27/03/2025
একটি রাত্রিকে লাইলাতুল ক্বদর সাব্যস্ত করার কোনই উপায় নাই ✅
নবী (ﷺ) রমজান মাসের শেষ দশকে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ইবাদাতে অধিক মশগুল থাকতেন।
📚 সুনানে ইবনে মাজাহঃ ১৭৬৭
মুসলিমঃ ২৬৭৮
তিরমিযীঃ ৭৯৬,
রিয়াদুস সলেহিনঃ ১২০২
হাদিস সম্ভারঃ ১০৮৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
নবী (ﷺ) রমজান মাসের শেষ দশকে রাত জাগতেন,
তহবন্দ শক্ত করে বেঁধে নিতেন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে (ইবাদাতে মশগুল হওয়ার জন্য) জাগিয়ে দিতেন।
📚 সুনানে ইবনে মাজাহঃ ১৭৬৮
বুখারীঃ ২০২৪
মুসলিমঃ ২৬৭৭
নাসায়ীঃ ১৬৩৯
আবূ দাউদঃ ১৩৭৬
তিরমিযীঃ ৭৯৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সাহাবীগণ আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)-এর নিকট (তাঁদের দেখা ) স্বপ্নের বর্ণনা দিলেন। লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশকের সপ্তম রাতে।
তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ
আমি মনে করি যে, (লাইলাতুল কদর শেষ দশকে হবার ব্যাপারে) তোমাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে। কাজেই যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদ্রের অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন তা শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।
📚 সহিহ বুখারীঃ ১১৫৮
মুসলিমঃ ২৬৫৪, ২৬৫৬, ২৬৫৭, ২৬৫৮,
আবু দাউদঃ ১৩৮১, ১৩৮৩,
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আল্লাহর রসূল (ﷺ) রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেনঃ
তোমরা রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর।
📚 সহিহ বুখারীঃ ২০২০
তিরমিজিঃ ৭৯২
রিয়াদুস সলেহিনঃ ১১৯৯
আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ৭২৬
হাদিস সম্ভারঃ ১০৮০
মিশকাতঃ ২০৮৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেছেনঃ
তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদ্রের অনুসন্ধান কর।
📚 সহিহ বুখারীঃ ২০১৭
মুসলিমঃ ২৬৫৩
আবু দাউদঃ ১৩৮২
রিয়াদুস সলেহিনঃ ১২০০
হাদিস সম্ভারঃ ১০৮১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
ফুটনোটঃ
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারীমের সূরা ক্বদরে ঘোষণা করেছেন- লাইলাতুল ক্বদর হাজার মাসের (ইবাদাতের) চেয়েও উত্তম।
সহীহ শুদ্ধ হাদীস থেকে জানা যায় যে, লাইলাতুল ক্বদর রমযানের শেষ দশ দিনের যে কোন বিজোড় রাত্রিতে হয়ে থাকে।
বিভিন্ন সহীহ হাদীসে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে লাইলাতুল ক্বদর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখিত আছে। হাদীসে এ কথাও উল্লেখিত আছে, যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিজোড় রাত্রিতেই তা হয় না। (অর্থাৎ কোন বছরে ২৫ তারিখে হল, আবার কোন বছরে ২১ তারিখে হল এভাবে।
আমাদের দেশে সরকারী আর বেসরকারীভাবে জাঁকজমকের সঙ্গে ২৭ তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল ক্বদরের রাত হিসেবে পালন করা হয়। এভাবে মাত্র একটি রাত্রিকে লাইলাতুল ক্বদর সাব্যস্ত করার কোনই হাদীস নাই। লাইলাতুল ক্বদরের সওয়াব পেতে চাইলে ৫টি বিজোড় রাত্রেই তালাশ করতে হবে।
বর্তমানে রাত্রি জাগরণের জন্য মসজিদে সকলে সমবেত হয়ে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলের যে ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে সেটিও নবাবিষ্কৃত কাজ। কারণ আল্লাহর নবী (ﷺ) তাঁর সময়ে সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে জাগরিত হয়ে বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে ইবাদত না করে নিজ নিজ পরিবারকে জাগিয়ে কিয়ামুল লাইল পালন করতেন।