10/06/2025
আপনি যত কিছুই করেন না কেন। আপনার সুখ-শান্তি আল্লাহর হাতে। আপনি নিজ থেকে কখনই সুখি হতে পারবেন না যদি আল্লাহ না চায়। সব কিছুই আল্লাহর হাতে। কিন্তু আপনার শান্তি আল্লাহ নিজের কাছে এমন ভাবে রাখছে যে আপনি যদি দুনিয়ার বাদশাহও হোন, দুনিয়ার সব থেকে সুন্দর মানুষও হোন। আপনাকে শান্তির জন্য আল্লাহর কাছে হাত তুলতেই হবে, মাথা ঠেকাতেই হবে।
আপনি আল্লাহর থেকে দূরে। আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি আপনি কোন গর্তে আছেন। আপনি নাস্তিক হয়ে, লিবারেল হয়ে, সেকুলার হয়ে, নারীবাদী হয়ে নায়ক-গায়ক হেনতেন যাই হোন কেন, প্রশান্তি পাবেন না। আল্লাহ আপনাকে দিবে না।
আল্লাহর কাছেই আপনার শান্তি। তাহলে আপনি অন্যদিকে কেন যান? গিয়ে কী শান্তি পেয়েছেন? অন্যদিকে আযাব ছাড়া কিছুই নাই। আপনি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেছেন যে আমার প্রশান্তি আল্লাহর কাছে তাহলে আমি সারা দুনিয়ার পিছনে কেন ঘুরি?
এটা কী বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে? আপনার পানির পিপাসা লাগছে। আপনার ঘরেই পানি। তা না খেয়ে আপনি সারা মরূভূমি ঘুরতেছেন পানির জন্য। এটা কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ হতে পারে?
শয়তান প্রতিটা সেকেন্ড আমাদের প্রভাবিত করে। এজন্য দেখা যায় আপনি কঠিনভাবে আল্লাহকে বিশ্বাস করেন। কিন্তু আপনার চিন্তা চেতনা কুফরী শিরকে ভরা। যার জন্য আপনার এই আল্লাহ বিশ্বাসী হওয়াটা কোনো কাজেরই না। আপনি একদিক দিয়ে কুফর শিরক করবেন। এমন মতবাদ ধারণ করবেন যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। আরেক দিয়ে নামাজ পড়বেন। অই নামাজ কোনো কাজের না।
আল্লাহকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করাটা হচ্ছে আপনার চিন্তা চেতনা প্রতিটা মুহুর্ত কুফর শিরক থেকে মুক্ত রাখা এবং আল্লাহর ঈবাদতে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
আর এভাবেই যদি আপনি আল্লাহকে স্মরণে রাখেন বুঝতে পারবেন আপনার বুকের ভেতর এক গায়েবী প্রশান্তি দিয়ে ভরে যাচ্ছে। এমন এক সুগন্ধিযুক্ত শান্তি অনুভব করতে পারবেন, মনে হবে যে আপনার বুকের ভিতরে জান্নাতি মিস্কআম্বার মেখে দেয়া হয়েছে...।
~ রাব্বানী মাশায়েখ পনি
゚