মুফতি জামিল আহমদ আল জামী

মুফতি জামিল আহমদ আল জামী 🌹🌹যেখানেই থাক তুমি সাথে রেখ দ্বীন,🌹🌹
🌲🌲🌲 তবেই🌲🌲🌲
🌹🌹 তোমার জীবন হবে যে রঙ্গীন🌹🌹

আজকে আমার জুমার বয়ানে যে বিষয়গুলো ছিল এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ Islam Dhorme বিশ্বাসী, তাই Muslimder মনে কোন বিষয়ে আঘ...
02/05/2025

আজকে আমার জুমার বয়ানে যে বিষয়গুলো ছিল এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ Islam Dhorme বিশ্বাসী, তাই Muslimder মনে কোন বিষয়ে আঘাত করা মানে এদেশের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী কে আঘাত করা।

সম্প্রতিকালে Islam সম্পর্কে অজ্ঞ কিছু 'নারী সংস্কার কমিশন' নামে ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে

তারপরও একজন Muslim হিসেবে সংক্ষেপে কয়েকটি সাংঘর্ষিক বিষয় পেশ করছি।

এক.
'সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার'
উক্ত প্রতিবেদনের একাদশতম অধ্যায়ের ১১.৩.১ এর 'ক' অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে 'সম্পত্তিতে নারী পুরুষের সমান অধিকার' যা সরাসরি কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ
আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, পুরুষের অংশ দুই নারীর সমান।
আন নিসা - ১১

দুই.
'বহু বিবাহ রোধ' 'বহু বিবাহ প্রথা বিলুপ্ত'
পঞ্চম অধ্যায়ের ৩.২.৩ এর 'খ' অনুচ্ছেদ এবং তৃতীয় অধ্যায়ের ৩.২.৩.১.১ এর 'গ' অনুচ্ছেদে উক্ত দাবী গুলি করা হয়েছে।
এটি সুরা নিসার ৩নং আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক।

فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ
নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের পছন্দ হয় বিবাহ কর দুই-দুইজন, তিন-তিনজন অথবা চার-চারজনকে।
আন নিসা - ৩

নোট.
একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার হওয়া দরকার যে শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম পুরুষের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতা দিয়েছে, এ বিষয়ে আলাদা লেখা প্রয়োজন।

গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীদের সংখ্যা পুরুষদের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদি প্রত্যেক পুরুষ শুধু একজন নারীকে বিয়ে করে, তাহলে তার অর্থ এই দাঁড়াবে যে কিছু নারীকে স্বামী ছাড়াই থাকতে হবে, যা তার ওপর এবং সমাজের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে। এটি তার জীবনকে সংকীর্ণ করার পাশাপাশি তাকে বিপথগামিতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। এবং এর মাধ্যমে সমাজে অনাচারের পথ প্রশস্ত হতে পারে।
এ ছাড়া বহু কল্যাণ রয়েছে, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার অনুরোধ রইল।

তিন.
'শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার'
এটি দশম অধ্যায়ে রয়েছে। এই অংশটিও কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।

اَلَا لَہُ الۡخَلۡقُ وَالۡاَمۡرُ
স্মরণ রেখ, সৃষ্টি ও আদেশ দান তাঁরই কাজ।
আল আ'রাফ - ৫৪

চার.
নারীদের অসুস্থ হওয়া কুসংস্কার, কুপ্রথা, ইত্যাদি বলা। (দশম অধ্যায়ঃ ১০.২ অনুচ্ছেদ)
এটির দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াত কে চ্যালেঞ্জ করা।

وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ ہُوَ اَذًی ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ ۙ وَلَا تَقۡرَبُوۡہُنَّ حَتّٰی یَطۡہُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَہَّرۡنَ فَاۡتُوۡہُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَیُحِبُّ الۡمُتَطَہِّرِیۡنَ

লোকে আপনার কাছে হায়য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, তা অশুচি। সুতরাং হায়যের সময় স্ত্রীদের থেকে পৃথক থেক এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পবিত্র না হয়, ততক্ষণ তাদের কাছে যেয়ো না (অর্থাৎ সহবাস করো না)। হাঁ যখন তারা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের কাছে সেই পন্থায় যাবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই সকল লোককে ভালোবাসেন, যারা তাঁর দিকে বেশি বেশি রুজু করে এবং ভালোবাসেন তাদেরকে, যারা বেশি বেশি পাক-পবিত্র থাকে।
আল বাকারা - ২২২

পাচ.
"ট্রান্সজেন্ডার"
চতুর্থ অধ্যায়ের ৪.১ অনুচ্ছেদে 'জেন্ডার' বলে পরোক্ষভাবে ট্রান্সজেন্ডারের বিষয়ে বলা হয়েছে, যা কুরআন ও সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক, এগুলো ইবলিসের পলিসি,

وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ
তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।
আন নিসা - ১১৯

لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ‏
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে।
বুখারী- ৫৮৮৫

ছয়.
'বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার'(ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ ৬.৩.১ এর 'ক' অনুচ্ছেদ)

اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللّٰہُ بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ وَّبِمَاۤ اَنۡفَقُوۡا مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ
পুরুষ নারীদের অভিভাবক, যেহেতু আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু পুরুষগণ নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে।
আন নিসা - ৩৪

নোট:-
কোন নারী পুরুষ কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হলে সেখানে ও ইসলামের বিধান রয়েছে, সে বিষয়ে আলেমদের থেকে পরামর্শ নিলেই চলবে।

সাত.
'দত্তক শিশুকে গর্ভজাত শিশুর ন্যায় বিধান করা'
(তৃতীয় অধ্যায়ঃ ৩.২.২.১.৪ এর 'খ' অনুচ্ছেদ)
এটিও একটি জোরপূর্বক প্রস্তাবনা, কুরআন এ বিষয়ে স্পট বার্তা দিয়েছে,

وَمَا جَعَلَ اَدۡعِیَآءَکُمۡ اَبۡنَآءَکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ قَوۡلُکُمۡ بِاَفۡوَاہِکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ یَقُوۡلُ الۡحَقَّ وَہُوَ یَہۡدِی السَّبِیۡلَ
আর তোমাদের মুখের ডাকা পুত্রদেরকে তোমাদের প্রকৃত পুত্র সাব্যস্ত করেননি। এটা তো তোমাদের মুখের কথামাত্র। আল্লাহ সত্য কথাই বলেন এবং তিনিই সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।
আল আহ্‌যাব - ৪

আট.
'শ্রম আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান' (দ্বাদশ অধ্যায়ঃ ১২.৩.১১ এর 'জ' অনুচ্ছেদ)
এটা ইলাহী গজব ডেকে আনার প্রস্তাবনা, এই জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করলে কিছুদিন পর ধর্ষকরাও শ্রম অধিকার চেয়ে বসবে।

اَلزَّانِیَۃُ وَالزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا کُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّلَا تَاۡخُذۡکُمۡ بِہِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَلۡیَشۡہَدۡ عَذَابَہُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত চাবুক মারবে। তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখ, তবে আল্লাহর দীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি করুণাবোধ যেন তোমাদেরকে প্রভাবিত না করে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
আন নূর - ২

নয়.
'কোন ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করে সংবিধান শুরু করা উচিৎ নয়'
এটা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে Islam কে হেয় করার চেষ্টা মাত্র।

اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট (গ্রহণযোগ্য) দীন কেবল ইসলামই।
আলে ইমরান - ১৯

وَمَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡہُ ۚ وَہُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
যে ব্যক্তিই ইসলাম ছাড়া অন্য কোনও দীন অবলম্বন করতে চাবে, তার থেকে সে দীন কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে মহা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আলে ইমরান - ৮৫

11/04/2025

বর্বর ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও
স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাইনবোর্ড আইম্মা ওলামা ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার উদ্যোগে
আজ ১১ই এপ্রিল বাদ জুমা, থেকে
প্রতিবাদ মিছিল

05/04/2025

ঈদের উপহার দেওয়ার মাঝে অনেক ধরনের ফায়দা থাকতে পারে। এর মধ্যে কিছু প্রধান উপকারিতা হলো:

1. সম্পর্কের দৃঢ়তা: উপহার দেওয়া মানুষের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। এটি একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সুন্দর উপায়।

2. মানসিক প্রশান্তি: উপহার দেওয়া মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি এবং খুশি আনতে পারে, যা উপহারদাতা নিজেও অনুভব করেন। এটি মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।

3. ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি: ঈদের সময়, উপহার দেওয়ার মাধ্যমে একটি আনন্দময় পরিবেশ তৈরি হয়। এটি ঈদের আনন্দ এবং সমবেদনা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।

4. সমাজে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি: উপহার দেওয়ার মাধ্যমে সমাজে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি এবং ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করে।

5. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: যিনি উপহার পান, তিনি নিজেকে মূল্যবান মনে করেন, যা তার আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে।

এছাড়া, ঈদের উপহার দিতে পারলে আপনার নিজস্ব সুখ এবং শান্তি অনুভূত হয়, যা ঈদের সত্যিকারের অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

একজন মুমিনের সফলতা হচ্ছে মকবুলিয়ত। এটার চেয়ে বড় নেয়ামত আর কিছু নেই। আমি আশাবাদী আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এ নিয়ামত দান করেছেন...
04/04/2025

একজন মুমিনের সফলতা হচ্ছে মকবুলিয়ত। এটার চেয়ে বড় নেয়ামত আর কিছু নেই। আমি আশাবাদী আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এ নিয়ামত দান করেছেন। ক্ষণিকের দুনিয়ায় পেরেশানি কিসের? একদিন আগে বা পরে আমরা সবাই ফিরে যাব রবের কাছে। তখন তিনিই সফল হবেন যিনি মকবুল হয়ে এসেছেন।

02/04/2025

ঈদের উপহার বিতরণ একটি মহান ও কল্যাণমূলক কাজ, যা মুসলিম সমাজে ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এতে ধর্মীয় এবং সামাজিক ফজিলত রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত হলো:

1. মুসলিম ঐক্য ও সম্পর্ক স্থাপন: ঈদের উপহার বিতরণ মুসলিম সমাজে সম্পর্ক ও ঐক্য দৃঢ় করে। এটি মানুষকে একে অপরের প্রতি দয়ালু, সহানুভূতিশীল ও মেহমানদারী করতে উৎসাহিত করে।

2. সদকা ও দান: ঈদের উপহার দেওয়ার মাধ্যমে সদকা বা দানের কাজ সম্পন্ন হয়। ইসলামে সদকা বা দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মানুষের গুনাহ মাফ করতে সাহায্য করে এবং আল্লাহর কাছে প্রশংসা অর্জন হয়।

3. মুখে হাসি ফোটানো: ঈদের উপহার বিতরণ দরিদ্র, অসহায় ও শিশুদের মুখে হাসি ফোটায়। এটি একটি মহৎ কাজ, যা সমাজে শান্তি এবং সুখের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

4. ঈদের আনন্দ বৃদ্ধি: উপহার দেওয়ার মাধ্যমে ঈদের আনন্দ বৃদ্ধি পায়। যারা অন্যদেরকে উপহার দেয় তারা ঈদের দিনটি আরও বিশেষ করে উপভোগ করতে পারেন, কারণ তারা অন্যদের খুশিতে অংশ নিতে পারেন।

5. আল্লাহর রহমত লাভ: উপহার দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ পাওয়া যায়। ইসলামে দানের মাধ্যমে একজন মুসলিম নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করতে পারে এবং আল্লাহর কাছে নেকি অর্জন করতে পারে।

এইভাবে, ঈদের উপহার বিতরণ কেবল একটি সমাজিক আচার নয়, বরং এটি ধর্মীয়ভাবে পুণ্য অর্জনের একটি মাধ্যম।

30/03/2025

সাইনবোর্ড বাইতুল আউলিয়া জামে মসজিদে আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সালাত সকাল ৭ঃ৪৫ অনুষ্ঠিত হবে
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম

27/03/2025

আজকে আমাদের সেহরি বিতরনের কর্মসূচি ছিল নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন শহরে

25/03/2025

কাবা শরীফের ইমামদের মধ্যে যার তেলাওয়াত আমার বেশি শোনা হয়
শায়েখ ইয়াসির আল দৌসারি ( হাফি)

25/03/2025

রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্বের কয়েকটি কারণ রয়েছে:

1. কুরআন নাযিলের মাস: রমজান মাসেই কুরআন পৃথিবীতে নাযিল হয়েছে, যা মুসলমানদের জন্য আল্লাহর সেরা হেদায়াত। আল্লাহ তাআলা বলেন, "রমজান মাস এমন একটি মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে..." (সুরা আল-বাকারা, আয়াত ১৮৫)

2. শবে কদর: রমজান মাসে রয়েছে শবে কদর, যা বছরের সেরা রাত। এই রাতে কুরআন নাযিল হয়েছিল এবং এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ তাআলা শবে কদরের জন্য বলছেন, "শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম..." (সুরা আল-কদর, আয়াত ৩)

3. উপবাস (সিয়াম): রমজানে সিয়াম (রোজা) পালন করা ফরজ, যা মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রশিক্ষণ দেয়। এটি তাদের জীবনে পাপমুক্তি এবং নেকির পথ তৈরি করে।

4. আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত: রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত এবং মাগফিরাত (মাফ) উজাড় করে দেন। এ মাসে মুসলিমদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

5. পরকালীন পুরস্কারের আশ্বাস: রমজান মাসে সিয়াম পালন করলে মুসলিমরা বিশেষ পুরস্কার লাভ করে, যা পরকালেও তাদের জন্য দুনিয়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান হবে।

এ কারণে রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একেবারে বিশেষ, রহমত, মাগফিরাত, প্রশিক্ষণ ও পরকালীন পুরস্কারের মাস হিসেবে বিবেচিত হয়।

21/03/2025

লাইলাতুল কদর ও এতেকাফ দুটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আমল, বিশেষত রমজান মাসের শেষ দশ দিনে। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর রহমত, ক্ষমা, এবং বরকত। আসুন, আমরা লাইলাতুল কদর ও এতেকাফের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

লাইলাতুল কদরের ফজিলত:

লাইলাতুল কদর রমজান মাসের শেষ দশ দিনে আসে এবং এটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন:

> "তুমি কি জানো, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।" (সূরা আল-কদর: ৩)

লাইলাতুল কদরের রাতের ফজিলত ও বরকত:

1. হাজার মাসের চেয়ে উত্তম: এই রাতে যেকোনো ভালো কাজ, ইবাদত, দোয়া এবং তাওবা হাজার মাসের চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ।

2. কুরআন নাজিল: এই রাতে কুরআন মজীদ পৃথিবীতে নাজিল হয়েছিল।

3. শান্তি ও মাগফিরাত: আল্লাহ তাআলা এই রাতে বান্দাদের জন্য শান্তি, মাগফিরাত (ক্ষমা), এবং রহমত প্রদান করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
"এই রাতে শান্তি থাকে, সকাল হওয়া পর্যন্ত, এটা এক বিশেষ রাত, যার মধ্যে আল্লাহ বান্দাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন।" (সূরা আল-কদর: ৫)

এতেকাফের ফজিলত:

এতেকাফ হলো মসজিদে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগি করা এবং আল্লাহর কাছে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। রমজান মাসে বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের শেষ দশ দিনে এতেকাফ করা অত্যন্ত নেক কাজ।

এতেকাফের ফজিলত:

1. ইবাদতের একাগ্রতা: এতেকাফের মাধ্যমে একজন মুসলিম তার সকল দুনিয়াবী কাজ ও চিন্তা থেকে দূরে সরে এসে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করেন।

2. লাইলাতুল কদরের ইবাদত: যারা এতেকাফ করেন, তারা অধিকাংশ সময়েই লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদত পেয়ে যান, যা তাদের জন্য বিশাল পুরস্কার।

3. বিশাল সাওয়াব: আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মসজিদে অবস্থান করবে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"

4. পূর্ণ আত্মশুদ্ধি: এতেকাফ হচ্ছে আত্মশুদ্ধির একটি পথ, যেখানে বান্দা আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ককে গভীরতর করে তোলে।

এতেকাফের বিধি:

এতেকাফে মসজিদে নিরবচ্ছিন্ন অবস্থান করতে হয়।

ইবাদত, তিলাওয়াত, দোয়া এবং জিকির করতে হয়।

দুনিয়াবি কার্যাবলী থেকে বিরত থাকতে হয়।

সারসংক্ষেপ:

লাইলাতুল কদর হলো একটি বিশেষ রাত, যার মধ্যে আল্লাহর রহমত এবং মাগফিরাত রয়েছে। এই রাতে ইবাদত করা হাজার মাসের চেয়ে বেশি উত্তম।

এতেকাফ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মসজিদে একনিষ্ঠভাবে ইবাদত করা, যা আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কারের পথ।

দ্বিতীয়ত, রমজান মাসের শেষ দশ দিনে লাইলাতুল কদর ও এতেকাফের মাধ্যমে একজন মুসলিম নিজের দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য নিশ্চিত করতে পারেন।

Address

Sainbord, Dhaka
Narayanganj
1400

Telephone

+8801925581770

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মুফতি জামিল আহমদ আল জামী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মুফতি জামিল আহমদ আল জামী:

Share