Ruksana parvin runa

Ruksana parvin runa Ruksana's Collection...

Good morning everyone... ☀
25/08/2025

Good morning everyone... ☀

গতকাল ফেসবুকে একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম আর ছবির ক্যাপশন ছিলো,”এই রোমান্টিক আবহাওয়ায় যার বউ নাই তার কোলবালিশ আছে অথচ আমার ব...
16/08/2025

গতকাল ফেসবুকে একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম আর ছবির ক্যাপশন ছিলো,”এই রোমান্টিক আবহাওয়ায় যার বউ নাই তার কোলবালিশ আছে অথচ আমার বউ কোলবালিশ কোনটাই নাই ”

আজ সকালে দেখি আমার গার্লফ্রেন্ড শ্রাবণী একটা কোলবালিশ নিয়ে আমার অফিসে এসে হাজির। আমায় দেখে মিষ্টি হেসে বললো,
“তোমার তো কেউ নেই তাই তোমার জন্য একটা কোলবালিশ নিয়ে আসলাম”

আমি কিছুটা ভয়ে ভয়ে বললাম,
-পোস্টটা তো আমি মজা করে করেছি। তুমি সিরিয়াসলি নিচ্ছো কেন?

শ্রাবণী দাঁতে দাঁত চেপে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে বললো,
- “তোমায় কে বলেছে রোমান্টিক আবহাওয়ায় একা একা থাকতে? এতোদিন বিয়ের কথা বললে বলতে, “আগে পড়াশোনাটা শেষ করি” পড়াশোনা শেষ হবার পর যখন বিয়ের কথা বললাম তখন বলেছো, “আগে একটা চাকরির ব্যবস্থা করি” এখন চাকরি পাবার পর যখন বিয়ের কথা বলি তুমি শুধু এই সমস্যা ওই সমস্যা দেখাও। সত্যি করে বলো তো তুমি কি চাও?”

আমি বিড়বিড় করে বললাম,
-শান্তি চাই।
- “ঠিক বুঝলাম না? কি বলেছো তুমি?”

আমি আমতা আমতা করে বললাম,
- “আসলে সামনের মাসে আমার মামাতো বোনের বাচ্চা ডেলি%*ভারি। ওর বাচ্চাটা হয়ে গেলেই আমরা বিয়ে করে নিবো?”

শ্রাবণী অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- “মামাতো বোনের বাচ্চা ডেলি%*ভারির সাথে আমাকে বিয়ে না করার কি সম্পর্ক?”

কথাটা বলার পর বুঝতে পেরেছি আমি কতবড় বোকামি করেছি। আসলে শ্রাবণীর রাগী চেহারা দেখলে আমি আমার ভিতর থাকি না। সব এলোমেলো হয়ে যায়। জানি না কোন আহাম্মক বলেছিলো মেয়েরা রাগলে সুন্দর লাগে। কিন্তু আমার তো মনে হয় নারী জাতি রাগলে ক্ষু%*ধার্ত বাঘি%*নীর মতো লাগে। আমি তখন বললাম,
- আসলে আমার মামাতো বোনটা ৯ মাসের প্রেগন্যান্ট। ও আমায় বারবার বলেছে আমার বিয়েতে নাকি ও নোরা ফাতিহির মতো বেলি ডান্স দিবে। একটাবার কল্পনা করে দেখো আমাদের বিয়ে হচ্ছে আর সেই বিয়েতে সকল মানুষের মাঝে ৯মাসের প্রেগন্যান্ট একটা মেয়ে বেলি ডান্স দিচ্ছে। বিষয়টা কতটা জঘ%*ন্য হবে বুঝতে পারছো?

কথাটা শোনার পর শ্রাবণী যখন চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকালো তখন আমার অফিস কলিগ শাহীন ভাই এসে হাজির। এই লোকটাকে দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমি এমনও দেখেছি ৬ বছরের সংসার ভেঙে গেছে উনার এক কথাতে। উনি আমাকে দেখে চোখ মুখ শক্ত করে বললো,
-“আরে পিয়াস সাহেব, আপনি এখানে। আপনাকে নিয়ে তো পুরো অফিসে আলোচনা হচ্ছে”

আমি অবাক হয়ে বললাম,
-আমাকে নিয়ে আলোচনার কি আছে?

শাহীন সাহেব আমার আরো কাছাকাছি এসে বললো,
- “ GM ম্যাডাম তো আজ উনার দেড় বছরের বাচ্চাটাকে নিয়ে অফিসে এসেছে। বাচ্চাকে দেখে তো আমরা সবাই অবাক। হুবহু আপনার মতো দেখতে। সেইম আপনার মতো নাক, মুখ, কান। সবাই বলাবলি করছে এই বাচ্চাটা আপনার। আর এজন্যই নাকি ম্যাডাম আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা চোখে দেখে। তাছাড়া বহুদিন আগে শুনেছিলাম আফিশিয়াল কাজে আপনারা দুইজন একবার কক্সবাজার গিয়েছিলেন তখন নাকি হোটেলে একটা রুমেই খালি ছিলো। আপনারা নাকি একসাথে একই রুমে রাত কাটিয়ে ছিলেন ।”

কথাটা শুনার পর আমি বিরক্ত হয়ে উনাকে বললাম,
- “আপনি এইসব আজগুবি কথা কোথা থেকে শুনেন?”

শ্রাবণীর দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলাম, মেয়েরা রেগে গেলে সুন্দর লাগে না, সুন্দর লাগে তখন যখন মেয়েরা অনেক কষ্টে কান্না চেপে রাখে। কি ভয়ংকর রকম সুন্দর লাগছে শ্রাবণীকে। শ্রাবণী কিছু না বলে চলে যেতে লাগলো। আমি পিছন পিছন যেতে যেতে বললাম,
-বিশ্বাস করো ম্যাডামের সাথে আমার এমন কোন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া আমার তো বাবা হবার সম্ভাবনাই নেই?

শ্রাবণী আমার দিকে ঘুরে তাকিয়ে বললো,
- “কেন সম্ভাবনা নেই?”

কথাটা বলার পর চিন্তা করতে লাগলাম, এটা আমি কি বললাম! আমি সবসময় উল্টো পাল্টা বে%*ফাঁস কথা বলে বিপদে পড়ি।
শ্রাবণী রেগে বললো,
- “কি হলো চুপ করে আছো কেন?”

আমি কি বললো না বলবো ভাবতে ভাবতেই খেয়াল করি দেয়ালে একটা পোস্টার আর তাতে লেখা, “ আপনি কি বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন? তাহলে আপনার একমাত্র ঠিকানা হাকিম কবিরাজ। যোগাযোগঃ০১৭—----”

আমি মাথা নিচু করে দেয়ালের পোস্টারটা শ্রাবণীকে দেখিয়ে বললাম,
-আমার উনার কাছে যেতে হয় প্রায় সময়। বাকিটা তুমি বুঝে নাও

শ্রাবণী আমার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বললো,
- “ছিঃ পিয়াস, তুমি এইসব নিয়ে ভয় পাচ্ছো কেন? আমার এইসবের প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এইসব আলতু ফা%*লতু কবি%*রাজের কাছে না গিয়ে ভালো ডাক্তার দেখালে তুমি ঠিক হয়ে যাবে। এখন চলো আমাকে ফুচকা খাওয়াবে।”-----

—---

কথায় আছে যেখানে বা%*ঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শ্রাবণীকে নিয়ে যখন ফুচকার দোকানে গেলাম তখন খেয়াল করি আমার মামাতো বোন লামিয়া সেখানে। আমাকে দেখে সে আমার কাছে এসে বললো,
- “উনিই তাহলে শ্রাবণী ভাবি? আচ্ছা তোরা এখনো বিয়ে করছিস না কেন? আমার কতদিনের শখ তোর বিয়েতে আমি নাচ করবো”
শ্রাবণী অবাক হয়ে বললো,
- “তুমি না প্রেগন্যান্ট?”

লামিয়া আরো অবাক হয়ে বললো,
-“ নাউযু%*বিল্লাহ, আমার তো বিয়েই হয় নি। তাহলে প্রেগন্যান্ট হবো কিভাবে?”

শ্রাবণী রাগে যখন চলে যেতে লাগলো তখন আমি ওর পিছন পিছন এসে ওর হাতটা ধরে বললাম,
- “প্লিজ তুমি আমায় ভুল বুঝো না। আসলে আমি বিয়ে করতে ভয় পাই আমার বাবার জন্য?”

শ্রাবণী চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো,
- “মানে কি! তোমার বিয়ে করার সাথে আংকেলের কি সমস্যা?”

আবার বে%*ফাঁস কথা বলে ফেলেছি। বেচারা বাবার উপর এখন দোষ চাপাতে হবে। আমি শ্রাবণীকে বললাম,
-জন্মের পর থেকেই দেখেছি বাবা মায়ের উপর অত্যা%*চার করে। রঞ্জিত মল্লিক প্যান্টের বেল্ট খুলে যেমন গু%*ন্ডাদের মা%*রতো তেমনি প্রতি রাতে বাবা প্যান্টের বে%*ল্ট দিয়ে মাকে মা%*রতো। অথচ মা বাবা প্রেম করে বিয়ে করেছিলো। আমার ভয় হয় বিয়ের পর আমিও যদি বাবার মতো বদলে যায়। তোমার উপর অত্যা%*চার করি।

কথাগুলো বলে হালকা আবেগে কেঁদে দিলাম। শ্রাবণী আমায় জড়িয়ে ধরে বললো,
“এমন কিছুই হবে না।তুমি যাকে এতো ভালোবাসো তার গায়ে তুমি কখনো হাত উ%*ঠাতে পারবে না?”---

—---

একদিন সকালে শ্রাবণী আমাদের বাসায় এসে হাজির। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই বাবা রান্নাঘর থেকে বের হয় কপালের ঘাম মুছতে মুছতে মাকে বললো,
- “ওগো শুনছো? সকালের নাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। তোমার নাস্তা করা হয়ে গেলে আমি প্লেটগুলো ধুয়ে অফিস যাবো।একটু যদি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে”

শ্রাবণী আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- “হা%*রামি, আমি বিয়ের আগেই আজ বিধ%*বা হবো”---

রাস্তায় আমি দৌড়াচ্ছি আর ভাবছি, “শ্রাবণীকে কি করে বলি বাবাকে দেখে আমার বিয়ের শখ মিটে গেছে। আল্লাহ ৩০টা দিন মা বাবাকে দিয়ে সংসারের সমস্ত কাজ করায়। আমার সাথে যদি এমন হয়। সেই ভয়েই তো বিয়ে করি না…

-ভয়
-আবুল বাশার পিয়াস

Good morning🌞☕
07/08/2025

Good morning🌞☕

কেমন লাগছে আমাকে 🫣🤭☺️...???
02/06/2025

কেমন লাগছে আমাকে 🫣🤭☺️...???

17/05/2025

আমি হলাম রাত জাগা পাখি 😳 আমার মতোন কে কে জেগে আছো এখনো???

আলহামদুলিল্লাহ। 🤲অবশেষে বিজয় আমাদের ই হলো।
05/08/2024

আলহামদুলিল্লাহ। 🤲অবশেষে বিজয় আমাদের ই হলো।

05/08/2024

এক টানা ৫ দিন ধরে আমার জর।সেই সাথে সর্দি হাঁচি, মাথা ব্যাথা,শরীর ব্যাথা।বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি অনেক কেঁদেছি।কেন?আমার শরীর খারাপ বলে? অবশ্যই না। আসলে,আমি কেঁদেছি সেই সব নিরীহ মানুষের তাজা রক্ত দেখে।আমি কেঁদেছি সেই সব সাধারণ মানুষের উপর অস্ত্র চালানো দেখে।আমি কেঁদেছি রাস্তায় হেটে চলা সাধারণ জনগণের উপর পুলিশের নির্যাতন করা দেখে।আমি কেঁদেছি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে গনহত্যা দেখে।আমি কেঁদেছি নিরাপত্তা বাহিনী গুলো যখন নিরিহ মানুষদের কেও হিংস্র জানোয়ারের মতো টেনে গাড়ি তে তুলে মিথ্যে মামলা দিয়ে দেয়।আমি কেঁদেছি পুলিশের গাড়ি যখন কয়েকটা রিকশা চালকদের গুরিয়ে দিয়ে চলে যায়।আমি কেঁদেছি সেই সব অনাকাঙ্ক্ষিত লাশ দেখে যারা কিনা রাজনীতি কি জিনিস সেটাই বুঝে না।আমি কেঁদেছি সেই সব ফুটফুটে শিশুর লাশ দেখে যারা আন্দোলন কি মিছিল কি সেটাই জানে না।আমি কেঁদেছি সেই মেধাবী ছেলেটি কে দেখে যে কিনা তৃষ্ণারত ব্যাক্তিদের কে পানি খাওয়াচ্ছিল। চোখে যন্ত্রণা হওয়ার পর ও নিজের কথা না ভেবে পানি লাগবে কিনা কারো চিৎকার করে যাচ্ছিলো বারবার। কে যানতো এই অপরাধে তাকেও গুলি করে মেরে ফেলবে।আমি কেঁদেছি সেই ছেলেটার কান্না দেখে যখন টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছিল চারদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার চোখে জালাপোড়া নিয়ে মানুষ এদিক ও দিক ছুটছিল এক যুবক অসহায়ের মতো চিৎকার করে কান্না করে বলছিল হে আল্লাহ তুমি এর বিচার করো। এই জালেম সরকারের হাত থেকে আমাদের সবাই কে বাঁচাও।আমি কেঁদেছি শতাধিক বাবা মায়ের সন্তান হারানোর শোকে তাদের বুক ফাটা কান্না আহাজারি আর্তনাদ করা দেখে।আমি কেঁদেছি হসপিটালের বেডে শুয়ে থাকা হাজারো মানুষ কে আহত অবস্থা দেখে। কারো চোখ নেই, কারো পা নেই, কারো বা হাত নেই। কেউ কেউ আবার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।আমি কেঁদেছি সেই বাবার হাউমাউ করে কান্না করা দেখে। যিনি কিনা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্তই ছিল না শুধুমাত্র সন্দেহ বশে জামায়াত শিবিরের কর্মি ভেবে জোরপূর্বক পুলিশ বাহিনী ধরে নিয়ে যায় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয় রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ওনাকে নির্যাতন করে।আমি কেঁদেছি শতাধিক মানুষের লাশ দেখে কারো বাবা, কারো সন্তান, কারো ভাই, কারো বোন, কত মায়ের বুক ফাটা আহাজারি কান্না এসব দেখে কার চোখ দিয়ে পানি আসবে না?কান্না এমনি এমনি আসে না। কান্না অটোমেটিক চলে আসে।আমাদের সবার চোখে এখন শুধুমাত্র নোনাপানির অস্রু নয়,এই অস্রুর সাথে মিশে আছে হাজার মানুষের রক্ত।

Address

Mymensingh

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ruksana parvin runa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share