Abbasi Tv LTD.

Abbasi Tv LTD. The official page of Allama Abbasi Huzur's official YouTube
(11)

আগস্ট ২০২৫ইং; প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হলো?___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীআগস্টের ৪, ২০২৫ইং। আর একদিন পরই ফ্যা-সি/বাদ পতনের বর্ষ...
04/08/2025

আগস্ট ২০২৫ইং; প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হলো?
___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আগস্টের ৪, ২০২৫ইং। আর একদিন পরই ফ্যা-সি/বাদ পতনের বর্ষপূর্তি হতে চলছে। একদল দেশপ্রেমিক, সমাজ সচেতন, দামাল যুবকদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যা-সি/বাদের জগদ্দল পাথর থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে।

৫ই আগস্ট ফ্যা-সি/বাদের পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং ও সেমিনারের কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে ফেলেছে। সহস্রাধিক মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় এ জাতি অর্জন করেছে, সে বিজয় অর্জনের পর একটি বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু এদেশের তরুণ ও যুবকরা যে ধরণের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে এসেছিল, তা পূরণ হয়েছে কিনা হিসাব-নিকাশ করার এখনই সময়।

এ দেশের প্রতিটি সমাজ সচেতন, মুসলিম ও দেশপ্রেমিক নাগরিকের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল এটাই যে, এমন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে, একদিকে তা যেমন ভা-র/তীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত থাকবে, ঠিক তেমনই প-শ্চি/মা আ-গ্রা/সন থেকেও মুক্ত থাকবে। যে দেশের অর্থনীতি হবে টেকসই। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে একদিকে আখিরাতমুখী, আরেকদিকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্ভর উৎপাদনমুখী। যে দেশের থাকবে একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি। যে আশা, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা নিয়ে এ দেশের তরুণ, যুবক ও ছাত্র-জনতা মাঠে নেমেছিল, তার দশ ভাগের এক ভাগও বর্তমান সরকার পূরণ করতে পেরেছে বলে মনে হয় না।

এখন দেশবাসী অপেক্ষার প্রহর গুনছে ৫ তারিখ 'জুলাই সনদে' কি ঘোষণা আসে? তবে যাই ঘোষণা আসুক, যে ধরণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা নিয়ে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে, তার সিকিভাগ পূরণ হবে বলেও মনে হচ্ছে না।

বর্তমানে যেকোনো রাষ্ট্র গড়ে ওঠে, হয় আদর্শবাদী রাষ্ট্র হিসেবে কিংবা (Behavioralism) চেতনাবাদের ধারণাকে লালন করে। কিন্তু বর্তমান সরকার মাসের পর মাস চেষ্টা করেও রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন করার মতো কোনো সংস্কার আনতে পারেনি। তাদের ভাষায় কথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি এবং স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যাও তারা দিতে পারেনি যে, দেশটি কি আদর্শবাদী রাষ্ট্র হবে নাকি চেতনাবাদের ধারণার উপর বাংলাদেশকে গড়ে তোলা হবে।

যদি আদর্শবাদী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়, আর সেটা যদি হয় প-শ্চি/মা কথিত মডার্ন আদর্শ, গণতন্ত্রের নিউ ভার্সন; তার দ্বারা তো আসলে কখনোই একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ, নিরাপদ জনপদ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। যে জনপদে সকল মানুষ তাদের অধিকার পাবে, সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হবে, আইনের শাসন থাকবে। কারণ খোদ প/শ্চি-মা/দের পক্ষেও তা করে দেখানো সম্ভব হয়নি।

দ্বিতীয় হচ্ছে “চেতনাবাদ” বা “Behavioralism”। এই মতবাদের উপর রাষ্ট্রকে গড়ে তোলা হলে, মূলত তা বাংলাদেশের ঐতিহ্য, পরিবেশ ও সভ্যতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী হবে। তাই সে ধরণের চেতনাবাদের ধারণার উপরও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি গড়ে উঠতে পারে না।

তাহলে একথা সুস্পষ্ট ভাবেই বলা যায় যে, শুধুমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্ব লাভ করেছে। আর যেহেতু এ দেশের অধিক সংখ্যক মুসলমান তাদের জীবনের চাইতেও বেশি ইসলামকে ভালোবাসে, অতএব ইসলামের সুমহান রাজনৈতিক আদর্শের উপর যদি আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারি, সেরকম একটি বাংলাদেশেই মানবাধিকার সংরক্ষিত হবে, আইনের শাসন অস্তিত্ব লাভ করবে, সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন হবে এবং সেরকম বাংলাদেশই ভা-র/তীয় আধিপত্যবাদ ও প/শ্চি-মা আ-গ্রাসন থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।

বাংলাদেশে তথাকথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের কাছে আমাদের এ কথাগুলো গ্রহণ করার মতো ধৈর্য এখনো তৈরি হয়নি; তবে এই দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক ও তরুণ এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, যে দেশটি ইসলামের রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের সেই স্বপ্ন পূর্ণ করুন।

পাশাপাশি দেশের প্রতিটি সচেতন মুসলিম ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের কাছে আহ্বান থাকবে, আল্লাহ তা’আলার অশেষ রহমতে ফ্যা-সি/বাদ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। হি-ন্দু/ত্ব-বাদী ভা/র-তীয় আধিপত্য থেকেও বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে যারা গভীর সচেতন, তাদের দৃষ্টিতে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের দিকে প-শ্চি/মা ঝড় ধেয়ে আসছে। অতএব, তা মোকাবিলা করার জন্যেও দলমত নির্বিশেষে সকল মুসলমান এবং দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।

কতিপয় আলেম কি সোল্ড আউট হয়ে গেল? জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে কি বৈধতা দিয়েই দিল?___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীজুলাই বিপ্...
30/07/2025

কতিপয় আলেম কি সোল্ড আউট হয়ে গেল? জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে কি বৈধতা দিয়েই দিল?
___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে “বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন” আয়োজিত 'জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হোক—এটা এ দেশের কোন ঈমানদার, মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক মানুষই চায়নি। প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে না পারলেও, বিএনপিসহ বিভিন্ন “so called politician” “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছে—কেউ সরবে, কেউ মৌনভাবে।

যুবক আলেম-ওলামা ও তরুণ ইসলামিক স্কলারদের সমন্বিত প্রয়াসে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” উ-চ্ছে/দের জন্য, তাদের কার্যক্রম বন্ধের জন্য অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী একটি সমাবেশও ঢাকায় হয়েছে; যা এদেশের কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। যুবক ইসলামিক স্কলার, ওলামায়ে কেরাম ও তরুণ স্কলারগণ মার্কিন এজেন্ডাসমূহ বাস্তবায়নের প্রথম সোপান হিসেবে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” উ/চ্ছে-দের জন্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়—সেজন্য একটি উর্বর ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছিল।

দেশের কোটি কোটি মুসলমান এবং যুবক আলেম-ওলামাদের প্রত্যাশা ছিল, ইসলামপন্থী ও ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে শীর্ষ পর্যায়ের ওলামায়ে কেরাম—এ আন্দোলনটিকে বেগবান করবেন এবং এই আন্দোলনটিকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবেন।

কিন্তু আফসোস! শত আফসোস! অনুমান এখন আর অনুমান নেই; বরং তা ইয়াক্বিনে পরিণত হয়েছে। একটি অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠনের কতিপয় আলেম এবং ইসলামী রাজনীতির ব্যানারে রাজনীতি করেন, এমন সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘সোল্ড আউট’ হয়ে গিয়েছে। যে কারণে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন”-এর বি-প/ক্ষে গড়ে উঠা আন্দোলনটির পথে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে গেল।

গতকাল মঙ্গলবার, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে "বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন" আয়োজিত অনুষ্ঠানে খোদ ডক্টর ইউনুস উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জামাত নেতা ডক্টর শফিক এবং এনসিপির একজন নেতাও উপস্থিত হলেন। আমার মনে হয়, “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন”-কে বৈধতা দেওয়ার এটা একটি রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। বহু আগ থেকেই আমরা জাতিকে সতর্ক করেছি—সংস্কার, বিচার, নির্বাচনের ক্ষেত্রে পি.আর পদ্ধতি গ্রহণ, এসবকিছুই ছিল মূলত নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্যে।

আর নির্বাচন যত দেরিতে হবে, আন্তর্জাতিক চক্রগুলো তত বেশি সময় পাবে বাংলাদেশে তাদের এজেন্ডাগুলোকে বাস্তবায়ন করার। পাশাপাশি, তারা তাদের সকল স্বার্থ আদায় করে নেবার জন্যে বাংলাদেশকে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রে পরিণত করতেও প্রস্তুত আছে; যা ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি—প-শ্চি/মা-দের নি/কৃ-ষ্ট রাজনৈতিক খেলা কতটা ভ-য়ং/ক-র হয়ে উঠেছিল ‘ইরাকে’ এবং ‘লিবিয়াতে’। যদিওবা তারা ব্যর্থ হয়েছে মধ্য এশিয়ার আ- ফ/গা নি/স্তা-নে। ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে, পরাজয়ের ক-লঙ্ক কপালে তিলক হিসেবে ধারণ করে তাদেরকে পালাতে হয়েছে।

তাহলে এখন কতিপয় আলেম-ওলামা ও কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের ‘সোল্ড আউট’ হওয়ার কারণে এ আন্দোলন কি বন্ধ হয়ে যাবে? না, কখনোই না। ইসলামের সুমহান স্বার্থে, উম্মতের কল্যাণে, দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ ও আগ্রাসনমুক্ত রাখতে—আন্দোলন, সংগ্রাম, এদেশের ঈমানদার তৌহিদী জনতা; কতিপয় আলেম কিংবা কোন দলকেই ইজারা দেয়নি।

মা-র্কি/ন বি-রো/ধী ও মা/র্কি-ন আ-গ্রা/স-ন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখার জন্য যে আন্দোলনের স্ফুরণ ঘটেছে—অচিরেই তা আ-গ্নে/য়-গি/রিতে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। মা-র্কি/নী দা/লা-ল কতিপয় লেখক, বুদ্ধিজীবী, এমনকি আলেম লেবাসধারীকে বলতে শোনা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের strategical স্বার্থে, এমনকি যদি তারা বাংলাদেশে আগ্রাসনও চালায়—কিছু বলা উচিত হবে না; শুধুমাত্র ভারতীয় আধিপত্যবাদকে প্রতিরোধ করার স্বার্থে।

এক্ষেত্রে একটি কথাই বলবো—মাত্রাতিরিক্ত লিপ্সা, অর্থ-সম্পদের প্রতি দুর্বলতা আল্লাহ প্রদত্ত ‘আকলে সালিম’কেও বিলোপ করে দেয়।

তৃতীয় বিশ্বের একটি দুর্বল রাষ্ট্র ভারত, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষাতেই ব্যস্ত। ভারত কখনোই বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করার সাহস করেনি; ভবিষ্যতেও করতে পারবেনা। বিনা যুদ্ধে যেখানে শুধু অভ্যুত্থানেই বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় আধিপত্যবাদকে নির্মূল করে দিয়েছে—সেখানে কখনো ভারত সামরিক হস্তক্ষেপ বাংলাদেশে করবে, এটা শুধু অসম্ভব না; কল্পনাতীত।

তবে যু-ক্ত/রা-ষ্ট্র যে দেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে, তার চূড়ান্ত পরিণতি যু-দ্ধে/র দিকেই ঠেলে নিয়ে যায়। আর সবচেয়ে বড় কথা—বিগত প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যা-সি/বাদীদের সহযোগিতা করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার। কিন্তু সে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের সহযোগিতা, যা ফ্যা-সি/বাদের পক্ষে ছিল, সেখানেও মা-র্কি/ন যু-ক্ত/রা-ষ্ট্রের স্পষ্ট সমর্থন ছিল; যা গ্লোবাল পলিটিক্সে ন্যূনতম জ্ঞান যারা রাখেন, তারা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। কারণ, ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “ওয়ান ইলেভেন”-এর পরে। আর বাংলাদেশে “ওয়ান ইলেভেন” ঘটানোর—পেছনে কারা খলনায়কের ভূমিকা পালন করেছে, সেটাও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, দেশপ্রেমিক, সমাজ সচেতন প্রতিটি মানুষেরই জানা।

অতএব, এ মুহূর্তে আমাদের উচিত—ভারতীয় আধিপত্যবাদ যেন কখনোই ফিরে না আসে, সে ব্যাপারে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলা। পাশাপাশি, মার্কিন আগ্রাসন ও এজেন্ডাগুলো যেন বাস্তবায়িত না হয়, সেজন্য সুশৃঙ্খল, অহিংস আন্দোলন গড়ে তোলা।

আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।

28/07/2025

গণতন্ত্র নিয়ে তারিক মাসুদের বিভ্রান্তির জবাব √
___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

চে-ঙ্গি/স খানের সংবিধান কেমন ছিল? আমাদের সংবিধান কেমন হবে?___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানের পর প্রায় বছর ...
26/07/2025

চে-ঙ্গি/স খানের সংবিধান কেমন ছিল? আমাদের সংবিধান কেমন হবে?
___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানের পর প্রায় বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। “জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন” এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ টি বৈঠক করেছে। কিন্তু সংবিধান কিংবা অন্য কোন মৌলিক ক্ষেত্রে সংস্কার করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। দেশের অধিকাংশ জনগণ, ইসলামপন্থী ও ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের চাওয়া ছিল সংবিধানকে পরিবর্তন করা, কিংবা সংস্কার করা। বিষয়টা কতটুকু দুঃখজনক যে, এখন পর্যন্ত সংবিধানে মৌলিক সংস্কার করাই সম্ভব হয়নি, আর সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন সংবিধান রচনা করাতো দূর কি বাত।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ম/ঙ্গ-ল সাম্রাজ্যের অধিপতি চে-ঙ্গি/স খান; ইতিহাসে যার রয়েছে যথেষ্ট কু-খ্যা/তি, মান-ব/তার শত্রু, লক্ষ লক্ষ মানুষের হ-ত্যাকা/রী এই চে-ঙ্গি/স খান যখন ম/ঙ্গ-ল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছিল, মাত্র কয়েক মাসেই সে একটি সংবিধান রচনা করেছিল, ইতিহাসে যার নাম “Al-Yassa”। এই সংবিধান দিয়েই সে তার সাম্রাজ্য পরিচালনা করতো। চে-ঙ্গি/স খানের মতো একজন অ-স/ভ্য, নি-ষ্ঠু/র এবং মান-ব/তার শত্রু; তার পক্ষে কয়েক মাসে সংবিধান রচনা করা সম্ভব হয়েছিল। আর বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সুশীল সমাজ, সভ্য, ভদ্র ও আধুনিক চিন্তা চেতনার ধারক প্রগতিশীল মনে করে, এত উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্র-চিন্তক, আইন বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদরা মিলেও ক্ষুদ্র বাংলাদেশের মানুষকে একটি সংবিধান উপহার দিতে পারেনি। কি ব্যর্থতা! এরকম ব্যর্থতার নজির পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশে বিরল।

আরেকটি কথা না বললেই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশে যারা লিবারেল ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠার কথা বলছে এবং বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে, মূলত প-শ্চি/মা সংস্কৃতি ও অ-স/ভ্য-তাকেই তারা বাংলাদেশে সভ্যতার মোড়কে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। এ- ল/জি- বি/টি বা স- ম/কা- মীদের পক্ষে কথা বলার মতো যথেষ্ট বুদ্ধিজীবী নামের বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী, জ্ঞান পাপী, ভুঁইফোড়, আতেল, লেখক, কলামিস্ট এমনকি রাজনীতিবিদদের আনাগোনা এখন দেশে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, যে চে-ঙ্গি/স খানকে মান-ব/তার শত্রু, লক্ষ লক্ষ মানুষের হ-ত্যাকা/রী ও নি-ষ্ঠু/র সাম্রাজ্যবাদী হিসেবে ইতিহাস আখ্যা দিয়েছে, তার সংবিধান “আল ইয়াসা”তে স- ম/কা- মীদের শাস্তি ছিল মৃ-ত্যু/দ-ণ্ড। প্রকৃতপক্ষে সভ্যতার দাবিদার, সুশীল, ভদ্র ও আধুনিক চিন্তা চেতনার দাবিদার রাষ্ট্রচিন্তক, বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট যারা বর্তমান বাংলাদেশে স- ম/কা- মি/তার মতো জ-ঘ/ন্য কাজকে বৈধতা দিতে চাচ্ছে, তারা অনেক ক্ষেত্রে চে-ঙ্গি/স খান ও তার অনুসারীদের চেয়েও নি-কৃ/ষ্ট মানসিকতা লালন করে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন।

আমীন 🤲 (Admin)
26/07/2025

আমীন 🤲 (Admin)

যাকে এখনও ভোট ব্যাংক কিনতে পারেনি—তার নাম এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী!
আমি যখন হতাশ হই, চারপাশে নিস্তব্ধতা দেখি—তখন একজন মানুষের কণ্ঠ ভেসে আসে আমার হৃদয়ে: ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। তিনি শুধু একজন পীর সাহেব বা বক্তা নন, তিনি আমার আত্মার চিৎকার, এই উম্মাহর না বলা ভাষা। যখন বড় বড় বুদ্ধিজীবীরা নিরব, যখন বহু হেভিওয়েট আলেমরা সরকারের নতুন ছক জাতি▪️সংঘ ও জ▪️▪️ঙ্গী ইস্যু নিয়ে মুখে তালা ঝুলিয়ে বসে আছেন—তখন তিনি দাঁড়ান আগুনের মাঝে, কাঁপানো শব্দে উচ্চারণ করেন.“আমরা আল্লাহর বান্দা, কাউকে ভয় করি না!” তার মুখে আমি পাই সাহসের প্রতিধ্বনি, চোখে দেখি সত্যের দীপ্তি, আর তার বুকের স্পন্দনে শুনি এক আহ্বান "ওঠো, জাগো, এবার বলো... উম্মাহর রক্ত আর কত দেখবে?”

ভোট ব্যাংক বা মন্ত্রীত্ব পাওয়ার লোভ আপনাকে এখনও কিনতে পারেনি—এই কথা বলতেই গর্ব হয়! আপনি সেই বিরল আলেম, যিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আকাশের কথা বলেন, যিনি ক্ষমতার চেয়ারে নয়, আল্লাহর দরবারে মাথা রাখেন।

আপনার মতো হাতে গোনা কিছু বীরের অস্তিত্বই আমাদের বুকের ভেতর বাঁচিয়ে রাখে প্রতিবাদের আগুন।
আপনারা থাকেন বলেই—আমরা এখনও সাহস করি, দাঁড়াই, কাঁদি… আবার বুক বাঁধি।

আমরা অনেকেই হয়তো জানি না আপনার একেকটি হুঙ্কার, এই শোষিত জাতির কান্না চেপে রাখা হাজারো যুবকের হৃদয়ে একেকটি জ্যোতির শিখা জ্বালায়।
আপনি আমাদের কাছে কেবল একজন পীর বা বক্তা নন,
আপনি সাহস হয়ে ওঠা এক কণ্ঠস্বর যা আমাদের জাগিয়ে তোলে, রক্ত গরম করে, দাঁড় করিয়ে দেয় সত্যের পক্ষে।

আল্লাহ আপনাকে হিফাজত করুন, হুজুর।
আপনারাই আমাদের সময়ের রাহবার, আমাদের আত্মার জাগরণ।

✍️ নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ

#এনায়েতউল্লাহআব্বাসী #আব্বাসীরবিপ্লব
#আব্বাসীকণ্ঠ_জনতারআশা

25/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ ~
২ ঘন্টায় - 1 Million Views
৪ ঘন্টায় - 2 Million Views
৭ ঘন্টার আগেই - 3 Million Views
(Admin)

25/07/2025

ধন্যবাদ insaf24.com কে।

25/07/2025

প্রয়োজনে মার্চ টু যমুনার ঘোষণা দেওয়া হবে।
সমকালের অনলাইন প্লাটফর্মে প্রাচারিত আজকের (২৫/০৭/২০২৫) গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর।

25/07/2025
25/07/2025

একুশে টিভির অনলাইন প্লাটফর্মে প্রাচারিত আজকের (২৫/০৭/২০২৫) গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর।

25/07/2025

সরাসরি সম্প্রচার---
ঐতিহাসিক শাপলা চত্ত্বরের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন- ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

25/07/2025

সরাসরি সম্প্রচার---
ঐতিহাসিক শাপলা চত্ত্বরে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ √
বক্তব্য রাখছেন- ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

Address

Narayanganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abbasi Tv LTD. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category