Shekh Academy

Shekh Academy Shekh Academy completely a non-profit Institution with the mission of providing an easy educational techniques for Bangladeshi Students.

উচ্চারণ  #জবপরীক্ষা
03/05/2025

উচ্চারণ
#জবপরীক্ষা

নিবন্ধননামা নিয়ে আসছি সঙ্গেই থাকুন।
20/10/2024

নিবন্ধননামা নিয়ে আসছি সঙ্গেই থাকুন।

With Abdul Auwal Mia Shekh – I just got recognised as one of their top fans! 🎉
19/10/2024

With Abdul Auwal Mia Shekh – I just got recognised as one of their top fans! 🎉

03/04/2024

৪৪তম বিসিএস ভাইভার ৪৪ টি পরামর্শ

মহান সৃষ্টিকর্তার স্মরণে ভাইভার পড়াশুনা শুরু করবেন। মনে রাখবেন, এই ১১ হাজার ৭৩২ জন ক্যান্ডিডেট থেকেই জেনারেল ক্যাডার/ প্রত্যাশিত ক্যাডার পাবেন। তাই আপনার সর্বোচ্চ পরিশ্রম দিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে নিজেকে শাণিত করুন।আপনার সফলতার পথে আমার পরামর্শ কিছুটা হলেও সহায়তা করবে- এই বিশ্বাস থেকেই এই লেখাটি আপনাদেরকে উৎসর্গ করলাম।

১. আউটফিট ও মানসম্মত পোশাক(Proper Dress Code) - এবারের ভাইভা যেহেতু গ্রীষ্মকালে শুরু হতে যাচ্ছে তাই Gents দের জন্য Formal পোশাকেই (স্যুট+ টাই+ টাই ক্লিপসহ)রেডি হয়ে যেতে হবে এটা বাধ্যতামূলক নয়, তবে সুন্দর আউটলুকসহ উপস্থাপনা খুবই গুরুত্ববহ। Ladies দের জন্য শাড়ী প্রেফারেবল বলেই মনে করেন সবাই,হালকা মেপআপ নেয়া যেতে পারে।
যেদিন/যে মাসে ভাইভা দেবেন সেই দিনের বাংলা মাস ও তারিখ, আরবি মাস ও তারিখ, ইতিহাসের আয়নায় সেই মাসে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ জেনে যাবেন অতি যত্নসহকারে।

২. বোর্ডে প্রবেশ- আপনাকে বিশ্লেষণ করা শুরু হবে প্রবেশপর্ব থেকেই । Greetings বিনিময় করে ধন্যবাদ দিয়ে আপনি নিজেই কৌশলে ভাইভা পরিবেশকে হালকা করে তুলতে পারেন।

৩. কথোপকথন ( বাংলায় প্রশ্ন করলে বাংলাতেই উত্তর, ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতেই উত্তর দেবেন, টেকনিক্যাল ও বিষয়ভিত্তিক টার্ম ইংরেজিতেই বলা যাবে।যারা নিচুস্বরে কথা বলেন তারা একটু Voice Pitch ঠিক করে নেবেন, যারা স্বভাবতই জোরালো আওয়াজে কথা বলেন, তারা নরমাল হবার চেষ্টা করবেন।
আঞ্চলিকতা অবশ্যই পরিহার করতে হবে, বাংলা উচ্চারণ ঠিকভাবে করতে হবে , ইংরেজির ক্ষেত্রে Natural English বলবেন, আপনি যা - সেই সেরকম ভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করবেন,মেকি ভাবে 'লেফাফা' ধারণ করবেন না। সাবলীলভাবে স্থিতধী হয়ে উত্তর করতে হবে।

৪. প্রশ্ন বৈচিত্র্য -
* Icebreaking Questions - Introduce yourself, Tell about your District, Tell about your Upazilla,
* Relate your cadre choice with academic subject etc.
* Cadrewise Questions
* Subjective Questions
* GK questions- BA, IA, Geography, Good Governance
** Critical Questions/ Understanding--- বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আপনি কি করবেন? Judicial Killing সমর্থন করেন কি না? ঘুষ খাবেন কি না? বিদেশি Delegates দের সামনে কীভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে তুলে ধরবেন? বাংলাদেশের দর্শন কী? করোনা পরিস্থিতি পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা কেমন হওয়া উচিত? ইত্যাদি প্রশ্ন।
* Final greetings - সুন্দরভাবে নিজের কাগজপত্র নিয়ে, সম্মান জানিয়ে, পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে, সবিনয়ে, নিঃশব্দে প্রস্থান করা।

৫. প্রশ্ন বুঝে একটু সময় নিয়ে স্পষ্টভাবে উত্তর দেয়া, প্রশ্ন পুরোপুরি না শুনে উত্তর দিতে শুরু করবেন না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে উত্তর দেবেন- মনে রাখবেন ভাইভাতে আপনাকে যে সময় রাখা হবে তার সর্বোত্তম ব্যবহার আপনাকেই করতে হবে। আপনাকে Impromptu and Extemporaneous হতে হবে।

৬. নিজের সাবজেক্টের সাথে ---প্রশাসন /ফরেন/পুলিশ/কাস্টমস/ ট্যাক্স/ অডিট ক্যাডারের সম্পর্ক, এই কমন প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে রেডি করতে হবে। পঠিত বিষয়ের সাথে পছন্দের ক্যাডারের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলে দেন যা না বলাই ভালো- বরং বলবেন এমন কথা যা বোর্ডের নিকট বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার আগে আপনার নিজের কাছেই যেন প্রশস্তিদায়ক হয়।

৭. উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে স্মর্তব্য- নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, থামতে হবে কোথায় এটা সম্পর্কে খেয়াল রাখা,
পরিমিতিবোধ থাকা( Cut your answer according to your question)
*মুদ্রাদোষ --- হাত নাড়ানো, চোখের পাতা বার বার ফেলা, পা
কাঁপতে থাকা, মুখে জড়তা কাজ করা/ তোতলানো/ আমতা আমতা করা, মেঝের দিকে তাকিয়ে/ ছাদের দিকে তাকিয়ে উত্তর দেয়া - এরকম বিষয়গুলো অবচেতনভাবে চলে আসলেও সর্বোচ্চ সতর্কভাবে ম্যানেজ করতে হবে, gesture & posture ঠিক রাখতে হবে। বোর্ডের বিজ্ঞ সদস্যদের সাথে Eye Contact ঠিক রাখতে হবে।

৮. উত্তর না পারা- এটা কীভাবে উপস্থাপন করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করা- যেমন সরি স্যার, এটা আমার জানা নেই স্যার, এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না- এভাবে বিনয়ের সাথে নিজেকে সাবমিসিভ হিসেবে তুলে ধরা, কখনোই মিথ্যা কথা বা আন্দাজে উত্তর দেবেন না। পরপর কয়েকটি প্রশ্ন না পারলেও ভড়কে যাবেন না, নিজেকে বলবেন' All is well'.
অবশ্যই একজন প্রার্থী সকল প্রশ্নের উত্তর পারবেন না, এটা কারো পক্ষে সম্ভবও না,তাই না পারা প্রশ্নেও আপনি কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন সেটাই আর্ট।

৯. আপনার নিজের সম্পর্কে, নিজ নামের অর্থ, শখ, বিশেষ গুণ, সম্পর্কে কী বলবেন তা আগে থেকেই রেডি করুন।
* নিজের সম্পর্কে বলতে বলা হলে অনেকেই প্রাগৈতিহাসিক কাহিনি শুরু করেন। এত বিষয় না বলে আপনি নিজের নাম, বাবা- মায়ের নাম, নিজ জেলা, সর্বোচ্চ একাডেমিক ডিগ্রি, এখন কি করছেন, কোন বিশেষ গুণ, Extra Currilcular Activities, Hobby ইত্যাদি থাকলে- এগুলো ২-৩ মিনিট সময়ের মধ্যে যাতে বলা সম্ভব হয়, তেমন ভাবে রেডি করুন।
* বাবার নামে সম্মান সূচক শব্দ 'জনাব' ব্যবহার করবেন।

১০. পঠিত বিষয়- নিজস্ব বিষয় সম্পর্কে কমন প্রশ্ন, টপিকস ভিত্তিক আইডিয়া নতুনভাবে ঝালিয়ে নিয়ে জেনে যেতে হবে, নিজের পঠিত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আপনাকে পারতে হবে - এটাই প্রত্যাশিত।

১১. নিজ বিভাগ, জেলা, জেলা ব্রান্ডিং, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম,
নিজ অঞ্চলের- প্রাকৃতিক সম্পদ, ফসল, নামকরা স্থান, নদ- নদী, বিখ্যাত খাবার, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, নিজ এলাকার বিখ্যাত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কয়েকজন রাজাকারের নাম, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার জেলা কোন সেক্টরে ছিলো ইত্যাদি।

১২. ক্যাডার চয়েস লিস্ট, Hierarchy- ১ম চয়েস সম্পর্কে 'আদি থেকে উপান্ত' জেনে যাবেন, ২য় চয়েস ও ৩য় চয়েস থেকেও পুঙ্খানুভাবে জানতে হবে। অন্য ক্যাডারগুলো থেকেও মৌলিক বিষয়গুলো জেনে যেতে হবে।
* জেনারেল ক্যাডারের ক্ষেত্রে শুধু ক্যাডারভিত্তিক নয়, পাশাপাশি আপনার পঠিত একাডেমিক বিষয় থেকেও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে। তাই কোন ভাবেই 'Achilles Heel' রাখা যাবে না।

১৩. বর্তমানে কোনো চাকরিতে থাকলে সেই চাকরী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে- প্রতিষ্ঠান প্রধান, বিভিন্ন উইংয়ের কাজ ইত্যাদি। যদি কোন চাকরীতে না থাকেন তাহলে এতদিন কী করেছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে কী বলা যায় তা আগে থেকেই রেডি রাখতে হবে। অবসর সময় কিভাবে কাটান? এমন প্রশ্নের উত্তরও সাজিয়ে রাখা উচিত।

১৪. নিজ বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ, হল/ হলের নামকরণ সম্পর্কে, অনুষদ/বিভাগ সম্পর্কে, বিখ্যাত শিক্ষকগণ সম্পর্কে জানতে হবে বিস্তারিতভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশে বিখ্যাত স্থান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থাপিত ভাস্কর্য সম্পর্কেও ধারণা রাখুন।

১৫. *** প্রতিনিয়ত পত্রিকা থেকে চলমান বিষয়গুলোর উপর চোখ রাখুন, বিশ্লেষণধর্মী আর্টিকেল ও সম্পাদকীয় মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অর্থনীতি পাতা, আন্তর্জাতিক পাতা, এমনকি খেলাধুলা সহ শিল্প সংস্কৃতির বিষয়গুলোতে নজর রাখুন।

১৬. সাধারণ জ্ঞান পর্বঃ
ভূগোল - প্রিলিতে যা পড়েছেন তা আবার পড়ুন- ম্যাপ সম্পর্কে, দেশের অবস্থান, প্রণালী, সাগর, উপসাগর, ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানতেই হবে।

১৭. বাংলাদেশ বিষয়াবলি- প্রিলিতে যা পড়েছেন তা আবার পড়ুন।
* ইতিহাস- আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট থেকে--- ১৯৪৭ পর্যন্ত, মোঘল আমল, নবাবি আমল, ছোট ছোট ঘটনা( মাৎস্যন্যায়, কপালের নাম গোপাল বলা হয় কেন? তুঘলকি কাণ্ড বলা হয়, নবরত্ন কারা...), গুরুত্বপূর্ণ সাল ও সংশ্লিষ্ট ঘটনা।
বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ১৯৪৭-১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনা ও প্রেক্ষাপট।

১৮.১৯৫২ সাল, ১৯৬৬ সালের 6 points, ১৯৬৯ সাল, ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ফলাফল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, তারিখসহ ১৯৭১
(মার্চ- ডিসেম্বর) সালের ঘটনা প্রবাহ।
*** মুজিবনগর সরকারের গঠন তথা বেসামরিক প্রশাসনের ভূমিকা।
*** মুজিবনগর সরকারে সিভিল সার্ভিস সদস্যগণের ভূমিকা।
*** সেক্টর ও অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল, সেক্টর কমান্ডারদের নাম।
*** বীরশ্রেষ্ঠদের সম্পর্কে বিস্তারিত।

১৯. সংবিধান- বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদ, নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ, পিএসসি, নির্বাচন কমিশন, সংবিধান সংশোধনী, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে।
*** বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে ছিলো??? এ ধরণের প্রশ্নও করা হতে পারে।

২০. সরকার ব্যবস্থা, সচিবালয়, মন্ত্রণালয় - কমপক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় -অর্থ মন্ত্রণালয়- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো জানতেই হবে, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ইত্যাদি জানতে হবে।
* সচিবালয় নির্দেশমালা ২০১৪ একটু দেখে রাখতে পারেন।
* Warrent of Precedence সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।
*** Rules of Business, Allocation of Business ইত্যাদি।

২১. অর্থনীতির কিছু সূচক, GDP, Per Capita Income, Inflation, NEC & ECNEC, Tax Revenue and Non-Tax Revenue, Land Development Tax, ADP, LDC graduation, Social Safety Nets এগুলো নিখুঁতভাবে জেনে নিতে হবে।

২২.
*** বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তর জানতে হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় Website এ খুঁজে পাবেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ - এগুলোতে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যাসহ জানতে হবে।

২৩. উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড- Mega Project and Fast Track Project এগুলো জানতে হবে। এর মাধ্যমে আপনার আপডেট জ্ঞান সম্পর্কে বোর্ড সহজেই বুঝে ফেলতে পারবে।

২৪. বাংলাদেশ বিষয়ে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি- অর্থনীতি, পুরস্কার, খেলাধূলা, চলমান সমস্যা- জ্বালানি সমস্যা, রোহিঙ্গা সমস্যা, সীমান্ত সমস্যা, বাণিজ্য ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, IMF Loan ইত্যাদি।

২৫. SDG, e-Governance, National Integrity Strategy( NIS), Digital Bangladesh, Fourth Industrial Revolution, Vision 2041, 8th Five Years Plan, COVID-19, Budget Everything including Incone and Expenditue, Economic Review, Economic Diplomacy, Demigraphic Dividend এগুলোসহ যে কোন চলমান বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে হবে।

২৬. আন্তর্জাতিক বিষয় -
প্রিলিতে যা পড়েছেন আবার পড়তে হবে, উল্লেখযোগ্য সাল ও ঘটনা পড়তেই হবে,
* সাম্প্রতিক সম্মেলন
* বিশ্বব্যাপী বিরাজমান সমস্যা --- ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ, খাদ্য সংকট, দক্ষিণ চীন সংকট, মধ্যপ্রাচ্য সংকট, সামরিক খাতে জাপানের ব্যয় বৃদ্ধি, রাশিয়ার সাম্পতিক নির্বাচন, সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, ইত্যাদি।
* P-5, G-7, G-20
* SARRC, BIMSTEC, ASEAN, OIC, NAM etc
* UN charter- selected sections
*Vienna Convention on Diplomatic Relations-1961

২৭. জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব ও কার্যাবলি, ২০১১; পিআরবি - কিছু সিলেক্টেড ধারা; সিআরপিসি- কিছু সিলেক্টেড ধারা, সাক্ষ্য আইন, মোবাইল কোর্ট আইন,২০০৯ ইত্যাদি।

২৮. জাতীয় তথ্য বাতায়ন- থেকে নিয়মিতভাবে তথ্যাবলি জেনে নেয়া বিশেষ করে জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, গ্রাম।

২৯.
*** আমার গ্রাম, আমার শহর
*** স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি
*** দারিদ্র বিমোচনে বর্তমান সরকারের সাফল্য ইত্যাদি।
*** বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার- ইত্যাদি।

৩০. কিছু সংজ্ঞা- সরাসরি উত্তর---Leadership, Administration, Management, লুথারগুলিকের POSDCORB, শাসন ও প্রশাসন, সুশাসন, সরকার, সংস্কৃতি, সুশীল সমাজ, শুদ্ধাচার, ডিপ্লোম্যাসি,আমলাতন্ত্র, ট্যাক্স,কাস্টমস, ভ্যাট- ইত্যাদি ট্যু দ্য পয়েন্ট উত্তর দিতে হবে।

৩১. সাহিত্য বিষয়ক প্রশ্ন, মুক্তিযুদ্ধ/উনসত্তরের গণঅভ্যুন্থান/ভাষা আন্দোলন/ দেশভাগ/ তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ / তেভাগা আন্দোলনের সাহিত্য,
*** কবিতা, উপন্যাস, সাহিত্যিক উক্তি, সংস্কৃতিমনা
মানসিকতা,
চলচ্চিত্র ইত্যাদি।
*** স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গান, জাতীয় চেতনা ধারণকারী এগুলো না জানলে বিপদ হলেও হতে পারে। তাই পড়ার তালিকায় এগুলো রাখতে ভুলবেন না।

৩২. পিএসসি’র আশে পাশের অফিস সমূহ সম্পর্কে অবস্থান জানবেন-আসল কথা হলো আপনার দৃষ্টি প্রসন্ন রাখুন, আশেপাশে নজর রাখুন।

৩৩. কিছু শব্দগত দিক খেয়াল রাখবেন- এখন থেকে প্রাকটিস করবেন; যেমন- মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য, সচিব মহোদয়, আইজিপি মহোদয়, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রেখে কথা বললে মাধুর্য বাড়বে বৈ কমবে না।

৩৪. বঙ্গবন্ধুর বংশ পরিচয়, বঙ্গমাতা সম্পর্কে,
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ও বিচার সম্পর্কে নিখুঁতভাবে জেনে নেবেন।

৩৫. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে- জন্ম, বিদ্যাপীঠ, রাজনৈতিক জীবন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন( ১৭ মে ১৯৮১) ৪ মেয়াদে বিভিন্ন খাতে সফলতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাপ্ত পুরস্কার সম্পর্কে জানতে হবে।

৩৬. বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনা- ১০ জানুয়ারি, ১৭ মার্চ, ১৭ এপ্রিল, ১৭ মে, জেল হত্যা, ৩ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর, ২১ আগস্ট ইত্যাদি বিষয়ে জানবেন।

৩৭. কোচিং করতে পারলে ভালো হয়, মডেল ভাইভা থেকে নিজেকে আরো ঝালিয়ে নেয়া যেতে পারে, বাসায় প্রাকটিস করবেন, নিজেকে সময় দেবেন, প্রতিনিয়ত Self- development করতে হবে। কর্মকর্তাসুলভ বৈশিষ্টাবলি নিজের ভিতরে, কথায়-চলনে-বলনে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

৩৮. গ্রুপ করে পড়তে পারলে ভালো হয়, প্রাকটিস সেশনে কমপক্ষে ভাইভা আলোচনা - একজন বলবেন আরেকজন শুনবেন, আবার ভুলত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিতে হবে এমন হলে নিজেকে শোধরানোর সুযোগ থাকে যা আপনার ভাইভার দিনে অনেক কাজে আসবে।

৩৯. যখন ভাইভা চলবে তখন আগে যাদের ভাইভা হয়েছে- পিএসসি গেট থেকে তাদের ভাইভা প্রশ্ন/ ' ভাইভা বোর্ড-প্রশ্ন' সংগ্রহ করা ও আলোচনা করে সমাধান করবেন এবং মনে রাখবেন- কিছু প্রশ্ন নতুন হলেও বেশিরভাগ প্রশ্নই আগে জিজ্ঞাসিত হয়েছে, Classical।
পিএসসি গেট থেকে প্রাপ্ত প্রশ্নগুলোর সবগুলোর সমাধান নিজে না পারলে বন্ধুদের সহায়তা নিন।

৪০. আপডেট থাকা, দৈনিক পত্রিকা পড়া, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উপর সূক্ষ্ম ধারণা রাখা( কিশোর গ্যাং, দ্রব্যমূল্য, অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ, বুয়েটের চলমান পরিস্থিতি)

৪১. কিছু বই পড়া থাকবেই হবে- বঙ্গবন্ধুর ৪ টি বই( আমার কিছু কথা, অসমাপ্ত আত্নজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন), মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রচিত বই( শেখ মুজিব আমার পিতা, সবুজ মাঠ পেরিয়ে...ইত্যাদি)
* স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস- দেলোয়ার স্যার।
* একাত্তরের দিনগুলি
* নাগরিকদের জানা ভালো
* আরেক ফাল্গুন
* সত্য মামলা আগড়তলা
* যখন পুলিশ ছিলাম
* সংবিধান (সরকারিভাবে ছাপানো), ব্যাখ্যাসহ
* ভারত স্বাধীন হলো
* তিনটি সেনা অভ্যুন্থান ও কিছু না বলা কথা
* 'মা' উপন্যাস- আনিসুল হক
* আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতি
* রাজনীতিকোষ
ইত্যাদিসহ আপনি ইতোমধ্যে পড়ে ফেলেছেন এমন বইগুলো থেকে আরেকবার চুম্বক অংশ গুলো চোখ বুলিয়ে নেবেন।

৪২. তাৎক্ষণিক প্রশ্ন!!!
*** 'ভাষণ দেয়া'---কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসবে ৫ মিনিট মনোমুগ্ধকর বক্তৃতা করার প্রাকটিস করা।
*** কোন স্থানে Mob Control এর জন্য/ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি।

৪৩. ভাইভা সহায়িকা হিসেবে প্রচলিত কিছু বই -
কনফিডেন্স( সব ক্যাডারের জন্য এই একটা বইতে চুম্বক আলোচনা আছে), মিলন'স বিসিএস ভাইভা হ্যান্ডবুক।
* ক্যাডারভিত্তিক বই---অ্যাসিউরেন্স/ ওরাকল/ জামিল'স ভাইভা গাইড
* সময় থাকলে আপনার নিজ এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সেট আপ দেখা, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ঘুরে আসা- বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
**জয়কলি ভাইভা বইটাতে বিগত বিসিএস ভাইভার অনেক প্রশ্নের সমাধান রয়েছে। অন্ধভাবে উত্তর মুখস্থ না করে যাচাই বাছাই করে উত্তর মনে রাখার চেষ্টা করবেন।

৪৪. শরীর- স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ সারা জীবনের পরিশ্রমকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ভাইভার ১৫-২০ মিনিট নিশ্চায়ক হিসেবে কাজ করুক, এটাই মূল বিষয়। তাই সুস্থ থাকুন, আপনার সময়কে বরকতময় করে তুলুন, মা- বাবার থেকে প্রতিনিয়ত দোয়া নিন, আপনি নিজে- একান্তে মহান আল্লাহর নিকট উত্তম রিজিকের প্রার্থনা করুন।

[ সামগ্রিক প্রস্তুতি নিতে আপনাকে অনেক বিষয় টাচ করে লেখাপড়া এগিয়ে নিতে হবে। আমি ক্যাডার ভিত্তিক আলোচনা না করে সম্যক ধারণা দেবার নিমিত্তে আলোচনা করেছি। আমিও বিভিন্ন গ্রুপে সংযুক্ত ছিলাম, নোটপত্র পেয়েছি, পিডিএফ পেয়েছি, উপকৃত হয়েছি- সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এই লেখাটির প্রয়াস। আপনারা নিজস্ব পরিকল্পনা মাফিক আগাবেন, আমাদের পরামর্শ আপনাদের 'ফাইন টিউনিং' করতে সহায়ক হবে]

*** ৪০ তম বিসিএস ছিলো আমার প্রথম বিসিএস,এমনকি প্রথম চাকরীর পরীক্ষাও ছিলো ৪০ তম প্রিলি; সফলতা এসেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার বিনিময়ে। এর মধ্যেই একই প্রস্তুতিতে পরপর আরো চারটি প্রিলিতে টিকেছিলাম। তাই বিশ্বাস রাখবেন আল্লাহর উপরে, নিজের ভাগ্যের উপরে, সাধ্যমত পরিশ্রম করুন,নিজের প্যাশন নিয়ে ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন, সময় হলে বিজয়ীর হাসি আপনিই হাসবেন, হাসি ফুটবে প্রাণপ্রিয় মা-বাবাসহ সকলের মুখে- যাদের অমূল্য অবদানে আজকে আপনি এই সিঁড়িতে আরোহণ করেছেন, উন্মোচিত হবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার, আপনি নতুন একটি পরিচয় পাবেন - ইনশাআল্লাহ।

কার্টেসি: মোঃ সাজ্জাদ পারভেজ,
৪০ তম বিসিএস (প্রশাসন)

26/01/2024

📛শুদ্ধ বানানের জাদুকরী টেকনিক নিয়ে মেগাপোস্ট 📛
📛 ১. দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে উ-কার যোগে 'দুর' ('দুর' উপসর্গ) বা 'দু+রেফ' হবে। যেমন— দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।
📛 ২. দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে ঊ-কার যোগে 'দূর' হবে। যেমন— দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।
📛 ৩. পদের শেষে '-জীবী' ঈ-কার হবে। যেমন— চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, আইনজীবী ইত্যাদি।
📛 ৪. পদের শেষে '-বলি' (আবলি) ই-কার হবে। যেমন— কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি, রচনাবলি ইত্যাদি।
📛 ৫. 'স্ট' এবং 'ষ্ট' ব্যবহার: বিদেশি শব্দে 'স্ট' ব্যবহার হবে। বিশেষ করে ইংরেজি st যোগে শব্দগুলোতে 'স্ট' ব্যবহার হবে। যেমন— পোস্ট, স্টার, স্টাফ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, মাস্টার, ডাস্টার, পোস্টার, স্টুডিও, ফাস্ট, লাস্ট, বেস্ট ইত্যাদি। ষত্ব-বিধান অনুযায়ী বাংলা বানানে ট-বর্গীয় বর্ণে 'ষ্ট' ব্যবহার হবে। যেমন— বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, দৃষ্টি, মিষ্টি, নষ্ট, কষ্ট, তুষ্ট, সন্তুষ্ট ইত্যাদি। অর্থাৎ 'স্ট'-এর উচ্চারণ হবে ‘স্ট্’-এর মতো এবং 'ষ্ট'-এর উচ্চারণ হবে ‘শ্টো’-এর মতো। যেমন— পোস্ট (পোস্ট্), লাস্ট (লাস্ট্), কষ্ট (কশ্টো), তুষ্ট (তুশ্টো) ইত্যাদি।
📛 ৬. যুক্তবর্ণে ‘স’ এবং ‘ষ’ ব্যবহার:
▓ অ/আ-কারের পর যুক্তবর্ণে স হবে। যেমন— তিরস্কার, তেজস্ক্রিয়, নমস্কার, পুরস্কার, পুরস্কৃত, বয়স্ক, ভস্ম, ভাস্কর, ভাস্কর্য, মনস্ক, সংস্কার, পরস্পর, বৃহস্পতি ইত্যাদি। এর ব্যতিক্রম বাষ্প দ্বারা গঠিত শব্দসমূহ। এছাড়া স্পৃশ্য, স্পর্ধা, স্পষ্ট, স্পন্দ, স্পন্দন, স্পর্শ, স্পৃষ্ট, স্পর্শী, স্মর, স্মৃত/স্মৃতি, স্মিত, স্মরণ, বিস্ময় দ্বারা গঠিত শব্দে স হবে। নিষ্ফল বাদে সকল ‘ফ’-এ ‘স’ হবে।
▓ ই/ঈ-কার, উ/ঊ-কার, এ/ঐ-কার এবং ও/ঔ-কারের পর যুক্তবর্ণে ষ হবে। যেমন— আবিষ্কর, আয়ুষ্কাল, আয়ুষ্কর, আয়ুষ্মান, আয়ুষ্মতী, উষ্ম, কুষ্মাণ্ড, গ্রীষ্ম, গীষ্পতি, গোষ্পদ, চতুষ্কোণ, চতুষ্পার্শ্ব, চতুষ্পদ, জ্যোতিষ্ক, দুষ্কর্ম, দুষ্কর, দুষ্প্রাপ্য, নিষ্কাশন, নিষ্কণ্টক, নিষ্পাপ, নিষ্পত্তি, নৈষ্কর্ম্য, পরিষ্কার, পুষ্করিণী, পুষ্প, মস্তিষ্ক, শ্লেষ্মা, শুষ্ক ইত্যাদি। এর ব্যতিক্রম বিস্ময় দ্বারা গঠিত শব্দসমূহ।
[দ্রষ্টব্য: বাংলা বানানে স্ট/স্ঠ এবং ষ্ত/ষ্থ হবে না। তাই নিম্নের নিয়মগুলোতে ‘ষ্ট/ষ্ঠ’ এবং ‘স্ত/স্থ’ দ্বারা গঠিত বানান প্রযোজ্য নয়।]
📛 ৭. 'পূর্ণ' এবং 'পুন' (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়) ব্যবহার : 'পূর্ণ' (ইংরেজিতে Full/Complete অর্থে) শব্দটিতে ঊ-কার এবং র্ণ যোগে ব্যবহার হবে। যেমন— পূর্ণরূপ, পূর্ণমান, সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ ইত্যাদি। 'পুন-' (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়— ইংরেজিতে Re- অর্থে) শব্দটিতে উ-কার হবে এবং অন্য শব্দটির সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহার হবে। যেমন— পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনঃপুন, পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনরুদ্ধার, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন ইত্যাদি।
📛 ৮. পদের শেষে'-গ্রস্থ' নয় '-গ্রস্ত' হবে। যেমন— বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ইত্যাদি।
📛 ৯. অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে ই-কার হবে। যেমন— অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।
📛 ১০. 'কে' এবং '-কে' ব্যবহার: প্রশ্নবোধক অর্থে 'কে' (ইংরেজিতে Who অর্থে) আলাদা ব্যবহার হয়। যেমন— হৃদয় কে? প্রশ্ন করা বোঝায় না এমন শব্দে '-কে' একসাথে ব্যবহার হবে। যেমন— হৃদয়কে আসতে বলো।
📛 ১১. বিদেশি শব্দে ণ, ছ, ষ ব্যবহার হবে না। যেমন— হর্ন, কর্নার, সমিল (করাতকল), স্টার, বাসস্ট্যান্ড, ফটোস্ট্যাট, আস্সালামু আলাইকুম, ইনসান ইত্যাদি।
১২. অ্যা, এ ব্যবহার: বিদেশি বাঁকা শব্দের উচ্চারণে 'অ্যা' ব্যবহার হয়। যেমন— অ্যান্ড (And), অ্যাড (Ad/Add), অ্যাকাউন্ট (Account), অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance), অ্যাসিস্ট্যান্ট (Assistant), অ্যাডভোকেট (Advocate), অ্যাকাডেমিক (Academic), অ্যাডভোকেসি (Advocacy) ইত্যাদি। অবিকৃত বা সরলভাবে উচ্চারণে 'এ' হয়। যেমন— এন্টার (Enter), এন্ড (End), এডিট (Edit) ইত্যাদি।
১৩. ইংরেজি বর্ণ S-এর বাংলা প্রতিবর্ণ হবে 'স' এবং sh, -sion, -tion বর্ণগুচ্ছে 'শ' হবে। যেমন— সিট (Seat/Sit), শিট, (Sheet), রেজিস্ট্রেশন (Registration), মিশন (Mission) ইত্যাদি।
📛 ১৪. আরবি বর্ণ ﺵ (শিন)-এর বাংলা বর্ণ রূপ হবে 'শ' এবং ﺙ (সা), ﺱ (সিন) ও ﺹ (সোয়াদ)-এর বাংলা বর্ণ রূপ হবে 'স'। ﺙ (সা), ﺱ (সিন) ও ﺹ (সোয়াদ)-এর উচ্চারিত রূপ মূল শব্দের মতো হবে এবং বাংলা বানানের ক্ষেত্রে 'স' ব্যবহার হবে এবং 'স'-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ হবে। যেমন— সালাম, শাহাদত, শামস, ইনসান ইত্যাদি। আরবি, ফারসি, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা থেকে আগত শব্দ বা নামসমূহে ছ, ণ ও ষ ব্যবহার হবে না।
📛 ১৫. শ ষ স :
তৎসম শব্দে ষ ব্যবহার হবে। খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে ষ ব্যবহার হবে না। বাংলা বানানে 'ষ' ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ষত্ব-বিধান, উপসর্গ, সন্ধি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। বাংলায় অধিকাংশ শব্দের উচ্চারণে 'শ' বিদ্যমান। এমনকি 'স' দিয়ে গঠিত শব্দেও 'শ' উচ্চারণ হয়। 'স'-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ বাংলায় খুবই কম। 'স'-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে— সমীর, সাফ, সাফাই। যুক্ত বর্ণ, ঋ-কার ও র-ফলা যোগে যুক্তধ্বনিতে 'স'-এর উচ্চারণ পাওয়া যায়। যেমন— সৃষ্টি, স্মৃতি, স্পর্শ, স্রোত ইত্যাদি।
📛 ১৬. সমাসবদ্ধ পদ ও বহুবচনমূলক শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক রাখা যাবে না। যেমন— চিঠিপত্র, আবেদনপত্র, ছাড়পত্র (পত্র), বিপদগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত (গ্রস্ত), গ্রামগুলি/গ্রামগুলো (গুলি/গুলো), রচনামূলক (মূলক), সেবাসমূহ (সমূহ), যত্নসহ, পরিমাপসহ (সহ), ত্রুটিজনিত, (জনিত), আশঙ্কাজনক, বিপজ্জনক (জনক), অনুগ্রহপূর্বক, উল্লেখপূর্বক (পূর্বক), প্রতিষ্ঠানভুক্ত, এমপিওভুক্ত, এমপিওভুক্তি (ভুক্ত/ভুক্তি), গ্রামভিত্তিক, এলাকাভিত্তিক, রোলভিত্তিক (ভিত্তিক), অন্তর্ভুক্তকারণ, এমপিওভুক্তকরণ, প্রতিবর্ণীকরণ (করণ), আমদানিকারক, রফতানিকারক (কারক), কষ্টদায়ক, আরামদায়ক (দায়ক), স্ত্রীবাচক (বাচক), দেশবাসী, গ্রামবাসী, এলাকাবাসী (বাসী), সুন্দরভাবে, ভালোভাবে (ভাবে), চাকরিজীবী, শ্রমজীবী (জীবী), সদস্যগণ (গণ), সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী (কারী), সন্ধ্যাকালীন, শীতকালীন (কালীন), জ্ঞানহীন (হীন), দিনব্যাপী, মাসব্যাপী, বছরব্যাপী (ব্যাপী) ইত্যাদি। এ ছাড়া যথাবিহিত, যথাসময়, যথাযথ, যথাক্রমে, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহিঃপ্রকাশ শব্দগুলো একত্রে ব্যবহার হয়।
📛 ১৭. বিদেশি শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, ফি, ফিস, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেন্ডশিপ, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট ইত্যাদি।
📛 ১৮. উঁঅ (ঙ) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ। এক্ষেত্রে অনুস্বার (ং) ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— অঙ্ক, অঙ্কিত, অঙ্কন, অঙ্কুর, অঙ্গ, অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙিনা, আঙুর (ঙ্গ বর্জন), আতঙ্ক, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উচ্ছৃঙ্খল, উলঙ্গ, কঙ্কাল, কঙ্কর, কামরাঙা (ঙ্গ বর্জন), গঙ্গা, গাঙ (ঙ্গ নয়), গাঙচিল (ঙ্গ নয়), চাঙ্গা, চোঙা, টাঙা, ঠুঙি (ঙ্গ নয়), ঠোঙা (ঙ্গ নয়), ঠোঙা, ডিঙা (ঙ্গ নয়), ডিঙি (ঙ্গ নয়), ডিঙানো (ঙ্গ নয়), ডিঙোনো (ঙ্গ নয়), দাঙ্গা, নোঙর (ঙ্গ নয়), প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, পঙ্ক্তি, পঙ্কজ, পতঙ্গ, ফিঙে (ঙ্গ বর্জন), বঙ্গ, বাঙালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙা, মঙ্গল, রঙিন (ঙ্গ নয়), রাঙা (ঙ্গ নয়), লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্খ, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, শশাঙ্ক, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্গে, সঙ্ঘাত, হুঙ্কার, হাঙ্গামা, হাঙর (ঙ্গ নয়)।
[দ্রষ্টব্য: অলংকার, অহংকার, কিংকর, ভয়ংকর, শংকর, শুভংকর, সংকুচিত, সংকীর্ণ, সংকীর্তন, সংকেত, সংকট, সংকর, সংকল্প, সংকুল, সংকলক, সংকলন, সংগীত, সংগম, সংঘ, সংঘাত, সংঘর্ষ শব্দে ঙ এবং ং উভয়ই ব্যবহার করা হলেও প্রমিত বানানে এসব শব্দে ং (অনুস্বার) ব্যবহার করতে হবে।]
📛 ১৯. অনুস্বার (ং) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ। এক্ষেত্রে উঁঅ (ঙ) ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— কিংকর্তব্য, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, কিংবদন্তি, সংজ্ঞা, সংক্রামণ, সংক্রান্ত, সংক্ষিপ্ত, সংখ্যা, সংগঠন, সংগ্রাম, সংগ্রহ, সংগৃহীত।
[দ্রষ্টব্য: বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ দুটি অনুস্বার (ং) দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।]
📛 ২০. ‘কোণ, কোন ও কোনো’-এর ব্যবহার:
কোণ : ইংরেজিতে Angle/Corner (∠) অর্থে।
কোন : উচ্চারণ হবে কোন্। বিশেষত প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার করা হয়। যেমন— তুমি কোন দিকে যাবে?
কোনো : ও-কার যোগে উচ্চারণ হবে। যেমন— যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।
📛 ২১. বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দু একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ। চন্দ্রবিন্দু যোগে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হবে; না করলে ভুল হবে। অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার না করলে শব্দে অর্থের পরিবর্তন ঘটে। এ ছাড়া চন্দ্রবিন্দু সম্মানসূচক বর্ণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। যেমন— তাহাকে>তাঁহাকে, তাকে>তাঁকে ইত্যাদি।
📛 ২২. ও-কার: অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া পদ এবং বিশেষণ ও অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে ও-কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব সৃষ্টি হতে পারে এমন শব্দে ও-কার ব্যবহার হবে। যেমন— মতো, হতো, হলো, কেনো (ক্রয় করো), ভালো, কালো, আলো ইত্যাদি। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া ও-কার ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— ছিল, করল, যেন, কেন (কী জন্য), আছ, হইত, হইল, রইল, গেল, শত, যত, তত, কত, এত ইত্যাদি।
📛 ২৩. বিশেষণবাচক আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন— সোনালি, রুপালি, বর্ণালি, হেঁয়ালি, খেয়ালি, মিতালি ইত্যাদি।
📛 ২৪. জীব, -জীবী, জীবিত, জীবিকা ব্যবহার। যেমন— সজীব, রাজীব, নির্জীব, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, জীবিত, জীবিকা।
📛 ২৫. অদ্ভুত, ভুতুড়ে বানানে উ-কার হবে। এ ছাড়া সকল ভূতে ঊ-কার হবে। যেমন— উদ্ভূত, ভূত, ভস্মীভূত, বহির্ভূত, ভূতপূর্ব ইত্যাদি।
📛 ২৬. নীল অর্থে সকল বানানে ঈ-কার হবে। যেমন— নীল, সুনীল, নীলক, নীলিমা ইত্যাদি।
📛 ২৭. না-বাচক (নাই, নেই, না, নি) পদগুলো আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন— বলে নাই, আমার ভয় নাই, আমার ভয় নেই, হবে না, যাবে না ইত্যাদি। তবে সমাসবদ্ধ হিসেবে নি একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। যেমন— করিনি, হয়নি ইত্যাদি।
📛 ২৮. অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— সরকারি, তরকারি, গাড়ি, বাড়ি, দাড়ি, শাড়ি, চুরি, চাকরি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বেআইনি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, নিচু।
📛 ২৯. ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে ই-কার হবে। যেমন— দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী (দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ (প্রাণী) ইত্যাদি।
📛 ৩০. ঈ, ঈয়, অনীয় প্রত্যয় যোগ ঈ-কার হবে। যেমন— জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি ), পানীয় (পানি), জলীয়, স্থানীয়, স্মরণীয়, বরণীয়, গোপনীয়, ভারতীয়, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়।
📛 ৩১. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷ যেমন— অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য৷
📛 ৩২. ভাষা ও জাতিতে ই-কার হবে। যেমন— বাঙালি/বাঙ্গালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি।
📛 ৩৩. ব্যক্তির '-কারী' বা ‘-আরী’-তে ঈ-কার হবে। যেমন— সহকারী, উপকারী, অধিকারী, আবেদনকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি। এমনটা নয়—সেখানে ই-কার হয়। যেমন— সরকারি, দরকারি, তরকারি, শিকারি ইত্যাদি। আনন্দ-ব্যথা দান কর্মে ই-কার হয়। যেমন— ইয়ার্কি, মশকারি, বাঁদরামি, পাগলামি, ফাজলামি, বদমায়েশি, ইতরামি, মারামারি, হাতাহাতি ইত্যাদি।
📛 ৩৪. প্রমিত বানানে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে –গণ যোগে ই-কার হয়। যেমন— সহকারী>সহকারিগণ, কর্মচারী>কর্মচারিগণ, কর্মী>কর্মিগণ, আবেদনকারী>আবেদনকারিগণ ইত্যাদি।
📛 ৩৫. 'বেশি' এবং '-বেশী' ব্যবহার: 'বহু', 'অনেক' অর্থে ব্যবহার হবে 'বেশি'। শব্দের শেষে যেমন— ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী অর্থে '-বেশী' ব্যবহার হবে।
📛 ৩৬. 'ৎ'-এর সাথে স্বরচিহ্ন যোগ হলে 'ত' হবে। যেমন— জগৎ>জগতে জাগতিক, বিদ্যুৎ>বিদ্যুতে বৈদ্যুতিক, ভবিষ্যৎ>ভবিষ্যতে, আত্মসাৎ>আত্মসাতে, সাক্ষাৎ>সাক্ষাতে ইত্যাদি।
📛 ৩৭. ইক প্রত্যয় যুক্ত হলে যদি শব্দের প্রথমে অ-কার থাকে তা পরিবর্তন হয়ে আ-কার হবে। যেমন— অঙ্গ>আঙ্গিক, বর্ষ>বার্ষিক, পরস্পর>পারস্পরিক, সংস্কৃত>সাংস্কৃতিক, অর্থ>আর্থিক, পরলোক>পারলৌকিক, প্রকৃত>প্রাকৃতিক, প্রসঙ্গ>প্রাসঙ্গিক, সংসার>সাংসারিক, সপ্তাহ>সাপ্তাহিক, সময়>সাময়িক, সংবাদ>সাংবাদিক, প্রদেশ>প্রাদেশিক, সম্প্রদায়>সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি।
📛 ৩৮. সাধু থেকে চলিত রূপের শব্দসমূহ যথাক্রমে দেখানো হলো: হউক>হোক, যাউক>যাক, থাউক>থাক, লিখ>লেখ, গুলি>গুলো, শুন>শোন, শুকনা>শুকনো, ভিজা>ভেজা, ভিতর>ভেতর, দিয়া>দিয়ে, গিয়া>গিয়ে, হইল>হলো, হইত>হতো, খাইয়া>খেয়ে, থাকিয়া>থেকে, উল্টা>উল্টো, বুঝা>বোঝা, পূজা>পুজো, বুড়া>বুড়ো, সুতা>সুতো, তুলা>তুলো, নাই>নেই, নহে>নয়, নিয়া>নিয়ে, ইচ্ছা>ইচ্ছে ইত্যাদি।
📛 ৩৯. হয়তো, নয়তো বাদে সকল তো আলাদা হবে। যেমন— আমি তো যাব না, সে তো আসবে না ইত্যাদি।
[দ্রষ্টব্য: মূল শব্দের শেষে আলাদা তো ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।]
📛 ৪০. ঙ, ঞ, ণ, ন, ম, ং বর্ণগুলোর পূর্বে ঁ হবে না। অর্থাৎ ঙ, ঞ, ণ, ন, ম, ং = ঁ। যেমন— খান=খাঁ, চান/চন্দ/চন্দ্র=চাঁদ, পঞ্চ=পাঁচ, ফান্দ=ফাঁদ, গাঞ্জা=গাঁজা, চান্দা=চাঁদা, অঙ্কন=আঁকা, কঙ্কণ=কাঁকন, হংস=হাঁস, অন্ধকার/আন্ধার=আঁধার, বন্ধন=বাঁধন/বাঁধা, কণ্টক=কাঁটা, ক্রন্দন/কান্দা=কাঁদা, ইন্দুর=ইঁদুর, বান্দর=বাঁদর, সিন্দূর=সিঁদুর, চম্পা=চাঁপা ইত্যাদি।
📛 ৪১. ব্য- ব্যা- ব্যবহার:
▓ ক্ত, গ, জ/ঞ্জ, ত, থ, ব, ভ, ষ্ট, স্ত-এর পূর্বে ব-এ য-ফলা (ব্য) হবে। যেমন— ব্যক্ত, ব্যক্তি, ব্যঞ্জন, ব্যতিক্রম, ব্যথা, ব্যর্থ, ব্যবস্থা, ব্যভিচার, ব্যষ্টি, ব্যস্ত ইত্যাদি।
▓ ক, খ, ঘ, দ, ধ, প, প্ত, স, হ-এর পূর্বে ব-এ য-ফলা আ-কার (ব্যা) হবে। যেমন—ব্যাকরণ, ব্যাকুল, ব্যাখ্যা, ব্যাঘাত, ব্যাধি, ব্যাপক, ব্যাপার, ব্যাপ্তি, ব্যাস, ব্যাসার্ধ ব্যাহত ইত্যাদি।
▓ ব, প, স, বর্ণগুলোতে কিছুটা ব্যক্তিক্রম আছে। তবে ব্যক্তিক্রম বানানগুলোর প্রচলন নেই বললেই চলে। তাই ভয়ের কোনো কারণ নেই। ব্যঙ্গ, ব্যয় দ্বারা গঠিত শব্দে ব্য হবে। ব্যাঙাচি, ব্যাঙ্গম, ব্যাঙ্গমি, ব্যায়াম শব্দে ব্যা হবে। ব্যাবসাব্যবসায়ী>ব্যাবসায়িক, ব্যবহার>ব্যবহারী>ব্যাবহারিক।
📛 ৪২. -এর, -এ ব্যবহার:
▓ চিহ্নিত শব্দ/বাক্য বা উক্তির সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— গুলিস্তান ‘ভাসানী হকি ষ্টেডিয়াম’-এর সাইনবোর্ডে স্টেডিয়াম বানানটি ভুল।
▓ শব্দের পরে যেকোনো প্রতীকের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— হাদিস রাসুল (সা.)-এর বাণী।
▓ বিদেশি শব্দ অর্থাৎ বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ নয় এমন শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— SMS-এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে।
▓ গাণিতিক শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— ৫-এর চেয়ে ২ কম।
▓ সংক্ষিপ্ত শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— অ্যাগ্রো কোম্পানি লি.-এর সাথে চুক্তি।
এ ছাড়া পৃথক রূপে ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— বাংলাদেশ-এর না লিখে বাংলাদেশের, কোম্পানি-এর না লিখে কোম্পানির, শিক্ষক-এর না লিখে শিক্ষকের, স্টেডিয়াম-এ না লিখে স্টেডিয়ামে, অফিস-এ না লিখে অফিসে লিখতে হবে।
📛 ৪৩. বিসর্গ (ঃ ) ব্যবহার:
বিসর্গ একটি বাংলা বর্ণ—এটি কোনো চিহ্ন নয়। বর্ণ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। বিসর্গ (ঃ) হলো অঘোষ 'হ্'-এর উচ্চারণে প্রাপ্ত ধ্বনি। 'হ'-এর উচ্চারণ ঘোষ কিন্তু বিসর্গ (ঃ)-এর উচ্চারণ অঘোষ। বাংলায় ভাষায় বিস্ময়াদি প্রকাশে বিসর্গ (ঃ )-এর উচ্চারণ প্রকাশ পায়। যেমন— আঃ, উঃ, ওঃ, ছিঃ, বাঃ, হাঃ। পদের শেষে বিসর্গ (ঃ) ব্যবহার হবে না। যেমন— ধর্মত, কার্যত, আইনত, ন্যায়ত, করত, বস্তুত, ক্রমশ, প্রায়শ ইত্যাদি। পদমধ্যস্থে বিসর্গ ব্যবহার হবে। যেমন— অতঃপর, দুঃখ, স্বতঃস্ফূর্ত, অন্তঃস্থল, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা ইত্যাদি। শব্দকে সংক্ষিপ্ত রূপে প্রকাশে বিসর্গ ব্যবহার করা হলেও আধুনিক বানানে ডট ( . ) ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন— ডাক্তার>ডা., ডক্টর>ড., লিমিটেড> লি. ইত্যাদি। বিসর্গ যেহেতু বাংলা বর্ণ এবং এর নিজস্ব ব্যবহার বিধি আছে—তাই এ ধরনের বানানে (ডাক্তার>ডা., ডক্টর>ড., লিমিটেড> লি.) বিসর্গ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ বিসর্গ যতিচিহ্ন নয়।
[সতর্কীকরণ: বিসর্গ (ঃ)-এর স্থলে কোলন ( : ) কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— অত:পর, দু:খ ইত্যাদি। কারণ কোলন ( : ) কোনো বর্ণ নয়, চিহ্ন। যতিচিহ্ন হিসেবে বিসর্গ (ঃ) ব্যবহার যাবে না। যেমন— নামঃ রেজা, থানাঃ লাকসাম, জেলাঃ কুমিল্লা, ১ঃ৯ ইত্যাদি।]
📛📛 বিসর্গসন্ধি 📛📛
বিসর্গ (ঃ )-এর সঙ্গে স্বরধ্বনি কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গসন্ধি বলে। উচ্চারণের দিক থেকে বিসর্গ দু রকম :
১. র্ -জাত বিসর্গ : শব্দের শেষে র্ থাকলে উচ্চারণের সময় র্ লোপ পায় এবং র্-এর জায়গায় বিসর্গ (ঃ) হয়। উচ্চারণে র্ বজায় থাকে। যেমন— অন্তর>অন্তঃ+গত=অন্তর্গত ( অন্তোর্গতো)।
২. স্-জাত বিসর্গ : শব্দের শেষে স্ থাকলে সন্ধির সময় স্ লোপ পায় এবং স্-এর জায়গায় বিসর্গ ( ঃ ) হয়। উচ্চারণে স্ বজায় থাকে। যেমন : নমস্ > নমঃ + কার = নমস্কার ( নমোশ্কার্)।
বিসর্গসন্ধি দু-ভাবে সাধিত হয় : ১. বিসর্গ ( ঃ ) ও স্বরধ্বনি মিলে; ২. বিসর্গ ( ঃ ) ও ব্যঞ্জনধ্বনি মিলে।
১. বিসর্গ ও স্বরধ্বনির সন্ধি:
ক. অ-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ এবং পরে অ-ধ্বনি থাকলে বিসর্গ ও অ-ধ্বনি স্থলে ও-কার হয়। যেমন—
ততঃ + অধিক = ততোধিক
যশঃ + অভিলাষ = যশোভিলাষ
বয়ঃ + অধিক = বয়োধিক
খ. অ-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ এবং পরে অ, আ, উ-ধ্বনি থাকলে বিসর্গ ও অ-ধ্বনি মিলে র হয়। যেমন—
পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার
প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ
পুনঃ + আবৃত্তি = পুনরাবৃত্তি
পুনঃ + উক্ত = পুনরুক্ত
২. বিসর্গ ও ব্যঞ্জনধ্বনির সন্ধি
ক. অ-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ এবং পরে বর্গের ৩য়/ ৪র্থ/ ৫ম ধ্বনি অথবা য, র, ল, হ থাকলে বিসর্গ ও অ-ধ্বনি স্থলে র-জাত বিসর্গে র/ রেফ (র্) এবং স-জাত বিসর্গে ও-কার হয়। যেমন—
র-জাত বিসর্গ : র্
অন্তঃ + গত = অন্তর্গত
পুনঃ + জন্ম = পুনর্জন্ম
অন্তঃ + ধান = অন্তর্ধান
পুনঃ + বার = পুনর্বার
অন্তঃ + ভুক্ত = অন্তর্ভুক্ত
পুনঃ + মিলন = পুনর্মিলন
স-জাত বিসর্গ : ও
মনঃ + গত = মনোগত
সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত
তিরঃ + ধান = তিরোধান
তপঃ + বন = তপোবন
অধঃ + মুখ = অধোমুখ
মনঃ + যোগ = মনোযোগ
মনঃ + রম = মনোরম
মনঃ + লোভা = মনোলোভা
মনঃ + হর = মনোহর
খ. বিসর্গের পরে চ/ছ থাকলে বিসর্গের স্থলে শ; ট/ঠ থাকলে ষ এবং ত/থ থাকলে স হয়। যেমন—
নিঃ + চয় = নিশ্চয়
দুঃ + চরিত্র = দুশ্চরিত্র
ধনুঃ + টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার
নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর
চতুঃ + টয় = চতুষ্টয়
দুঃ + তর = দুস্তর
নিঃ + তেজ = নিস্তেজ
ইতঃ + তত = ইতস্তত
দুঃ + থ = দুস্থ
গ. অ/আ ভিন্ন অন্য স্বরের সঙ্গে বিসর্গ এবং পরে স্বরধ্বনি, বর্গের ৩য় / ৪র্থ / ৫ম ধ্বনি অথবা য, র, ল, হ থাকলে বিসর্গ স্থলে র হয়। যেমন—
নিঃ + অবধি = নিরবধি
নিঃ + আপদ = নিরাপদ
নিঃ + গত = নির্গত
নিঃ + ঘণ্ট = নির্ঘণ্ট
নিঃ + বাক = নির্বাক
নিঃ + ভয় = নির্ভয়
আবিঃ + ভাব = আবির্ভাব
আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ
দুঃ + অবস্থা = দুরবস্থা
দুঃ + আচার = দুরাচার
দুঃ + গতি = দুর্গতি
দুঃ + বোধ = দুর্বোধ
প্রাদুঃ + ভাব = প্রাদুর্ভাব
দুঃ + মর = দুর্মর
দুঃ + যোগ = দুর্যোগ
দুঃ + লভ = দুর্লভ
ঘ. র-জাত বিসর্গের পরে র থাকলে বিসর্গ লোপ পায় এবং প্রথমে ই-কার থাকলে তা ঈ-কার হয়। যেমন—
নিঃ + রব = নীরব
নিঃ + রস = নীরস
নিঃ + রোগ = নীরোগ
ঙ. অ/আ ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ এবং পরে ক, খ, প, ফ থাকলে বিসর্গ স্থলে স হয়। যেমন—
নমঃ + কার = নমস্কার
তিরঃ + কার = তিরস্কার
পুরঃ + কার = পুরস্কার
ভাঃ + কর = ভাস্কর
চ. ই/উ ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ এবং পরে ক, খ, প, ফ থাকলে বিসর্গ স্থলে ষ হয়। যেমন—
নিঃ + কাম = নিষ্কাম
নিঃ + পাপ = নিষ্পাপ
নিঃ + ফল = নিষ্ফল
বহিঃ + কার = বহিষ্কার
চতুঃ + পদ = চতুষ্পদ
চতুঃ + কোণ = চতুষ্কোণ
ছ. কোনো কোনো ক্ষেত্রে সন্ধির বিসর্গ লোপ পায় না। যেমন—
প্রাতঃ + কাল = প্রাতঃকাল
মনঃ + কষ্ট = মনঃকষ্ট
শিরঃ + পীড়া = শিরঃপীড়া
অন্তঃ + করণ = অন্তঃকরণ
📛 ৪৪. ম-ফলা, ব-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণ:
ম-ফলার উচ্চারণ:
▓ পদের প্রথমে ম-ফলা থাকলে সে বর্ণের উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— শ্মশান (শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)। কখনো কখনো ‘ম’ অনুচ্চারিত থাকতেও পারে। বিশেষ করে যেমন— স্মৃতি (সৃতি বা সৃঁতি)।
▓ পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে সে বর্ণের দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— আত্মীয় (আত্তিঁয়), পদ্ম (পদ্দোঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়), ভস্মস্তূপ (ভশ্শোঁস্তুপ্), ভস্ম (ভশ্শোঁ), রশ্মি (রোশ্শিঁ)।
▓ গ, ঙ, ট, ণ, ন, বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়। যেমন— বাগ্মী (বাগ্মি), যুগ্ম (যুগ্মো), মৃন্ময় (মৃন্ময়), জন্ম (জন্মো), গুল্ম (গুল্মো)।
ব-ফলার উচ্চারণ:
▓ শব্দের প্রথমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন— ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্তো), শ্বাস (শাশ্), স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দন্দো)।
▓ শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন— বিশ্বাস (বিশ্শাশ্), পক্ব (পক্কো), অশ্ব (অশ্শো)।
▓ সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়)।
▓ শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— তিব্বত (তিব্বত), লম্ব (লম্বো)।
▓ উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন— উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বেল (উদ্বেল্)।
▓ ▓ ‘হ’-এর পর ব-ফলা থাকলে হ+ব-ফলা ‘ওভ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— জিহ্বা (জিওভা), গহ্বর (গওভর), আহ্বান (আওভান) ইত্যাদি।
য-ফলার উচ্চারণ:
▓ য-ফলার পর ব্যঞ্জনধ্বনি বা অ, আ, ও ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘অ্যা’ উচ্চারিত হয়। যেমন— ব্যবহার (ব্যাবোহার্), ব্যস্ত (ব্যাস্তো) ইত্যাদি।
▓ য-ফলার পরে ‘ই’ ধ্বনি থাকলে য-ফলা ‘এ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— ব্যক্তি (বেক্তি), ব্যতীত (বেতিতো) ইত্যাদি।
▓ য-ফলা শব্দের মাঝে বা শেষে থাকলে ‘দ্বিত্ব’ উচ্চারিত হয়। যেমন— বিদ্যুৎ (বিদ্দুত্), বিদ্যা (বিদ্দা) ইত্যাদি।
▓ শব্দের প্রথমে য-ফলার সাথে উ-কার, ঊ-কার, ও-কার থাকলে য-ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন— দ্যুতি (দুতি), জ্যোতি (জোতি) ইত্যাদি।
▓ ▓ ‘হ’-এর পর য-ফলা থাকলে হ+য-ফলা ‘জ্ঝ’ উচ্চারিত হয়। যেমন— সহ্য (শোজ্ঝো), গ্রাহ্য (গ্রাজ্ঝো) ইত্যাদি।
▓ ▓ উদ্যোগ শব্দটির উচ্চারণ বাংলায় দুটি পাওয়া যায়— উদ্দোগ ও উদ্জোগ। তবে জনমনে বেশি প্রচলিত উদ্দোগ। অনেকের মতে উদ্যোগকে যদি সংস্কৃত ভেঙে উদ্যোগ রূপে লেখা হয়—তবে এর উচ্চারণ উদ্জোগ হবে।
▓ ▓ য বা য-ফলার আদি বা সংস্কৃত উচ্চারণ ‘ইঅ (ইয়)’। যেমন— যামিনী (ইয়ামিনি), শ্যাম (শিয়াম) ইত্যাদি।
[দ্রষ্টব্য: আমাদের অবশ্যই বাংলা বানান ও বাংলা বানানের উচ্চারণ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কারণ বাংলা বানান ও উচ্চারণের পার্থক্য রয়েছে। যেমন— আছ (আছো), দেখা (দ্যাখা), একা (অ্যাকা) ইত্যাদি।]
--------------------------------------------------
বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পরিবহন, ব্যানার-পোস্টার ও চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে যেসব বানান বেশি ভুল ব্যবহার হচ্ছে
শুদ্ধরূপ-অশুদ্ধরূপ
অ্যাডভোকেট-এডভোকেট ***
অ্যান্ড-এণ্ড ***
অ্যাম্বুলেন্স-এম্বুলেন্স/এ্যাম্বুলেন্স ***
অ্যালবাম-এলবাম/এ্যালবাম **
অ্যাসিস্ট্যান্ট-এসিসটেন্ট ***
আকাঙ্ক্ষা-আকাংখা ***
আগস্ট-আগষ্ট**
আলহাজ-আলহাজ্ব ***
ইতোমধ্যে-ইতিমধ্যে
ইতঃপূর্বে-ইতিপূর্বে
ইনস্টিটিউট-ইনষ্টিটিউট **
উপর্যুক্ত/উপরিউক্ত-উপরোক্ত ***
উল্লিখিত-উল্লেখিত ***
এতদ্দ্বারা-এতদ্বারা ***
কাঙ্ক্ষিত-কাংখিত ***
কোনো-কোন **
কোম্পানি-কোম্পানী **
কর্নার-কর্ণার **
কর্নেল-কর্ণেল **
গভর্নর-গভর্ণর **
চাকরি-চাকুরী ***
চাকরিজীবী-চাকুরীজীবি (-জীবী—আইনজীবী, পেশাজীবী)
চিফ-চীফ ***
চত্বর-চত্ত্বর **
জানুয়ারি-জানুয়ারী ***
জরুরি-জরুরী **
ট্রেজারি-ট্রেজারী ***
যেকোনো-যে কোন/যেকোন ***
টেরিটরি-টেরিটরী **
দেওয়া-দেয়া **
দুর্ঘটনা-দূর্ঘটনা **
দুর্যোগ-দূর্যোগ **
দুর্নীতি-দূর্নীতি **
নিখুঁত-নিখুত ***
নিখোঁজ-নিখোজ **
নির্ভুল-নির্ভূল **
নেওয়া-নেয়া **
নোটারি-নোটারী ***
নমিনি-নমিনী ***
প্রত্যয়নপত্র-প্রত্যয়ন পত্র (পত্র একসঙ্গে হবে—চিঠিপত্র, সংবাদপত্র) ***
পাস-পাশ (Pass) ***
পিস-পিচ/পিছ (Piece) ***
পচা-পঁচা ***
পোস্টার-পোষ্টার ***
পোস্ট-পোষ্ট ***
পুনর্মিলন=পূর্ণমিলন/পূনর্মিলন ***
ফ্যাক্টরি-ফ্যাক্টরী ***
ফার্নিচার-ফার্ণিচার ***
ফার্মেসি-ফার্মেসী ***
ফেব্রুয়ারি-ফেব্রুয়ারী ***
ফটোস্ট্যাট-ফটোষ্ট্যাট ***
ফাঁক-ফাক **
ব্যাটারি-ব্যাটারী ***
বিপজ্জনক-বিপদজনক ***
বিরিয়ানি-বিরাণী (Biryani ﺑﺮﯾﺎﻧﯽ/) ***
ভুল-ভূল **
মার্কশিট-মার্কশীট (Sheet/Sh*t—সব শিট ই-কার হবে) ***
মাস্টার-মাষ্টার ***
মেশিনারি-মেশিনারী **
মডার্ন-মডার্ণ **
মুহূর্ত-মুহুর্ত/মহুর্ত
রঙিন-রঙ্গিন/রঙ্গীন ***
রিকশা-রিক্সা ***
রেজিস্ট্রি-রেজিষ্ট্রি ***
রেনেসাঁ-রেনেসা ***
রেস্টুরেন্ট-রেষ্টুরেন্ট ***
রেস্তোরাঁ-রেস্তোরা ***
লাইব্রেরি-লাইব্রেরী ***
লটারি-লটারী ***
শ্রদ্ধাঞ্জলি-শ্রদ্ধাঞ্জলী ***
শূন্য-শুন্য/শূণ্য **
শনাক্ত-সনাক্ত ***
শর্তাবলি-শর্তাবলী (আবলি দ্বারা গঠিত শব্দ—ব্যাখ্যাবলি, রচনাবলি) ***
শহিদ-শহীদ ***
স্কলারশিপ-স্কলারশীপ (Ship/Sheep) **
স্ট্যাম্প-ষ্ট্যাম্প ***
স্টার-ষ্টার ***
স্টেশনারি-ষ্টেশনারী ***
স্টোর-ষ্টোর ***
সাক্ষ্য-স্বাক্ষ্য ***
সাক্ষী-স্বাক্ষী ***
সেক্রেটারি-সেক্রেটারী ***
সুধী-সূধী **
সমিল-ছমিল (করাতকল) ***
সর্বাঙ্গীণ-সর্বাঙ্গীন ***
সরকারি-সরকারী ***
সরণি-স্বরণী/স্মরণী ***
হর্ন-হর্ণ **
এছাড়া কোলন ( : ) ও ডট ( . )-এর স্থলে বিসর্গ (ঃ) ব্যবহার বেশ লক্ষণীয়। আমাদের অবশ্যই জানা উচিত বিসর্গ (ঃ) কোনো যতিচিহ্ন নয়—এটি একটি বর্ণ। বর্ণ হিসেবে এর ব্যবহার করতে হবে। যেমন— আঃ (আহ্), উঃ (উহ্), ওঃ (ওহ্), ছিঃ (ছিহ্), বাঃ (বাহ্), হাঃ (হাহ্), দুঃখ। পদের শেষে বিসর্গ ব্যবহার হবে না। যেমন— আইনত, ন্যায়ত। বিসর্গের স্থলে কোলন ব্যবহার করা যাবে না। যেমন— দু:খ (দুঃখ), আ: (আঃ)। সংক্ষিপ্ত শব্দে ডট (.) ব্যবহার হবে। যেমন— ড. (ডক্টর), ডা. (ডাক্তার), মি. (মিস্টার), লি. (লিমিটেড)।
--------------------------------------------------
📛📛 যতিচিহ্ন 📛📛
ডট ( . ) ব্যবহার :
বাংলায় সংক্ষিপ্ত শব্দে ডট ব্যবহার হবে। যেমন— ড. (ডক্টর), লি. (লিমিটেড), মি. (মিস্টার) ইত্যাদি। ইংরেজিতে Govt. (Government), Ltd. (Limited), Mr. (Mister), Dr. (Doctor)। ইংরেজি শব্দের সংক্ষিপ্ত বর্ণ রূপে (Abbreviation) ডট ব্যবহার না করাই ভালো। যেমন— SSC, HSC, SMS, MMS, BSS, BA, JSC, MPO, UN, BGB, BSF, RDRS, BRAC, BPL, IPL, ICC, BBC, WFP; বাংলায় এসএসসি, এইচএসসি, এসএমএস, এমএমএস, বিএ, বিকম, বিএসএস, বিএসসি, সিইনএড, পিএইচডি, পিসি, আইসিসি, ইউএন, বিবিসি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডট ব্যবহার করা ভুল নয়—তবে আমাদের দ্বারা ভুলের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন— BSc, PhD লিখতে গিয়ে B.S.C., P.H.D. লেখা। BSc, PhD-তে ডট ব্যবহার এভাবে হবে B.Sc., Ph.D. শুধু মাঝে ডট দিলে চলবে না; যেমন— B.Sc, Ph.D অর্থাৎ Sc. ও D.-এর পরেও ডট হবে—অনুরূপ বাংলাতেও। সুতরাং ভুল এড়াতে এবং বাংলা বানানের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ডট ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এসব শব্দে হাইফেন ( - ) ও কমা ( , ) ব্যবহার করা যাবে না।
কোলন ( : ) ব্যবহার:
▓ উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত বোঝাতে কোলন ব্যবহার হয়।
বাংলা সন্ধি দু প্রকার : স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি।
▓ ব্যাখ্যামূলক/বিবরণমূলক শব্দে কোলন ব্যবহার হয়।
নাম: শামস
পিতার নাম: শামসুল
ঠিকানা: গ্রাম– পায়রাবন্দ, ডাকঘর– পায়রাবন্দ, উপজেলা– রংপুর, জেলা– রংপুর।
বিষয়: বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন।
মোবাইল: ০১*******০০
নিচ: নিচু, তল, নিচের দিক
নীচ: নিকৃষ্ট, হীন
▓ গাণিতিক ক্ষেত্রে কোলন ব্যবহার হয়।
১:৯ (অনুপাত)
▓ সময় ও তারিখে কোলন ব্যবহার হয়।
২:৩০ মিনিট
তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩
▓ নাটকের সংলাপের আগে কোলন ব্যবহার হয়।
দুকড়ি: কী চাই?
কাঙালি: আজ্ঞে, মহাশয়
( সংগৃহীত)

Address

Mymensingh Sadar
Mymensingh
2202

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801521444640

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shekh Academy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shekh Academy:

Share

শিক্ষা হোক মুক্তির হাতিয়ার

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সবার কাছে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছানোর দ্বায়িত্ব আমরা হাতে নিয়েছি। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বোর্ডের সিলেবাস ভিত্তিক সাজেশন, সৃজনশীল প্রশ্নপত্র ও নৈর্ব্যক্তিক সরবরাহ করা হবে।। আপনারা কেউ যদি সহযোগীতা করতে চান, দয়া করে 01751040716 নাম্বারে যোগাযোগ করুন। অনলাইনে আপনি ঘরে বসে PSC, JSC, মেডিকেল, ভার্সিটি ও বিসিএস(BCS)প্রিলিঃ মূল্যায়ন পরীক্ষা,সাব্জেক্ট ফাইনাল এবং মডেল টেস্ট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে নিজের মেধাকে সহজে তুলনা করতে পারবেন। বিভিন্ন বিষয়ের অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন বন্টন, ভর্তি তথ্য এবং প্রশ্ন পত্র ছাড়াও PEC, JSC, SSC ও HSC বা সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য সেরা স্কুল/কলেজের নির্বার্চনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, চূড়ান্ত সাজেশন, স্পেশাল মডেল টেস্ট ও প্রশ্ন ব্যাংক সবকিছুই বিনামুল্যে পাবেন। PSC, JSC, SSC ও HSC একাডেমিক কোচিং অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে PSC, JSC, SSC ও HSC যেকোন ছাত্র-ছাত্রী MCQ এর উপর মূল্যায়ন পরীক্ষা, বিষয় ভিত্তিক ও মডেল টেস্ট এর উপর পরীক্ষা দিয়ে সারা বাংলাদেশের যেকোন ছাত্র-ছাত্রীর সাথে নিজেকে সহজে তুলনা করতে পারবে। মূল্যায়ন পরীক্ষা অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাসের উপর, বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা নিদিষ্ট বিষয়ের উপর আর মডেল টেস্ট নির্বাচনি পরীক্ষার সিলেবাসের আদলে তৈরী করা হয়েছে। MCQ প্রতিটি পরীক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষার্থী জানতে পারবে তার প্রাপ্ত নম্বর, ভুল ও শুদ্ধ উত্তর কোনটি ছিল। আরও জানতে পারবে মেধাতালিকা, গড়, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন নম্বর। এই সব গুলি সুবিধা পরীক্ষার্থী উপোভোগ করতে পারবেন সম্পুর্ণ ফ্রি। এছাড়া আরও থাকছে PSC, JSC, SSC ও HSC সাজেশন্স, স্পেশাল মডেল টেস্ট ও প্রশ্ন ব্যাংক সব কিছু PDF আকারে দেওয়া আছে। যেই কেউ ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবে। যে কোন প্রয়োজনে ০১৭৫১০৪০৭১৬ নাম্বারে যোগাযোগ করুন।