
15/09/2025
কেন্দুয়ায় চীনা নাগরিকসহ দুইজন আটক, পাচারের হাত থেকে রক্ষা পেল তিন তরুণী
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সলফ কমলপুর গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন তরুণীকে চীনে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। স্থানীয়দের সন্দেহ, সংবাদকর্মীর সতর্কতা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা উদঘাটিত হয়।
আটককৃতরা হলেন চীনা নাগরিক লি ওয়েইহাও এবং বাংলাদেশি নাগরিক মোঃ ফরিদুল ইসলাম (৩৫), কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়া তিন তরুণীর মধ্যে রয়েছেন এক পোশাকশ্রমিক তরুণী, তার খালাতো বোন এবং জামালপুরের এক কিশোরী।
পুলিশ জানায়, বিয়ের ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। ফরিদুলের মোবাইল ফোন থেকে অসংখ্য নারীর ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট কপি, টাকা লেনদেনের প্রমাণ এবং পাচারের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকের তথ্যের ভিত্তিতে সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার বিষয়টি থানাকে অবহিত করলে, রাত ২টা ১৫ মিনিটে ওসি (তদন্ত) মিহির রঞ্জন দেব অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আইন অনুযায়ী, নোটারি এফিডেভিট দিয়ে বিয়ে বৈধ নয়। তাছাড়া, বিদেশি নাগরিকদের উপজেলা বা জেলায় প্রবেশে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও আটক চীনা নাগরিক কোনো অনুমতি নেননি এবং পাসপোর্ট/ভিসার কপি তার কাছে ছিল না।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। জেলা প্রশাসকও স্বীকার করেন, নিয়ম ভঙ্গ করে চীনা নাগরিক এলাকায় প্রবেশ করেছিলেন।
👉 প্রশাসনের মতে, এ ঘটনা স্পষ্ট করছে যে একটি সক্রিয় আন্তর্জাতিক পাচারচক্র বিদেশিদের সঙ্গে জোট বেঁধে দরিদ্র পরিবারের তরুণীদের টার্গেট করছে।