালোবাসা সবকিছু জয় করতে পারে। মানুষ ম...
05/05/2025

❝ মানুষ যতক্ষণ আপনাকে উপকারে পায়, ততক্ষণই আপনাকে চায়।❞
একটা সময় ছিল, ভেবেছিলাম ভালোবাসা সবকিছু জয় করতে পারে। মানুষ মানুষকে চায় মন থেকে, নিঃস্বার্থভাবে। কিন্তু সময় শেখাল—সব ভুল ছিল।

আজ দেখছি, টাকাই আসল পরিচয়, টাকাই মানুষকে মানুষ করে।

07/02/2025

এ জন্যেই আমার পছন্দ আপনি

27/01/2025

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ


উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নেমাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুঝাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া ঝামিয়ি সাখাত্বিকা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া থেকে। তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। তোমার কাছ থেকে হঠাৎ শাস্তি আসা থেকে আশ্রয় চাই এবং তোমার কাছে সব ধরণে অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই।’ (মুসলিম)

জীবনের একটা সময়ে এসে ছোটরা বড়দের প্রশ্ন করে, জীবনে কি করলেন আমাদের জন্য?
18/12/2024

জীবনের একটা সময়ে এসে ছোটরা বড়দের প্রশ্ন করে, জীবনে কি করলেন আমাদের জন্য?

12/11/2024

হ যুগ।

সে এক যুগ ছিলো ভাই।

স্বর্ণ যুগ যাকে বলে।

প্রত্যেক যুগের আলাদা আলাদা নাম থাকে।

সেই যুগের নাম ছিলো - হ যুগ।

সব কিছুতেই হ।
উপ্রে, নিচে, ডাইনে বায়ে, যেখানে তাকাবেন- হ, হ আর হ।

নেত্রীর নাম হ দিয়ে ছিলো তো বটেই।
বাহিনীরও নাম ছিলো- হেলমেট বাহিনী।

তাদের হাতে হাতুড়ি।

হাতুড়ি না থাকলে হকিস্টিক।

হ এর বাইরে এরা যায় নাই।

হ ভাই, আসলেই যায় নাই।

এমনকি সেই হ যুগে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হোটেলের নামও হ দিয়ে।

হারুনের ভাতের হোটেল।

এই হোটেলে যারা খেতো , তারা তো খেতোই।

হোটেলে খাওয়ার সুযোগ না পাওয়া পাবলিকরা যা খেতো- তার সবচেয়ে পরিশীলিত নাম হতে পারে- "হ মারা খাওয়া। "

হ যুগে পত্রপত্রিকা, টিভি ফিভি বলে কিছু ছিলো না।
যা ছিলো তার নামও হ দিয়ে। হলুদ সাংবাদিকতা।

এর বাইরে হিংসা, হানাহানি, হুমকি, হুংকার, হত্যা -এসব ছোটখাটো হ এর দাপট তো ছিলোই।

১৫ বছর পর হ যুগের সমাপ্তি ঘটলো।

হ পালিয়ে গেলেন। যে বাহনে করে পালালেন, তার নামও হ দিয়ে । হেলিকপ্টার।

হ দিয়ে শুরু, হ দিয়ে শেষ। আমি ভাবলাম, যাক হ যুগের অবসান হলো তাহলে।

হায়, কিন্তু কীসের কি।

এখন আবার নতুন করে হ এর হাহাকার শুরু হয়েছে।চারিদিকে হ এর হাউকাউ।

নতুন হ যুগ শুরু হয়েছে এভাবে- হ্যালো আপা, হ্যালো, হ্যালো, আপা, আপা, হ্যালো হ্যালো হ্যালো।

হ্যালো আপা, জ্বী বলেন, হ্যালো, আপা, আপা, হ্যালো হ্যালো ...

হিরুনচি আইসা হাইগা গেছে ...

- কী বললে হাগু করবে কেন?

হ্যালো আপা হ্যালো .. হিরুনচি আপা, হাগছে

হ্যালো হ্যালো

( এই লেখা একটা "হিউমার" মাত্র। হাচা কোনো ঘটনার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নাই। এটা "হঠাৎ" করে লেখা। মিলে গেলে সেটা নিতান্তই হাকতালীয়।)

বিনীত

হতভাগা আশীফ এন্তাজ রবি।

আল্লাহ তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।যাকে হিকমাহ দান করা...
30/09/2024

আল্লাহ তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।

যাকে হিকমাহ দান করা হয় তার ভিতরে থাকে সাকিনা। আরবি সাকিনা শব্দের অর্থ শান্ত, প্রশান্ত, ধীর, স্থির।

টেবিল ভর্তি খাবার অথচ প্রত্যেকটা খাবারে আপনি দোষ খুঁজে পাচ্ছেন, পেট ভরে খেতে পারছেন না। কেননা আপনাকে সম্পদ দান করা হয়েছে, হিকমাহ দেয়া হয়নি যে কারণে আপনার ভিতর সাকিনা নেই।

আপনাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে যে জন্যে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়েও পরম প্রশান্তি নিয়ে পেট ভরে খেয়ে উঠে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ।

উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী পেয়েও আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন, কারণ আপনাকে হিকমা দেয়া হয়নি।

টয়োটা এলিয়নে চড়েও আপনি সুখী নন, আপনার কেন পাজেরো নাই? এর কারণ আপনার মাঝে হিকমাহ নাই, সাকিনা উঠে গেছে। আপনি আপনার অবস্থানে সুখী নন।

আরবি হিকমা শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা। যাকে আল্লাহ তা'আলা হিকমা দান করেন সে সর্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকে, শান্তিতে থাকে। এর অর্থ নিজেকে মানিয়ে চলা এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকা।

রিজিক শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক।
■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
■▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং
■▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

■■ রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি।

■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।

■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না।

■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তা'আলা নিয়েছেন।

■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।

■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!

■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখ

25/09/2024

Address

Mymensingh
2200

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahbub Belal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mahbub Belal:

Share