14/08/2024
আজকের রুমডেটের ভিডিও+পিকগুলো তাড়াতাড়ি গুগল ড্রাইভে রেখে দেই। নাহলে কখন কে দেখে ফেলে বলা যায় না। যাই হোক মেয়েটাকে না জানিয়ে ভিডিওটা করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এর আগেও অন্য মেয়েদের সাথে একাধিকবার রুমডেট করেছি তবে আজকের মেয়েটা অন্যদের থেকে আলাদা।
এগুলো মনে মনে ভাবতে ভাবতে তার এবং তার গার্লফ্রেন্ডের রুমডেটের ভিডিও টা গুগল ড্রাইভে লক করে রেখে দিয়ে ওয়াসরুমে যায় ফ্রেস হতে।
এতোক্ষণ যার কথা বললাম তার নাম সামিন চৌধুরী। বড়লোক বাবার একমাত্র আদরের সন্তান।
দেখতেও মাশাল্লাহ। ঢাকার কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। পড়াশোনা করে বলতে মাসে ২/১ বার ক্লাস করে আরকি। বাকি সময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর মেয়েদের নিয়ে ঘুরাঘুরি।
সামিন এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মেয়ের সাথে রিলেশন করেছে এবং রুম ডেটের পর ব্রেকাপ করে চলে গেছে।
( হ্যাঁ এটাই বড়লোক ছেলেদের চরিত্র, তবে সবাই এক হয়না ) তো চলুন গল্পে আসা যাক।
সামিন ওয়াসরুম থেকে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লো এবং কালকে তার নতুন গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবে তা ভাবতে লাগলো।
এভাবে কিছুক্ষন ভাবতে ভাবতে সে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো।
সকালে ৭ টার সময় তার ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে ওয়াসরুমে যায় ফ্রেস হতে।
ফ্রেস হয়ে এসে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে,
মেসেজটা দেখেই সে তাড়াতাড়ি গুগল ড্রাইভে যায়,
কিন্তু একি! এটা কিভাবে সম্ভব! না এটা হতে পারে না!
সে চিন্তায় পড়ে যায়, গভীর চিন্তা!
আপনারা যানতে চান মেসেজে কি লেখা ছিলো? এবং সে কেনো চিন্তা করছে? তাহলে শুনুন।
মেসেজে লেখা ছিলো, খেলাতো মাত্র শুরু গুগল ড্রাইভ থেকে হা হা হা।
এটা দেখে সে গুগল ড্রাইভে গিয়ে দেখে তার রুমডেটের ৩০০+ ভিডিও এবং পিক নাই।
সামিন এটা দেখে খুব ভয় পেয়ে যায়। এবং সিদ্ধান্ত নেয় সে এই ব্যাপারে পুলিশকে জানাবে। কারন পুলিশ কাছ থেকে ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেয়ে যাবে
কিন্তু এগুলো যদি ভাইরাল হয়ে যায় তাহলে তার আর তার পরিবারের অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে।
সমাজে তার বাবার অনেক নাম ডাক আছে। তাই সে তাড়াতাড়ি পুলিশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
পুলিশ স্টেশন যেতে যেতে সামিন হাজারো চিন্তা করতে থাকে, অবশেষে সে পৌঁছায় পুলিশ স্টেশন।
ভিতরে গিয়ে একজন পুলিশ কে সব কিছু খুলে বলে সামিন।
সামিন: স্যার আমি অনেক বড় অপরাধ করে ফেলেছি। আমি এর জন্য শাস্তি পেতে রাজি আছি কিন্তু স্যার প্লিজ আপনি আমাদের পরিবারের সম্মানটুকু বাচান, প্লিজ স্যার প্লিজ,
পুলিশ: ভাই আপনি নিজে তো মরছেনই সাথে মেয়েগুলারেও মারছেন। এখন যদি সে লোকটি ভিডিওগুলা ভাইরাল করে দেয় তাহলে ঠিক কি হবে বুঝতে পারতেছেন!
সামিন: স্যার প্লিজ এভাবে বলবেন। আমি আমার দোষ শিকার করি। আমাকে শাস্তি দেয়া হোক স্যার কিন্তু তাও আমার পরিবারের সম্মানটা বাচান স্যার।
পুলিশ: শাস্তিতো আপনাকে পেতে হবেই কিন্তু তার আগে বলেন গুগল ড্রাইভে কয়টা মেয়ের ভিডিও ছিলো?
সামিন: ১১ টা মেয়ের স্যার!
এরপর সামিনকে এরেস্ট করা হলো…
সামিনের থেকে সেই অপরিচিত নাম্বারসহ ১১ জন মেয়ের নাম্বার এবং ঠিকানা সংগ্রহ করলো পুলিশ!
কিন্তু মেয়েদের কিছুই জানানো হলো না!
এদিকে সামিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কেউ তার মোবাইল ধরেছিল কি না বা কেউ পাসওয়ার্ড জানতো কি না।
সামিনের উত্তর ছিলো, কেউ জানতো না সে ছাড়া আর তার বাসায়ও বর্তমানে সে একা থাকে আর তার আব্বু দেশের বাহিরে আছে বর্তমানে।
এসব শুনে পুলিশ বুঝতে পারে এটা নিশ্চয় হ্যাকিং এর কাজ। কেউ তার গুগল ড্রাইভ হ্যাক করেছে।
এদিকে সব ঠান্ডা,
পুলিশ ভেবেছিল এতগুলো মেয়ের পিক হ্যাক করে যেহেতু নেয়া হয়েছে সেহেতু হয়তো বড় কোন প্লানিং থাকবে হ্যাকারের,
কিন্তু ৭/৮ দিন পার হয়ে গেলো কিন্তু শহরে কোথাও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না!
তখন থানার ওসি জাহিদ সাহেব বলে উঠলেন : আমরা শুধু শুধুই ভয় পাচ্ছিলাম এতোদিন। হ্যাকারেরও তো জানের মায়া আছে। সে হয়তো আমাদের নজরদারির কথা শুনে ভয় পেয়ে গেছে। হা হা।
তখনই আরেকজন পুলিশ সদস্য (জামাল সাহেব) বলে উঠে : স্যার এই থমথমে পরিবেশটাই আমার ভয় লাগছে..চুল-দাড়ি পেকেছে তো! অনেক কিছুই দেখেছি এই পুলিশের পোশাকে! বড় কিছু ঘটতে চলেছে স্যার। ঝড় আসার আগ মুহুর্তের বার্তাও হতে পারে এটি স্যার,,
ওসি জাহিদ: আপনি এতো চিন্তা কইরেন না জামাল সাহেব।
হ্যাকার যদি কিছু করতেই চাইতো তাহলে এই ৭/৮ দিনের ভিতরেই করতো। যেহেতু এখনো কিছুই করতে পারে নাই সো সামনেও করতে পারবে না।
জামাল সাহেব: কিন্তু স্যার,,,
ওসি জাহিদ: কোনো কিন্তু না জামাল সাহেব। আচ্ছা আপনাকে যে একটা কাজ দিয়েছিলাম ঐটা ঠিক মতো করছেন তো?
জামাল সাহেব: হ্যাঁ স্যার আমি প্রতিদিনই ওদের খবর নেই আর এই কয়েকদিন ধরে আমি খেয়াল করছি ওই ১১ জন মেয়ে বেশি বাহিরে বের হয় না। খুব কমই ওদেরকে বাহিরে দেখা যায়।
ওসি জাহিদ: হুম বিষয়টা অস্বাভাবিক!
এভাবে দেখতে দেখতে চলে গেলো আরো ২ দিন অর্থাৎ আজ ১১ তম দিন,,,
ভোর সকাল
হঠাৎ জামাল সাহেবের ফোনে একটা কল আসলো। কলটা করেছে তার পরিচিত একজন তাই সে কল রিসিভ করলো। কল ধরার পর সে অপর প্রান্ত থেকে এমন কিছু কথা শুনলো যা শুনে মোবাইলটা তার হাত থেকে পরে গেলো।
তার পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে মনে হলো তার কাছে। কারন অপর প্রান্তের লোকটি,,,,,,,
চলবে?
হ্যাকার M,A,K,
লেখক, আকাশ খান
পর্ব, ১
এটা আমার লেখা ফাস্ট গল্প। জানিনা কেমন হয়েছে। ভালো লাগলে বলবেন আর ভালো না লাগলেও ভুলগুলা ধরিয়ে দিবেন। প্রথম পর্ব তাই ছোট করে দিলাম।
আপনারা বললে পরবর্তী পর্ব দিবো 🙂