
29/08/2025
কিছু মানুষ আজও বলে — সিজারে নাকি মা হতে কোনো কষ্টই হয় না!"হাসি পায়...! তাহলে শুনো — কষ্ট যদি না-ই হতো, তাহলে সিজারের আগে সেই মা কেন কাঁপতে কাঁপতে ওটিতে যায়?
কেন সন্তান জন্মের মুহূর্তে সে নিজের মৃত্যুর আশঙ্কায় কালেমা পড়তে থাকে?
ওটি টেবিলে যখন শরীরটা কাটা হয়,
তবুও সে জেগে থাকে!
কারণ, অপারেশনের সময় মা পুরোটা শুনতে পায় —
পেট কাটা, মাংস কাটা, নাড়ি টানা সব আওয়াজ!
একটা সময়ের পর ব্যথা বলে কিছু থাকে না,
থাকে শুধু নিঃশ্বাস আটকে আসা ভয়।
সিজার শেষে সেই মাকে ২৪ ঘণ্টা পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয় না।
তবুও সে নালিশ করে না।
এই পড়ে থাকা, নাড়িভুঁড়ি সেলাই করে গভীর ব্যথা শরীর নিয়ে
এই সন্তানকে দেখবে বলে অস্থির করেদেয়। ওঠে এসে ওকে
থাকা ছাড়া কোনো ভঙ্গিতে থাকা যায় না।
বাচ্চাকে কোলে নিতেও বুক কাঁপে।
শুধু সেলাইটা ছিঁড়ে যাবে বলে নয়,
দুর্বল শরীর আর তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করে
সেই মা, প্রথমবার নিজের সন্তানকে স্তন্যদান করে।পাঁচ মিনিট দাঁড়ানোর শক্তি থাকে না,
তবুও ব্যথায় ফেটে যাওয়া গায়ে দাঁড়িয়ে
বাচ্চাকে কোলে নেয়।
দিনে দিনে ক্ষত শুকায় ঠিকই,
কিন্তু ওর মনের ক্ষত কেউ দেখে না।
জীবনের শেষদিন পর্যন্ত একটা কাটা দাগ বয়ে বেড়াতে হয়—
স্মৃতি হিসেবে নয়,
ত্যাগের সনদ হিসেবে।
তবুও কেউ কেউ বলে — "সিজার কষ্ট না।"
তারা মায়ের কান্না শোনেনি,
শুনলেও বুঝবে না।
"সন্তান জন্মানোটা কোনো মেকানিক্যাল প্রসেস না,
এটা একটা মা’র আত্মা ছিঁড়ে বের হওয়া — যন্ত্রণার নাম।
সেই যন্ত্রণা হোক সিজারেই হোক বা নরমালে —
মা, সব কষ্টের উপরে।"
যারা বলে সিজারে নাকি কষ্ট কম,
তারা একবার অন্তত সিজারের মায়ের পাশে রাত কাটিয়ে দেখুক।
"একজন মা, মা হয় জন্ম দেওয়ার কষ্টে, সে নরমাল হোক বা সিজার — কষ্টটা কিন্তু মা'ই বোঝে..."