https://www.facebook.com/136428952896256/

Md Nazmul Hasan, Narayanganj (2025)

11/07/2024

I've received 100 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

17/06/2024

অন্যের প্রতি কোন অভিযোগ নেই কোন অভিযোগ নিজের প্রতি।

17/06/2024

মানুষ মানুষের অবস্থান কেই মূল্যয়ন করে😊🖤

13/06/2024

Dadu

06/06/2024

বৃষ্টি নামছে। ঘরের ভেতর বসে আছি আমি, জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখছি। এমন সময় একজন অপরিচিত লোক দরজায় কড়া নাড়ল। খুলে দেখি, ভেজা পোশাকে এক মধ্যবয়স্ক মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন।

"মাফ করবেন, একটু আশ্রয় দিতে পারেন? আমি পথ হারিয়েছি," তিনি বললেন।

আমি তাকে ভেতরে আসতে বললাম। ভিজে গায়ে গরম কাপড় দিয়ে তাকে বসতে দিলাম। তিনি ধীরে ধীরে গরম চা হাতে নিয়ে বললেন, "আমার নাম রফিক। আজকের এই বৃষ্টি আমার জীবনের সবকিছু পাল্টে দিয়েছে।"

আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "কিভাবে?"

রফিক তার গল্প শুরু করলেন। "আমার ছোট্ট একটা ব্যবসা ছিল। আজকের মতো বৃষ্টির দিনে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগটা পেলাম। কিন্তু ভুল করে ভুল পথে চলে গেলাম। আজ আমার সবকিছু হারিয়ে গেছে।"

তার কথা শুনে আমি কিছুটা বিস্মিত হলাম। এমন সময় বাইরের বৃষ্টি থেমে গেল। রফিক ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে গেলেন।

ঘটনার পর আমি বুঝতে পারলাম, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো মুহূর্তে, যে কোনো ঘটনা আমাদের জীবনের ধারা পাল্টে দিতে পারে।

06/06/2024

এক গ্রামে একজন ছোট ছেলে ও তার বাবা বাস করতেন। ছেলেটি খুব দুষ্টু ছিল এবং প্রায়ই নানা রকম বিপদে পড়ত। তার বাবা ছিলেন একজন পরিশ্রমী কৃষক, যিনি খুব কষ্ট করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেন।

একদিন, ছেলেটি একটি বড় বিপদে পড়ল। সে খেলার সময় একটি বড় গর্তে পড়ে গেল এবং নিজের পা ভেঙে ফেলল। গ্রামের লোকেরা ছেলেটিকে গর্ত থেকে তোলার পর, তাকে তার বাবার কাছে নিয়ে গেল।

বাবা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে কাঁদলেন না, বরং তিনি তাকে বললেন, "বাবা, এই বিপদ তোমাকে আরও শক্তিশালী করবে। তুমি শিখবে কিভাবে জীবনের কঠিন সময়গুলোকে মোকাবিলা করতে হয়।"

ছেলেটি বুঝতে পারল না কেন তার বাবা এত কঠিন কথা বললেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সে বুঝতে পারল যে তার বাবা তাকে সবসময় শক্তিশালী ও সাহসী হতে শিখিয়েছেন।

ছেলেটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল এবং সে আবার খেলতে শুরু করল। তবে এবার সে আরও সতর্ক হয়ে খেলত। সে বুঝতে পারল যে তার বাবা তাকে যে শিক্ষা দিয়েছেন, সেটি তার জীবনের জন্য কতটা মূল্যবান।

বাবা সবসময় আমাদের ভালোর জন্য চিন্তা করেন এবং আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমাদের পাশে থাকেন। তারা হয়তো সবসময় আমাদের সাথে নরম ও কোমল ভাষায় কথা বলেন না, কিন্তু তাদের কঠিন কথাগুলো আমাদের জন্য বড় শিক্ষা হয়ে থাকে।

এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে আমাদের বাবা-মায়েরা আমাদের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেন এবং তারা সবসময় আমাদের ভালোর জন্যই চিন্তা করেন। তাদের কষ্ট ও পরিশ্রম আমাদের জীবনের মুল্যবান শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা।

06/06/2024

একদিন এক ছোট ছেলেকে তার দাদু একটি বাগানে নিয়ে গেলেন। বাগানে তারা নানা রকমের গাছ ও ফুল দেখল। দাদু একটি ছোট্ট ও দুর্বল গাছের দিকে ইশারা করে বললেন, "এই গাছটা কত দুর্বল দেখছ? এর পাতা কম এবং এর ডালপালাও বেশ শুকিয়ে গেছে।"

ছেলেটি জিজ্ঞাসা করল, "দাদু, এই গাছটা কেন এত দুর্বল?"

দাদু হাসি দিয়ে বললেন, "কারণ এটি পর্যাপ্ত যত্ন ও পানি পায়নি। এটি বাঁচার জন্য প্রচুর লড়াই করতে হয়েছে। কিন্তু তুমি কি জানো, এই গাছটা একদিন খুব বড় এবং শক্তিশালী গাছ হয়ে উঠবে। কারণ এটি তার দুর্বলতা ও কষ্টের মধ্য দিয়ে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলছে।"

ছেলেটি আবার জিজ্ঞাসা করল, "কিন্তু দাদু, এটি কিভাবে সম্ভব? এটি তো খুব দুর্বল।"

দাদু তখন বললেন, "জীবনে কষ্ট ও সমস্যার মধ্য দিয়েই আমরা শক্তিশালী হই। যখনই আমরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হই, আমাদের সাহস ও মনের জোর বাড়ে। সেই ছোট্ট গাছটি তার কষ্টের মধ্য দিয়ে একদিন বড় এবং শক্তিশালী গাছ হয়ে উঠবে। তেমনি, আমরা যদি আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হই এবং সেগুলো থেকে শিখি, আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠি।"

ছেলেটি দাদুর কথা শুনে হাসল এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল যে সে তার জীবনের সব সমস্যার মোকাবিলা করবে এবং একদিন বড় এবং সফল হবে।

এই গল্পটি আমাদের শিখায় যে জীবনের কষ্ট ও সমস্যাগুলি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে সেগুলির মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের শক্তি ও ক্ষমতা খুঁজে পাই।

06/06/2024

শফিকের জীবনটা খুব সাধারণ ছিল। গ্রামের ছোট্ট এক পাড়া, নদীর পাড়ে ছোট্ট একটা কুঁড়ে ঘর। মা ছিল শফিকের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। মায়ের চোখের পানিটা যেন শফিকের হৃদয়ে কষ্টের স্রোত বইয়ে দিত।

একদিন, শফিকের মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল। গ্রামের ডাক্তার বলল, বড় শহরের হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবে শফিক? চারপাশের মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইল শফিক। কিছু মানুষ সাহায্য করল, কিছু মানুষ করল না।

মাকে নিয়ে শহরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেল। হাসপাতালে ভর্তি করার পরও চিকিৎসা শুরু হতে সময় লাগল। মা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছিল। শফিক প্রতিদিন হাসপাতালের কাঁচের জানালার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখত মায়ের কষ্ট।

একদিন ভোরে, শফিকের মায়ের হাত ধরে বসে ছিল। মা ধীরে ধীরে চোখ খুলে শফিকের দিকে তাকাল। মৃদু হাসি দিয়ে বলল, "শফিক, তুই অনেক বড় হবি। তোর জন্য আমি গর্বিত।"

এই কথা বলেই মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। শফিকের চোখের পানিতে পৃথিবীটা যেন ঝাপসা হয়ে গেল। মায়ের হাতটা ছেড়ে দিতে মন চাইছিল না। কিন্তু শফিক জানত, মাকে শান্তিতে বিদায় দিতে হবে।

মায়ের দাফন শেষে, শফিক প্রতিজ্ঞা করল, সে পড়াশোনা শেষ করবে এবং গ্রামের প্রতিটি অসহায় মানুষকে সাহায্য করবে, যেন আর কারও মাকে এমন কষ্ট পেতে না হয়।

শফিকের জীবন বদলে গেল। মা তার জীবনের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকল। কঠিন পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সে গ্রামের সবার জন্য আশার আলো হয়ে উঠল। শফিকের জীবনের এই গল্পটা কষ্টের হলেও, এতে লুকিয়ে ছিল এক অসীম ভালবাসা আর প্রতিজ্ঞার প্রেরণা।

06/06/2024

আমার বাবা, একজন সাদাসিধে গ্রাম্য মানুষ। তাঁর জীবন ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগে ভরপুর। ছোটবেলা থেকেই তিনি কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। গরিব পরিবারের সন্তান হওয়ায় ছোট থেকেই তাঁকে কাজ করতে হতো। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁকে পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জন করতে হতো।

বাবা বলতেন, "পড়াশোনা করতে চাইলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জীবন সহজ নয়।" তাঁর এই কথাগুলো সবসময় আমার মনে গেঁথে থাকত। আমার পড়াশোনা এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য বাবা কোনো কষ্ট করতে পিছপা হননি।

আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। বাবা রাতের বেলা লণ্ঠনের আলোয় আমাকে পড়াতেন। আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়তাম, বাবা বলতেন, "আরেকটু চেষ্টা কর। দেখবি, তুই সফল হবি।" বাবার সেই চোখের আলো, সেই অদম্য ইচ্ছাশক্তি আমাকে আজও অনুপ্রাণিত করে।

একদিন আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের গ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল খুবই সীমিত। বাবা আমাকে নিয়ে অনেক দূরের শহরে গেলেন। দিন রাত এক করে বাবার সঙ্গে হাসপাতালে কাটিয়েছিলাম। তাঁর চোখের জলে আমি অনুভব করেছিলাম কতটা ভালোবাসা, কতটা যন্ত্রণা।

বাবার মৃত্যুর আগের দিন তিনি আমাকে বলেছিলেন, "তুই অনেক বড় হবি। তোর স্বপ্নগুলো পূর্ণ হোক। আমার কোনো আক্ষেপ নেই।" আজ আমি একজন সফল ব্যক্তি। বাবার সেই ত্যাগ, ভালোবাসা এবং সংগ্রামের কাহিনী আমার হৃদয়ে অমর হয়ে আছে। তাঁর দেখানো পথেই আমি চলেছি, এবং চলব।

বাবা আজ নেই, কিন্তু তাঁর স্মৃতি, তাঁর ভালোবাসা আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। বাবার জীবন থেকে আমি শিখেছি যে সঠিক পথে থেকে কঠোর পরিশ্রম করলে, সবকিছুই সম্ভব। বাবার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই।

Md Nazmul Hasan

11/07/2024

17/06/2024

17/06/2024

13/06/2024

06/06/2024

06/06/2024

06/06/2024

06/06/2024

06/06/2024

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category