31/07/2025
⭕ পত্নী কি তার পতিদেব- এর নাম ধরে ডাকতে পারবে ??
হরে কৃষ্ণ 🙏
স্বামী হলেন স্ত্রীর মহাগুরু। নারীদের শরীর কঠোর তপস্যার উপযুক্ত নয়, সেজন্য ব্রহ্মা নারীদের মুক্তির জন্য পুরুষের সাথে বিবাহের বন্ধন সৃষ্টি করেছেন। স্বামী শ্রীকৃষ্ণের সেবা করবে, স্ত্রী তার স্বামীর সেবা করবে যেন স্বামী নির্বিঘ্নে শ্রীকৃষ্ণের সেবা করতে পারেন। এজন্য স্ত্রীকে বলা হয় ধর্মপত্নী। স্বামী ধর্ম করে যে ফল লাভ করবে স্ত্রীও তার ফলভাগী হবে। উপরন্তু বৈষ্ণব স্বামীতে সেবাপরায়ণতার জন্য স্ত্রীরা বৈষ্ণবসেবার ফলও লাভ করেন। এভাবে স্ত্রীদের জাগতিক ও পারমার্থিক কল্যাণ নিশ্চিতে বিধান দিয়েছেন ব্রহ্মা। শাস্ত্রে অনুসূয়ার মতো মহাসতী নারীদের কথা জানা যায়, যারা স্বামী সেবা দ্বারা এত পুণ্য লাভ করেছেন যে কেবল খেলার ছলে ইন্দ্রাদি দেবতাদেরও পরাস্ত করে দিতেন। আজও বৃন্দাবনে গেলে দেখবেন, গোবর্ধন পরিক্রমায় স্বামী প্রতি পদে পদে গোবর্ধনকে দণ্ডবৎ প্রণাম করছে, আর স্বামীর প্রতিটি প্রণামের সাথে সাথে স্ত্রীরা তাদের স্বামীর চরণধুলি মাথায় নিচ্ছেন। 🙇♂️🙏
দেবী লক্ষ্মী, দেবী পার্বতী ওনাদের স্বামীকে 'হে প্রাণনাথ', 'হে পতিদেব', হে স্বামীন' 'হে আর্য' 'হে চক্রধর' 'হে শূলপাণি ' এভাবে সম্বোধন করেন। ❤️🩹🙏
স্বামী মহাগুরু হওয়ায় তার নাম ধরে ডাকা নিষেধ করা হয়েছে মনুসংহিতায়। ✏️
সতী স্ত্রী স্বামীকে প্রভু, স্বামী, আর্য, প্রিয়, প্রিয়তম ইত্যাদি কিংবা কোন সম্বন্ধ অনুসারে যেমন 'ওমুকের বাবা' এভাবে ডাকেন। তবে ভক্ত পরিমহলে স্বামীকে 'প্রভু' বলে ডাকা অধিক প্রচলিত। 🙌🙏
#হরে কৃষ্ণ 🙏