30/07/2025
সহযোদ্ধা? নাকি দাস দাসী?
কোনো পুরুষ কোনো নারীকে এই জন্য বিয়ে করে না যে, ঘরের দাসী বানিয়ে খাটুনি খাটাবে। আবার এই জন্যও করে না যে, পিড়িতে বসিয়ে রেখে সাজদা ও পূজা করে যাবে। সাজদা ও পূজার জন্য মসজিদ, মন্দির, গীর্জা রয়েছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই বিয়ে করে একে অপরের সহযোগি হয়ে একটি সুন্দর জীবন গড়ার জন্য এবং একে অপরের মাধ্যমে তৃপ্ত হওয়ার জন্য। একজন পুরুষের জীবন যেমন একজন নারী সহযোদ্ধা ছাড়া অপূর্ণ, অতৃপ্ত। তদ্রুপ একজন নারীর জীবনও একজন পুরুষ সহযোদ্ধা ছাড়া অসম্পন্ন, ক্ষুধার্ত।
পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী জীবনের তাগাদার বাহিরের কাজটির দায়িত্ব পুরুষের কাধে। আর ঘরের অভ্যন্তরীন কাজটির দায়িত্ব নারীর কাধে। জীবন বাঁচাতে অপরিহার্য বা জীবিকা উপার্জনের গুরু দায়িত্বটি পুরুষের কাধে। পুরুষের উপার্জিত সম্পদ দিয়ে ঘরকে ঘুছিয়ে রাখা ও রান্নাবান্নার দায়িত্ব নারীর কাধে। পৃথিবীর এই সুন্দর নিয়ম যে পরিবারে যত বেশি অনায়াসে মানা হয়, সেই পরিবার ততো সুখি। আর যে পরিমাণ এর ব্যত্যয় ঘটে, সেই পরিবার ততোই দু:খি।
সুন্দর এই নিয়মটি পুরুষ নারী যথাযথ পালন করে গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীদের পক্ষ থেকে নিয়মটি ভেঙ্গে পরিবারকে অসুখি করতে দেখা যায়। জীবিকার অন্বেষণে পুরুষ সারাদিন বাহিরের কাজ করলেও স্বাভাবিকত কখনো পুরুষকে বলতে শুনা যায় না যে, আমি কি ঘরের দাস যে, সারাদিন তোমাদের জন্য খাটুনি খাটব? অথচ একজন পুরুষের সারাদিনের খাটুনির পুরোটাই দিন শেষে পরিবারের জন্য ব্যয় হয়। বিপরীতে পান থেকে চুন খসলেই হাজারো নারীকে বলতে শুনা যায় যে, আমি কি ঘরের দাসী? অথচ পরিবারের কাজ তার নিজের কাজ। এখানে দাসত্বের কিছু নেই।
যে নারী এই শ্লোগান যত বেশি দিয়ে স্বামীর অধীন থেকে বের হয়, দিন শেষে সে নারী ততোই দাসত্বের কবলে পড়ে। স্বামীর সসম্মান নির্দেশ পালন করতে অবজ্ঞা করা নারী দিন শেষে অফিসের বস বা বাহিরের মানুষের অবজ্ঞাসুচক নির্দেশ কাচুমাচু করে পালন করতে হয়। স্বামীর ঘরের কাজকে দাসীর খাটুনি মনে করে পিত্রালয়ে চলে যাওয়া নারী দিনশেষে মা, বাবা, ভাই, ভাবী সকলের কাজ নির্মম লাঞ্চনার সাথে করতে হয়। স্বামীর নির্দেশের উত্তর ধীরে স্থিরে দিতে পারলেও ভাই, ভাবি, বসের নির্দেশ পালন করতে লাফ দিয়ে উঠতে হয়।
তাই নারীদের বলব, আপনাকে যেমন ঘরের দাসী বানাতে বিয়ে করা হয়নি, তেমনি পুতুল সাজিয়ে সালাম ও আর্চনার জন্য একজন আপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারলেই নিজে সুখি থাকবেন এবং স্বামীকেও সুখি রাখতে পারবেন।সারাদিন বাহিরে খাটুনি খাটা স্বামী যদি ঘরে এসে আপনার মুখের এমন বচন শোনে, তবে তার মেজাজ কেমন হবে একটু কল্পনা করুন। বাকী পুরুষেরা দশ ভাগের এক প্রকাশ করে বাকিটুকু পরিবারের খাতিরে গিলে নেয়, আর আপনারা নারীরা এককে দশ গুণ করে প্রকাশ করেন। পুরুষ তালকে তিল করতে চেষ্টা করলেও একজন নারী তিলকে তাল করতে চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, সকল নারী এমন নয়। তাই যারা এই গুণের নয় তারা উত্তেজিত হবে ন না।
©