20/12/2024
একজন গর্ভবতী স্ত্রী তাঁর স্বামীকে বললেন:
"তুমি কী আশা করছো? ছেলে হবে, না মেয়ে?"
স্বামী:
"যদি ছেলে হয়, আমি তাকে অংক শেখাবো, আমরা একসাথে খেলাধুলা করবো, মাছ ধরা শেখাবো আর অনেক কিছু করবো।"
স্ত্রী:
"হা.. হা.. আর যদি মেয়ে হয়?"
স্বামী:
"যদি মেয়ে হয়... আমি তাকে কিছুই শেখাতে হবে না। বরং সে-ই আমাকে সব কিছু নতুন করে শেখাবে। যেমন, কীভাবে পোশাক পরতে হয়, কীভাবে খেতে হয়, কখন কী বলতে হয় আর কী বলা উচিত নয়।
এক কথায়, সে হবে আমার দ্বিতীয় মা। আমি কিছু না করলেও সে আমাকে তার হিরো ভাববে। যখন তাকে কিছুতে না বলবো, তখনও সে আমাকে বুঝবে।
সে সবসময় তার স্বামীকে আমার মতো হতে চাইবে। সে যত বড়ই হোক না কেন, সে সবসময় চাইবে আমি তাকে আমার বেবি ডলের মতোই ভালোবাসি।
সে আমার জন্য সবার সঙ্গে লড়াই করবে। কেউ আমাকে আঘাত করলে, সে তাকে কখনোই ক্ষমা করবে না।"
স্ত্রী:
"তাহলে কি বলতে চাইছো, তোমার মেয়ে এসব করবে কিন্তু তোমার ছেলে করবে না?"
স্বামী:
"না, না! হয়তো ছেলেও করবে, কিন্তু তাকে এসব শিখতে হবে। কিন্তু মেয়েরা এসব নিয়ে জন্মায়।
একজন মেয়ের বাবা হওয়া একজন পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়।"
স্ত্রী:
"কিন্তু সে তো সারাজীবন আমাদের সাথে থাকবে না।"
স্বামী:
"হ্যাঁ, কিন্তু আমরা সবসময় তার হৃদয়ে থাকবো। তাই সে যেখানে থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না।"
মেয়েরা প্রকৃত অর্থে এমন এক ফেরেশতা, যারা জন্ম থেকেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর যত্ন নিয়ে আসে।
---
কন্যা সন্তানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা
ইসলামে কন্যা সন্তানের বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলত উল্লেখ করা হয়েছে। মহানবী (সা.) কন্যা সন্তানের লালন-পালনের জন্য বিশেষভাবে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
১. কন্যা সন্তানের লালন-পালনে জান্নাতের সুসংবাদ:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি দুই কন্যা সন্তানের লালন-পালন করবে যতক্ষণ না তারা প্রাপ্তবয়স্ক হবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এভাবে (উপর্যুক্ত দুই আঙুল দেখিয়ে) একসঙ্গে থাকব।"
(সহীহ মুসলিম: ২৬৩১)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, কন্যা সন্তানের সঠিক যত্ন, ভালোবাসা এবং সম্মান দিলে আল্লাহ জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।
২. কন্যাদের প্রতিপালন গুনাহ মোচন করে:
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি তিনটি মেয়েকে অথবা তিনটি বোনকে প্রতিপালন করবে, তাদের ভালোভাবে দেখাশোনা করবে এবং তাদের প্রতি দয়া করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।"
(তিরমিজি: ১৯১২)
৩. কন্যা সন্তান দয়া এবং বরকতের প্রতীক:
ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি মেয়েদের প্রতি সদয় আচরণ করবে এবং তাদের সঠিক অধিকার দেবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
(মুসলিম: ২৬২৯)
---
মেয়েরা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনন্য রহমত। কন্যা সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন আমাদের জন্য শুধু দায়িত্ব নয়, বরং জান্নাতের রাস্তা। একজন বাবার কাছে তার মেয়ে শুধু সন্তান নয়, বরং জীবনের এক বিশুদ্ধ আর্শীবাদ।
সকল সৌভাগ্যবান বাবাদের উদ্দেশ্যে, যারা কন্যা সন্তানের বাবা হতে পেরেছেন। আল্লাহ তাদের মেয়েদের বরকতময় করুন। আমিন