27/03/2025
শবে কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে আল-কদর সূরা (৯৭:১-৫) তে আল্লাহ বলেন—
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ ١
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ ٢
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ ٣
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ ٤
سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ ٥
বাংলা অনুবাদ:
১. নিশ্চয়ই আমি একে (কুরআন) নাযিল করেছি কদরের রাতে।
২. তুমি কি জানো, কদরের রাত কী?
৩. কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।
৪. ঐ রাতে ফেরেশতাগণ এবং রূহ (জিবরাঈল আ.) তাদের প্রতিপালকের নির্দেশক্রমে প্রত্যেক বিষয়ের জন্য অবতরণ করেন।
৫. এটা শান্তিময় রাত, যা ফজর পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
শবে কদর সম্পর্কে হাদিস
১. শবে কদর রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
"তোমরা শবে কদরকে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে অনুসন্ধান কর।"
(সহিহ বুখারি: ২০১৭, সহিহ মুসলিম: ১১৬৭)
২. শবে কদরের রাতে ক্ষমার দোয়া
আয়িশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন—
"হে আল্লাহর রাসুল! যদি আমি শবে কদরের রাত পাই, তাহলে কোন দোয়া পড়ব?"
তিনি বললেন—
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
“আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু অন্নি।”
(তিরমিজি: ৩৫১৩, ইবনে মাজাহ: ৩৮৫০)
বাংলা অর্থ:
"হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও।"
৩. শবে কদরের রাতে ইবাদতের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় শবে কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"
(সহিহ বুখারি: ২০১৪, সহিহ মুসলিম: ৭৬০)
শবে কদর হলো এমন এক মহিমান্বিত রাত, যা হাজার মাসের থেকেও উত্তম। এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।