13/11/2023
ওই যে কথায় আছে না, “কুড়িতেই মেয়েরা বুড়ি।” কথাটা আসলেই সত্য। বিশ পার হওয়ার পরেই বাবা-মায়েরা তাদের দায়িত্ববোধ থেকেই মেয়ের বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগে। তেইশ পর্যন্ত ততটা পেরেশানি না হলেও পঁচিশ পার হওয়ার পরেই বিয়ে না হওয়া মেয়েটা যেন তাদের গলায় কা'টার মতো আটকে থাকে। না পারে বের করে দিতে আর না পারে গিলে ফেলতে।
শুধু ছেলেরাই টিউশনি করিয়ে নিজের স্যা'ন্ডেল ক্ষ'য় করে না। মেয়েরাও করে। মেয়েরাও পড়ন্ত বিকালের সৌন্দর্য থেকে মুখ ফিরিয়ে, তার কাছে পড়তে থাকা বাচ্চাটার খাতার ভু'ল খুঁজতে ব্যস্ত হয়। নীল শাড়ির সাথে সাদা ব্লাউজ পরে নিজেকে আকাশ আকাশ লাগার ব্যাপারটাকে গলা টিপে মে'রে ফেলতে তারাও জানে।
বাবার রিটায়ার্ডের পরে পরিবারের বড় মেয়েটাকেই সংসারের হাল ধরতে হয়। কারো প্রেয়সী হওয়ার হাজারটা সুযোগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে ওই মেয়েটা দিব্যি জানে। পরিবারের দুশ্চিন্তায়, রাতে না ঘুমিয়ে কেশবতী মেয়েটার চুলগুলো এখন ইতিহাস মাত্র। সাথে মানুষের কটু কথা তো আছেই।
বলছি না মেয়েরা ধোয়া তুলশী পাতা। আবার সব মেয়েরাই যে খারাপ এমনটাও কিন্তু নয়। তাই সবাইকে এক চোখে দেখাটা বোকামো ছাড়া আর কিছুই না। মেয়েরাও সেক্রিফাইস করতে জানে। চারপাশে কিছুটা চোখ বুলিয়ে দেখলেই সেটা নি'খুঁতভাবে এমনিতেই খুঁজে পাওয়া যায়। আর যে মেয়েগুলো এমন হাজারটা সেক্রিফাইসে ভরপুর, তাদের আত্মসম্মানটা তাদের ভালোবাসা থেকেও সহস্র গুন বেশি। এদের একটু সম্মান করুন, দেখবেন এরা আপনাকে কয়েকগুন বেশি সম্মান ফিরিয়ে দেবে।
_ নাবিলা তাসনিম