
22/06/2024
রাসেল'স ভাইপার নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে জনমনে আতংক ছড়ানো বন্ধ হোক--প্রয়োজন জনসচেতনতা---
এটা আমাদের দেশী সাপ।এরচেয়ে অনেক বিষধর সাপ গোখরা, কেউটে/ কালাচ আমাদের বাড়ির আশেপাশেই বাস করে। রাসেলস ভাইপার অবশ্যই বিষধর সাপ ও এর বিষ মানুষের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কিন্তু ফেসবুকে যেভাবে একে রাক্ষসের মত বিশাল ভয়ঙ্কর হিসাবে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে ততটা ভয়ংকর এরা না। এর কোনো পাখা নেই যে আপনাকে উড়ে এসে কামড় দিবে।
যে কোনো গর্তে,ঝোপঝাড়ে হাত ঢুকানোর আগে সেখানে কিছু লুকিয়ে আছে কিনা তা চেক করে হাত ঢুকাবেন।এরা যেহেতু গ্রাউন্ড স্নেক, তাই জমিতে কাজ করার সময় গাম বুট পড়ে কাজ করতে হবে।কোনো সাপ দেখলেই পালোয়ানী দেখাতে তা ধরতে ও মারতে যাবেন না,এতে কামড় খেয়ে যাবেন।মনে রাখবেন সচেতনতাই আমাদের একমাত্র রক্ষাকবচ।
যে কোনো সাপের কামড় খেলেই দ্রুত জেলার প্রধান সরকারি হাসপাতালে যাবেন।ওঝা,কবিরাজের কাছে গিয়ে মইরেন না।কারন এই ওঝা, কবিরাজরা সাপের কামড় খেলে নিজেরায় বাচার জন্য হাসপাতালে ছুটে।
রাসেলস ভাইপার আপনার বাড়িতে এসে বিছানায় উঠে কামড়ানের চান্স কম।জমিতে বা মাঠে ঘাটে ভুল করে আপনার পা এর গায়ে উঠে গেলে যে কোনো সাপই আপনাকে কামড়িয়ে দেবে। এমন কি আপনার বাড়ির পোষা কুকুর বিড়ালের লেজে আপনি পাড়া দিলেও ঘুরে আপনাকে কামড় বসিয়ে দিবে।
সাপের কোনো শখ নাই মানুষকে কামড়ানোর।এটা ওদের ডিফেন্স মেকানিজম।শুধুমাত্র ভয় বা আঘাত পেলেই সাপ কামড় দেয়।
বরেন্দ্রভূমিতে রাসেলস ভাইপার অনেক তাই সাবধানে চলাচল করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন:
• যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।
• যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
• রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।
• সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের উপরে হালকা করে বেঁধে দিন।
• রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।
• আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।--- জন সচেতনতায়; প্রজন্মের আলো/ প্রজন্মের মেলা, প্রজন্ম টিভি, নওগাঁ।