23/09/2025
সন্তানের ভবিষ্যৎ সিকিউর করতে গিয়ে তার বর্তমান নষ্ট করছেন না তো? আপনার অতিব্যস্ততা, স্ট্রেস, টেনশন—এ সবকিছুর প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। বাড়ি, গাড়ি, ভালো স্কুল, ভালো খাবার, দামী পোশাক, দামী গ্যাজেট/স্টাফ—এগুলো আপনার সন্তানকে সুখী করার জন্য যথেষ্ট নয়। বৈষয়িক আতিশয্যে হয়তো বাচ্চাদেরকে কমফোর্ট দেয়া যায়, পুরোপুরি সুখী করা যায় না! বাচ্চার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার হলো আপনার উপস্থিতি আর উচ্ছলতা। যে লাইফস্টাইল মেইনটেইন করতে আপনাকে সবসময় বাড়তি এফোর্ট দিতে হয় আর সবসময় টেনশনে থাকতে হয়, সেই লাইফস্টাইল আপনাকে বৈষয়িকভাবে ধনী করে তুললেও মানসিকভাবে দরিদ্র করে তোলে। কারণ স্ট্রেস, টেনশন, ওয়ার্কলোড আর বৈষয়িক দম্ভ মানুষকে অনেক সময় টক্সিক করে তোলে।
সবাই অফেন্ডেড হবেন না। বিষয়গুলো সবার জন্য একরকম নয়। পারিবারিকভাবে বা নিজের যোগ্যতা বলে সম্পদশালী হওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু বাড়তি সম্পদ অর্জনের প্রয়াস যেন আপনার পরিবারকে, বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে, ডিপ্রাইভ না করে। সবাই পরিবার নিয়ে সময় উপভোগ করতে জানে না, সবাই ছোট ছোট খুশি উদযাপন করতে জানে না। কখনো কখনো একজন বিলিওনিয়ার বাবাও সন্তানের কাছে এক আতঙ্কের নামান্তর, আবার একজন দিনমজুর বাবা তার বাচ্চাদের কাছে সুপারহিরো।
পুরো বিষয়টিই মানসিকতার, উপলব্ধির।
বাচ্চারা শৈশবে যেভাবে আনন্দ পায়, যেভাবে উদযাপন করে—বড় হওয়ার পরে তাদের মধ্যে সেই ‘র’ ফিলিংটা থাকে না। আপনি নিজে একবার ভাবুন তো, ছোটবেলায় ঈদ/পূজায় যতটা আনন্দ পেতেন, সেই একই আনন্দ কি আজও আপনার মধ্যে কাজ করে? সুতরাং, আপনার সন্তানের রঙিন শৈশবটাকে ধূসর করে দিবেন না। বাচ্চার জন্য সবচেয়ে বড় উপহার হলো আপনার আনন্দপূর্ণ উপস্থিতি, সবচেয়ে বড় লাক্সারি হলো আপনার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত। এগুলো থেকে সন্তানকে বঞ্চিত করে বৈষয়িক উপহার দিয়ে বিষয়গুলোকে রিপ্লেস করা মানে—‘গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি দেয়া।’