
31/05/2025
নতুন ভাবে সিঙ্গা ও ইউয়েন ইউকে দেখুন❤️
#গল্পে_সিঙ্গা_ইউয়েন_ইউ
পর্ব ৩: কুটিরের রহস্য
সিঙ্গা জানালার পাশে বসে ছিল। হাতের বাটিতে বনের ভেষজ গুলে বানানো ওষুধ। রাত আরও ঘন হয়েছে, কুটিরের ছাদের ফাঁক গলে চাঁদের আলো ঢুকছে, আর ইউয়েন ইউ এখনও ঘুমে অচেতন।
কিন্তু তার মুখে আজ রাতে একটুও ক্লান্তি নেই—বরং এক ধরণের প্রশান্তি, যেন কোনো পুরোনো যন্ত্রণার থেকে মুক্তি মিলেছে।
সিঙ্গা জানে না, সে কীসের প্রতীক্ষায় আছে।
হয়তো এই ছেলেটা জেগে উঠে বলবে—সব ভুলে গেছে।
হয়তো বলবে—তাকে খুঁজছে কেউ, অথবা… সে নিজেই কাউকে খুঁজছিল।
হঠাৎ, বাইরে ঝোপের আড়ালে একটা শব্দ।
সিঙ্গা চমকে উঠল।
কাঠের দরজার কাছে গিয়ে ধীরে ধীরে কান পাতল।
দূর থেকে শোনা যাচ্ছে—একটা কর্কশ শিস।
চীনা অস্ত্রধারী গুপ্তচরদের এই সংকেত সে চেনে।
সে দ্রুত ফিরে এসে কুটিরের কোণ থেকে নিজের পিঠের খোল খুলে ফেলল। ভিতরে রাখা ছিল তার ছোট, ধূসর তলোয়ার আর ছাইরঙা পোশাক।
সিঙ্গা সেই মেয়েদের একজন, যারা যুদ্ধভূমির ভেতর দিয়ে হেঁটেছে, আর প্রতিটি পদক্ষেপে ইতিহাস গড়েছে।
"তুমি কে?"
আবার সেই কণ্ঠ।
সিঙ্গা ঘুরে তাকাল। ইউয়েন ইউ তাকিয়ে আছে তার দিকে। চোখে বিস্ময়, কিন্তু এইবার কিছুটা শক্তি।
সিঙ্গা একটু চুপ করে, ধীরে বলল,
"আমার নাম সিঙ্গা। আমি তোমাকে নদী থেকে টেনে তুলেছি। এখন এই কুটিরে, আমরা কেউই নিরাপদ নই।"
ইউয়েন ইউ চোখ বুঁজে ফেলল। একটুখানি কষ্টের রেখা তার কপালে।
"তুমি জানো না... আমার খোঁজে ওরা সারা সাম্রাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে।"
সিঙ্গা তার দিকে এগিয়ে গিয়ে ধীরে বলল—
"আমি জানি। কিন্তু তোমার পেছনে শুধু শত্রু নয়, একসময়কার বন্ধুদের ছায়াও আসবে।
আর আমি… আমি তোমার পাশে আছি, যতক্ষণ আমার শরীরে প্রাণ আছে।"
আচমকা, কুটিরের পেছনের দেয়ালটা কাঁপল।
একটা পুরোনো স্লেট খুলে গেল, ভিতরে ছোট একটা গোপন কুঠুরি।
সিঙ্গা একটুও অবাক হলো না—এইসব পুরোনো বনে কুটির মানেই শুধু আশ্রয় নয়, লুকোনো ইতিহাসও।
দেয়ালের ভিতরে গোপনে আঁকা এক সিলমোহর—
আর তার নিচে, লাল কালিতে লেখা:
"যার শরীরে জন্মচিহ্ন বহন করে, সেই-ই পুরোনো চুক্তির উত্তরাধিকারী।
যুদ্ধ শুরু হয়েছে আবার।"
সিঙ্গার চোখ জ্বলল।
তার পিঠে সেই আলো জ্বলা চিহ্নটার কথা মনে পড়ে গেল।
আর বাইরে থেকে আবার একবার সেই শিস বাজল—
এইবার আরও কাছে।
এই কুটির এখন শুধু বিশ্রামের জায়গা নয়—
এটা, এক প্রাচীন গোপন যুদ্ধের সূচনা বিন্দু।
চলবে...
পরবর্তী পর্ব কবে চান, জানাতে ভুলবেন না। আগ্রহ পেলে পরের কিস্তি খুব তাড়াতাড়ি আসবে!
লাইক, কমেন্ট আর শেয়ার দিয়েই বুঝিয়ে দিন, আপনারা গল্পের সঙ্গেই আছেন।
© গল্প ও কনসেপ্ট: বহুব্রীহি পেজ
এই গল্পের সমস্ত স্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া কপি বা রি-আপলোড নিষিদ্ধ।