07/07/2025
মেয়েটার হাতের প্লেটে আছে খাসির গরমাগরম চর্বি।
হাফ প্লেট ৫০ রুপি। এই হাফ প্লেটে মিডিয়াম সাইজে দেড় টুকরো চর্বি ছোট ছোট পিস করে, সাথে গ্রেভি দিয়ে সার্ভ করছে।
কমেন্টে যদিও মানুষ মেয়েটাকে ধুয়ে দিচ্ছে—চর্বিও কিনে খাওয়ার জিনিস হলো! ভ্লগের বিষয়বস্তু হলো? জীবনে চর্বি মানুষ খায় নাই, দেখা নাই......ইত্যাদি।
ধুয়া মানুষগুলো এই দেশি 🙄
কিন্তু একজন ব্যবসায়ী হিসাবে আমার চোখে প্রথমে আসে—ব্যবসাটা কতটা লাভজনক হবে, আর আইডিয়াটা কতটা ইউনিক!
বাংলাদেশে এরকম ব্যবসার নাম বা দোকান আমি দেখি নাই।
সো, আপনারা যারা বেকার আছেন, মূলধন একদমই কম, নাই বললেই চলে—তাদের জন্য এটা আদর্শ ব্যবসা হইতে পারে। যদি রান্নাটা ভালো করে করতে পারেন।
প্রচুর চর্বি লাভার পাবেন, যারা কিনে চর্বি খাবে।
যেকোনো কসাইয়ের দোকান থেকে কেজি খানেক চর্বি কিনে কসিয়ে রান্না করে, কোন একটা বিজি মোড়ে বসে যান।
একটা ঝকঝকে প্ল্যাকার্ডে "গরুর/খাসির গরম চর্বি", বড় বড় করে লিখে রাখবেন।
বুঝার সুবিধার জন্য আমি লাভের হিসাবেও করে দিচ্ছি,
বর্তমান বাজারে কসাই দোকানে খাসির চর্বির দাম প্রায় ২০০–২২০ টাকা/কেজি।ধরি, ১ কেজি ২২০ টাকা।
আপনি ইন্ডিয়ার মতো হাফ প্লেটে ৫০ টাকা দিলে, প্রতিটি হাফ প্লেটে প্রায় ৭০–৮০ গ্রাম চর্বি যাবে।
তাহলে ১ কেজিতে প্রায় ১২–১৪ প্লেট বের হবে।
তাহলে বিক্রয় মূল্য ১ কেজি = ১৪ প্লেট × ৫০ টাকা = ৭০০ টাকা
টোটাল খরচ,চর্বি ২২০ টাকা+মসলা, গ্রেভি, গ্যাস, প্লেট আনুমানিক 80 টাকা।
সবমিলায়া মোট খরচ = ৩০০ টাকা (প্রায়)
তাহলে লাভ থাকলো
বিক্রি ৭০০ – খরচ ৩০০ = ৪০০ টাকা/কেজি লাভ
দিনে ৪০০ টাকা হলে, মাসে ৪০০*৩,১২০০০ টাকা।
দিনে যদি ৫ কেজি বিক্রি করতে পারেন তাহলে দিনে হয় ২০০০ টাকা লাভ,মাসে হয় ৬০০০০ টাকা লাভ।
অফিস না, দোকান না—শুধু রোডসাইড ফুড স্টল
যারা একটু অন্যভাবে ভাবতে চান, ইউনিক কিছু করতে চান, আর একদম নিচ থেকে শুরু করতে চান—তাদের জন্য এটা একেবারে "Low Cost, High Return" বিজনেস আইডিয়া।😍😍
আইডিয়া কেমন বলেন এখন।
#ব্যবসায়িক_টিপস পর্ব ৪