
15/07/2025
পেঁপে চাষে অধিক ফলন পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে পেঁপে চাষের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো।
জাত:
হাইব্রিড পেঁপের জাতের মধ্যে গ্রিন লেডি, কিউট লেডি, টপ লেডি, সুইট বোল আবাদে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
জমি নির্বাচন ও মাটি প্রস্তুতকরণ:
👉 পানি জমে থাকেনা এমন উঁচু, জলাবদ্ধতাহীন, দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য উত্তম।
চারা রোপনের ক্ষেত্রে ৬ ফুট দূরে দূরে প্রতি গর্তে ১৫ কেজি পঁচা গোবর বা ৫ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমওপি, ১০০ গ্রাম সালফার প্রয়োগ করে ২০-২২ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।
চারা রোপণ পদ্ধতি:
সাধারণত বর্ষা ও শীতের মাঝামাঝি সময় (জুলাই-আগস্ট অথবা ফেব্রুয়ারি-মার্চ) চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।
* চারা রোপণের জন্য ২/২.৫ মিটার দূরত্বে সারিবদ্ধভাবে গর্ত তৈরি করতে হবে। প্রতি গর্তে ২-৩ টি চারা রোপণ করতে হবে এবং পরে ভালো চারাটি রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে।
চারা রোপণের সময় চারার গোড়ায় মাটি চেপে দিতে হবে এবং প্রথম দিকে হালকা সেচ দিতে হবে।
পানি সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:
* গ্রীষ্মকালে ৭-১০ দিন পরপর সেচ দিতে হবে, বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
* গাছের আশেপাশে জৈব মালচিং (খড়, পাতা) ব্যবহার করলে আগাছা অনেক কম হয় এর সাথে ছত্রাক সংক্রমণ কম হয়।
পেঁপের জন্য
প্রতি ৮-১০ দিন পর পর
স্পাইরোমেসিফেন ২৪%. বা এবামেকটিন গ্রুপের কীটনাশক
ও
(কার্বেন্ডাজিম ১২% + ম্যানকোজেব ৬৩%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
১৫ দিন পর পর
প্রোফেনোফস ৪০% + সাইপারমেথ্রিন ২৫% গ্রুপের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
ফুল হতে ফল গুটিতে আসলে সলুবোর বোরন ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাহত হলে PGR প্রয়োগ করতে হবে।
প্রতি ২৫-৩০ দিন পর পর ৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ এমওপি সার গাছ থেকে ১ ফুট দূরে রিং আঁকারে প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে এক দিন পর পানি প্রয়োগ করে দিতে হবে।