09/07/2025
প্রতিযোগিতার জীবন ভাল্লাগে না—ভাল্লাগে না একাডেমিকাল কষ্ট, মাথা ব্যাথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট।
ভাল্লাগে না ছেঁড়া স্যান্ডেলের মতো পড়ে থাকা নিঃসঙ্গ পরিত্যক্ত জীবন। ভাল্লাগে না হতাশা, আক্ষেপ আর প্রতিদিন বেঁচে থাকার ক্লান্তিকর লড়াই।
প্রতিযোগিতা করতে করতে জীবনটা কেমন
যান্ত্রিক হয়ে গেছে, কোথাও দুদণ্ড শান্তি নেই।
দ্বায়িত্বের ভারে যেন হাঁপিয়ে যাচ্ছি, বসে যাচ্ছি, বেঁকে যাচ্ছ, ভে-ঙে যাচ্ছি, পঁচে যাচ্ছি, গলে যাচ্ছি, মিশে যাচ্ছি, তলিয়ে যাচ্ছি কোন অন্ধকার কুয়োর গভীরে।
এমন জীবন তো আমি চাইনি— চেয়েছি সাধারণ একটা জীবন। যে জীবনে কোন জটিলতা নেই।
আমি চেয়েছি ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে থকথকে কাঁদা মাটিতে ধানের চারা লাগানোর মতো শিশির মুদ্রিত কুয়াশা মুড়ানো একটি অপূর্ব সুন্দর ভোর।
পাতে তুলে দেওয়া মায়ের হাতের আলু ভর্তা, ডিম ভাজা ভাত খাওয়া শেষে একটা দীর্ঘতম ভাত ঘুমের বিকেল।
মুখস্থ লিস্ট মাথায় নিয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার শেষে একটা পেয়ারার চারা কিনে বাড়িতে ফিরে দাদির পান কিনতে ভুলে গেছি মনে পড়া মত ভুল মনা একটা দুপুর।
উঠানে হাসন রাজার গানের আসরে জড় হওয়া বন্ধুদের আড্ডাময় জুনিপোকার আলোর একটা সন্ধ্যায়। অন্ধকার ঘন হয়ে এলে ছোট্ট নৌকা নিয়ে বাবার সঙ্গে নদীতে মাছ মারতে যাওয়া, ঘুমাতে গিয়ে দাদির চল্লিশ ডাকাতের গল্পের মত সুন্দর রাত্তিরি।
অথচ পেয়েছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা এক লাগামহীন ঘোড়ার জীবন। মৃ ত্যু ছাড়া যার কোনো থেমে যাওয়া নেই।