21/07/2025
কিছু পেইজ বা মিডিয়া এত বড় ঘটনা থেকেও একজন পাইলটের মৃত্যু নিয়ে বেশী চিন্তিত দেখছি। মানে বাঙালীর আর্মি ও বিমান বাহিনীর প্রতি ফেটিশ কখনোই কমবেনা।
একজন পাইলটের মৃত্যু এখানে গৌণ বিষয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনে মরতেই পারে। সেই দায় তার বাহিনীর ও রাস্ট্রের।
মরলে তার পরিবার ভালো অংকের টাকা পয়সাও পাবে, যা দিয়ে এক জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। হয়তো, মানুষটা ফিরে আসবেনা এতটুকুই, শোক বইতে হবে পরিবারকে । এছাড়া আরো সুযোগ সুবিধা তো আছেই রাস্ট্রীয়ভাবে বা বাহিনীর পক্ষ থেকে । পরিবার পাবে সিমএইচে ফ্রি চিকিৎসা সেবা আজীবন।
দেশের আর্মড ফোর্সরা বৌ বাচ্চা নিয়ে খুব ভালোই আছে। সব সরকারের আমলেই তারা সুবিধাভোগ করে গেছে।
ট্রাস্টেড এবং ভালো সোর্স থাকলে জানতে পারবেন আর্মড ফোর্সদের মাইন্ডসেট নিয়ে। ওরা সিভিলিয়ানদের মানুষ মনে করে না। শাসক শ্রেণীর একটা ভাবসাব আছে এদের মাঝে।
আমার পোস্টের, মূল থিম হচ্ছে মাইলস্টোনের যে কয়জন সিভিলিয়ান ( শিশু ) মারা গেছে আনপ্রেডিক্টেবল ভাবে বা ঝলসে গেছে তাদের পরিবার কি নিয়ে বাঁচবে? রাস্ট্র থেকে কি বা পাবে? কতই বা পাবে? ফুল ফোটার আগেই যেই ফুল মরে গেলো সেই ক্ষত আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
ঘনবসতিপূর্ন একটা শহরে স্কুল চলাকালীন সময়ে ভবনের উপর দিয়ে প্রশিক্ষন বিমান পরিচালনার জন্য কারা দায়ী? অথচ কথা ছিল স্কুল চলাকালীন হর্ন বাজাতে হবে আস্তে।
বাচ্চা'রা সকালবেলা স্কুলে গেসে পড়ালেখা করতে... তাদের মাথার উপর একটা প্লেন ভেঙ্গে পড়বে, এইটা একটা নর্মাল দেশের নর্মাল মানুষের wildest imagination এ আসবে কখনো....!?
এনিওয়ে, মিডিয়া ও কিছু পেইজের চিন্তা শুধু পাইলট নিয়ে। কয়টা ডেডবডি পাওয়া গেছে বা কি পরিমান আহত পাওয়া গেছে সেই খবরটাও একুরেট দিতে পারছেনা।