
02/07/2025
সেই সাহসি ভিডিও ক্লিপের কথা তো সবার মনে আছে? তিনি হচ্ছেন ঠাকুরগাঁও এর বীর সন্তান। অনেক সাধনার পর আপুর সাথে যোগাযোগ করি। তিনি ফেসবুক ব্যবহার করেন না।
আজকে বলব ছবিতে স্লোগান দেয়া এই নারীর গল্প। উনার নাম তামান্না। ১৬ ই জুলাই যখন ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় আন্দোলন সংগঠিত হয় তখন থেকেই তামান্না মাঠে ছিল। উনি এবং উনার বান্ধবী সোহানা ইসলাম সমাপ্তি মূলত নারীদের একত্রিত করে আন্দোলন পরিচালনা করতেন। একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলেই সবাইকে এড করেন সবাইকে।
এভাবে আন্দোলন চলছিল। রাত হলে সবাই মিলে প্লান করতে বসে যেতেন। কিভাবে আন্দোলন পরিচালনা করা যায়। আন্দোলন চলাকালীন সময় তিনি তার বান্ধবীরা মেসে ছিলেন। আন্দোলনের দিনগুলোতে খেয়ে না খেয়ে একলা বাসায় ছিলেন।
বাসা থেকে ক্রমেই চাপ আসতে শুরু করে। যেনো বাসায় চলে আসেন। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি বাসায় যাবেন না। ১৮ ই জুলাই ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ গুলি ছুড়তে শুরু করে। এদিকে সারাদেশে একের পর এক লাশ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত। রাতেই কার্ফিউ।
তামান্নার বাবা সে রাতে এসে জোর করেই তাকে গ্রামে নিয়ে যান। কিন্তু আবু সাইদের সেই দৃশ্য তামান্নাকে ঘরে বসে থাকতে দিত না। এক চাপা উত্তেজনা।
২৯শে জুলাই কার্ফিউ ভেঙ্গে আবার আন্দোলন শুরু হয়। তো তামান্না তখনো গ্রামে। গ্রাম থেকে ঠাকুরগাঁও কম হলেও ১২ কিলোমিটার। এদিকে যাতায়াতের জন্য এক টাকাও নাই।
৩১শে জুলাই
বড় বোনের কাছে অনেক জোর করে ১০০ টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান ঠাকুরগাঁও এর উদ্দেশ্যে। কিন্তু কোর্ট প্রাঙ্গণে থামিয়ে দেয় পুলিশ। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ নারীদের গায়ে হাত তুলে। ঠিক তখনি রাগে ফুঁসছিল সবাই। তামান্না সমাপ্তির নেতৃত্বে তখন সেখানেই বসে পরে মেয়েরা।
সামনে পুলিশের ব্যারিকেড। সাদা পোশাকে ডিবির লোকজন সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। তখন ছোট ভাই সাব্বির প্রভাত স্লোগান লিখে দেয়।
"কে এসেছে কে এসেছে
পুলিশ এসেছে পুলিশ এসেছে
কি করছে কি করছে
স্বৈরাচারের পা চাটছে"
ঠিক তখনকার ভিডিওচিত্র আমরা ফেসবুকে ভাইরল হতে দেখি। কি সাহস নিয়ে আঙ্গুল তুলে চোখ রাঙানি দিচ্ছে ক্ষমতার দিকে। স্লোগান দিবার সময় পুলিশ তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দিতে থাকে।
তখন তিনি বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমাকে প্রয়োজনে জেলে নিয়ে যান। কিন্তু দাবি আদায় না করে আমি মাঠ ছাড়ব না।
গল্পের এক ফাঁকে তামান্না বলছিলেন, বিশ্বাস করবেন না ভাই আমার এক