07/08/2025
🖋️ *একটি অক্ষরের বিনিময়ে উস্তাদের মর্যাদা — হযরত আলী (রাঃ) এর চোখে শিক্ষক*
ইসলাম শুধু নামাজ-রোজা আর ইবাদতের ধর্ম নয়, এটি এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি সম্পর্কের রয়েছে মর্যাদা ও দায়িত্ব। সেই সম্পর্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত এক সম্পর্ক হলো শিক্ষক ও ছাত্র। আর এই শিক্ষকের মর্যাদা ও ছাত্রের দায়িত্ব কীভাবে হতে পারে—তা আমাদেরকে শিখিয়েছেন রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর প্রাণপ্রিয় সাহাবি, জ্ঞান ও বিচক্ষণতার রত্ন, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু।
📜 *ঘটনাটি সংক্ষেপে:*
হযরত আলী (রাঃ) একবার জনসমক্ষে কোনো বক্তব্য বা লিখন উপস্থাপন করছিলেন। তখন একজন মুশরিক ব্যক্তি তার কথায় একটি ভুল ধরিয়ে দেন। হয়ত তা ভাষাগত ভুল ছিল, অথবা কোনো তথ্যগত ত্রুটি। সাধারণত এমন অবস্থায় মানুষ আত্মসম্মান বা অহংকারের কারণে ভুল স্বীকার করতে দ্বিধা বোধ করে। কিন্তু হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন এক অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী।
তিনি বিনয়ের সাথে সেই ব্যক্তির কথা মেনে নিয়ে বলেন:
“তুমি আমাকে একটি শব্দ শিখিয়েছো, সুতরাং তুমি আমার উস্তাদ।”
হ্যাঁ, শুধুমাত্র একটি ভুল ধরিয়ে দেওয়ার কারণে তিনি একজন মুশরিক ব্যক্তিকে “উস্তাদ” বলে সম্মান দেন।
🛏️ মুশরিক ব্যক্তির মৃত্যুশয্যায় হযরত আলীর আচরণ:
সময় গড়িয়ে যায়। কিছুদিন পর সেই মুশরিক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় উপনীত হন। তার মন খেতে চায় কিছু ভালো খাবার, কিন্তু তার সাধ্য বা পরিবেশ নেই।
তিনি তখন একজনকে দিয়ে হযরত আলী (রাঃ)-এর কাছে বার্তা পাঠান:
“আমার ছাত্র আলীকে বলো— আমি তার উস্তাদ। আজ আমি মৃত্যুর সজ্জায় আছি, আমার কিছু খেতে মন চায়। সে যেন কিছু খাবার পাঠায়।”
যখন হযরত আলী (রাঃ) এই কথা শুনলেন, তিনি বললেন:
“হ্যাঁ, সে আমার উস্তাদ। সে আমাকে একটি অক্ষর শিখিয়েছিল, আমি কখনো তার হক অস্বীকার করতে পারি না।”
অতঃপর তিনি নিজ হাতে কিংবা নিজ তত্ত্বাবধানে খাবার প্রস্তুত করে সেই মুশরিক ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেন
আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমাদের হুজুরের হক আদায় করার তৌফিক দিন হুজুরের নেক দোয়া লাভ করার সুযোগ দিন আমিন।