খামার বাড়ি

খামার বাড়ি এই পেজে আপনি গবাদি পশুসম্পর্কিত সকল তথ্য পাবেন ।

পেঁপে চাষে অধিক ফলন পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে পেঁপে চাষের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো।জাত:হা...
15/07/2025

পেঁপে চাষে অধিক ফলন পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে পেঁপে চাষের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো।

জাত:

হাইব্রিড পেঁপের জাতের মধ্যে গ্রিন লেডি, কিউট লেডি, টপ লেডি, সুইট বোল আবাদে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

জমি নির্বাচন ও মাটি প্রস্তুতকরণ:

👉 পানি জমে থাকেনা এমন উঁচু, জলাবদ্ধতাহীন, দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য উত্তম।

চারা রোপনের ক্ষেত্রে ৬ ফুট দূরে দূরে প্রতি গর্তে ১৫ কেজি পঁচা গোবর বা ৫ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমওপি, ১০০ গ্রাম সালফার প্রয়োগ করে ২০-২২ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।

চারা রোপণ পদ্ধতি:

সাধারণত বর্ষা ও শীতের মাঝামাঝি সময় (জুলাই-আগস্ট অথবা ফেব্রুয়ারি-মার্চ) চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

* চারা রোপণের জন্য ২/২.৫ মিটার দূরত্বে সারিবদ্ধভাবে গর্ত তৈরি করতে হবে। প্রতি গর্তে ২-৩ টি চারা রোপণ করতে হবে এবং পরে ভালো চারাটি রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে।
চারা রোপণের সময় চারার গোড়ায় মাটি চেপে দিতে হবে এবং প্রথম দিকে হালকা সেচ দিতে হবে।

পানি সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:

* গ্রীষ্মকালে ৭-১০ দিন পরপর সেচ দিতে হবে, বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

* গাছের আশেপাশে জৈব মালচিং (খড়, পাতা) ব্যবহার করলে আগাছা অনেক কম হয় এর সাথে ছত্রাক সংক্রমণ কম হয়।

পেঁপের জন্য

প্রতি ৮-১০ দিন পর পর

স্পাইরোমেসিফেন ২৪%. বা এবামেকটিন গ্রুপের কীটনাশক

(কার্বেন্ডাজিম ১২% + ম্যানকোজেব ৬৩%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।

১৫ দিন পর পর

প্রোফেনোফস ৪০% + সাইপারমেথ্রিন ২৫% গ্রুপের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

ফুল হতে ফল গুটিতে আসলে সলুবোর বোরন ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাহত হলে PGR প্রয়োগ করতে হবে।

প্রতি ২৫-৩০ দিন পর পর ৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ এমওপি সার গাছ থেকে ১ ফুট দূরে রিং আঁকারে প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে এক দিন পর পানি প্রয়োগ করে দিতে হবে।

গরুর খামারে লাভ করা সম্ভব, তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। গরুর মাংস এবং দুধ - এই দুটি প্রধান উৎস থেকে লাভ আসে। লাভজনক খ...
15/07/2025

গরুর খামারে লাভ করা সম্ভব, তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। গরুর মাংস এবং দুধ - এই দুটি প্রধান উৎস থেকে লাভ আসে। লাভজনক খামার করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা এবং বাজারজাতকরণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

গরুর খামারে লাভ করার জন্য কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো:

বাজারজাতকরণ:

গরুর মাংস এবং দুধের চাহিদা সবসময় থাকে, তাই সঠিক বাজারজাতকরণের মাধ্যমে লাভ করা সম্ভব।

জাত নির্বাচন:

কোন জাতের গরু পালন করা হবে, তা নির্ভর করে আপনার এলাকার উপর এবং বাজারের চাহিদার উপর। মাংসের জন্য এক ধরনের গরু এবং দুধের জন্য অন্য ধরনের গরু পালন করা হয়।

খাবার ও বাসস্থান:

গরুকে সঠিক মানের খাবার এবং উপযুক্ত বাসস্থান সরবরাহ করা প্রয়োজন। এতে গরুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে।gp&k

রোগ প্রতিরোধ:

গরুর রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

দক্ষতা:

গরুর খামার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন।

কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:

ছোট বা মাঝারি আকারের খামার দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।

কম খরচে ভালো মানের খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা করতে হবে।

স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী গরু নির্বাচন করতে হবে।

সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা যেতে পারে।

যদি এই বিষয়গুলি সঠিকভাবে পালন করা যায়, তাহলে গরুর খামার থেকে লাভ করা সম্ভব।

খামার বাড়ি

ষাঁড় গরুর আদর্শ খাদ্য তালিকা♦️--------------------------------------------♦️ষাঁড় গরুর আদর্শ খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আমাদের...
13/07/2025

ষাঁড় গরুর আদর্শ খাদ্য তালিকা
♦️--------------------------------------------♦️
ষাঁড় গরুর আদর্শ খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে গরু পালন একটি লাভজনক পেশা। গরু পালন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। গরু পালনের ক্ষেত্রে ষাঁড় গরু পালন করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। ষাঁড় গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য খাদ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গবাদিপশু পালন ও কৃষি তে আসুন জেনে নেই ষাঁড় গরুর আদর্শ খাদ্য তালিকা সম্পর্কে-


ষাঁড় গরুর আদর্শ খাদ্য তালিকাঃ
গরুর লাইভ ওয়েটঃ ৩০০ কেজি।

ঘাস ও খড়ঃ

ঘাসঃ — ২০ কেজি –৩৫ মে.জুল
খড়ঃ — ৩ কেজি — ১৬ মে.জুল
——————————————-
মোটঃ ২৩ কেজি–৫১ মে.জুল

দানাদার খাদ্যঃ

ভুট্টাঃ ৪০০ গ্রাম ৪.৪ মে.জুল
চালের কুড়াঃ ৪০০ – ৫.৬
গমের ভুষিঃ ২০০ – ২.০
এংকরঃ ৪০০ – ৪.৬
সয়ামিলঃ ২০০ – ২.৬
সরিষা খৈলঃ ২০০ – ২.৪
মোলাসেসঃ ২০০ – ২.০
——————————————-
মোটঃ ২০০০ গ্রাম – ২৩.৬মে.জুল

অতিরিক্তঃ দানাদার খাবারে দৈনিক ১০ গ্রাম ভালো মানের ডিসিপি এবং ৫ গ্রাম খাবার সোডা যোগ করতে হবে। ঘাসের পরিমান কমলে আরো ১০ গ্রাম বাড়তি ডিসিপি এবং ১০ গ্রাম ভালো মানের ডিবি যোগ করতে হবে।gp&k

সতর্কতাঃ

গরুর ওজন প্রতি ৫০ কেজি কমের জন্য এনার্জি চাহিদা ৮ মেগাজুল এবং প্রোটিন চাহিদা ৭০ গ্রাম কমে যাবে এবং গরুর ওজন প্রতি ৫০ কেজি কমের জন্য টি এম আর থেকে ১৬% সব ধরণের খাবার কমিয়ে দিতে হবে। গরুর ওজন ৫০ কেজি বাড়লে ১৭% সব ধরণের বাড়তি খাবার যোগ করতে হবে। এই রেশন থেকে ঘাসের পরিমান ১ কেজি কমলে ১৫০ গ্রাম বাড়তি মিশ্রিত দানাদার এবং ১৫০ গ্রাম বাড়তি খড় যোগ করতে হবে ।
👉 শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন অনেকের উপকারে আসবে
খামার বাড়ি

13/07/2025

নতুন মালিকের খোঁজে,
জেলাঃ নরসিংদী,
থানাঃ পলাশ,
01762-200155

কোন জাত বা ব্রিডের গরু নিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণ খামার শুরু করবেন       ♦️=======================♦️গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের খামার গড়...
12/07/2025

কোন জাত বা ব্রিডের গরু নিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণ খামার শুরু করবেন
♦️=======================♦️

গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের খামার গড়ার পরিকল্পনায় প্রথমে যে প্রশ্নটি আসে তা হলো কোন জাত বা ব্রিডের গরু নিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণ খামার শুরু করবেন।

দেশে শিক্ষিত লেখাপড়া জানা তরুনদের মধ্যে অনেকেই নিজ গ্রামে বা কয়েকজন মিলে খামার গড়ার চিন্তা করে থাকে, এমনকি চাকরি করছে পাশাপাশি কিছু একটা করা দরকার এমন কিছু ভেবেও দেখছি অনেকে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ খামারের দিকে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

খামার শুরু করতে গিয়ে প্রথমে যে প্রশ্ন আসে সেড কীভাবে তৈরী করবে এবং এরপরের প্রশ্নই হলো কোন জাতের গরু দিয়ে এই হৃষ্টপুষ্টকরণ খামার করবে?

আমাদের বাজারে প্রধানত মোটা দাগে বলতে গেলে ৩ টি জাত চোখে পড়বে ১) দেশী গরু ২) ফ্রিজিয়ান ক্রস ৩) শাহীওয়াল ক্রস।

কসাইয়ের বাজার বলেন আর কোরবানীর বাজার বলেন এই ৩ জাতের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে সবাই। নতুনদের জন্য প্রশ্ন হলো কোন জাত নিয়ে তারা কাজ শুরু করবে।

কোন জাত নিয়ে কাজ শুরু করবেন এটা ঠিক করার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে কোন ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা নিয়ে আপনি আগাবেন।

আপনি যদি সারা বছর মাংস প্রোডাকশন করবেন এবং সাপ্লাই দেবেন ভেবে থাকেন তাহলে আমি নতুনদের জন্য বলবো ফ্রিজিয়ান ক্রস গরু লালন পালন করতে।

এটি এমন একটি জাত যা দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং ভাল সুষম খাদ্য পরিবেশন করলে এই গরু প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।gp&k

বাজারে যদি ১৮/২০ মাসের ফ্রিজিয়ান শুকনা দেখতে গরু পাওয়া যায় আপনি চোখ বন্ধ করে কিনে লালন পালন করতে পারেন ৪ থেকে ৬ মাসের জন্য বা আরো বেশী সময়ের জন্য।

সাধারনত ২ বছর বয়সের পর থেকে এর জাতের প্রতিদিনিকার গ্রোথ খুব ভাল হওয়া শুরু করে। অনেকে ৭/৮ মাসের বাচ্চা কিনে এক বা দেড় বছরের জন্য লালন পালনও করে থাকে। যাদের দুগ্ধ খামার আছে তাদের তো কথাই নেই, খামারে জন্ম নেয়াএই জাতের ষাড় বাচ্চা খুব সহজেই লালন পালন করে লাভবান হতে পারেন।

আর যারা মনে করেন শুধু কোরবানীর জন্য লালন পালন করবেন তাহলে বলবো লাল শাহীওয়াল ক্রস গরু লালন পালন করতে। কারন কোরবানীতে ক্রেতারা লাল রঙয়ের কুজ ওয়ালা গরু কিনতে ও অর্থ খরচ করতে বেশী আগ্রহী থাকে।

এই লাল শাহীওয়াল ক্রস গরুর বর্তমানেএখন এত চাহিদা এবং উচ্চমুল্য যা সাধারন খামারিদের পক্ষে কিনে কোরবানীতে বিক্রি করে লাভবান হওয়া অত্যান্ত কঠিন। দাম বেশী কারন চাহিদা বেশী, সোজা হিসাব।

বাজারে এই লাল শাহীওয়াল ২ ব্লাড লাইনের বা ক্যাটাগরীর পাওয়া যায়। একটি হলো, আমাদের দেশী শাহীওয়াল ক্রস এবং অন্যটি হলো ওপার থেকে আসা উন্নত জাতের শাহীওয়াল ক্রস। ছোট অবস্থায় এই দুই ব্লাড লাইন আপ দেখতে একই রকম দেখাবে।

দেশী শাহীওয়াল ক্রস ৪০০ থেকে ৪৫০ কেজির বেশী ওজন আসবেনা। আর উন্নতজাতের শাহীওয়াল ওপার থেকে যেগুলো আসছে সেগুলো ৫০০ কেজির থেকে ৮০০ কেজি পর্যন্ত গ্রোথ আসবে। অভিজ্ঞরা এই জাত সহজে চিনতে পারলেও, নতুনরা এই জায়গাটাতেই সব থেকে বেশী ভুল করে।

দেখা যায় কিনে আনার পরে ওজন প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম বাড়ছে, অথচ উন্নত জাতের শাহীওয়ালগুলো বাড়ছে প্রতিদিন ১ কেজি থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত।

আমাদের দেশে কি ভাল উন্নত জাতের শাহীওয়াল তৈরী হচ্ছে না? আমি বলবো খামারিরা এখন মনযোগ দিচ্ছে খামারে ভাল মানের শাহীওয়াল সিমেন ব্যবহার করে উন্নত জাত তৈরী করতে।

আমাদের দেশে শাহীওয়াল গাভী পালন খুবই কম হয় যে কারনে এই সমস্যা। সাধারনত দেশী গরুকে শাহীওয়াল সিমেন দিয়ে ক্রস করিয়ে বাচ্চা তৈরী করা হয় যার কারনে আমাদের দেশের শাহীওয়ালে ক্রসের মান এখনো ততটা উন্নত নয় যতটা পাশের দেশগুলোতে দেখা যায়।

ভারত পাকিস্তানে অনেক অনেক উন্নত ব্লাড লাইনের শাহীওয়াল আছে বিধায় সাধারনত বর্ডার ক্রস গরুগুলোই এত ভাল মানের হয়ে থাকে। দেশ টু দেশ তাদের ন্যাচারাল রিসোর্সের উপর ভিত্তি করে এ ধরনের তারতম্য ঘটে থাকে। আমাদের দেশেও যারা ভাল মানের মা শাহীওয়াল থেকে শাহীওলাল বাচ্চা তৈরী করছে তাদের খামারেও ভাল জাতের শাহীওয়াল পাওয়া যায়।

পরিশেষে একটা কথাই বলবো, গতানুগতিক সবাই যা করে সেই ব্যবসার দিকে না ঝুকে নিজেকে ডাইভারসিফাইড করার চেস্টা করুন।

দুধ বিক্রি করতে হবে, ফ্যাটেনিং করতে হবে এর দুই ব্যবসার মধ্যে ঘোরপাক না করে যারা চড়া দামে উন্নতজাতের বাছুর কিনছে বাজার থেকে আপনি আপনার খামারে তৈরী করুন উন্নত মানের দুধ ও মাংসের বাচ্চা। ভাল দুধের বা মাংসের গরু হলে আপনার থেকেই দুগ্ধ খামার মালিকগন কিনে নিয়ে যাবে।
👉 শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন অনেকের উপকারে আসবে l
গবাদিপশু পালন ও কৃষি খামার বাড়ি কৃষি ও খামার

Address

Naogaon

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when খামার বাড়ি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share