24/04/2025
মুক্তাগাছার বানিয়া কাজী গ্রামে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চে.ষ্টা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার খিলগাতী বানিয়াকাজী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ৮ বছরের এক শিশুকে গত ২ দিন আগে ধর্ষণের চেষ্টা করে তার দাদা।
ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম সম্পর্কে শিশুটির বাবার চাচা হয়।
অভিযুক্ত আনোয়ার উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বানিয়াকাজী গ্রামের এছাহাক আলীর পুত্র।
সম্পর্কে শিশুটির দাদা হওয়ার সুবাদে তিনি প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
ভূক্তভোগী শিশুটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। বুড়ো বাবা-মা ও মাতৃহীন মেয়েকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটি পড়তে বসে। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে অভিযুক্ত আনোয়ার ঘরে প্রবেশ করে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড় দেয়।
এ সময় বিদ্যুৎ চলে এলে আনোয়ার তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুর দাদী আনোয়ারকে পালিয়ে যেতে দেখে এবং পরবর্তীতে শিশুটি তার দাদীকে সব জানিয়ে দেয়।
গরীব পরিবার এর সুযোগ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আনোয়ার আর তার পরিবারের লোকজন চাপ দিতে থাকে এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে যেন তারা বিষয়টি কাউকে জানাতে না পারে।
পরবতীর্তে শিশুটির দাদা এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি এবং নেতাদের জানালে তারা বুধবার শালিস আহবান করে
বুধবার সকালে শালিস বৈঠকে স্থানীয় নেতারা এবং প্রভাবশালী লোকজন ধামাচাপা দিতে বসলে আনোয়ার এর পক্ষ নিয়ে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করে।
এতে শিশুর চাচা প্রতিবাদ জানায় এবং চিল্লাচিল্লি করলে লোকজন তাকে ভয় ভীতি দেখায় এবং এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডায় শালিস বৈঠকটি ভেস্তে যায়।
শিশুর বাবা জানায়, বৈঠকে টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা করতে না পেরে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাসায় এসে হুমকি দিয়ে যায়।
এই আনোয়ার এর ভাই ডি আইজি অফিসে চাকরি করে সেই প্রভাব দেখিয়ে এর আগেও একই কুকর্ম করে বহাল তবিয়তে আছে।
এমনকি তার বাড়ির পাশের একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও তার কুনজর নোংরামি থেকে রক্ষা পায় নি।
এবার বিচারের দ্বায়ভার জনগণকে নিতে হবে। টাকা দিয়ে সম্মান বিক্রি মুক্তাগাছায় হবে না।
Copy