10/03/2025
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে জান্নাত নামের ১৬ বছরের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। সালিশ ডেকে উল্টো এই কিশোরীকে ভর্ৎসনা করায় সে আত্মহত্যা করে।
কিছু অপরাধ থাকে যার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হয়। ধর্ষণ তার একটা। যেমন ইসলামি দণ্ডবিধিতে খুনীকেও দণ্ড থেকে রেহাই দেওয়ার সুযোগ আছে ভিক্টিমের পরিবারের।
কিন্তু ধর্ষণের সাজা মওকুফের কোনও সুযোগ রাখা হয় নি। ধর্ষককে মাফ করে দেওয়ার ক্ষমতা ভিক্টিমকেও দেওয়া হয় নি। রাষ্ট্রকে এই দায় নিতেই হবে। বিচার কার্যকর করতেই হবে।
ধর্ষণের বিচার হতে হবে দৃশ্যমান স্বল্প সময়ের মধ্যে। ধর্ষকের সাজার খবর সরকার প্রয়োজনে ছবিসহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করবে।
ধর্ষণ কেবল অপরাধ না, এটা একটা পলিটিকাল টুলও। দাপট, ক্ষমতা প্রয়োগের টুল। আওয়ামিলীগ আমলে ইন্টিমিডেশনের টুল হিসেবে ধর্ষণকে ব্যবহার করা হয়েছে।
ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় চার সন্তানের জননীকে আওয়ামিলীগ কর্মীরা আয়োজন করে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের পেছনের কারণগুলোও বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
প্রাচীন রোমান সমাজে ধর্ষণকে মনে করা হত স্বামীর অসম্মান, অবিবাহিত হলে পিতার অসম্মান। সেই জায়গা থেকে সমাজ বিচার করত। নারীর যেন কিছুই না!
পরে যখন আরেকটু সভ্যভাবে সমাজ ভাবতে শুরু করলো তখন বললো নারীর 'শ্লীলতাহানি'।
ধর্ষণ যে করে তার নয় বরং ভিক্টিম নারীকেই আমরা সম্মানহীন দেখতে শুরু করলাম। এই অন্যায় আমরা করছি বলেই এখনও নারী ধর্ষিত হলে তাকে নীচু করে দেখে সমাজ।
নারীর দেহ নিয়ে বাজে মন্তব্য যে গারদের ভেতর থেকে করে, তাকে যখন ফুলের মালা, মাথায় পাগড়ি আর কোরআন শরিফ দিয়ে বরণ করা হয়, তখন নারী প্রসঙ্গে ঠিক কি বার্তাটা সমাজে যায়?
নারীদের যারা ঊনমানুষ মনে করে। তারা ধর্ষণের পক্ষে অন্যতম উৎপাদক। বিচারহীনতাই ধর্ষণের প্রধানতম কারণ। মানুষ যখন বুঝে, সে পার পেয়ে যাওয়া যাবে, তখনই সে এই সাহস করে। রাষ্ট্র, দ্রুত বিচার করুন, আমাদের দেখান, অপরাধীর অন্তরে ভীতির সঞ্চার করুন।
লেখা- Arju Ahmad
এত কিছু হওয়ার পরও সরকার এই বিষয় গুলো কঠোর ভাবে দেখছে না কেন?
তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে বন্দি করে রাখলে তাদের শাস্তি হবে না, তাদেরকে মৃত্যু দন্ড দেওয়া দরকার ছিল কেন সরকার মৃত্যু দন্ড কর্যকর করে নাই?
যদি সরকার মৃত্যু দন্ড কার্যকর করতো তাহলে আর একেরপর এক ধর্যণের শিকার হতো না।
Asif Mahmud Shojib Bhuyain
Dr. Asif NazrulDr. Asif Nazrul Asif Nazrul