24/08/2025
প্রতিবার বীর্যপাতে প্রায় ৩০-৫০ কোটি শুক্রানু নারীর যোনিতে প্রবেশ করে। যেহেতু শুক্রাণুগুলো নারীর দেহের কোনো অংশ নয়, কাজেই নারীদেহ এসব শুক্রাণুগুলোকে বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করে। আর এসব শুক্রানুকে হত্যা করার জন্য তার ইমিউন সিস্টেমকে এক্টিভ করে দেয়। ইমিউন সিস্টেম এক্টিভ হবার সাথে সাথেই শরীরে থাকা B-cell একধরণের অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করতে থাকে। এবং পরবর্তীতে এই অ্যান্টিবডি একে এক সকল শুক্রাণুদের হত্যা করা শুরু করে দেয়। এই বিশাল হত্যাযজ্ঞকে অতিক্রম করে কেবল কয়েকশো শুক্রাণু নারীর জরায়ুতে পৌছাতে পারে। পরবর্তীতে এই কয়েকশো শুক্রাণু থেকে কেবল একটি শুক্রাণু ডিম্বানুর ভিতর প্রবেশ করে ও নিষেক সম্পন্ন করে জাইগোট গঠন করে। এই জাইগোটই হচ্ছে মানব জীবনের প্রথম কোষ।
এই জাইগোটে যেমন মায়ের জিন আছে, তেমনি বাবার জিনও আছে। আর বাবার জিন মানেই তো বহিরাগত। কাজেই একে হত্যার জন্য পুণরায় ইমিউন সিস্টেম এক্টিভ হবে— এমন সময় নারীদেহ সিগন্যাল পাঠায়, “এরা কেউ আমার শত্রু নয়।” এই সিগন্যাল পাবার সাথে সাথেই ইমিয়ুন সিস্টেম তার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে পরবর্তী ১০ মাস নারীর গর্ভে পরম যত্নে লালিত হতে থাকে মানব ভ্রুণটি।
যে নারীদেহ শুক্রানুগুলোকে হত্যার জন্য ইমিয়ুন সিস্টেমকে নির্দেশ দিয়েছিলো, নিষেক সম্পন্ন হবার পর সেই একই নারীদেহ মানব সন্তানের প্রতিটি কোষে মাতৃত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস ঢেলে দেয়।
সুতরাং আপনিই বলুন, আপনি আপনার প্রতিপালকের কোন অবদানকে অস্বীকার করবেন?