02/09/2023
আত্মকথনঃ
জীবনের নিত্যনতুন আয়জনে সুখের ঔষুধ গুলো যখন ফুরিয়ে যায়।তখন আবার ইচ্ছে করে সেই আগের পুরানো চেনা কিছু অতীতকে আঁকড়ে ধরতে।
যন্ত্রণার ঘ্রাণ যখন তীব্রভাবে আমার নিজস্ব জগৎটাকে ভরিয়ে তুলে, তখন দম আটকে যায়।
আর তখন মাঝে মধ্যেই মনে হয় নিজেকে কোনো এক হিমাগারে রাখি।
নানা রকম শৈল্পিক আর নান্দনিকতায় ভরপুর যে জীবন, হঠাৎ করেই যে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যাবে, তা খুব গভীর ভাবেই, ভাবিয়ে তুলে।
আর তাই মাঝে মধ্যেই মনে হয়, শুধু শুধুই মানুষ পরিচয়ে বাঁচার কোনো অর্থ বা স্বার্থকতা আছে কী?
যদি হতাম কোনো বেয়াড়া কুকুরছানা বা কোনো নিকৃষ্ট নেকড়ের দল, তবে হয়তো এতটা কষ্ট থাক তো না।
তাই তো অনেকবার ইচ্ছে হয়, জীবনের গল্পটাতে একটা বিরামম চিহৃ আঁকি।
নয়তো মুছে ফেলি, আচ্ছা আদৌ কী মুছা যায়?
তবুও ভেবে দেখেছি অনেক—
বেঁচে থাকা দারুন একটি খেলা, স্বচ্ছ বিলের জলে তিতপুঁটি লাফানোর মতোই।
তবুও "মৃত্যু" আমার সব চাইতে প্রিয় একটি শব্দ। জীবনের সমস্ত লেনদেনের হিসাবনিকাশের স্বচ্ছ একটি ফলাফল এই "মৃত্যু"।
নবেম্বর এর নয় তারিখ আসলেই, কেমন জানি ভারী হয়ে উঠে বুক। মন খারাপ হয় খুব। সময় চলে যায় কেমন করে বুঝে উঠা দায়। দিন যত গত হচ্ছে অনুভূতি গুলো ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। এখন আর কোনো কিছুতেই মন লাগে না যেন।
এই-যে মায়ার শহরে, এত এত মায়া ছড়িয়ে আছে। তীব্র স্মৃতির গন্ধে ঘোলাটে হয় জীবন। তবুও মৃত্যু কামনায় দিনক্ষণ কাটে। যে কটা দিন বেঁচে আছি সময়ের কাছে বাড়ছে ঋণ।
সময় যে কাটেনা বড়!
বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে — ভালো একটা দিনের অপেক্ষায়,
নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে যে দিন ফুরিয়ে যায়—
তাঁর আর ভালোমন্দ কী?
যখন জেনেছি প্রতিটি মানুষই অনেক বেশি অপ্রাপ্তি, অপূর্ণতা নিয়েই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। এই অপ্রাপ্তি গুলোর জন্যই জীবন রোমাঞ্চকর হয়।
তখন বুঝেছি স্বার্থের এই দুনিয়ায়—
স্বার্থ ছাড়া কেউ খোঁজ নিবে না, আর প্রয়োজন ফুরালে- সবার কথা বলার ধরন ও বদলে যায়।
যার সামর্থ্য কম তার স্বপ্ন বেশি, এটাই জগতের নিয়ম।
কিছু কিছু মানুষ আছে এই পৃথিবীতে— যারা সুখটা কেড়ে নিয়ে বলে– ভাল থেকো।
ভাল আছি বলতে ভয় হয়, যতটুকুই আছি সবটাই 'অভিনয়!
তাইত কোলাহল মুখরিত এই নগরী ছেড়ে—
আমিও সবুজ খুঁজেছি, প্রকৃতির সেই বিশুদ্ধ রুপ খুঁজেছি।
যেখানেই যাই পঁচা মানুষের নিঃশ্বাসের নোংরা গন্ধ,
ওহ্! কী যে বিষ বিষ লাগে!
তাই এমন একটা শহর চাই যেখানে বিশুদ্ধ বাতাস থাকবে