Ruksana parvin runa

Ruksana parvin runa Ruksana's Collection...

আলহামদুলিল্লাহ। 🤲অবশেষে বিজয় আমাদের ই হলো।
05/08/2024

আলহামদুলিল্লাহ। 🤲অবশেষে বিজয় আমাদের ই হলো।

05/08/2024

এক টানা ৫ দিন ধরে আমার জর।সেই সাথে সর্দি হাঁচি, মাথা ব্যাথা,শরীর ব্যাথা।বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি অনেক কেঁদেছি।কেন?আমার শরীর খারাপ বলে? অবশ্যই না। আসলে,আমি কেঁদেছি সেই সব নিরীহ মানুষের তাজা রক্ত দেখে।আমি কেঁদেছি সেই সব সাধারণ মানুষের উপর অস্ত্র চালানো দেখে।আমি কেঁদেছি রাস্তায় হেটে চলা সাধারণ জনগণের উপর পুলিশের নির্যাতন করা দেখে।আমি কেঁদেছি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে গনহত্যা দেখে।আমি কেঁদেছি নিরাপত্তা বাহিনী গুলো যখন নিরিহ মানুষদের কেও হিংস্র জানোয়ারের মতো টেনে গাড়ি তে তুলে মিথ্যে মামলা দিয়ে দেয়।আমি কেঁদেছি পুলিশের গাড়ি যখন কয়েকটা রিকশা চালকদের গুরিয়ে দিয়ে চলে যায়।আমি কেঁদেছি সেই সব অনাকাঙ্ক্ষিত লাশ দেখে যারা কিনা রাজনীতি কি জিনিস সেটাই বুঝে না।আমি কেঁদেছি সেই সব ফুটফুটে শিশুর লাশ দেখে যারা আন্দোলন কি মিছিল কি সেটাই জানে না।আমি কেঁদেছি সেই মেধাবী ছেলেটি কে দেখে যে কিনা তৃষ্ণারত ব্যাক্তিদের কে পানি খাওয়াচ্ছিল। চোখে যন্ত্রণা হওয়ার পর ও নিজের কথা না ভেবে পানি লাগবে কিনা কারো চিৎকার করে যাচ্ছিলো বারবার। কে যানতো এই অপরাধে তাকেও গুলি করে মেরে ফেলবে।আমি কেঁদেছি সেই ছেলেটার কান্না দেখে যখন টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছিল চারদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার চোখে জালাপোড়া নিয়ে মানুষ এদিক ও দিক ছুটছিল এক যুবক অসহায়ের মতো চিৎকার করে কান্না করে বলছিল হে আল্লাহ তুমি এর বিচার করো। এই জালেম সরকারের হাত থেকে আমাদের সবাই কে বাঁচাও।আমি কেঁদেছি শতাধিক বাবা মায়ের সন্তান হারানোর শোকে তাদের বুক ফাটা কান্না আহাজারি আর্তনাদ করা দেখে।আমি কেঁদেছি হসপিটালের বেডে শুয়ে থাকা হাজারো মানুষ কে আহত অবস্থা দেখে। কারো চোখ নেই, কারো পা নেই, কারো বা হাত নেই। কেউ কেউ আবার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।আমি কেঁদেছি সেই বাবার হাউমাউ করে কান্না করা দেখে। যিনি কিনা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্তই ছিল না শুধুমাত্র সন্দেহ বশে জামায়াত শিবিরের কর্মি ভেবে জোরপূর্বক পুলিশ বাহিনী ধরে নিয়ে যায় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয় রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ওনাকে নির্যাতন করে।আমি কেঁদেছি শতাধিক মানুষের লাশ দেখে কারো বাবা, কারো সন্তান, কারো ভাই, কারো বোন, কত মায়ের বুক ফাটা আহাজারি কান্না এসব দেখে কার চোখ দিয়ে পানি আসবে না?কান্না এমনি এমনি আসে না। কান্না অটোমেটিক চলে আসে।আমাদের সবার চোখে এখন শুধুমাত্র নোনাপানির অস্রু নয়,এই অস্রুর সাথে মিশে আছে হাজার মানুষের রক্ত।

Address

Mymensingh

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ruksana parvin runa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share