Altaf saif

Altaf saif why so serious

14/12/2024

জীবন বদলে দেওয়ার মতো শেখ সাদীর ১৫ টি বিখ্যাত উপদেশ।

ফার্সি গদ্যের জনক মহাকবি শেখ সাদি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাভাষী পাঠকের কাছে অতি প্রিয় কবি। শুধু বাঙালিই নয় বিশ্বজুড়ে তিনি অত্যন্ত সমাদৃত। তার ১৫টি বিখ্যাত উপদেশ যা কিনা আপনার জীবনকে বদলে দিবে।

১. তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না- (ক) স্ত্রী লোক. (খ) জ্ঞানহীন মূর্খ. (গ) শত্রু।

২. অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।

৩. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।

৪. এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেচেই ছিল না।

৫. হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নিরীহ হরিণের উপর জুলুম করার নামান্তর।

৬. যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ঠ করতে পারে না।

৭. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।

৮. দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারন তুমি জান না দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।

৯. মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।

১০. মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা, সে কখনো কল্যানের মুখ দেখবে না।

১১. দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

১২. বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না।

১৩. ইহ- পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও|

১৪. কোন কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না|

১৫. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।👍

"ইয়ে মানে আপনি নোবেল পাচ্ছেন বটে, কিন্তু প্রাইজটা নিতে আসবেন না প্লিজ। এমন চরিত্রহীনা নারী পুরস্কার নিতে এলে খুব বদনাম হ...
30/11/2024

"ইয়ে মানে আপনি নোবেল পাচ্ছেন বটে, কিন্তু প্রাইজটা নিতে আসবেন না প্লিজ। এমন চরিত্রহীনা নারী পুরস্কার নিতে এলে খুব বদনাম হবে আমাদের! আমরা.... আমরা আপনাকে বাড়িতে পৌঁছে দেব প্রাইজ।"

১৯১১ সাল। সারা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য নোবেল প্রাইজ ঘোষণা হল বিজ্ঞানী মাদাম মেরি কুরির নামে। তার আগে দ্বিতীয়বার নোবেল কেউ পাননি। তাও আবার দুটো আলাদা বিভাগে!

অথচ কী আশ্চর্য, নাম ঘোষণা করেই স্টকহোমের নোবেল কমিটি তড়িঘড়ি মেরি কুরিকে চিঠি লিখল,“দয়া করে আপনি কিন্তু পুরস্কার নিতে আসবেন না। আমরা আমাদের বদনাম চাইছি না। প্লিজ মাদাম! আমরা আপনাকে পুরস্কারটি পাঠিয়ে দেব যথাসময়ে।"

মেরি কুরি বিস্মিত। আহতও। আটবছর আগে স্বামী পিয়েরের সঙ্গে যৌথভাবে যখন প্রথম নোবেল প্রাইজটি পেয়েছিলেন, অসুস্থতায় দুজনের কেউই যেতে পারেননি, এবার কেন যাবেন না? তিনি তো কোন অন্যায় করেননি! দৃঢ়ভাবে তিনি জানিয়ে দিলেন,“আমি পুরস্কার নিতে যাব। যাবই। ধন্যবাদ।”

নোবেল কমিটি পড়ল মহা ফ্যাসাদে। মেরি কুরির নাম যখন ইন্টারনাল কমিটিতে চূড়ান্ত হয়েছে, তখনো অবধি যে তাঁদের হাতে এসে পড়েনি হাতে গরম ফরাসী সংবাদপত্রগুলো! কিন্তু সেগুলোয় যে এখন ছেয়ে যাচ্ছে কেচ্ছা। বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী মাদাম মেরি কুরি নাকি পরকীয়ায় লিপ্ত! তাও আবার মৃত স্বামীর ছাত্র পলের সঙ্গে।

নানারকম কাল্পনিক প্রতিবেদনে তখন ফরাসী মিডিয়া লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে দেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান নারীটিকে। দেশের নাগরিকরা জঘন্যতম বিশেষণে ছিছিক্কার করছে। সবার মনেরই চাপা অসন্তোষ ফেটে বেরোচ্ছে এখন উল্লাসে। আহা, গত কয়েকদশক ধরে যতই দেশের নাম উজ্জ্বল করুক, মেয়ে হয়ে এত বাড়বাড়ন্ত কি ভাল বাপু? মেয়ে হয়েছ, আর্ট পড়ো, তা নয় সায়েন্সে গেছে। দেশের পুরুষগুলো বসে আছে, আর যত রাজ্যের পুরস্কার থেকে বড় বড় বিজ্ঞান সংস্থার মাথায় কিনা একটা মেয়েমানুষ …!

বিখ্যাত প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে তাবড় তাবড় অধ্যাপকরা পড়ানোর সুযোগ পান না। সেখানে কিনা প্রথম মহিলা অধ্যাপক হিসেবে জয়েন করেছেন। না, এতটা মেনে নেওয়া যায় না। সুযোগ যখন একটা পাওয়া গেছে, সেটা কেউ ছাড়ে? তার ওপর মেরি ফ্রান্সের ভূমিকন্যা নন, পোল্যান্ডে জন্ম তাঁর। অন্য দেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসায় জনসাধারণের আক্রোশ হয়ত আরো বেশি।

নিজের জগতে এমনিই বহু পুরুষ বিজ্ঞানী সহ্য করতে পারতেন না মেরিকে, তাঁরাও পরোক্ষ সমর্থনে তাতাতে লাগলেন জনতাকে। কেউ পল মেরির পরকিয়া নিয়ে আজগুবি সাক্ষাতকার দিয়ে লাইমলাইটে আসতে চাইছিলেন, কেউ অন্য কোনভাবে। বিংশ শতকের গোড়ার রক্ষণশীল ইউরোপীয় সমাজ ফুঁসছিল। এই মেয়েই কিনা আগে গর্বোদ্ধত সুরে বলেছিল, "মানুষ হওয়ার যাবতীয় অধিকার আমাদের সমাজে পুরুষরাই মনোপলি নিয়ে রেখেছে।"

উদ্ধত মেয়েটাকে এবার বাগে পাওয়া গেছে।

মেরির স্বামী পিয়ের শুধু তাঁর জীবনসঙ্গী ছিলেন না, ছিলেন গবেষণার সহকর্মী থেকে সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সেই পিয়েরের হঠাৎ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে মেরি একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। কাজে হারিয়ে ফেলেছিলেন উৎসাহ।

সেই সাংঘাতিক মানসিক বিপর্যয়ে তিনি হয়ত মানসিক আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন পদার্থবিদ পল লজেভঁ-র কাছে। পল ছিলেন পিয়ের কুরিরই ছাত্র, মেরির চেয়ে বছরপাঁচেকের ছোট। পলের সঙ্গে মানসিক আদানপ্রদানে মেরি ক্রমশই জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসছিলেন। পল নিজেও বিবাহিত ছিলেন, যদিও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে গেছে আগেই। আলাদা থাকেন বহুদিন।

দুই একাকীত্বে ভোগা বিজ্ঞানীর বন্ধুত্ব হয়ত দুজনকেই শান্তি দিচ্ছিল। কিন্তু পলের প্রাক্তন স্ত্রী জেনি কী করে যেন পেয়ে গেলেন দুজনের কিছু চিঠিপত্র! রাগে ক্ষোভে উন্মত্ত জেনি মেরিকে খুনের হুমকি তো দিলেনই, দেশের কাছে দেবীস্বরূপা মেরির ইমেজ একেবারে টুকরো টুকরো করে দিতে সেই চিঠিগুলো তুলে দিলেন মিডিয়ার হাতে।

© 𝗗𝗲𝗯𝗮𝗿𝗮𝘁𝗶 𝗠𝘂𝗸𝗵𝗼𝗽𝗮𝗱𝗵𝘆𝗮𝘆

ব্যাস, আর কি! মিডিয়া লুফে নিল। সাধারণ চিঠির ওপর ক্রমাগত রঙ চড়িয়ে পরিবেশিত হতে লাগল রগরগে কেচ্ছা। এমনকি কিছু কিছু কাগজে কিস্তিতে ছাপা হতে শুরু করল মেরি – পলের কাল্পনিক প্রেমকাহিনী। প্রকাশিত হতে লাগল পলের স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির সাক্ষাৎকারও। পল যে আগে থেকেই বিবাহবিচ্ছিন্ন, সেই তথ্যটাকে ‘ফুটেজ’ এর লোভে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাওয়া হতে লাগল, বারবার বলা হতে লাগল, মেরি পলের সংসার ভাঙছেন।

সাংবাদিক গুস্তেভ টেরি আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে লিখলেন,“আসলে পিয়ের বেঁচে থাকতেই এই পরকীয়া শুরু। পিয়েরের মৃত্যু মোটেই অ্যাক্সিডেন্ট নয়, স্ত্রীর এই বিশ্বাসঘাতকতায় পিয়ের নিজেই ঘোড়ার গাড়ির তলায় ঝাঁপ দিয়ে সুইসাইড করেন।”

এমন জলজ্যান্ত মিথ্যাচারে মেরি হতবাক। স্বামী পিয়ের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন মেরির প্রিয়তম বন্ধু। তিনি জীবিত থাকার সময়ে পলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তো দূর, ভালভাবে পরিচয়ও ছিল না মেরির।

কিন্তু উত্তেজিত জনতা আর কবে যুক্তি দিয়ে কিছু বুঝতে চেয়েছে? যুক্তির চেয়ে গুজবের শক্তি বরাবরই বেশি। সাংবাদিক গুস্তেভ টেরির ওই প্রতিবেদনে আগুনে ঘি পড়ল যেন। জ্যান্ত মানুষের সম্মানের চেয়ে মরা পিয়েরকে ছদ্ম সমবেদনা জানানোর লোক কয়েকশো গুণ বেশি।

যে মানুষটা বিশ্বদরবারে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন, সেই মেরি কুরিরই বাড়ি ঘেরাও করে চলল উন্মত্ত জনতার বিক্ষোভ আর তাণ্ডব। সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ আর হুমকি। সন্তানদের নিয়ে তখন ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন নোবেলজয়ী কিংবদন্তী বিজ্ঞানী মেরি। মানসিকভাবে একেবারে তলানিতে তিনি।

ওদিকে বিজ্ঞানী পলের কাজ রিসার্চ সবই গেছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যেতে যেতে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি, বললেন,“সাংবাদিক গুস্তেভ টেরি সাংবাদিকতার লজ্জা। উনি সংবাদ নয়, মিথ্যে রগরগে কেচ্ছা পরিবেশনে সিদ্ধহস্ত। আমি ওঁকে আমার সঙ্গে ডুয়েল যুদ্ধে লড়ার জন্য আহ্বান করছি।”

মুখোমুখি দাঁড়ালেন সাংবাদিক ও বিজ্ঞানী। দুজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র। কিন্তু শেষমেশ ডুয়েল লড়া হল না। সাংবাদিক টেরি অবজ্ঞাভরে লিখলেন,“চাইলেই আমি এক গুলিতে পলকে হারাতে পারতাম, কিন্তু আমি চাই না দেশ একজন বরেণ্য বিজ্ঞানীকে অকালে হারাক!”

তারই মাঝে এল মেরির দ্বিতীয়বারের নোবেল প্রাপ্তির সংবাদ। লোকজন গর্বিত হওয়ার বদলে আরো ক্ষেপে উঠল। বাইবেলে আছে, চরিত্রহীনা নারী হল ঘোর পাপিষ্ঠা, এমন একজন কিনা সুইডেনের রাজার হাত থেকে পুরস্কার নেবেন? তাতে বুঝি রাজার হাতের পবিত্রতা থাকবে? হতেই পারে না।

কাগজে ছেয়ে যেতে লাগল শ্লোগান। ‘মেরি কুরিকে কিছুতেই নোবেল প্রাইজ নিতে দেওয়া যাবে না। ব্যান করা হোক মেরি কুরিকে। এখুনি। আমাদের রাজার হাত অপবিত্র হতে দেওয়া যাবে না।'

এদিকে নোবেল সংগঠকরা মহা ফ্যাসাদে। ভেতরে ভেতরে পুরোপুরি ভেঙে গিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মেরি। ছোট থেকে ভয়াবহ দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন তিনি। এত সহজে নিজেকে ফুরিয়ে যেতে দেবেন না। জ্যেষ্ঠা কন্যা আইরিন ও দিদি ব্রোনিয়াকে নিয়ে মাথা উঁচু করে স্টকহোম পৌঁছলেন তিনি। যাবতীয় বিক্ষোভকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে সুইডেনের রাজার হাত থেকে বিশ্বের সর্বপ্রথম মানুষ হিসেবে নিলেন দ্বিতীয় নোবেল পুরষ্কার। নোবেল প্রাইজ বক্তৃতায় বারবার বললেন স্বামী পিয়েরের কথা।

ফরাসী মিডিয়া যদিও পাত্তাই দিল না এতবড় গৌরবটিকে। মেরির ওপর জঘন্য আক্রমণ চলতেই থাকত। নারী, তার ওপর সফল নারীকে চারিত্রিক দোষ দিয়ে টুকরো করে দেওয়ার মত বিজয়োল্লাস আর কিছুতেই নেই।

চরম মানসিক জোর থাকা মানুষগুলোর শরীর কখনো কখনো তাঁদের মানসিক দৃঢ়তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। মন লড়ে গেলেও শরীর বিদ্রোহ করে। প্রবল প্রতিবাদের মধ্যে দেশে ফিরে মেরিরও তাই হল। ফেরার সঙ্গে সঙ্গে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ভর্তি হতে হল হাসপাতালে।

দিনরাত তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকতে থাকতে মেরির শরীরের অনেক কোষ তখন ক্ষতিগ্রস্থ, লিভার সাংঘাতিকভাবে ড্যামেজড। মিডিয়াকে এড়াতে অন্য নামে কেবিন বুক করতে হল।

কিন্তু সাংবাদিকরা আর দেশের জনতা তাতেও তাঁকে রেহাই দিল না। রটিয়ে দেওয়া হল, মেরি আসলে পলের অবৈধ সন্তানের মা হতে যাচ্ছিলেন, তাই গর্ভপাত করাতে গোপনে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। ছি ছি কী লজ্জা!

এতকিছুর পরও ভগ্নদেহে বাড়ি ফিরলেন মেরি। ধীরে ধীরে ফিরলেন কাজেও। রেডিয়াম ইন্সটিটিউটের ভবন তৈরি করা শুরু করলেন। ধীরে ধীরে যেতে লাগলেন নানা দেশের কনফারেন্সে। চলতে লাগল তাঁকে নিয়ে আজকের ভাষায় ট্রোলও।

তারপর শুরু হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। যে ফরাসী জনতা তাঁকে ছিঁড়ে খেয়েছে, সেই ফরাসী সেনাদেরই সেবাশুশ্রূষায় আঠেরোটি ভ্যানে এক্স রে মেশিন নিয়ে মেরি পড়ে রইলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটোছুটি করে দ্রুত রেডিওঅ্যাক্টিভ এক্স রে মেশিনে নির্ণয় করতে লাগলেন অসুখ, বাঁচাতে লাগলেন তাঁদের। কিন্তু এই লাগাতার নোংরা আক্রমণে ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ডভাবে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। একেই ভীষণ দরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন, ছোট থেকে অকল্পনীয় সংগ্রাম করে উঠে এসেছিলেন। তারপর আর শরীর নিতে পারছিল না।

মেরির যুদ্ধক্ষেত্রে অত কর্মকাণ্ডে মিডিয়া একটু থমকাল বটে, কিন্তু থামল না। বলল, "লোকের কাছে ভাল সাজতে চাইছে এসব করে।"

এরপর যতদিন বেঁচেছিলেন, মনের দিক থেকে কোনদিনও স্বাভাবিক হতে পারেননি মেরি কুরি। মৃত্যুর আগে মেয়েদের বলে গিয়েছিলেন, তাঁকে যেন কবর দেওয়া হয় স্বামী পিয়েরের কবরের ওপরেই। তাই হয়েছিল। বিস্ময়ের ব্যাপার, পল ও মেরির প্রেম পূর্ণতা পায়নি, কিন্তু কয়েকদশক পরে পলের নাতি মাইকেল ও মেরি কুরির নাতনি হেলেন একে অন্যকে বিবাহ করে সুখী দম্পতি হয়েছিলেন।

এই নভেম্বরেই সেই বিশ্ববরেণ্য বৈজ্ঞানিক মাদাম মেরি কুরির জন্মদিন। ৭ই নভেম্বর। তাঁর যুগান্তকারী আবিষ্কারগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের বিজ্ঞান। চারিত্রিক দোষে প্রত্যক্ষভাবে দুষ্ট কত পুরুষ তাঁর কর্মজগতে নন্দিতই হয়েছেন। হয়ে চলেন। ক্রেডিটও নেন কেউ কেউ। অথচ ভাবতেও আশ্চর্য লাগে, এত বড় বিজ্ঞানীও মহিলা হওয়ার 'অপরাধ' এ কতবড় যাতনা সহ্য করেছেন।

সব ধর্মগ্রন্থেই চরিত্রহীনা নারীর জন্য কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু চরিত্রহীন পুরুষের জন্য নেই যে!

শুভ জন্মদিন মাদাম মেরি কুরি। আপনি লড়াইয়ের দ্বিতীয় নাম। তখনকার পুরুষ শাসিত সমাজে এক মেধাবিনীর রাজত্ব করার দ্যোতক। আপনি যদি অতবছর আগে পেরে থাকেন, আমরা তার ১ শতাংশ হলেও পারব।

আরো একটা কথা। তাঁর কাজ, প্রথম মানুষ হিসেবে দুবার নোবেলজয়ের কৃতিত্বই রয়ে গেছে ইতিহাসে, সেইসব কুৎসা, আঘাত, গুজব মুছে গেছে, ঝরে গেছে আবর্জনাময় মেদের মত। এটাই হয়। আঘাত পেলেও থামবেন না, জানবেন, আপনার কাজগুলো ঠিক রয়ে যাবে। বাকি সব হারিয়ে যাবে।

তথ্যসূত্রঃ
১. Marie Curie: the woman who changed the course of science, Philip Steele.
২. Madame Curie: A Biography, Eve Courie.
৩. Marie Curie: A life, Susan Quinn.
৪. Obsessive Genius, inner life of Marie Curie, Barbara Goldsmith ইত্যাদি।
© Debarati Mukhopadhyay

দীর্ঘদিনের শিক্ষকতার টাকা দিয়ে সাবিহা যখন জমি কিনলো তখন তার স্বামী আশরাফ কোনো বাধা দেয় নি। জমিটা সাবিহার শ্বশুরবাড়ির এলা...
07/11/2024

দীর্ঘদিনের শিক্ষকতার টাকা দিয়ে সাবিহা যখন জমি কিনলো তখন তার স্বামী আশরাফ কোনো বাধা দেয় নি। জমিটা সাবিহার শ্বশুরবাড়ির এলাকার। কিন্তু আশরাফ সাবিহাকে বাধা দিলো যখন সাবিহা সেই জমিতে বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিলো। বাধা দেয়ার কারণ আশরাফের বড়ো দুই ভাই।

তারা আশরাফকে বললো, "বউকে বাড়ি করতে দিবি না। বউয়ের বাড়িতে থাকলে স্বামীর মান সম্মান থাকে না। তখন দেখবি তোকে বউয়ের কথায় উঠতে বসতে হবে।"

আশরাফ বললো, "ঠিক আছে। ওকে বাড়ি করতে দেবো না।"

ঘরে এসে আশরাফ সাবিহাকে বললো, "তুমি ঐ জমিতে বাড়ি করতে পারবে না।"

সাবিহা অবাক হয়ে বললো, "কেনো? আমার জমিতে আমি বাড়ি করতে পারবো না কেনো?"

"এতো কথা বলতে পারবো না। আমি যা বললাম তা হবে।"

এই বলে সে অন্য রুমে চলে গেলো।

পরদিন সাবিহা নিজের জমিতে গিয়ে যা দেখলো তাতে সে আকাশ থেকে পড়লো। সে দেখলো তার জমিতে স্বামীর বড়ো দুই ভাই চাষবাস শুরু করেছে। অনেক রকম গাছ লাগিয়েছে।

সাবিহা উত্তেজিত হয়ে তাদের বললো, "আপনারা এসব কী করছেন? আমার জমিতে আমার অনুমতি ছাড়া গাছ লাগিয়েছেন কেনো?"

দুই ভাই উত্তর দিলো, "তোমার স্বামীর অনুমতি নিয়ে এসব করা হয়েছে। যা বলার তাকে গিয়ে বলো।"

রাতে আশরাফ দোকান থেকে এলে সাবিহা রেগে বললো, "তোমার বড়ো দুই ভাই আমার জমিটা দখল করে নিলেন। তুমি কিছু না বলে তাদের উল্টা অনুমতি দিলে! আমাকে একবার জানানোর প্রয়োজনও বোধ করলে না? তোমরা তিন ভাই মিলে এই কাজ করেছো যাতে আমি ওখানে বাড়ি করতে না পারি, তাই না?"

আশরাফ সে কথার জবাব না দিয়ে তার কলেজে পড়ুয়া মেয়েকে ডেকে বললো, "পুতুল, ভাত দে। খিদে লেগেছে। সারাদিন দোকান করে ক্লান্ত হয়ে আছি। খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো। কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।"

সাবিহা তখন বললো, "তোমার ভাইয়েরা যে তোমাকে ভুল বোঝাচ্ছেন তুমি কেনো বুঝতে পারছো না? আমার জমি ওনারা কেনো ভোগ করবেন?"

আশরাফ রেগে বললো, "আমার ভাইদের ব্যাপারে তুমি কোনো কথা বলবে না।"

সাবিহা আর কিছু বললো না।

এর কিছুদিন পর আশরাফের দুই ভাই আশরাফের দোকানে গিয়ে বললো, "বউ কি কোনো ঝামেলা করছে?"

"চিল্লাচিল্লি করে, এই আর কি! আমি পাত্তা দিই না।"

"আমরা হলাম এক রক্তের ভাই। বউয়েরা হলো পরের বাড়ির মেয়ে। তারা কোনোদিন আমাদের ভালো চাইবে না। মনে রাখবি, যে বাড়িতে বউ বেশি বোঝে সেই বাড়ির সুখ শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। তোর বউ একটু বেশি বোঝে। বউয়ের কথা একদম শুনবি না।"

আশরাফ তাই করলো। সাবিহার কোনো কথা সে শুনলো না। সাবিহার চোখের সামনে তার জমিটা আশরাফের দুই ভাই ভোগ করতে লাগলো। সাবিহা পুলিশের কাছে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু সংসার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় সে তা করে নি। মূলত মেয়ের কথা ভেবে সাবিহা সংসার ভাঙার দিকে যায় নি। এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে সাবিহার দিন কাটতে লাগলো।

এর বছর দুয়েক পর করোনা শুরু হলো। সে সময়ে এক দুর্ঘটনায় আশরাফের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। তার চেয়ে ভয়াবহ হলো, আশরাফের বেশ কিছু টাকা ঋণ ছিলো। যেগুলো সে দোকানের আয় থেকে শোধ করতো। এখন কী করে ঋণ শোধ করবে সে বুঝতে পারছিলো না। ঋণ শোধে যতো দেরি হবে ততো সুদে আসলে সে ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

সে টাকার জন্য হন্যে হয়ে বন্ধু বান্ধব আত্নীয় সবার কাছে ছুটতে লাগলো।

সবাই তাকে এক কথাই বললো তা হলো, "করোনার কারণে কাজ কর্ম সব বন্ধ হয়ে আছে। নিজেদের চলতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তোমাকে কী করে সাহায্য করবো?"

সবাই যে ফিরিয়ে দিয়েছিলো তা নয়। কেউ কেউ সাহায্য করেছিলো তবে তা এতো সামান্য যে, ওতে আশরাফের কিছুই হতো না। ঐ টাকা দিয়ে না পারতো পুনরায় দোকান দিতে, না পারতো ঋণ শোধ করতে।

অবশেষে সে তার ভাইদের কাছে গেলো। তার বিশ্বাস ছিলো অন্যেরা তাকে সাহায্য না করলেও ভাইয়েরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। কারণ ভাইয়েরা অসচ্ছল নয়।

কিন্তু সে আশ্চর্য হয়ে দেখলো তার দুই ভাই নানা রকম অজুহাত দেখাতে লাগলো।

এক ভাই বললো, "বড়ো মেয়েটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ওর পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। হাতে একদম টাকা নাই। থাকলে তোকে অবশ্যই দিতাম।"

আরেক ভাই বললো, "করোনাতে ব্যবসা ধসে গেছে। এখন নিজের চলতেই কষ্ট হচ্ছে। নইলে অবশ্যই তোকে সাহায্য করতাম।"

আশরাফ শূন্য চোখে তাদের কথা শুনলো। সে তার ভাইদের কাছ থেকে এমন কথা আশা করে নি।

রাতে বিধ্বস্ত হয়ে আশরাফ ঘরে ফিরলো।

তখন আশরাফের কাছে তার মেয়ে পুতুল এসে বললো, "বাবা, তোমার এই বিপদের দিনে একজন মানুষ তোমাকে সাহায্য করতে পারে। সবাই তোমাকে ফিরিয়ে দিলেও সে তোমাকে ফিরিয়ে দেবে না।"

আশরাফ বললো, "কে সে?"

"মা।"

আশরাফ চুপ হয়ে গেলো।

ঘুমানোর সময় আশরাফ অপরাধী গলায় সাবিহাকে বললো, "মানুষ চিনতে আমার সময় লেগেছিলো। বোকা এবং অহংকারী ছিলাম বলে এমন হয়েছে। পারলে আমাকে ক্ষমা কোরো।"

সাবিহা কিছু বললো না।

পরদিন আশরাফ সাবিহার জমিতে গেলো। সেখানে গিয়ে তার বড়ো দুই ভাইয়ের লাগানো সবগুলো গাছ বিক্রি করে দিলো। দুই বছরে গাছগুলো বেশ বড়ো হয়ে উঠেছিলো।

বড়ো ভাইয়েরা বাধা দিতে এলে আশরাফ চড়া গলায় বললো, "আপনারা অনেকদিন ধরে আমার স্ত্রীর জমি ভোগ করেছেন। আপনাদের আপন ভেবেছিলাম বলে কিছু বলি নি। কিন্তু আজ আমি বুঝতে পেরেছি কে আমার আপন। যদি গাছ বিক্রি নিয়ে আপনারা কোনো ঝামেলা করেন এবং এই জমিতে আবার যদি কিছু লাগান তাহলে চেয়ারম্যান, পুলিশ, কোর্ট কাছারি যা লাগে করবো। পারলে ঠেকাবেন।"

বড়ো দুই ভাই প্রচণ্ড ক্ষেপে গেলেও কিছু বলতে পারলো না। কারণ জমি তো তাদের নয়।

গাছগুলো বিক্রি করে আশরাফ ভালো অংকের টাকা পেলো। পুরো টাকা সে স্ত্রীর হাতে তুলে দিলো।

এবং বললো, "এই নাও, তোমার টাকা।"

সাবিহা সেই টাকা আশরাফকে দিয়ে বললো, "দোকানটা আবার শুরু করো।"

এই কথাতে আশরাফ হঠাৎ টের পেলো তার চোখ দুটো ভিজে উঠতে চাইছে।

সে কোনো রকমে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, "বাড়ির কাজ আরম্ভ করো। আমি আছি তোমার সাথে।"

সাবিহা তখন বললো, "স্ত্রীর বাড়িতে থাকতে খারাপ লাগবে না?"

আশরাফ জবাবে বললো, "অবশ্যই খারাপ লাগবে। তবে এই ভেবে খারাপ লাগবে যে, আরো আগে থেকে কেনো স্ত্রীর বাড়িতে থাকি নি?"

আশরাফের কথা শুনে সাবিহা হেসে দিলো। অপূর্ব হাসি।

"আপন"
- রুদ্র আজাদ

31/10/2024

সন্তানের জন্য বাবার যে ভালোবাসা তা অর্থের মাপকাঠিতে তুচ্ছ। তার প্রমাণ বাবার অসাধারন এক চিঠিতে। ভালো লাগলে আপনার সন্তানদের ও পড়তে দিন। এবং নিজের মন্তব্য জানান।

প্রিয় বাবজি..
আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি

১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।

২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।

৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা-এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

জীবনে চলার পথে এ গুলো মনে রাখার চেষ্টা কোরো:

১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা। কারন, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে, তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এ জন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে, সে সব সময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা।

২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই 'অপরিহার্য' নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে। বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা।

৩। জীবন সংক্ষিপ্ত। আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে।

৪। ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়। ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায় ও অতিরঞ্জিত হবে না।

৫। অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিল না। এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষা লাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া শাট বা কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।

৬। আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে, তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমি ও তোমার সারা জীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা। যখনি তুমি প্রাপ্ত বয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে, গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে।

৭। তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করো না। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরা ও তোমার সাথে ভালো থাকবে, তা প্রত্যাশা করবে না। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে।

৮। আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে, যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না।

৯। তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো, সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের এক সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো উপভোগ করি .. মূল্যায়ন করি।
১০। বাবা তুমি হয়তো আমাকে অনেক অর্থ দেবে, কিন্তু তুমি কি পারবে ?আমার সেই ছেলেবেলার দিনগুলো ফিরিয়ে দিতে ?যখন আমার মনের ইচ্ছা ছিল একটি বাইক কিনে আমি বাইক চেপে কাজে যাব। যখন মনের ইচ্ছা ছিল ভালো একটা শার্ট কিনে গায়ে দিয়ে আমি ঘুরতে যাব। কিন্তু সেই সুখ শান্তি জলাঞ্জলি দিয়ে সেই টাকা আমি তোমার মানুষ করার পিছনে খরচ করেছি। নিজের বুকে সমস্ত সুখ শান্তি চেপে রেখে। আজকের তুমি অনেক টাকা দিতে পারো, কিন্তু আমার সেই হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার জীবনের সব শান্তি গুলো তুমি ফিরিয়ে দিতে পারবে?
১১।আমার অভাবের মধ্যে দিয়েও সমস্ত সুখ শান্তি শখ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে তোমাকে মানুষ করেছি। আজ তুমি প্রতিষ্ঠিত হয়ে, বড় চাকুরি পেয়ে আমার দেনা শোধ করার কথা ভাবছো। তুমি অর্থ দিয়ে হয়তো আমার ভরিয়ে দিতে পারবে।
কিন্তু আমার হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

ইতি
ভালোবাসা সহ,
তোমার গরীব বাবা.....

31/10/2024

লেখাটি পড়বেন অবশ্যই ...............

০১.তুমি যাকেই বিয়ে করো না কেন, তার খুঁত থাকবেই। নিখুঁত কোনো মানুষ মানবেতিহাসে জন্মায়নি। দাম্পত্যসাথীর খুঁতের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তার যোগ্যতাকে তুমি দেখতে পাবে না কোনোদিনই।

তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০২. প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই অতীত-গল্প আছে। ভালোমন্দ মিলিয়েই তার অতীতের ইতিহাস। দাম্পত্যসাথীর অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে, দাম্পত্যের বর্তমানকে হারিয়ে ফেলবে তুমি।

তোমার এই বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৩. প্রত্যেক দাম্পত্যই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবে রোজই। দাম্পত্য ফুলবাগানও নয়, যুদ্ধক্ষেত্রও নয়। ল্যভ-ম্যারেজ বা সেটল্ড, যে-প্রক্রিয়াতেই সংসারটি তৈরি হোক না কেন, নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা থাকবেই। প্রক্রিয়ার দোষ নয় এটি, দাম্পত্যজীবনই এরকম। এই সমস্যাগুলোকে দু'জনে মিলে সমাধানে এগিয়ে যাওয়াটাই দাম্পত্যপ্রেম। দাম্পত্য-সমস্যায় পরস্পরকে দোষারোপ দাম্পত্যের অপমান।

দাম্পত্য-সমস্যায় সংসারসাথীকে দোষারোপ করার বদভ্যাস থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৪. প্রত্যেক দাম্পত্যই আলাদা। নিজের সংসারের সাথে অন্য সংসারের তুলনা কোরো না। কোনো সংসারই ব্যর্থ নয়, প্রত্যেক সংসারই নিজের যোগ্যতার নিরিখে সফল। অন্যের সংসারের জৌলুসকে সুখ ভেবে নিয়ে, নিজের সংসারকে অসুখের আখড়ায় পরিণত কোরো না।

পরিশ্রমহীন এই পরশ্রীকাতরতার বদভ্যাস থেকে থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৫. সংসার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অর্থ হলো─ তুমি তোমার জীবন থেকে সংসার-বিরুদ্ধ ভাবনা ও অভ্যাসগুলি চিরতরে বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছ। উল্লিখিত সংসার-বিরুদ্ধ অভ্যাসগুলি─
ক. মূর্খতা,
খ. উচ্ছৃঙ্খলতা,
গ. শৃঙ্খলাহীনতা,
ঘ. পরচর্চা,
ঙ. পরশ্রীকাতরতা,
চ. তৃতীয় পক্ষের কথায় বিশ্বাস,
ছ. আলস্য,
জ. অশ্রদ্ধা,
ঝ. প্রেমহীনতা,
ঞ. ভাষার বাজে ব্যবহার,
ট. বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা,
ঠ. পারস্পরিক আলাপে অনীহা।

উল্লিখিত বদভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করতে না-পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৬. নিখুঁত দাম্পত্যজীবন বলে কিছু নেই। রেডিমেড সংসার বলে কিছু নেই। শর্টকাট দাম্পত্যসুখ বলে কিছু নেই। সংসার অর্থ─ দু'টি মানুষের একইমাত্রার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস, প্রেম, এবং উভয়ের সর্বোচ্চ শ্রমের সমষ্টি। দাম্পত্যজীবন হলো সেই চারাটি, যাকে নিয়মিত পরিচর্যা করলে একটি মহীরুহে পরিণত হবে একসময়; পরিচর্যা না-করলে, ধুঁকতে-ধুঁকতে, দ্রুতই মরে যাবে।

তুমি যদি পরিচর্যার মানসিকতাহীন একজন খামখেয়ালি ব্যক্তি হয়ে থাকো, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৭. সংসার ও আর্থিক সক্ষমতা পরস্পরের পরিপূরক। সংসার রক্ষা করার জন্য, সংসার শুরু করার আগেই তোমাকে উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। উপার্জন ছাড়া সংসার করার ভাবনাটিই তামাশা। এ অপরাধ। আর, উপার্জনের ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকলে, তবে, সংসার শুরু করার আগে, কখনোই উদ্বিগ্ন হয়ো না─ এই উপার্জনে সংসার আমি রক্ষা করতে পারবো কিনা! নিজের যোগ্যতার চেয়ে বেশি যোগ্য, নিজের অবস্থানের চেয়ে বেশি উচ্চ অবস্থানের, কারও সাথে দাম্পত্য করতে যেয়ো না; কাছাকাছি সামাজিক অবস্থানের ও মানসিকতার দু'জন মানুষের দাম্পত্যে আর্থিক চাহিদা সমস্যা ঘটায় না। সংসার মানেই আর্থিক বিবেচনা, এবং সংসার মানেই ঝুঁকি নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।

এই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস না-থাকলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৮. প্রেমভালোবাসাহীন সংসার একটি অভ্যাসমাত্র। এই অভ্যাস একসময় পরিণত হয় দাসত্ব ও মালিকানায়। এই পরিস্থিতির নামই─ চুক্তি। এই চুক্তির, বাজারে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে না। বাজারেই থাকে গণিকালয়। অর্থাৎ, প্রেমভালোবাসাহীন সংসার চুক্তিভিত্তিক গণিকাবৃত্তি মাত্র। এসব সংসারে, ডিভোর্স না-হওয়া মানে এই নয় যে─ এরা সুখী; কারণ─ ডিভোর্স সবসময় কাগজেকলমে হয় না, ডিভোর্স মূলত আরম্ভ হয় মনে, এবং চিরকাল মনের ভিতরেই এই ডিভোর্স ঘৃণার সাথে রয়ে যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।

তুমি যদি প্রেমহীন হয়ে থাকো, সংসার তোমার জন্য নয়।

০৯. সংসার আরম্ভ করার আগেই, অতীতের তৃতীয় কারও প্রেমকে, বান্ধবকে, হারানো প্রেমস্মৃতিকে, চিরতরে অতীতেই ফেলে আসতে হবে। বর্তমান দাম্পত্যসাথীর সাথে প্রতারণার আরেক নাম─ প্রাক্তন প্রেমসাথীকে মনের ভিতরে জিইয়ে রাখা।

এ বদভ্যাস পরিত্যাগ করতে না-পারলে, সংসার তোমার জন্য নয়।

১০. সংসার করো। সংসারই পরিপূর্ণতা। কিন্তু, সংসার তখনই কোরো, যখন তুমি সংসার করার যোগ্য হয়ে উঠবে। অন্যথায়, আরেকটি মানুষের সুন্দর জীবনটিকে নষ্ট করে দিয়ো না।

মানুষকে ভালোবাসো, সংসার না-করে হলেও।
©

কর্মক্ষেত্রে Unprofessional/critical/toxic বসদের ১০টি আচরণের নমুনা : এক জরিপে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে অর্ধেকের বেশি চাকরিজীব...
30/10/2024

কর্মক্ষেত্রে Unprofessional/critical/toxic বসদের ১০টি আচরণের নমুনা :

এক জরিপে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে অর্ধেকের বেশি চাকরিজীবী তাদের বসকে নিয়ে খুশি নন। বসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকলেও, বসের কাছ থেকে ন্যূনতম সম্মান পাওয়া যায় না বলেই মনে করেন চাকরিজীবীরা। আর এর পরিস্থিতি কর্মীদের পারফরমেন্সের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর যে সকল কর্মীরা বসে কাছ থেকে ন্যূনতম সম্মান পেয়ে থাকেন, তাদের উৎপাদনশীলতা ৯২ শতাংশ বেড়ে যায়। কর্মক্ষেত্রে বসদের আচরণ কর্মীদের পেশাগত মনোবল ও পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে Critical বসদের সাধারণ ১০টি আচরণের নমুনা দেওয়া

1. অপমানজনক কথা বলা: কর্মীদের সামান্য ভুলেও তিরস্কার বা অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করা, যা কর্মীদের আত্মসম্মানে আঘাত করে।
2. অন্যদের সামনে সমালোচনা করা: কোনো ভুল বা সমস্যা নিয়ে সরাসরি অফিসে অথবা সবার সামনে লজ্জা দেওয়া, যা কর্মীর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।
3. অবহেলা করা বা উপেক্ষা করা: কর্মীর পরামর্শ বা কাজকে উপেক্ষা করা এবং সেই বিষয়ে কোনো ফিডব্যাক না দেওয়া।
4. অতিরিক্ত কাজের চাপ সৃষ্টি করা: কর্মীদের ওপর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাজের চাপ দেওয়া এবং তা সম্পন্ন করার জন্য অযৌক্তিক ডেডলাইন নির্ধারণ করা।
5. বিরামহীন মাইক্রোম্যানেজমেন্ট: প্রতিটি ছোটো কাজ নিয়মিত চেক করা, যা কর্মীদের স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতাকে সীমিত করে ফেলে।
6. অন্যের কৃতিত্ব নিজের নামে নেওয়া: কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি না দিয়ে, নিজের নামে দাবি করা এবং সাফল্যের কৃতিত্ব নিজের করে নেওয়া।
7. নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টিকারী মন্তব্য: ভবিষ্যৎ চাকরির স্থায়িত্ব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে কর্মীদের অনিরাপত্তার মধ্যে রাখা।
8. ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ: কর্মীদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা বা মন্তব্য করা এবং তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
9. নির্দিষ্ট কর্মীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব: কিছু কর্মীদের প্রতি বিশেষ পক্ষপাত দেখানো এবং বাকিদের প্রতি অবহেলা করা।
10. উন্নতির সুযোগ না দেওয়া: কর্মীদের প্রশিক্ষণ বা উন্নতির সুযোগ না দিয়ে তাদের কাজের গুণগত মান বাড়াতে বাধা সৃষ্টি করা।

এ ধরনের আচরণ কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে এবং কর্মীদের মনোবল, কর্মস্পৃহা এবং পারফরম্যান্সে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বসদের এ ধরনের আচরণে কর্মীরা সত্যিই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। প্রয়োজনে বিষয়গুলো নিয়ে বসের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করে নিতে পারেন। বসের এ ধরনের আচরণ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তবে এমন শিক্ষা নেবেন না, যেন ভবিষ্যতে আপনি বস হলে একই পথে হাঁটেন।

30/10/2024

একটা ভালো সিনেমা দেখা ১০০ টা বই পড়ার সমান? সিনেমার একটা অদ্ভুত শক্তি আছে।

এটা আপনার মনকে চমৎকারভাবে ডাইভার্ট করার ক্ষমতা রাখে। পুরোনো কোনো গভীর ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে সারিয়ে দিতে পারে।

এই মুভিগুলো না দেখলে দেখে নিতে পারেন।

জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসছে? আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না? কানে হেডফোন গুঁজে দেখা শুরু করেনঃ
- Its a wonderful life
- Shawshank Redemption
- Life is Beautiful

জীবনসঙ্গী নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন?
- Midnight in Paris
- Mucise
- Vivah

এলোমেলো মনকে শান্ত করার রহস্য আবিস্কার করতে চান?
- তিতলী
- বাড়িওয়ালী
- অপরিচিত
- Raincoat

অপ্রাপ্তির হতাশায় খুব টায়ার্ড?
- Revenant
- Fall
- Survival Family

একটা প্রেম করে জীবনটা তুলাধুনা করতে চান?
- Dilwale Dulhaniya Le jayenge
- Mohabbatein
- Before Sunrise
- The Notebook

ফেলে আসা শৈশব, সোনালী অতীত মিস করছেন?
- 96
- Three Idiots
- Chichoree

কাউকে সান্ডে মান্ডে ক্লোজ করে নিজের উপর হওয়ার অন‍্যায়ের রিভেঞ্জ কেমনে নেয় দেখতে চান?
- No Mercy
- City of God
- Orphan (সাইকো থ্রিলার)

পার্সোনালিটি কী জিনিস বুঝতে চান?
- অগ্নীশ্বর

শিক্ষকতা পেশাটা ভাল লাগে?
- Dead Poet Society
- Madam Gita Rani
- Tare Zamin par

মানুষের কল্পনার অদ্ভুত জগৎ দেখতে চান?
- Apocalypto
- Perfume
- Avatar


যুদ্ধ বিদ্রোহ টানে খুব?
- Braveheart
- Troy

মানুষের অদ্ভুত ফ‍্যান্টাসি টাইম ট্রাভেল ভাল্লাগে?
- Casablanca
- Lagaan

ঝড় বৃষ্টির রাতে ভয়ের ফিল নিতে চান?
- Woh Kaun Thi

কার্টুন সরি এনিমেশন ভাল লাগে?
- Coco
- Finding Nimo
- Up

ইসলাম কালচারের মুভি টানে খুব?
- Children of Heaven
- The messege
- Baren

ওয়ার্ল্ড ওয়ার ১/২ কি জিনিস বুঝতে চান?
- The Pianist
- Parl Harbour
- Down*fall

চমৎকার কিছু বাংলা সিনেমা দেখতে চান?
- সীমানা পেরিয়ে
- সূর্যকন্যা
- মেঘের অনেক রঙ
- আয়নাবাজি
- জীবন থেকে নেয়া
- পথের পাঁচালী

আরো কত কত মুভি যে আছে!
এক জীবন কেবল সিনেমা দেখেই পার করে দেয়া যায়।

©সংগৃহীত

তাহসানের মা' কিছু করলে সেটার জন্য তাহসানের মেধাকে ছোট করা ঠিক না। তাহসানের ব্যাপারে পুরোটাই গু'জব ছড়ানো হচ্ছে। ২৪ তম বিস...
11/07/2024

তাহসানের মা' কিছু করলে সেটার জন্য তাহসানের মেধাকে ছোট করা ঠিক না। তাহসানের ব্যাপারে পুরোটাই গু'জব ছড়ানো হচ্ছে। ২৪ তম বিসিএসে শুধু প্রিলিমিনারি বাতিল হয়েছিলো, লিখিত বা ভাইভা না। তারচে বড় কথা তাহসান ওই বিসিএসে অংশগ্রহণ করেনি। (তাহসান যদি ফার্স্ট হয় বিসিএসে তাও আমি মনে করি না এটা অবাক হওয়ার মত কিছু)
তাহসান ভীষণ মেধাবী স্টুডেন্ট। ঢাবির IBA-তে কোন নরমাল স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে না। সে বুয়েটেও চান্স পেয়েছিলো। তাহসান ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ অফার পাওয়া স্টুডেন্ট। তাহসানের IELTS স্কোর ছিলো ৯/৯...
পড়াশোনা শেষ করেই তাহসান ব্রাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষকতা
করেন।

তাহসানকে পুরো দেশের মানুষ চিনে তার গান, অভিনয় অর্থাৎ তার যোগ্যতার কারণে। তার মায়ের পরিচয়ের কারণে নয়। তাহসানকে ট্রল মানে তার অর্জিত সব যোগ্যতাকে ছোট করা।

সবচেয়ে বড় কথা, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাহসান তার মায়ের সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রীয় কোন বড় পদে বসে থাকে নি, কোটি কোটি টাকা বাইরে পা'চার করে দেয়নি। দেশের কয়জন মানুষ এত বড় লোভ সামলাতে পারবে?
এই কারণে বরং তাহসান রেসপেক্ট ডিজার্ভ করে, ট্রল নয়।

তাহসানের সাথে যা হচ্ছে এটা খুবই ল'জ্জা'জনক, এটা
অন্যায় ।

© তারেখ আহাম্মেদ

01/07/2024

গল্প-১
বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে।
ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন, ‘আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।’
বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা বলে কথা।
শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ছিল দরজায়?’
‘পাশের বাসার করিম সাহেব’, উত্তর দিল ছেলে।
‘ও’, বললেন বাবা, ‘আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?’

শিক্ষণীয়বিষয়
আপনার ধারদেনার তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের থেকে গোপন করবেন না। এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।

গল্প-২
সেলসম্যান, অফিস ক্লার্ক ও ম্যানেজার দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁরা একটি পুরোনো প্রদীপ পেলেন।
তাঁরা ওটাতে ঘষা দিতেই দৈত্য বের হয়ে এল।
দৈত্য বলল, ‘আমি তোমাদের একটি করে ইচ্ছা পূরণ করব।’
‘আমি আগে! আমি আগে!’ বললেন অফিস ক্লার্ক, ‘আমি বাহামা সমুদ্রপারে যেতে চাই, যেখানে অন্য কোনো ভাবনা থাকবে না, কাজ থাকবে না।’
‘ফুঃ...!!’ তিনি চলে গেলেন।
‘এরপর আমি! এরপর আমি!’ বললেন সেলসম্যান, ‘আমি মায়ামি বিচে যেতে চাই, যেখানে শুধু আরাম করব।’
‘ফুঃ...!!’ তিনিও চলে গেলেন।
‘এখন তোমার পালা’, দৈত্য ম্যানেজারকে বলল।
ম্যানেজার বললেন, ‘আমি ওই দুজনকে আমার অফিসে দেখতে চাই।’

শিক্ষণীয়বিষয়
সব সময় বসকে আগে কথা বলতে দেবেন। তা না হলে নিজের কথার কোন মূল্য থাকবে না।

গল্প-৩
একটি ইগল গাছের ডালে বসে আরাম করছিল।
এমন সময় একটি ছোট খরগোশ ইগলটিকে দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘আমিও কি তোমার মতো কিছু না করে এভাবে বসে আরাম করতে পারি?’
ইগল উত্তর দিল, ‘অবশ্যই, কেন পারবে না।’
তারপর খরগোশটি মাটিতে এক জায়গায় বসে আরাম করতে থাকল। হঠাত্ একটি শিয়াল এসে হাজির, আর লাফ দিয়ে খরগোশকে ধরে খেয়ে ফেলল।

শিক্ষণীয়বিষয়
যদি কোনো কাজ না করে বসে বসে আরাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক ওপরে থাকতে হবে।

গল্প-৪
একটি মুরগি ও একটি ষাঁড় আলাপ করছিল।
‘আমার খুব শখ ওই গাছের আগায় উঠব, কিন্তু আমার এত শক্তি নেই’, মুরগিটি আফসোস করল।
উত্তরে ষাঁড়টি বলল, ‘আচ্ছা, তুমি আমার গোবর খেয়ে দেখতে পার, এতে অনেক পুষ্টি আছে।’
কথামতো মুরগি পেট পুরে গোবর খেয়ে নিল এবং আসলেই দেখল সে বেশ শক্তি পাচ্ছে। চেষ্টা করে সে গাছের নিচের শাখায় উঠে পড়ল।
দ্বিতীয় দিন আবার খেল, সে তখন এর ওপরের শাখায় উঠে গেল।
অবশেষে চার দিন পর মুরগিটি গাছের আগায় উঠতে সক্ষম হলো।
কিন্তু খামারের মালিক যখন দেখলেন মুরগি গাছের আগায়, সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুলি করে তাকে গাছ থেকে নামালেন।

শিক্ষণীয়বিষয়
ফাঁকা বুলি (বুল শিট) হয়তো আপনাকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি বেশিক্ষণ ওখানে টিকে থাকতে পারবেন না।

গল্প-৫
একটি পাখি শীতের জন্য দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু এত ঠান্ডা ছিল যে পাখিটি শীতে জমে যাচ্ছিল এবং সে একটি বড় মাঠে এসে পড়ল।
যখন সে মাঠে পড়ে ছিল, একটি গরু তার অবস্থা দেখে তাকে গোবর দিয়ে ঢেকে দিল। কিছুক্ষণ পর পাখিটি বেশ উষ্ণ অনুভব করল। যখন গোবরের গরমে সে খুব ঝরঝরে হয়ে উঠল, আনন্দে গান গেয়ে উঠল।
এমন সময় একটি বিড়াল পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, পাখির গান শুনে খুঁজতে লাগল কোথা থেকে শব্দ আসে। একটু পরই সে গোবরের কাছে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে গোবর খুঁড়ে পাখিটিকে বের করে তার আহার সারে।

শিক্ষণীয়বিষয়
১. যারা আপনার ওপর কাদা ছোড়ে, তারা সবাই-ই আপনার শত্রু নয়।
২. যারা আপনাকে পঙ্কিলতা থেকে বের করে আনে, তারা সবাই-ই আপনার বন্ধু নয়।
৩. এবং যখন আপনি গভীর পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত, তখন মুখ বেশি না খোলাই শ্রেয়।
©

Address

Narayanganj

Telephone

+8801930817044

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Altaf saif posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category